পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/১৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ४१s ] - নিরূঢ়বস্তি নিরুদ্মন (ত্রি) উমারহিত, শীতল । নিরূঢ় (ত্রি) নিয়-ক্ৰছ-ক্ত। ১ উৎপন্ন। ২ প্রসিদ্ধ। ৩ শক্তি । তুল্য লক্ষণদ্বারা অর্থবোধক শব্দ । “পূৰ্ব্বস্বামিসম্বন্ধাধীনং তৎস্বামুপরমে যত্র প্রবো স্বত্বং তত্র নিরূঢ়ে। দায়শবঃ” ( দায়ভাগ ) ৩ পশুযাগভেদ। "নিৰ্ম্মিত ঐঙ্গাগ্রঃ" (আখ’ শ্ৰেী ৩৮৪) ‘ঐগ্রাগ্লো নিরূঢ়ে নাম পশুঃ’ (নারায়ণ ) মির-উড়ঃ । ৪ অবিবাহিত। নিরূঢ়লক্ষণ ( স্ত্রী) নিরূঢ়া শক্তিতুল্য লক্ষণ। লক্ষণাভেদ। “নিরুঢ়লক্ষণাঃ কাশ্চিৎ কাশ্চিল্লৈব ত্বশক্তিতঃ ।” ( কাব্যপ্র• টকা ) { লক্ষণ দেখ। ] নিরূঢ়বস্তি, (নিরুহ ) বস্তিভেদ। কায় বা ক্ষীরতৈলে যে বস্তি প্রয়োগ করা হয়, তাহাকে নিরূঢ়বস্তি বলে । “বস্তিদ্বিধাকুবাসাথ্যে নিরূহশেতিসংজ্ঞিতঃ । যঃ স্নেহৈ দীয়তে স সাদিকুবাসননামকঃ । কবায়ক্ষীরতৈলৈখে নিরূহঃ স নিগদ্যতে।” (সারকৌমুদী ) নিরূঢ়বস্তিপ্রয়োগের ব্যবস্থা, সুশ্রীতে এইরূপ লিখিত ठु অনুবাসন-প্রয়োগের পর, আস্থাপন প্রয়োগ করিবে । অভঙ্গ ও স্বেদপ্রয়োগ করিয়া পুরষ মূত্র ও বায়ুর বেগ পরিত্যাগপূর্বক মধ্যাহ্নকালে পবিত্র গৃহে শ্রোণিদেশ ভাল করিয়া রাখিয়, বিস্তীর্ণ ও উপাধানরহিত শয্যায় বামপাশ্বে শয়ন করিবে । রোগী ভুক্তদ্রব্য পরিপাকের পর দক্ষিণ শক্তি আকুঞ্চিত ও বামশক্তি প্রসারিত করিয়া, প্রফুল্ল মনে নিস্তব্ধভাবে থাকিবে। পরে বামপায়ের উপরে চক্ষু রাথিয়া, ডানহাতের বুড়া আঙ্গুল ও তৰ্জ্জনী দিয়া চক্ষুর পাত চাপিয়া য়াখিবে এবং বামহাতের কনিষ্ঠা ও অনামিক দিয়া, বস্তির মুখের অৰ্দ্ধভাগ সঙ্কুচিত করিয়৷ মধ্যম, প্রদেশিনী ও অঙ্গুষ্ঠ নামক তিনটা অঙ্গুলি দিয়া, অপর অদ্ধ মুখ ঢাকিয়া বন্তিমধ্যে ঔষধ পূরণ করিবে। ঔষধ পূরিবার সময়, বস্তি যেন অধিক আয়ত বা সঙ্কুচিত না হয়, তাহার মধ্যে বুদ্ধ,দ না জন্মে অথবা বায়ু না থাকে, এইরূপে বন্তি মধ্যে যে পর্যান্ত ঔষধ পূর্ণ হইবে, তাহার অন্তভাগে স্থতার দুই তিন বেড় দিয়া বাধিবে। পরে ডান হাত তুলিয়া বস্তি ধারণ করিবে এবং বাম হাতের মধ্যমাঙ্গুলি ও প্রদেশিনী দিয়া চক্ষুধরিয়া, অঙ্গুষ্ঠ দ্বারা তাহার ঘৃতাক্ত মুখ ঢাকিয়া ঘৃতাক্তমলদ্বার মধ্যে প্রবেশ করাইবে । পৃষ্ঠবংশের সমরেখ পর্যন্ত দূরে, নেত্রের কণিকা পর্যান্ত সঞ্চালিত করিয়া, রোগিকে স্থিরভাবে গ্রহণ করিতে কহিবে। বামহাতে বস্তি ধরিয়া, ডান হাতে প্রয়োগ করিতে | হুইবে। এককালে প্রয়োগ বিধের, তাহাতে দ্রুত বা বিলম্ব ' না হয় । তারপর বস্তি খুলিয়, এক হইতে