পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিত্যানধ্যায় [ ১১২ ] নিত্যাননা কর্তৃক অভিভূত হয়, তখন নিত্যসত্বাবস্থা বলা যায়, সেই অবস্থায় যাহার অবস্থিত থাকে, তাহাকে নিত্যসত্বস্থ কহে । "নিত্যসঙ্গীস্থা নির্যোগঃ ক্ষেম আত্মবানু” (গীত) নিত্যসম (পুং) গৌতমত্রোক্ত জাতুত্তরভেদ । { জাতি দেখ। ] নিত্যসমাস (পুং ) সমাসভেদ, সমস্তমান যাবৎ পদরহিত বিগ্রহ বাক্য হুচিত সমাসবিশেষ। "কুপ্রাদয়োনিত্যং” এই স্বত্রানুসারে কুশক্ষা ও প্রাদি শব্দের সহিত যে স্থলে সমাস ষ্টেবে, তথায় নিত্য সমাস হইবে । নিত্যস্তোত্র (ত্রি) ১ সৰ্ব্বদা প্রশংসিত । ২ সৰ্ব্বদা পঠনীয় স্তোত্র । নিত্যহোম (পুং ) নিত্যং প্রত্যহং কৰ্ত্তবো কোমঃ । দ্বিজদিগের প্রতিদিন কর্তব্য হোম, সাগ্রিক ব্রাহ্মণগণ প্রত্যহ যে হোমবিধির মনুষ্ঠান করেন, তাহাকে নিতাহোম কহে। যতদিন জীবন থাকিবে, ততদিন হোম করিতে হইৰে । “যাবজ্জীবমগ্নিহোত্রং জুহোতি" ( শ্রুতি) নিত্য ( স্ত্রী ) নিত্য-টাপু । ১ দেবীর শক্তিভেদ, পাৰ্ব্বতী । “রৌদ্রায়ৈ নমো নিত্যায়ৈ গেীর্ঘ্যৈ ধাৱৈ নমোনমঃ "(মার্ক-পু৮৫৮) ইহার মন্ত্রাদি তন্ত্রসারে লিখিত আছে, এই স্থলে কেবল ধ্যান প্রদত্ত হইল । ধ্যান—“অৰ্দ্ধেন্দুমৌলিমরুণামমরাভিৰন্দ্যা সম্ভোজপাশঙ্কণিপূর্ণকপালহস্তাম্। রক্তাঙ্গরাগরসনাস্তুরণাং ত্রিনেত্রীং ধ্যায়েচ্চিবন্ত বনিতাং মদবিহালাঙ্গীম।" ( তন্ত্রসার ) ২ মনসাদেবী । ( শব্দর” ) নিত্যানধ্যায় (পুং ) নিত্যং সৰ্ব্বথা যথাতথা অনধ্যায়ঃ অধ্যয়নাভাব । সৰ্ব্বদা বর্জনীয় বেদপাঠকালাদি, অনধ্যায়কাল, যে সকল দিনে বেদপাঠ করিতে নাই । “ইমান্নিতামনধ্যায়নধীয়ানো বিবর্জয়েৎ । অধ্যাপনঞ্চ কুৰ্ব্বাণং শিয্যানাং বিধিপূৰ্ব্বকম্।" (ময় ৪।১০১) অধ্যয়নশীল শিযা এবং বেদাধ্যাপক গুরু নিত্য অনধ্যায়গুলি সৰ্ব্বতোভাবে পরিত্যাগ করবেন। নিত্য অনধ্যায় সমূহের বিষয় লিখিত হইতেছে-- বর্ষাকালে রাত্রিকালে বায়ুর অতিশয় প্রবহন শব্দ শুনিতে পাইলে কিংবা দিবাভাগে বায়ু কর্তৃক ধুলিসমূহ উখিত হইতেছে দেখিতে পাইলে, অথবা বিদ্যুৎগৰ্জ্জুনসমেত বর্ষ হইলে বা ইতস্ততঃ উল্কাপাত হইলে সেই অবধি পরদিন সেই সময় পর্যান্ত অনধ্যায়কাল । বর্ষার সময় সন্ধ্যাকালে হোমাগ্নি প্রজ্ঞলিত করিবার সময় ঐক্লপ বিছাৎ প্রভৃতি যুগপদ উপস্থিত i হইলে অনধ্যায় জানিতে হইবে । ( মছু ৪ জ” ) i [ ইছার বিশেষ বিবরণ অনধ্যায় দেখ - নিত্যানন্দ (পুং ) সদানন্দ, যাহার সর্বদা আনন্দ বর্তমান । নিত্যানন্দ, প্রভু, রাঢ়দেশে কালনা হইতে ২ ক্রোশ দক্ষিণে প্রাচীন একচাকা গ্রামে নিত্যানন জন্মগ্রহণ করেন। ইহার পিতার নাম হাড়াই পণ্ডিত ও মাতার নাম পদ্মাবতী। ইহার আদি নাম কুবের। এই কুবেরই নিতানন্দ নামে সুপরিচিত । অদ্বৈতপ্রকাশের মতে— “তেরশত পচানব্বই শকে ৯ মাঘ মাসে। শুক্ল ত্রয়োদশীতে রামের পরকাশে ॥” (অদ্বৈত ৪র্থ অ” ) চৈতন্তসম্প্রদায়ী বৈষ্ণবেরা বলেন, নিত্যানন বলরামের অবতার । চৈতন্যভাগবতকার বলেন,—

