পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৫১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিক প্রকার চাঞ্চল্যের মধ্যে ক্ষণিক স্থিরতা অর্থাৎ মন চঞ্চলস্বভাব হইলেও মধ্যে মধ্যে স্থিরতাই ৰিক্ষিপ্তভূমিক। চিত্ত্ব যখন দুঃখজনক বিষয় পরিত্যাগ করিয়৷ মুখঞ্জনক বস্তুতে স্থির হয়, চিত্রাভ্যস্ত চাঞ্চল্য পরিত্যাগ করিয়া ক্ষণকালের জন্তু নিরবলম্বতুল্য হয়, অথবা কেবলমাত্র সুখাস্বাদে নিমগ্ন থাকে, তাহাই মনের বিক্ষিপ্তাবস্থা । একাগ্রভূমিক—একাগ্র ও একতান এই তুই শব্দ একই অর্থে প্রযুক্ত হয় । চিত্ত যখন কোন এক বাহাবস্তু অথবা আভ্যন্তরীণ বস্তু অবলম্বন করিয়া নির্বাতস্ত নিশ্চল নিষ্কম্প দীপশিখার দ্যায় স্থির বা অবিকম্পিতভাবে বর্তমান থাকে, অথবা চিত্তের রজস্তমোবৃত্তি অভিভূত হইয়া গিয়া কেবলমাত্র [ ৫১৭ ] সাত্বিকবৃত্তি উদিত এবং প্রকাশময় ও সুখময় সাৰিকবৃত্তিমাত্র । প্রবাহিত থাকে, তখন একাগ্রাবস্থা জানিতে হইবে । নিরুদ্ধ ভূমিকা—পূৰ্ব্বোক্ত একাগ্র অবস্থা অপেক্ষ নিরুদ্ধাবস্থায় অনেক প্রভেদ। একাগ্র অবস্থায় চিত্তের কোন না কোন অবলম্বন থাকে, কিন্তু নিরুদ্ধাবস্থায় তাহ থাকে না । এই নিরুদ্ধভূমিকা অভ্যস্ত হইলে চিত্ত তথন আপনার কারণীভূত প্রকৃতিকে প্রাপ্ত হইয়। কৃতকৃতার্থের স্থায় নিশ্চেষ্ট থাকে। দগ্ধস্থত্রের স্থায় কেবলমাত্র সংস্কারভাবাপন্ন হইয়া থাকে । সুতরাং তৎকালে তাহার কোনও প্রকার বিসদৃশ-পরিণাম থাকে না । ইহাই নিরদ্ধাবস্থা । চিত্তের এই পাচ প্রকার ভূমিকার মধ্যে প্রথমোক্ত অবস্থাত্রয়ের সহিত যোগের কোন সম্পর্ক নাই। যোগে মুখ হয় শুনিয়া বিক্ষিপ্তচিত্ত্বে কদাচিৎ যোগসঞ্চার হইলে ও হইতে পারে। কিন্তু তাহা স্থায়ী হয় না । এইজন্য উহা ও যোগের অযোগ্য ভূমি । একাগ্র ও নিরুদ্ধ এই দুই প্রকার ভূমিকাই যোগ হইয় থাকে। তাহার মধ্যে নিরুদ্ধ অবস্থাই যোগ শব্দের প্রকৃত বা মুখ্য অর্থ জানিতে হইবে। এই অবস্থা পাইবার জন্তু যোগীকে প্রথমে উপায় দ্বারা ক্ষিপ্ত, মূঢ় ও বিক্ষিপ্ত অবস্থা দূরীকৃত এবং একাগ্র ও নিরুদ্ধ অবস্থা উপস্থাপিত করিতে হয়। (বেদান্ত ও পাত•দ•)*

  • “জাস্বরসম্পরোকশাস্ত্রদেহুবাসনাহ বৰ্ত্তমানং চিত্তং ক্ষিপ্তভূমিকা। ১ ।

