পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিরালি [ ১৬৫ ] निरृीश्ां করে। জুতা ও খড়ম ব্যবহার করিয়া থাকে। স্ত্রীলোকের ৷ কণ্ডারকর ইত্যাদি বেশী ব্যবস্থত। ক্রিাক উপলক্ষে ইহার মহারাষ্ট্রীয় মহিলাগণের স্তায় কাপড় এবং ছোট হাতা অঙ্গরাখা পরিধান করে। স্ত্রী পুরুষ উভয়েই অলঙ্কার পরিধান করিতে ভালবাসে এবং সকলেই পৰ্ব্বদিনে উৎকৃষ্ট পোষাক পরিচ্ছদ ব্যবহার করে। ইহার একতালা মেটে দেওয়ালের গৃহে বাস করে । এই সমস্ত ঘরের ছাদ টালি দ্বারা আবৃত। কাজ নির রুট, দাল, শাক সবজী ইত্যাদি ইহাদের প্রধানখাদ্য। ইহার প্রত্যহমান করে এবং স্নানাস্তুে সন্ধ্যাহিক সমাপন করিয়া আহারাদি করে। নিরালিরা অতি পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন, শ্রমশীল, শাস্তিপ্রিয়, সচ্চরিত্র, মিতব্যয়ী ও দানশীল। ইহাদের পৈতৃকবাবসা নীলরং করা। স্ত্রীলোকের রং গুড়া করিতে এবং কাপড় রঞ্জিত করিতে পুরুষের সাহায্য করিয়া থাকে। ইহাদের মধ্যে যাহার কাপড় ও চাদর বোনে, তাহার সঙ্গতিপন্ন। শীতকালে ইহার কিছু বেশী কাজ করে। শৈশবাবস্থায় ইহারা সামান্ত মাত্র লেখাপড়া শিথিয়াই জাতীয় ব্যবসা অব লম্বন করে । বিবাহ ও শ্রাদ্ধোপলক্ষে আত্মীয়বস্কৃদিগকে নিমন্ত্রণ করিয়া থাকে। স্থানীয়পুরোহিতগণ বিবাহ ও শ্রীদ্ধের ক্রিয়াদি সম্পন্ন করেন । নিরালিরা স্মার্ক। ইহার আলন্দী, কাশী, জেজুরি এবং তুলজাপুর প্রভৃতি তীর্থে গমন করিয়া থাকে। ইহাদের মধ্যে বিধবাবিবাহ, বহুবিবাহ এবং বাল্যবিবাহ প্রচলিত আছে। ইহারা দৈবজ্ঞগণের গণনা, শাস্তিস্বস্ত্যয়ন ও যাদু প্রভৃতিতে বিশ্বাস করিয়া থাকে। মরাঠা কুন্নবীর অলচর পদ্ধতির সহিত, ইহাদের পদ্ধতির বিশেষ কোন পার্থক্য লক্ষিত হয় না। ইহাদের মধ্যে পঞ্চায়ত আছে। সামাজিক কোন গোলমাল উপস্থিত হইলে, তাছা এই পঞ্চায়ত হইতেই মীমাংসিত হর । সোলাপুরে নিরালিরা দুই শ্রেণীতে বিভক্ত। যথা— ১ম মূলনিরালি, ২র কাড়, অর্থাৎ শঙ্কর-নিরালি। এই শ্রেণীর লোকেরা এক সঙ্গে আহারাদি করিয়া থাকে। কিন্তু পরস্পরের মধ্যে বিবাহাদি দেয় না। ইহাদের আদিপুরুষের নাম ‘প্রকাশ । ইহার মাতার নাম কুকুৎ এবং পিতার নাম আভীর। ইহার মহারাষ্ট্রীয় ভাষা ব্যবহার করিয়া থাকে। * . ইছারাও আন্ধদনগরীয় নিরালির স্থায় মেটে ঘরে বাস করে। পুরুষের পোষাকও তাঁহাদের স্তায় এবং স্ত্রীলোকদিগের কাপড়, জামা ইত্যাদি