  • মাঘমাসে শুক্লপক্ষ ত্রয়োদশী শুভ দিনে । পদ্মাবতী গর্ভে একচাকা নামে গ্রামে ৷ হাড়াই পণ্ডিত নামে শুদ্ধ বিপ্ররাজ । মূলে পিতামাতা তানে করি পিতা ব্যাজ ॥ কৃপাসিন্ধু ভক্তি দাত প্রভু বলরাম। অবতীর্ণ হৈলা ধরি নিত্যানন্দ নাম ॥” নিত্যানন্দ শশিকলার স্তায় বুদ্ধি পাইতে লাগিলেন । নিত্যানন্দের অদ্ভুত বলথেলার বিবরণ চৈতন্যভাগবতে আছে, সে অপুৰ্ব্ব খেলার আভাস এইথানে দিলাম ।

“কোন শিশু সাজায়েন পুতনার রূপে । কেহ স্তন পান করে উঠি তার বুকে ॥ কোন দিন শিশু সঙ্গে নল খড়ি দিয়া । শকট গড়িয়া তাহা ফেলেন ভাঙ্গিয় ॥” “কোন দিন শিশুসঙ্গে তালবনে যাইয়া । শিশুসঙ্গে তাল খায় ধেমুকে মারিয়া ॥” “কোন দিন নিতানন্দ সেতুবন্ধ করে। বানরের রূপ সব শিশুগণে ধরে ॥ ভেরেগুীর গাছ কাটি ফেলায়েন জলে । শিশুগণ মেলি জয় রঘুনাথ বলে।" ইত্যাদি। চৈতন্তভা" ফলকথা, নিতাই ভগবানের লীলাতুরূপ খেল খেলিতেন। প্রবীণলোক এই বালকের খেলা দেখিয়া বিক্ষিত কষ্টত, বালক কার কাছে, এ খেলা শিক্ষা করে ? স্বয়ং হাড়াইপণ্ডিত পর্যন্ত ভাবিয়া বিঘ্নিত হইতেন । আবার যখন যে খেল। খেলিতেন, নিতাই তখন সেই ভাবে আবিষ্ট হইয় যাইতেন, এমন কি, সেই আদর্শ ও তাহাতে তখন ভেদ থাকিত না } যে দিন লক্ষ্মণের শক্তিশেল খেলা হয়, সেদিন ভারি বিপদ ঘটে। নিতাই ভেরেগুৰ্বিক্ষরূপ শেলের আঘাতে মুচ্ছিত । সে মূৰ্ছ খেলার মূর্ছা নহে, ভাবের মূৰ্ছ, যথার্থই মূৰ্চ্চ।


سمسمتص--------سسسسست عباس-------------اس سم--------------------ه

  • মতাস্তরে ১৩৯৮ শকে জন্ম হয় ।