পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীলকর রাইয়তগণ জাপন ইচ্ছাগত কোন ফসল জন্মাইতে পারিত না । | বন জন্তু ফসল জঙ্গাইলে বিশেষ লাভ হওয়ার সস্তাবনা, তখন বাধ্য হইয় তাহাদিগকে নীল বুনিতে হইত। একে প্রতিবৎসর | নীলপাত উত্তমরূপে উৎপন্ন হইত না, তাহার উপর আবার রাষ্ট্ৰয়তের তাছার সমুচিত মূল্যও পাইত না, সুতরাং তাহারা ; প্রায় কখনই দাদনের দায় হইতে বিমুক্ত হইতে পারিত না । একবার দাদন লইলে তিন চারি পুরুষ পৰ্য্যস্ত ঐ দাদন পরিশোধিত হইত না। দাদনছালে পতিত না হইবার জন্য কেহ । চেষ্টা করিলে তাহার জাতি, মান, ধন ও প্রাণ সকলই যাইবার সম্ভাবন হইয়া উঠিত। পল্লীগ্রামস্থ সকলকেই ঐ দাদন লইতে ; হইত। যাহাদের নিক্সের লাঙ্গল গোরু না থাকিত, তাহাদিগকে অপর লোক দ্বারা ভূমি আবাদ করাইয়া নীলপাত উৎপন্ন করিয়া দিতে হইত। এতদ্ব্যতীত নীলকরের নিজ আবাদী জমিতে যে নীল উৎপন্ন হইত, তাহার কোন কার্যোর অাবগুক হইলে প্রজাদিগকে সামান্ত বেতনে সে সমস্ত কার্য্য করাইয়া লওয়া হইত। আরও কুঠার ব্যবহারের জন্য তাহাদিগকে বাস খড় | প্রভৃতি বিনা মূল্যে দিতে হইত। নবদ্বীপ ও যশোর জেলায় নীলকরের অত্যাচার অপেক্ষাকুত বেশী হয়। নীলকর সাহেবদিগের দেওয়ান নায়েব গোমস্ত তাকিীর প্রভৃতি এদেশীয় ভূত্যের, প্রভুর অভীষ্ট-সিদ্ধিকরণান্তর, আপনাদের ইষ্টসাধনে কৃতসংকল্প হইয়া রাইয়তদিগের প্রায় সৰ্ব্বস্ব হরণ করিতেন। যে সমস্ত নীলপাত কুঠীতে আনীত হইত, কৰ্ম্মচারিগণ কিঞ্চিৎ না পাইলে, তাহা যথোচিত রূপে মাপ করিয়া লইতেন না। নীলপাতার হিসাব করিবার সময় আবার কিছু হস্তগত না হইলে যথার্থ হিসাব করি- | তেন না। রাষ্ট্ৰয়তের তাহাদিগকে আপন আপন ক্ষেত্র অথবা গৃহগুণত কোন দ্রব্যের অংশ না দিলে তাহাদের যন্ত্রণ ও ক্ষতির । সীমা থাকিত না। নীলকর সাহেবের এ সকল বিষয় জানিয়াও ! জানিতেন না এবং শুনিয়াও শুনিতেন না। নরহত্য, গোহতা', ' গৃহদাহ, বাটভঙ্গ ইত্যাদি যে কিছু কার্যের প্রয়োজন হইত, | | _க ইহার তাহ অসঙ্কুচিতচিত্বে সম্পাদন করিতেন। পূৰ্ব্বে নীলকর সাহেবগণ যে প্রজাবর্গের উপর অন্তায় । অত্যাচার কল্পিত, তাছা কাহারও অবিদিত নাই। দীনবন্ধু । মিত্রের নীলদর্পণে, লণ্ড, সাহেবের বক্তৃতায় এবং হরিশ্চন্দ্র । মুখোপাধ্যায়ের জলন্তলিখনে তাহার প্রকৃষ্ট চিত্র প্রতিফলিত। ' ১৮৩৩ খৃষ্টাৰে ১১ই মে তারিথে যশোর জেলার নীলকর সাহেবের নাম স্বাক্ষর করিয়া গবর্ণর জেনারল লর্ড উইলিয়ম্ | বেষ্টিৰ বাছাছুরের সরকারে আবেদনপত্র পাঠান, তাহ । পাঠ করিলে স্বত্যই