কদাচিন্ধ্যানযুক্তং চিত্তং ক্ষিপ্তাবিশিষ্টতয়া বিক্ষিপ্তভূমিকা। ২ । তত্ৰ ক্ষিপ্তমূঢ়য়োঃ সমাধিৱশন্ধৈৰ নাপ্তি,বিক্ষিপে তু সমাধিস্থশঙ্কা তদিতরৎ ভূমিস্বয়ং সমাধি: ৩। একাগ্রে মনসি সস্তুতমর্থ প্রদ্যোতয়তি ক্ষিণোতি চ ক্লেশান কৰ্ম্মবন্ধনানি মথয়তি মিরোধমভিমুখীকরোতীতি স: প্রজ্ঞাতে যোগ একাগ্র ভূমিকা। ও । সর্ববৃদ্ভিনিরোধাপ সংপ্রজ্ঞাতসমাধির্দিকদ্ধভূমিকা। • r ( বেদাঙ্কসংজ্ঞাসিরূপর্ণ- ) ‘4कांप्य दश्वृिखिनिtब्रांश्व:, भिङ्गरक क्ल मार्कींगांt दूठौमां९ नरफांद्रां*iष এৰিলা, ইত্যনয়োভূয়োগস্য সম্ভব? (পাতঞ্জল, তোলবৃত্তি ) XIII ভূমিচম্পক ভূমিকুষ্মাগু (পুং) তুমিজাত কুমাও মধ্যপদলোপি কৰ্ম্মী। ভূ ইকুমড়া । ( রত্নমাe ) ভূমিখণ্ড (রা) ১ ভূভাগ। ২ পদ্মপুরাণের খণ্ডভেদ। ভূমিখৰ্জ্জুরিকা ( ) ভূমিজাত খঙ্গরিক। ক্ষুদ্রখর্শনিক ক্ষুদ্রখর্জুরী, পৰ্য্যায়—স্বান্ধী, ফুরারোহ, মৃচ্ছদ, স্কন্ধফল, কাককর্কট, স্বাত্বমস্তক। ইহার গুণ-শতবীৰ্য্য, মধুর রস, মধুর বিপাক, স্নিগ্ধ, রুচিকারক, হৃদয়গ্রাহী, ক্ষত ও ক্ষয়নাশক, গুরু, তৃপ্তিকর, রক্তপিত্তনাশক, বিষ্টন্তী, শুক্রবন্ধক, বলকারক এবং কোষ্টগত বায়ু, বমি, কফ, জর, অতীসার, ক্ষুধা, তৃষ্ণা, কাস, শ্বাস, মত্ততা, মূহূৰ্ণ, বাতপৈত্তিক ও মদাত্যয়রোগনাশক। ইহার রসের গুণ—মওতাজনক, পিত্তকারক, বাতন্ত্র, কফনাশক, রুচিজনক, অগ্নিপ্রদীপক, বলকর এবং শুক্রবর্দ্ধক । ( ভাবপ্রe ) ভূমিখর্জুরী ( ) ভূমিজাত খর্জুরী। ভূমি খঙ্গরী, ভূমি খর্জুরিক। - ভূমিগম (পুং) উই । (বৈদ্যকনি• ) ভূমিগৰ্ত্ত (পুং) ভূমিবিবর, ভূগৰ্ত্ত। ভূমিগুহা (স্ত্রী) ভূমিস্থ গম্বর। ভূমিগৃহ (ক্লী) ভূমিস্থিত গৃহ। ভূমিচম্পক (পুং) ভূমিজাতশ্চম্পক । পুষ্পবৃক্ষবিশেষ, 5fAS FESf*fl (Kæmpferia rotunda) *fTtA—Efg*:>i, সন্ধিবন্ধ, ক্রঘণ । (শব্দচ-) ক্ষত বা ত্রণমুখে ইহার মূলের প্রলেপ লাগাইয়া দিলে ত্ৰণ সত্ত্বর পাকিয়া উঠে । এই সুদীর্ঘ পত্রযুক্ত ক্ষুদ্রগুল্ম উষ্ণপ্রধান ভারতের ও ব্রঙ্গের জল মিতে দেখা যায়। সিংহল, যব ও কোচিন-চীনেও ইহার চাস হইয়া থাকে। ইহার পুষ্পের সৌগন্ধ এবং পত্রের কমনীয়তার শোভ দেথিবীর জন্য সাধারণে বহুযত্নের সহিত উহ! গৃহপ্রাঙ্গণ ও উদ্যানাদিতে পুতিয়া রাখে। গ্রীষ্ম কালে এই দগুহীন বৃক্ষের পত্রাদি শুক্লয়া গেলে, একমাত্র গন্ধপুষ্পই এই বৃক্ষের শোভাবৰ্দ্ধন এবং মানব জাতির মন হরণ করিতে সমর্থ হয়, ইহার গন্ধখ্যাতি সৰ্ব্বত্র প্রসিদ্ধ । স্থানবিশেষে ইহ স্বতন্ত্র নামে পরিচিত। হিন্দ্বি-ভূইচম্প, বাঙ্গালা ভূইচাপা, গুজরাট ভুইটম্পে, তেলগু-কোও কলব, মলয়—মলন কুয়া, শিঙ্গাপুর—যবকেন্দ, লৌকেন্দ, সংস্কৃত— ভূমিচম্প, ভূমিচম্পক, যব কুনংসি; কোচিন-চীন—নগাই মিও। আয়ুৰ্ব্বেদশাস্ত্রে ইহার উপকারিতা সম্বন্ধে নানা কথা লিখিত আছে। ইহার শিকড়চূর্ণ করিয়া ক্ষতস্থানে পুলটিস (প্রলেপ ) দিলে শীষ সেই ক্ষতমুখে পুযোৎপত্তি হয়। সমগ্র বৃক্ষচুর্ণের প্রলেপ প্রস্তুত করিয়া সপ্তক্ষতে দিলে বিশেষ উপকার দর্শে 3○●