ত্রিশবার বলিতে যে সময় লাগে, সেই টুকু সময় অপেক্ষা করিয়া, রোগ্নিকে উঠতে राणिtरु । खैरुक्ष झरा निर्शङ इहेदांग्न छमा cप्लांभिक ठे९कल्ले ভাবে বসাইবে । একমুহূৰ্ত্তকাল মধ্যে মিরূঢ় দ্রব্য বাহির হইয়া আসিবে । এই নিয়মে দুই তিনৰায় বস্তিপ্রয়োগে সম্যকৃ নিরূঢ় লক্ষণ হইলে, আর বস্তিপ্রয়োগ করিবে না। নিরূঢ় লক্ষণের বাড়াবাড়ি ভাল নয়, অল্প থাকাই ভাল। বিশেষতঃ মুকুমার বাক্তির পক্ষে সামান্যই হিতকর । বস্তিপ্রয়োগে সীমানাবেগে যাহার মলবায়ু নির্গত না হয়, তাহাকে ছুর্নিরূঢ় বলে। এরূপস্থলে মুত্ররোগ, অরুচি ও জড়তাদোষ জন্মে। বস্তি প্রয়োগমাত্র, যাহার পুীষ পিত্ত, কফ ও বায়ুক্রমে নির্গত হইয়া দেহ লঘু হয়, তাহ মুনিরূঢ় বলিয়া জামিবে । সুনিরূঢ় হইলে স্নান ও ভোজন করাইবে । পিত্ত, শ্লেষ্মা বা বায়ু জন্য রোগে যথাক্রমে ক্ষীর, যুদ্ধ বা মাংসরস খাইতে দিবে। মাংসরস সকল দোষেই প্রয়োজ্য। দোষাগ্নি অনুসারে তিন ভাগ হীন, অৰ্দ্ধভাগহীন বা চতুর্থাংশইন পরিমাণে, ভোজন করিবে। তারপর দোষানুসারে স্নেহবন্তি চালাইবে । অস্থিপন ও স্নেহবস্তি সম্যকৃরূপে প্রয়োগ করিলে মনের তুষ্টি, দেহের স্নিগ্ধতা ও ব্যাধির নিগ্ৰহ, এই সকল লক্ষণ জন্মে। যে দিবস আস্থাপন প্রয়োগ করা যায়, সেদিন বায়ু কর্তৃক বিশেষ অনিষ্টের সস্তাবনা। অতএব রোগিকে সে দিন মাংসরস সহ অন্নভোজন করিতে দিবে ও অকুবাসন প্রয়োগ করিবে । তৎপরে অগ্নির দীপ্তি ও বায়ুর গতি বুঝিয়া ( কোষ্ঠদেশ বেশ উপস্তব্ধ থাকিলে ) মেহবস্তি প্রয়োগ করিবে। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে নিরূঢ়দ্রব্য বাহির হইয়া না আসিলে, ক্ষারমূত্র বা অমসংযুক্ত তীক্ষ নিরূঢ় স্বারা শোধন করিবে । নিরূঢ় দ্রব্য অধিককাল শরীর মধ্যে থাকিলে, বায়ু কুপিত হইয়া বিষ্টন্ধগুল, আরতি, জর, আনাহ, এমন কি মৃত্যু পর্যন্তও ঘটে । ভোজনাস্তুে আস্থাপন প্রয়োগ উচিত নহে। তাহাতে দোষ সকল কুপিত হয়, বিস্তুচিকা ক দারুণ বমনরোগ জন্মে। এই জন্য অভুক্ত অবস্থায় আস্থাপন দেওয়া কৰ্ত্তবা । দুগ্ধ, অমরস, মুত্র, স্নেহ, কাথ, রস, লবণ, ফল, মধু, শতমূলী, সর্ষপ, বচ, এলাচ, ত্রিকটু, রাস্ন, সরল, দেবদারু, হরিদ্র, যষ্টিমধু, হিঙ্গু, কুষ্ঠ, শোধনী-বর্গস্থিত দ্রব্যসমূহ –কটুকী, শর্করা, মুস্ত, বেণামূল, চন্দন, শঠ, মঞ্জিষ্ঠ, মদনমল, চগু, ত্রায়মাণা, রসাঞ্জন, বিবফলের সার, যমানী, প্রিয়ঙ্গু, কুটজ ফল, কাকোলী, ক্ষীরকাকোলী, জীবক, ঋষভক, মেদ, মহামেদ, ঋদ্ধি, বৃদ্ধি ও মধুলিকা এই বর্গের মধ্যে, যে যে দ্রব্য পাওয়া যায়, তাই নিরূঢ়ে প্রয়োগ করিবে । স্ব স্ব অবস্থায় নিক্ষঢ়ে যে পরিমাণে কথ