পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বুদ্ধদেব একটী বুদ্ধ খৰ্‌ থক্‌ করিয়া কাশিতেছে। তাহার নয়নে নিদ্রা নাই, সে কখনও উঠিতেছে, কখনও বসিতেছে এবং কখনও বা শধ্যায় গুইতেছে। তখন গৌতম সেই বৃদ্ধার গৃহে অগ্নিসংযোগ করিলেন ; গৃহ জলিয়া উঠিল। বৃদ্ধ চিৎকার করিত্তে করিতে গৃহের বাহিরে জাসিল । অগ্নি মিৰ্ব্বাণের কোন চিন্তাই তাহার হৃদয়ে উদয় ছয় সাষ্ট । তেঁতুলগাছের তলায় যে সকল লোক দণ্ডায়মান ছিল, তাছারা বুদ্ধার রোদনধ্বনি শুনিয়া লগুড় ত্যাগ করিল ও বেগে গ্রাম মধ্যে প্রবেশ করিয়া অগ্নি নিৰ্ব্বাণ করিবার জন্ত ব্যস্ত হইল । মৰ্কটগণ এই অঞ্চসরে নিরাপদে স্বীয় জালয়ে প্রক্তিশ্বমন করিল। এই জন্মে গৌতম প্রজ্ঞ}-পারমিত্তা সম্পন্ন করেন । का%क्प्लिाटा-छत्र-पौषाण्ााम्नबिडा । কোন সময়ে গৌতম কাঠবিড়ালরূপে জন্মগ্রহণ করিয়া- | ছিলেন । কোন নদীর তীরস্থিত বৃক্ষের উপরে তাহার আবাস ছিল । তিনি ঠাকুরি শিশু শাবকদিগের প্রতি আতিশয় যত্ন { ৬১ } করতেন। এক সময়ে ঘোর অঞ্চবাতে ঐ বৃক্ষ উৎপাটিত । ইষ্টয়া নদী মধ্যে পতিত হয় । স্রোতোবেগে ঐ বৃক্ষ ও শাবক- | সমুহ সমুদ্র মধ্যে নিমগ্ন হয় । তখন গৌতম প্রতিজ্ঞা করিলেন, সমুদ্র শোষণ করির শাবকদিগকে উদ্ধার করিবেন। তিনি । স্বীয় পুচ্ছ সমুদ্র মধ্যে অভিষিক্ত করিয়া তীরভূমিতে উহা কম্পন । করিতে লাগিলেন । সাতদিন ক্রমাগত এইরূপে লেজ ੋਂ ষ্টয়া জল ছিটাইতেছেন, এমন সময়ে দেবরাজ আসিয়া তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলেন, “হে সাধু, কাঠবিড়াল, তুমি নিতান্ত নিৰ্ব্বোধ, এইরূপ ভাবে লেজ জলে তিজাইয়া তীরে জল ছিটাইয় কতকালে তুমি সমুদ্র শোষণ করিবে ? সমুদ্র ৮৪ হাজার যোজন গভীর। তোমার স্থা লক্ষ প্রাণীতে এইরূপ চেষ্ট করলেও সমুদ্র শোষণ করিতেশ্বরকে না ।” তখন কাঠবিড়ালরূপী গৌ*% দেবরাজকে বলিলেন “ছে বীরপুরুষ যদি সকল লোকেই তোমার স্তার সাহসসম্পন্স হইত, তাঙ্ক হইলে তোমার বাক্য সার্থক হইত। তোমার কতদূর বিক্রম আছে, তাছা তোমার কথাম্বারাষ্ট বুঝা গিয়াছে। যাঙ্ক | হউক, তোমার স্থায় তীরু কাপুরুষ ও নিৰ্ব্বোধের সঙ্গ কথা ৰলিয়া আমার ফল নাই। তোমার সেখানে ইচ্ছ চলিয়া বাও, ; তাহ লা সম্পন্ন করিয়া বিরক্ত হইৰ না ।” তখন দেবরাজ ঐ | | জামার কার্ষ্যে বিষ্ণু করিও না । আমি যাহা অারন্ধ করিয়াছি, | কাঠবিড়ালের অদম্য সাহস দেখিয়া চমকিত হইলেন এবং দেব গানিলেন । গৌতম এই জন্মে বীর্যাপারমিত