দেশস্থ ব্রাহ্মণগণের ন্যায়। সৰ্ব্বদা প্রচলিত নামের মধ্যে চিত্রকর, কচ্ছ, কালস্কর, Χ 83 ভাত, রুট এবং দালপুরী জাহার করিয়া থাকে-বটে, কিন্তু সাধারণতঃ জোয়ারি, দাল এবং শাক সৰঞ্জীই খাইয়া জীবনধারণ করে। ইহার মাংস, মৎস্তভক্ষণ কিংবা মদ্যপান করে না । ইহাদের স্ত্রী ও পুত্রকন্যাগণ কার্য্যের সহায়তা করিয়া থাকে। ইহাঙ্গের প্রধান আরাধ্য দেবতা অম্বাবাই, খাণ্ডোবা এবং বাঙ্কোবা । নিয়ালীগণ মৃতদেহ দাহ করিয়া থাকে এবং কখন কখন বা গোর দেয়। ইছারা দশদিন পর্যন্ত শোকপ্রকাশপুৰ্ব্বক অশৌচ গ্রহণ কৱিয় ত্রয়োদশ দিবসে শ্রাদ্ধাদি করিয়া থাকে। পুণ এবং সোলপুরে আহ্মদনগরবাসী নিরালিরা আসিয়া বাস করিতেছে । ইহাদের সংখ্যা অতি অল্প। আচারব্যবহার অপর স্থানের নিরালিদিগের মত ; তবে মধ্যে মধ্যে সামান্য cएउन मूठे झग्न । ইহাদের আকৃতি নাতিস্থল ও খৰ্ব্ব ; ইহারা অত্যন্ত বলবান, দাড়ী গোপ কিছুই রাখে না ; কেবলমাত্র মস্তকের উপর একটী শিখ রাখে। দ্বিতল, ত্রিতল অট্টালিকায় ইহাদের অনেকেই বাস করিয়া থাকে। সময় সময় বাটতে গোপালন করিয়া থাকে ; কিন্তু গৃহকাৰ্য্য কিংবা ব্যবসাকার্য্যের নিমিত্ত কখনও চাকর রাখে না। মদ, মাংস, মৎস্ত ইত্যাদি ব্যবহারে ইহাদের আপত্তি নাই। প্রসবাস্তে পঞ্চম দিবসে ইহার একটা জঁাতার উপর পাচটী নেবু ও পাঁচটী ডালিমের কুঁড়ি রাখিয়া প্রদীপ জালিয়া পুঞ্জ করিয়া থাকে। দশম দিবসে প্রস্থতি শুচি হইলে পর, একাদশ দিবসে সস্তানের নামকরণ হয় । ইহার মৃতদেহ শুভ্রবস্ত্রে আবৃত করিয়৷ তদুপরি পুষ্পাদি ছড়াইয়া দিয়া শ্মশানে লইয়া যায়। বিবাহিত স্ত্রীলোকদের মৃতদেহ হরিদ্রাবর্ণ কাপড়ে আবৃত করিয়৷ ফুল ও হরিত্র ছড়াইয় দেয়। মৃতদেহ কেহ দগ্ধ করে, কেহ বা গোর দেয়। নিরিক্রিয় (ত্রি) নিৰ্গতানি ইঞ্জিয়াণি যন্মাৎ । ইঞ্জিয়শুনা । “অনংশে কীবপতিতে জাত্যন্ধবধিরে তথা । উন্মত্তজড়মূকাশ্চ যে চ কেচিল্লিরিঞ্জিয়াঃ ॥” ( মনু ৯২° ১ ) ক্লাব, পতিত, জন্মান্ধ, জন্মবধির, উন্মত্ত, জড়, মূক এবং কাণ প্রভৃতি ইহার নিরিস্ক্রিয় অর্থাৎ ইন্দ্ৰিয়রহিত । এই সকল নিরিস্ক্রির ব্যক্তি পিতৃধনে অধিকারী হয় না। निद्रिकूम (बि ) ऐकनभूछ । নিরীক্ষক (ত্রি) নির-ঈক্ষ-খুল। যে নিরীক্ষণ করে, দর্শক। নিরীক্ষণ ( ক্লী ) নিয়-ঈক্ষ-লুটি। ১ দর্শন, দেখা। নিরীক্ষতে निद्र-छेक-शू । ( ত্রি ) ২ দর্শক । ( ভাগবত ৭৷১৫৩২ )