পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারড়কাঠি নারঙ্গ (ফ্লী) মৃণাতীতি নৃ-নয়ে বাহুলকাঙ্গচু ধাতোবৃদ্ধিশ্চ । ১ গৰ্জ্জর, গাজর। ( রাজনি” ) ( পুং ) ২ পিপ্পলী রস। ৩ যমজপ্রাণী। ৪ বিট । ৫ ফলতৃক্ষবিশেষ । চলিত নারঙ্গী। পর্যায়— নাগরঙ্গ, সুরঙ্গ, ত্বগৃগন্ধ, ঐরাবত, বক্তবাস, যোগীরঙ্গ, যোগরঙ্গ, সরঙ্গ, গন্ধাঢ়া, গন্ধপত্র, বরিষ্ঠ । ইহার গুণ মধুর, অন্ন, গুরু, উষ্ণ, রোচন ; বাত, আম, কৃমি, শূল ও শ্রমনাশক, বলকর ও রুচিকর। ( রাজনি” ) ইহার কেশরের গুণ-অতান্ন, ঈষন্মধুর, বলকারক, বাতনাশক ও রুচিকর । "অতীয়মীষন্মধুরং বৃষাং বাতবিনাশনম্। রুচাং বাতহরঞ্চৈব নাগরঙ্গস্ত কেশরম ॥" ( রাজব” ) নারঙ্গক্ষীরিণী ( ) নারঙ্গমিশ্রিত ক্ষীরিণী। ক্ষীরিকাভেদ, নারাঙ্গর মজ্জা স্কৃতে পাক করিয়া তাঁহাতে খণ্ড ( থাড়গুড় ) ফেলিয়া পঙ্ক হইলে নাবাইতে হইবে । পরে ইহা শীতল হইলে অৰ্দ্ধপক্ক দুঃমিশ্রিত করিলে নারঙ্গক্ষীরিণী হইবে । ইহাতে কপূরাদি সুগন্ধ দ্রব্য মিশ্রিত করিয়া হুরভি করিতে হইবে। ইহার গুণ বিষ্টন্তী, বায়ু ও পিত্তনাশক এবং গুরুপাক ।* নারডুকাঠি, গুজবাতবাসী এক জাতি। ইহার বলে, যৎকালে পঞ্চ পাণ্ডব ১২ বৎসর বনবাস ও এক বৎসর অজ্ঞাত বাস জন্য বনে গমন করেন । সেই অজ্ঞাতবাসের সময়, তাহাদিগকে খুজিয়া বাহির করিবার উদ্দেশে, কৌরবের চতুর্দিকে গোরুর প্রতি উপদ্রব আরম্ভ করিলেন। এই সময় কর্ণ, কৌরবদিগের সাহায্যের জন্ত, জগতের মধ্যে প্রধান গোচোর কাঠি জাতিকে হিন্দুস্থানে আনয়ন করেন। ঐ সময় ঐ কাঠি জাতি ৭ শ্রেণীতে বিভক্ত ছিল। যথা— ১ পঠগর, ২ পাণ্ডব, ৩ নারড়, ৪ নাট, ৫ মাঞ্জরিয়া, ৬• ঠোটরিয়া ও ৭ গরিবগুলিয়া । ইহারাই বর্তমান কাঠি জাতির আদিপুরুষ । বর্তমান কাঠিরা সেই সাতটা সম্প্রদায়ের সহিত রাজপুতদিগের সংমিশ্রণে উৎপন্ন। ইহার বলিয়া থাকে, যে আদিপুরুবগণ কৌরবদিগের সহিত মিলিত হইয়া বিরাটের গোসমূহ হরণ করে এবং কৌরবদিগের পরাজয়ের পর চম্বলনদীতীরস্থ মালব নামক স্থানে আসিয়া বাস করে। কেহ কেহ বলেন যে, স্থৰ্য্যবংশীয় রাজা বৃত্তকেতু বৎকালে অযোধ্যানগরী হইতে আসিয়া মালবে মাগুর • "ক্ষিপ্ত নারঙ্গমজ্জাং বৈ পচেং সপিধি তাপিতে ।

  • তরে থওং বিনিঃক্ষিপ্য পঙ্কং মত্বাহব তাঁরয়েৎ ॥