সমাধা করেন । ] XIII >● तूकरनेयं 蠟 শিহৰণ-শতনামা। এক সময়ে গৌতম সিংহকুলে জন্ম লইয়া কোন পৰ্ব্বতের উপরিভাগে বাস করিতেছিলেন। তাছার নিকট পদ্ধপূর্ণ এক হ্রদ ছিল । সেই পঞ্চাকৃত স্থানে হরিণ প্রভৃতি জন্তু চরিয়া বেড়াইত। একদিন সিংহরূপী গৌতম ক্ষুধার্থ হইয়া একটা করিণের অনুসরণ করিতে করিতে হ্রদের তীরস্থিত পঞ্চমধ্যে নিমগ্ন হন এবং তথা হইতে মিত্রশস্ত হইবার কোন উপায় মাই দেখিয়া তিনি একটা শৃগালকে দেখিতে পাইয়াই বলিলেন, “ভদ্র, অামি অতি কষ্ট্রে অনাহারে কলিষাপন করিতেছি । আমার পদদ্বয় এই পদ্ধ মধ্যে এমনভাবে প্রোথিত হইয়া গ্লিয়াছে যে, আর উহা জামার তুলিবার সাধ্য নাই। "জামি সাতিশয় বিপদাপন্ন, অতএব ভাই তুমি অনুকম্প করিয়া আমাকে পদ্ধ হইতে উত্তোলন কর।” শৃগাল বলিল, “আপনি বলবান ও বিক্রমশীল জন্তু। আপনি এক্ষণে যেরূপ ক্ষুধার্থ হইয়াছেন, তাহাতে আমি আপনার সমীপে গমন করিতে সাহস করি না । আপনাকে রক্ষা করিতে যাইয়া শেষে আমার জীবন হারাইব, এষ্টরূপ আমার আশঙ্কা হইতেছে।” তখন সিংহ তাহাকে মানাপ্রকারে অভয়দান করিল ও পুনঃ পুনঃ প্রার্থনা করিতে লাগিল। তদনুসারে শৃগাল মিকটবৰ্ত্তী হ্রদ হইতে সিংহের পাদদেশ পৰ্য্যস্ত একটা পয়ঃপ্রণালী নিৰ্ম্মাণ করিল। হ্রদের জন্স সেই প্রণালীম্বার সিংঙ্গের পাদদেশে প্রবলবেগে আগমন করায় কর্দম জলবৎ তরঙ্গ হইল। সিংহ নিৰ্ব্বিত্বে কর্দম ইষ্টতে উত্থিত হইয়া শৃগালকে পুনঃ পুনঃ ধৰ্গ : করিতে লাগিল । তদবধি সিংহ ও শৃগাল বহুকাল একত্র এক গহবরে সপরিবারে বাস করিয়াছিল। সিংহ কখনও উক্ত শৃগালকে বিনষ্ট করিবার চেষ্টা করে নাই । এই জন্মে গৌতম সত্যপারমিত্তা রক্ষা . করিয়াছিলেন । লেশ্বfগুরজাতক – দানপায়মিত । জম্বুদ্বীপে জয়াতুর নগরীতে গঞ্জ নামে এক রাজ বাস করিতেন, তাহার প্রধান মহিষ্কার নাম পৃশর্তী। তঁহাদের বেশ্মাস্তুর নামক এক পুত্র জন্মে। চৈত্যরাজকন্তু মাত্রীদেবীর সঙ্ক লেশ্বাস্তরের বিবাহ হয় । এই সময়ে কলিঙ্গদেশে ভয়ঙ্কর ফুর্ভিক্ষ ঘটে । কলিঙ্গরাজ শুনিলেন, বেশ্বাস্তরের যে শ্বেত তৃপ্তী আছে, উহা বুষ্টি ও জল উৎপাদন করিতে পারে । কথিত আছে, উক্ত হস্তীর একমাত্র আস্তরণের মূল্য ২৪ ল*টাকা । কিয়ৎকাল পরে কলিঙ্গরাজ ৮ জন ব্রাহ্মণকে জয়াতুর সগরীতে প্রেরণ করেন। উপোষধ দিবসে বেশ্মাস্কর দরিদ্র ও ভিক্ষুকদিগকে অল্পবস্ত্র ইত্যাদি দান করিতেছেন, এমন সময়ে উক্ত ৮ জন ব্রাহ্মণ যাইয়া বলিল, “মহারাজকুমার, আপনার শ্বেতহস্তী