পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নামকরণ ... [ s ] নামকরণ উণাগুন্ত, কৃদন্ত, তদ্ধিতান্ত, সমাসজ ও শামুকরণ এই পাঁচ প্রকার নাম। ১% কৃষ্ণ, দেবদত্ত প্রভৃতি শলা, যাহা দ্বারা ব্যক্তি বিশেষকে অপর ব্যক্তি হইতে পৃথক করা যায়, তাহা । সেই ব্যক্তিবিশেষের নাম। শাস্ত্রানুসারে এই কএকট নাম । অবক্তব্য— * "আত্মনাম গুরোনাম নামানি কৃপণন্ত চ। প্রাণাস্তেহপি ন বক্তব্যং জ্যেষ্ঠপুত্ৰকলত্রয়োঃ " ( কৰ্ম্মলোচন ) আপনার নাম, গুরুর নাম, কৃপণের নাম, জ্যেষ্ঠপুত্র ও কলত্রনাম প্রাণান্তেও বলিতে নাই । ১১ অলীক । “অহঞ্চ ভীতো নামাবপ্লতঃ ” (দশকু") মিথ্যাতীত ইত্যর্থঃ নাম, দক্ষিণাতো হিলুর কপালে যে তিলক বা চিহ্ন ধারণ করেন, তাহাকে নামৰূ বা নাম কহে। বৈষ্ণবজাতি কপালে যে তেকোণা চিহ্নবিশিষ্ট অঙ্ক ধারণ করেন, সাধারণতঃ উহাই ‘নাম’ বলিয়া অভিহিত হয় । বৈষ্ণবের কেহ কেহ ললাটে সরল লম্ব রেখাকার রেথাসমূহ ধারণ করেন ও এই রেখার বাবধান মধ্যে বিন্দু বা গোলাকার চিহ্ন দেওয়া থাকে। কেহ কেহ চক্রাকার, ত্রিভুজাকর ঢালের স্যায় বৃত্তস্বর্চী, হৃৎপিণ্ড আকৃতি, বা অষ্ঠ কোনরূপ চিহ্নধারণ করে । ইহার সুক্ষ অংশ নিম্নদিকে ফিরান থাকে। ইহাকে তিরনাম বা পবিত্র নাম কহে । এই তিলকচিহ্ন ত্ৰিশূলের প্রতিরূপ স্বরূপ, তিনট রেখায় সম্পূর্ণ। ইহার মধ্যরেখা লোহিত ও দুইপাশ্বের দুইটী রেখা শ্বেতবর্ণবিশিষ্ট। ঐ চিহ্ন করিবার জন্ত যে শুভ্রবর্ণের মুত্তিক ব্যবহৃত হয়, তাহীও নাম’ নামে অভিহিত হয়। { বিস্তৃত বিবরণ তিলক শব্দে দেখ। ] নামকরণ ( ) নামঃ কয়ণং যত্র। সংস্কারবিশেষ, দশবিধ সংস্কারের মধ্যে একপ্রকার সংস্কার। ইহার বিষয় স্মৃতিতে এইরূপ লিখিত আছে,— জাত বালকের একাদশ অথবা দ্বাদশদিনে নামকরণ করিতে হইবে । ইহার মধ্যে একাদশদিনই শ্রেষ্ঠ । একাদশ দিনে নামকরণ করিতে অসমর্থ হইলে দ্বাদশদিনে করিতে পরিবে । গর্ভাধান হইতে অস্ত্যেষ্টিক্রিয়া পৰ্য্যস্ত যে সকল সংস্কার আছে, তাহার মধ্যে নামকরণ পঞ্চম সংস্কার । জাতকৰ্ম্মের পর এই নামকরণ করিতে হয় । সমর্থ বাক্তি একাদশ দিন পরিত্যাগ করিয়া দ্বাদশ দিনে নামকরণ করিতে পারিবেন না। গোভিল-গৃহস্থত্রের মতে জলনের একাদশ দিনে, শতরাত্রে বঁ। সংবৎসরে নামকরণ করিতে হইবে । এই পর পর সময় কেবল অসমর্থ পক্ষে বুঝিতে হইবে । সমর্থ ব্যক্তি কথন মুখাকাল অতিক্রম করিবেন না। নামকরণে একাদশদিনই