পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজামশাহী স্বচক্ষুর ও বিচক্ষণ ছিলেন। তিনি জাত্যগণকে ডাকাইয়া • বলিলেন যে, আমার পুত্রের বয়স আটিবংসয় মাত্র, নিতান্ত বলক যত্তিয়, আমি তাহার অভিভাবকরূপে রাজকাৰ্য পর্য্যলোচনা করিল এবং মন্ত্রণাগৃহে বা অপরাপর স্থলে যথায় রাজ্যসৰীয় কোনরূপ কথাবাৰ্ত্ত হইবে, আমার পুত্র তথার উপস্থিত থাকিলে । বালক নিজাম বাল্যকাল হইতেই উৎসাহী, তেজী এবং তাছার মাত ও অপরাপর পরামর্শদাতৃগণের নিকট বিশেষ বিনয়ী ছিলেন । তাহার পিতার অত্যাচারে প্রজাগণ যেরূপ উত্তাক হইয়াছিল, তাহায় ও তদীয় মাতার এইরূপ বিনয় ও প্রজাবৎসলতায় তাহারা সকলেই সন্তুষ্ট হইল। এই সময়ে রাজ্য-শৃঙ্খল দৃঢ় করিবার জন্য বেরারের শাসনকৰ্ত্তা মাঙ্গা-গবান উদীয় পদে ও তৈলঙ্গের শাসনকৰ্ত্ত ধূজাজহান্‌ উকিল-উস্-সলতানৎ নিযুক্ত হন। বালক এবং ীিলোকপরিচালিত রাজ্য ততদূর ক্ষমতাপন্ন নহে, এইরূপ বিবেচনা করিয়া উড়িষ্যা ও তৈলঙ্গের হিন্দুরাজগণ নিজামের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন এবং উভয়েই বিদর্ভের নিকট পরাস্ত হন। ইহার পরে মালবরাজ মাহ্মদ খিলজী বাহ্মণী রাজ্য আক্রমণ করিলে, পুনরায় বালক নিজাম তাহার সহিত বিদর্ভের নিকটে যুদ্ধ করেন। এই যুদ্ধে নিজাম পরাস্ত হইলে, রাণী পুত্র নিজামকে সঙ্গে লইয়া ভীমানদী পার হইয়। ফিরোজাবাদে উপনীত হন এবং তথা হইতে গুজরাতে দূত প্রেরণ করিয়া সাহায্য প্রার্থনা করেন । গুজরাতের শাসনকর্তা মাঙ্কদ শাহের সাহায্যে মালবরাজ পরাজিত কষ্টয়া স্বরাজ্যে পলাইয় আশ্রয় প্রাপ্ত হন। ১৪৬২ খৃষ্টাব্বে মালবরাজ মাহ্মদ খিলঞ্জী পুনরায় দৌলতাবাদ দিয়া অগ্রসর হইয়া বাহ্মণী রাজ্য আক্রমণ করেন, এবারেও তিনি পরাজিত হইয়া আশ্রয় গ্রহণ করিতে বাধ্য হন । এই সকল যুদ্ধে বালক নিজাম স্বয়ং উপস্থিত ছিলেন। ১৪৬৩ খৃষ্টান্ধে বিবাহরাত্রে নিজামশাহের মৃত্যু হয়। নিজাম-শাহী, দক্ষিণাত্যে বাহ্মণী রাজ্য লয় প্রাপ্ত হইলে পর, তাহা হইতে পাঁচটী ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন রাজ্য গঠিত হয় । ১ আদিলশাহী, ২ ফুতবশাহী, ৩ নিজামশাই, ৪ ইমাদশাহী, এবং ৫ বরিদপার্থী রাজ্য। তন্মধ্যে নিজামশাহী রাজা বিজ্ঞয়নগরে মুসলমানধৰ্ম্মাবলম্বী জনৈক ব্রাহ্মণ-সন্তান কর্তৃক ১৪৯• খৃষ্টাকে স্থাপিত হয়। ইহার রাজধানী আন্ধানগয়। ১৫৭২ খৃষ্টাৰাে বেয়ারের ইমাদশাহী রাজা আহ্মদনগর রাজ্যভুক্ত হয়। ১৪৯• খৃষ্টা হইতে ১৬১৬ খৃষ্টাঙ্গ পর্যন্ত নিজামশাহী বংশ রাজত্ব করিয়াছিলেন । [ নিজামশাহ দেখ। ] বর্তমান আন্ধদনগরের প্রাচীন নাম বাগ অর্থাৎ বাগান, [ ونه د ] নিজামি-গঞ্জাবি ঐ স্থানে আক্ষদশাহ বাহ্মণীসৈন্ত সম্পূর্ণরূপে পরাভূত করিয়া জুস্তরে প্রত্যাগমন করেন। অনন্তর রাজকীয় ক্ষমতা গ্রহণপূৰ্ব্বক স্বীয় মস্তকোপরি শ্বেতবর্ণ চন্দ্ৰাতপ স্থাপিত করেন এবং নিজ নামে উপাসনা করিতে আদেশ করেন। ১৪৯৪ খৃষ্টাব্দে আহ্মদ জুরর হইতে বাগে রাজধানী স্থানান্তরিত করেন। আহ্মদনগরের রাজগণ কর্তৃক এই দেশ ভিন্ন ভিন্ন জেলা অথবা সরকারে বিভক্ত হয়। একএকটী জেলা আবার পরগণা, করজাৎ, সম্মৎ, মহাল ও তালুক এবং কোথাও কোথাও দেশ ও প্রান্ত নামে বিভক্ত হইয়াছে। উচ্চ পদস্থ হিন্দু কৰ্ম্মচারিকে রাজা, নায়ক এবং রাও উপাধি প্রদত্ত হইত এবং বহু সংখ্যক হিন্দু সৈন্যদলে নিযুক্ত হইয়াছিল। আহ্মদনগরের দ্বিতীয় রাজা বুরহান নিজাম ১৫৩৮ খৃষ্ঠা হইতে ১৫৫৩ খৃষ্টাব্দ পর্যন্ত রাজত্ব করেন। হোসেন-নিজাম-শাহ (১৫৫৩-৬৫ খৃঃ অঃ ) আহ্মদনগরের তৃতীয় রাজা । ১৫৬২ খৃষ্টাব্দে বিজয়নগরের রাম রাজা ও বিজাপুরের আলী আদিলশাহ তাহার অনুসরণ করিলে পর, তিনি জুল্লর পাহাড়ে আশ্রয় লন । সলাবৎ খ৷ ১৫৬৪ হইতে ১৫৮৯ খৃষ্টান্ধ মধ্যে দেশের বিশেষ উন্নতি সাধন করেন। ১৫৯৪ খৃষ্টাব্দে ২য় বুরহান নিজামের শিশু সন্তান বাইদুর চাবন্দ গ্রামে কারারুদ্ধ হন। এক বৎসর পরে, তাহাকে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করা হয়। ১৮•• খৃষ্টাব্দে আহ্মদনগর মোগলদের হস্তগত হয়। ১৬০৫ খৃষ্টাব্দে মালিক আম্বর মুর্তজ নিজাম (২য়)কে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত করিয়া বিশেষ ক্ষমতা ও আধিপত্য প্রকাশ করেন। ১৬০৭-১৬২৬ খৃষ্টাল পর্যান্ত মালিক আম্বর নামে রাজা হন, পরে আহ্মদনগর রাজ্য স্বাধীনতা হারাষ্টয়া দিল্লীশ্বরের অধীন হয় । ১৬৩১ খৃষ্টাব্দে মুর্তজ নিজাম কারারুদ্ধ ও নিহত হন । তাহার স্থানে তদীয় পুলকে সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করা হয় । নিজামাবাদী, বাঙ্গালাদেশবাসী গোঁড়কায়স্থ জাতির একটা শাখা। দিল্লীশ্বর বলবনের পুত্র নাশির-উদ্দীন প্রায় ৬০০ শত বৎসর পূৰ্ব্বে বাঙ্গাল দেশ হইতে ইহাদিগকে লইয়া গিয়া পশ্চিমাফলের আলাহাবাদ মুবার অন্তর্গত নিঞ্জামাবাদ, ভাদোই, কোলি প্রভৃতি স্থানে কামুনগোর পদে নিযুক্ত করেন। সম্ভবতঃ নিজামাবাদগ্রামে বাস হেতু এই গৌড়ীয় কারন্থগণ নিজামাবাদী আখ্যা লাভ করিয়াছেন । ইহাদের প্রায় অধিকাংশই শিখসম্প্রদায় ভুক্ত হইয়াছে এবং সকলেই নানকশাহের শিষ্যত্ব গ্রহণ করিয়াছে। { ভট্টনাগর দেখ । ] নিজামি-গঞ্জাবি, একজন বিখ্যাত মুসলমান কবি। ইনি श्रब्रtनांमक शांzन अब्रऽश्१ क८ब्रन । नाश्ङिाश्ब्रां★ी ब* ब्राम