পতাতুতে বিনিঃক্ষিপ্য মাত্রয়ার্দ্ধশুস্তং পয়ঃ। 蠟 নারঙ্গক্ষীরিণীতোষা হুগন্ধী সুরভীকৃত { বিঃস্তিনী হরেন্থতিং পিত্তঞ্চ গুরুপাচিকা ।”( শব্দার্থচিস্তামণি বৃতবাক্য ) [ २१ ] নারড়কাঠি अढ़ ब्राञ्चाशत्रनकाशन, नई नमग्नलिंबिहेमालद१ কাঠি সম্প্রদায়কে সঙ্গে লইয়া আইসেন। কাঠির তৎপরে সৌরাষ্ট্রে বিস্তৃত হইয় পড়ে এবং এই জাতির বাসহেতুষ্ট সৌরাষ্ট্র “কাঠিয়াবাড়" নামে খ্যাত হয়। অখুশষে ইহার কচ্ছে যাইয়া, ভুজের নিকট পাবরগড় রাজ্যসংস্থাপন করে । এক বৎসর এই রাজ্যে অত্যস্ত দুর্ভিক্ষ হইলে, পাটগড় সম্প্রদায়ের নেতা বিশাল, তাহার নিজ সম্প্রদায় ও অন্তান্ত কাঠি জাতিকে সঙ্গে লইয়া বরাড়া পাহাড়ে যাইয়া আশ্রয় লন । বিশাল তৎপরে একাকী কালাবড় নামক স্থানে আসিয়া বাস করেন। বলা-চমারদির রাজা ধানবালার পুত্র কেরাবলজী এই বিশালের কন্যা রূপালীর রূপে মুগ্ধ হইয়। তাহাকে বিবাহ করেন ও কাঠি-জাতিভুক্ত হন। তিনি সুর্য্যবংশীয় হওয়ায় সমস্ত কাঠি-জাতি র্তাহীকে আপনাদের প্রধান বলিয়া গণ্য করিত। এজন্ত তিনি বরডু পাহাড়ে যাইয়া সমস্ত জাতির প্রাধান্তগ্রহণপূর্বক তাহাদিগের সহিত ঢাঙ্ক নামক স্থানে যাইয়া (সম্ভবতঃ ১১৮৯ খৃষ্টাব্দে ) সিংহাসনে অধিরোহণ করেন। র্তাহার তিন পুত্র ও এক কন্যা ছিল। তন্মধ্যে বালাজী সিংহাসন প্রাপ্ত হন। একজন পরমাররাজপুতের সহিত উক্ত কণ্ঠ মাস্কুবাইয়ের বিবাহ হয় । এই বিবাহ-সস্তুত বংশ জেবলিয়া কাঠি নামে খ্যাত। বেরাবলজীর মৃত্যুর পর বালাজী কাঠদিগের আদিম বাসস্থান পাবরগড়ে আসিয়া প্রায় ৪০০ শত গ্রাম অধিকার করিয়া নৃপতি, স্বরূপ বাস করিতে থাকেন। এই সময় কচ্ছের এক বিভাগের রাজা জামশতজী, টাটপারকরের সোঢ়াদিগের সহিত যুদ্ধযাত্রার উদ্যোগ করিতেছিলেন । তিনি বালাজাকে সাহায্যার্থ আহবান করিয়া পাঠান। বালাঞ্জা সদলে পরিবেষ্টিত হইয়া জামশতঞ্জীর সহিত পারকরের শাসনকৰ্ত্তার বিরুদ্ধে যাত্রা করেন। তৎপরে পরিকর অধিকারপূর্বক স্বরাজ্যে প্রত্যাবর্তনকালে জামশতঞ্জীর সহিত বালীজীর কলহ উপস্থিত হয়। ইহার প্রতিশোধ লইবার বাসনায় বালাজী সুযোগক্রমে সসৈন্তে আগমন এবং জাম ও তাহার আরও ৫টা ভ্রাতাকে হনন করেন। কেবলমাত্র তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা জামআবড়া পলায়ন করিয়াছিলেন । জামঅবড় বিপুল সৈন্যসংগ্ৰহ করিয়া পাবরগড়ের বিরুদ্ধে যাত্রা করেন ও কাঠিদিগকে তথা হইতে মান নামক স্থানে তাড়াইয়া দেন । কথিত আছে যে, এই স্থানে স্বৰ্য্যদেব স্বপ্নে বালাজার সম্মুখে আবিভূত হইয় তাহাকে পুনরায় যুদ্ধার্থ উদ্যোগী হইতে উপদেশ দেন। বালাজী তদনুসারে পুনরায় যুদ্ধ করিয়া জাম অবড়াকে পরাজিত করিলে জাম অবড় কচ্ছে ফিরিয়া যান।