তাছাদের অত্যাচারের কথা প্রকাশ পায়। ] [ ২৭e' ] নীলকর ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে গবর্মেন্ট যে আইন জারি করেন, তাহার প্রভাব খৰ্ব্ব করাই এই আবেদনের উদ্দেশু। সেই জন্য তাহারা দরখাস্ত মধ্যে একস্থলে উল্লেখ করিয়াছেন যে ঐ আইন দ্বার রাইয়তের পক্ষে বিশেষ সঙ্গল হইয়াছে । নীলকর সাহেবেরা প্রজাদিগের অদ্যায় কৰ্ম্মে কোনরূপ প্রতিকারের উপায় নী দেখিয়া নিজে জোর করিয়া তাহাদিগকে দমন করিয়ারাথিতেন, এই আইন দ্বারা সেইরূপ শাসন হইতে প্রজাগণ যে এককালে বিমুক্ত হইল এবং ইহাতে যে সুফল ফলিয়াছে, তাহাতে সন্দেহ নাই। পরে লিথিয়াছেন, “এই আইনের বলে, এতদেশীয় কুঠির সত্ত্বাধিকারী অথবা স্থানীয় দুষ্ট জমিদার, তালুকদার বা মণ্ডল ( মোড়ল ) এবং সাধারণের উত্তেজনায় উত্তেজিত হইয়t রাইয়তগণ স্বভাবতঃই অবাধ্যতার কৰ্ম্ম ও দাঙ্গা করিতে প্রবৃত্ত হইয়াছে। -- পক্ষান্তরে ১৮৩০ খৃষ্টাব্দে ৫ আইনের ৫ ধারামতে যশোর জেলার দেওয়ামী আদালতে যত মোকদম উপস্থিত হয়, তাহীতে স্পষ্টই জানা যায় যে, যশোর জেলায় নীলের কৃষি যথার্থরূপেই নিৰ্ব্বাহ হইতেছে। কিন্তু ৫ আইন জারি হওয়া অবধি প্রজাগণ আমাণের একরার মুক্ত হইবার জন্য দরখাস্ত করিতেছে।” ইহার পরেই আবার তাঁহার লিখিতেছেন, “১৮৩০ সালে কোন মোকদম হয় নাই। পরবর্তী ১৮৩১ সালে ৫৮ আটাপ্লট,—৩২ সালে তেত্রিশট এবং—৩৩ সালের জানুয়ারী ফেব্রুয়ার মাসের মধ্যে তেইশট মোকদমা রুজু হইয়াছিল।’ ইহাতে সহজেই অসুমান হয় যে ক্রমশঃই এইরূপ অত্যাচারের সংখ্যা বাড়িতেছিল। আদালতে নালিশ না হইলেই যে অত্যtচার চরম সীমায় উঠে না, একথা ঠিক নহে। অতি কষ্টে প্রপীড়িত হইয়াই দরিদ্র কৃষক বিচারপতির আশ্রয় গ্রহণে বাধ্য হইত। ইহার পর তাছার গায়ের ঝাল ঝাড়িবার জন্ত জেলেদের নদী মধ্যে বঁাশ ও বৃক্ষের ডাল বা জঙ্গলি নল দ্বারা স্রোত-অবরুদ্ধ করণরূপ অবৈধ কার্য্যাদি রাজসমীপে উপস্থিত করেন এবং ইচ্ছামতী, মাতাভাঙ্গা, চুণি, জলঙ্গী প্রভৃতি নদী মুক্তকরণার্থ ১৮২৭ খৃষ্টাব্দে যে আইন হয়, তাহা যশোর জেলাস্থ চিত্রা ও অপরাপর গমনাগমনোপযোগী নদীর উপর যাহাতে চলিত হয়, তাহীর প্রার্থনা করেন । ১৮২৯ খৃষ্টাব্দে যখন প্রথম আবেদনপত্র যায়, তখন লর্ড বেণ্টিঙ্ক বাহাদুর ইহার যথার্থতা নিরূপণ করিবার জন্ত *সকলকে আহবান করেন। পরে আইন পাশ হুইবার পর তাহারা বৰ্ত্তমান জাবেদনের অবিশুকতা বিবেচনায় এই উত্তর দিয়া ছিলেন যে, নীলের মূল্য নূন হওয়ায় যশোরের মজুরদিগের बफ़हे कहै इहेब्रांtझ् । नyण७शङ रां अप्नक बाब कुछ,