পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিম [ ১৩৬ ] নিম হিনীতে নিম্, নীম্‌ বা বালনিৰ্ম্ম, কোল ও সাওতালী নিম্, পালামে অঞ্চলে আগাস, পঞ্চাবে বকম, দ্রেখ, বোম্বাইয়ে বাললিম্ বা পকায়ন, মহারাষ্ট্রে লিম্ব, বা কচুখজুর, তামিলে র্বে বা /**५, তৈলঙ্গে বেপা, যপা বা তরুক, কপাড়ীভাষায় eেববাবু, মণয়ে বেপদ, বা অরিয়বেপ্লা, ব্রহ্মে যমাক বা কমাক, পারসী অজিদ-দরধৃতে-হিন্দি । এই শেষোক্ত নাম vērs F**té čqgtfror ata Melia Azadirachta têts, totfoto Margosa tree ভারতবর্ষ ও ব্রহ্মদেশের প্রায় সৰ্ব্বত্রই নিম্ববৃক্ষ দেখা যায়। ইহার প্রায়ষ্ট স্বভাবতঃ জন্মে, কোথাও কোথাও বা মানব যত্নে উৎপন্ন হয়। নিমগাছ ৪• হইতে ৫০ ফিটু পর্য্যন্ত উচ্চ হইতে দেথা যায়। ইহার ছাল হইতে অতি পরিষ্কার একপ্রকার সবুজবর্ণ রস বহির্গত হয় । তাহা দ্বারা গদ প্রস্তুত হয়। এই রস উত্তেজক ঔষধ স্বরূপ ব্যবহৃত হয় । হোভ, সাহেব তাহার বোম্বাই প্রদেশে ভ্রমণবৃত্তান্তে নিমের উল্লেখ করিয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, “ইহা হইতে একপ্রকার তিক্ত রস বা নির্যাস বাহির হয়। রেশম রং করিবার সময় এট রস ব্যবহার আবগুক ” লিসবোয়া সাহেব বলিয়াছেন যে, নিমতৈল কাপাসবন্ত্র রং করিতে ব্যবহৃত হয় । মিমছাল হইতে একপ্রকার স্বত্র প্রস্তুত হয়, কিন্তু তাহ প্রায়ই কোন কাজে আইসে না ; উহাতে কেবলমাত্র দড়ি বা রসি ü游丐歌邪山 নিমের বীজ সিদ্ধ করিয়া অথবা নিষ্পেষিত করিয়া এক প্রকার তৈল বাংির করা হয় । ইঙ্গার রং গাঢ় হরিদ্রাবণ । নিমতৈল অত্যন্ত তিক্ত ও কটু এবং অতি দুৰ্গন্ধবিশিষ্ট । ইষ্ঠা বহুকাল ষ্টতে মাস্ত্রণজে প্রস্তুত হইতেছে এবং সিংহল প্রভৃতি স্থানে রপ্তানি হইতেছে । এই তৈল পচননিবারক এবং কুমিনাশক । অনেক দরিদ্র লোক ইত। প্রদীপে পোড়াইয়া থাকে, কিন্তু ইহা হইতে এক রকম অপকারক বায়ু নিৰ্গত হয় । সম্প্রতি সার্জন মেজর ওয়ার্ডেন সাহেব নিমের তৈল ও নিম হইতে প্রস্তুত অন্যাঙ্ক জিনিষ সম্বন্ধে এক সুদীর্ঘ প্রস্তাব লিখিয়াছেন। নিম্নে তাহার সংক্ষিপ্ত বিবরণী দেওয়া হইল-- “নিমতৈল নিম্বের বীজ হইতে প্রস্ত্রত হয় । ইহার আপেক্ষিক গুরুত্ব ৯২৩৫ ( তাপ ১৫৫ সেন্টি- ) । ১০° হইতে ৭ ডিগ্ৰী তাপ পর্য্যস্ত স্বাভাবিক স্বচ্ছত না হারাইয়া ঘনীভূত হইতে পারে। প্রায় ৩৬ ঘণ্টা কাল স্থিরভাবে রাখিলে এক প্রকার সাদা তলানি পড়ে। অণুবীক্ষণ যন্ত্রদ্বারা পরীক্ষা