মুখাকাল, দ্বাদশ প্রভৃতি দিন গৌণ। ক্ষত্রিয় ও বৈপ্তাদির X - নামকরণের কাল এইরূপ নিৰ্ধারিত দেখিতে পাওয়া যায়। ক্ষত্রিয়দিগের রয়োদশ, বৈশুদিগের ষোড়শ ও শূদ্রদিগের স্বাবিংশ দিনে নামকরণ প্রশস্ত। নামকরণ পিতারই কর্তৃবা। পিতা যদি বিদেশে থাকেন, তাহা হইলে তথা হইতে প্রত্যাগমন করিয়া নামকরণ করিবেন । পিতার অভাবে অল্প কোন কুলবৃদ্ধ করিতে পরিবেন। শতপদ চক্রানুসারে নামকরণ করিতে হইবে। গোভিল-গৃহস্থত্রে নামকরণপ্রণালী এইরূপ লিখিত আছে,— কুমারকে শুভ্ৰবসন পরিধান করাইয়া মাত বামভাগে উপবিষ্ট পিতার হস্তে তাহাকে দিবেন। তৎপরে পত্নী পৃষ্ঠদেশ হইতে পতিকে পরিক্রম করিয়া তাহার সম্মুখে দগুীয়মান হইবেন । পতি যথাবিধি বেদমন্ত্র পাঠ করিয়া পত্নীকে কুমার প্রত্যপণ করিবেন। পরে, হোমাদি অম্বুষ্ঠান শেষ করিয়া, নামকরণ বিধেয় ।* নামকরণপদ্ধতি অনুসারে এইরূপে নামকরণ করিতে হয় । নামকরণ দিনে পিতা প্রাতঃকৃত্যাদি সমাপন করিয়া বিবাহপদ্ধতিক্রমে গৌর্যাদি ষোড়শমাতৃকা ও বৃদ্ধি শ্ৰাদ্ধ করিয়া পত্নীকে স্বীয় বামভাগে উপবেশন করাষ্টয়া শিলাফলকে দুইটী রেখা অঙ্কিত করিবে, পরে তাহাতে উজ্জল দীপ প্রজ্বলিত করিয়া কুমারের দক্ষিণ কৰ্ণে শ্ৰীঅমুক দেবশৰ্ম্মাসি’ এবং কস্তা চইলে বামকৰ্ণে ‘শ্ৰীঅমুকী দেবাসি’ বলিয়া নামকরণ করিবে। তাছার পর শাস্তিজল দ্বারা কুমারকে অভিসেচন করিয়া অছিদ্রাকধারণ করিবে। নামকরণে ককারাদি বর্গের প্রথম, দ্বিতীয় অথবা চতুর্থ বর্ণ নামের আদিতে ও বিসর্গান্ত হ্রস্বস্বর অস্তে থাকা বিধেয় । ইহার মধ্যে প্রতিষ্ঠাকামী ব্যক্তি দ্বি-অক্ষর নাম রাথিবেন । ব্রহ্মজ্ঞানকামী চতুরক্ষর নাম রাখিবেন । পুরুষের নামে যুক্তাক্ষর মিলিত থাকিলে হানি নাই, কিন্তু কস্তার ·ථ SSBBBB DDBBBDDB BBBS DDBBSBBS BB S BBBB ইতি। মুখ্যঃকল্প: "সমর্থস্য ক্ষেপাযোগ।ৎ" । গোভিলঃ“জনন দশরাত্রে বুষ্টে শতরাত্রে সংবংসরে বা নামধেয়করণমিতি ।" ( জ্যোতিস্তত্ব ) “ততশ্চ নাম কুৰ্ব্বত পিতৈব দশমেহহলি । দেবপুৰ্ব্বং নর্থ্যং হি শৰ্শ্ববর্ধাদিসংযুতম্ ॥ শৰ্ম্ম দেবশ বিপ্রস্য বৰ্ম্ম ত্রান্ত চ তুভুজঃ। ভূতিগুপ্তশ্চ বৈখ্য দাস: শুদস্য করয়েৎ " গোভিলঃ অযুগ্ৰন্ধান্তং স্ত্ৰীণাং । অযুগ্মাক্ষরং দাস্তং যখ যশোদ ইত্যাদি। দেবং গুরুং গুরুস্থানং ক্ষেত্ৰং ক্ষেত্ৰাধিদেবতাম্। সিদ্ধং সিদ্ধাদিকারাংশ্চ ঐ পুৰ্ব্বং সমুদীরয়েৎ ।” ( রাখবভট্টধুত প্রয়োগসায় )