করিয়া দেখা যায় যে এই তলানি নিরায়তন ( anor phous)। নিমতৈলের রং পরীক্ষা করিয়া ইহা ধরা যাইতে পারে না । গন্ধকদ্রাবকের সহিত মিশ্রিত করিলে অতি উত্তম ধূসরবর্ণ হয় এবং ইহা হইতে রগুনের স্থায় গন্ধ বহির্গত হয় । নাইটিক এসিডের সহিত প্রথম ঈষৎ লালবর্ণ হয়, কিন্তু কিছুক্ষণ পরে (দেড় ঘণ্টায় ) সামান্ত হরিদ্র বর্ণে পরিণত হয়। ইপর ক্লোরোফর্ম, কার্বন, বাই-সলফাইড, বেনজোল ইত্যাদিতে অতি সহজে দ্রবীভূত হয়। বিশুদ্ধ মুরাসারে ইহার রং কিঞ্চিৎ সবুজবর্ণ হইতে দেখা যায়। নিমতৈল এলকোহলের সহিত পুনঃ পুনঃ আন্দোলন করিলে পর, ইহার দুর্গন্ধ ও তিক্ত स्वात्रान श्वौङ्कङ रुग्न । ব্রানেটু সাহেব বলিয়াছেন যে, নিমের বীজে শতকরা ৪৫৫০ ভাগ তৈল থাকে । দক্ষিণভারতে নিমের খইল দ্বারা জমিতে সার দেওয়া হয় । গুড়া থইল রসায়ন ও বৈজ্ঞানিক কার্য্যে লাগে, ইহাতে কাটের আক্রমণ নিবারিত হয়। এই বৃক্ষের প্রত্যেক জিনিষই কোন না কোন ঔষধে আবগুক হয়। মুর্দীনশেরিফ বলিয়াছেন, শিকড়ের ছাল, শিকড় ও কচি ফল বলকারক এবং পালাজ্বরনিবারক । তৈল, বীজ ও পাতা উত্তেজক, কৃমিনাশক এবং পচননিবারক । নিমের ফুল—উত্তেজক, বলকারক এবং উদররোগনাশক । গদ ( Gum ) স্নিগ্ধ ও বলকারক । রস ( Toddy )- শৈত্যকারক, পরিবর্তৃক ও বীর্য্যকারক । অতি প্রাচীন কাল হইতে নিমের ছাল, পাতা এবং ফল আযুৰ্ব্বেদীয় ঔষধে ব্যবহৃত হইয়। আসিতেছে, এবং সুশ্রুত প্রভৃতি আদি আয়ুৰ্ব্বেদীয় গ্রন্থে ইহার উল্লেখ দেখা যায়। এই বৃক্ষ যে সমস্ত বিভিন্ন নামে অভিহিত হয়, তাহার প্রত্যেকটর ভাব এই যে, ইহা বহুকালাবধি ঔষধাৰ্থে ব্যবহৃত হইতেছে, যথা—নিম্ব অর্থাৎ সিঞ্চনকারী । অরিষ্ট-রোগনাশক, পিচুমদ কুণ্ঠনাশক । ইউ, সি, দত্ত বলিয়াছেন যে, নিম্‌ছাল তিক্ত, বলকারক, সঙ্কোচক, জ্বর, পিপাসা বমি, বমনেচ্ছ, এবং চৰ্ম্মরোগে বিশেষ উপকারী । নিমপাত খাওয়া হয় এবং অন্যান্য তরকারী সহিত চড়চড়ী ও ঝোল প্রস্তুত হইয়৷ থাকে। দক্র প্রভৃতি চৰ্ম্মরোগে বহুকাল হইতে নিমপাতা ব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে। নিমফল সারক, শিথিলকারক এবং কুমি, প্রস্রাবের পীড়া ও অর্শরোগে বিশেষ ফলপ্রদ । চৰ্ম্মরোগ ও ক্ষত প্রভৃতিতে নিমতৈল ব্যবহৃত হয় । অন্যান্য ঔষধের সহিত নিমছাল জ্বরে প্রয়োগ করা হয় । নিম্বপত্রের টাটুক রস লবণের সহ কুমিরোগে এবং মধুর সহিত চৰ্ম্ম ও ন্যাবারোগে প্রযোজ্য। নিমপাত ও আমলকী প্রত্যেকের বলকারক, ধাতু