পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল [ २४8 ] নীলা ~वस्थ__T_rज्ञ নিগুণ্ডী । ইহার গুণ-কটু, উষ্ণ, তিক্ত, রুক্ষ, কাস, শ্লেষ্মা, শোখ, বায়ু, প্রদর ও আশ্বানরোগনাশক । ( রাজনি” ) মালম্বন্ধ (স্ত্রী) নীলং স্বন্ধে যন্তাঃ। গোকণীলতা। (নৈঘণ্ট প্রকা” ) মালহো (সিংহলী), সিংহলীপজাত এক প্রকার বক্তবৃক্ষ। ইহার शूल, एक इहेवामांकहे, वैौrछब्र माझा अठि श्रृंभिहै *ीग জন্মে। তাহার গন্ধ বাদামের মত। পুষ্প শুষ্ক হইলেই মধুমক্ষিকার সেস্থান পরিত্যাগ করে ও যেন ইন্দ্রজালবৎ হঠাৎ ময়ূর, বঙ্গ-কুকুট এবং ইক্ষুর আসিয়া ঐ জঙ্গল অধিকার করে। যথাসময়ে ফল পাড়িলেই এই বৃক্ষ মরিয়া যায়। নীল ( ঐ ) নীলো নীলবর্ণে ইস্ত্যতা অচু, ততষ্টাপূ। ১ নীলবর্ণ মক্ষিক। চলিত কাল মাষ্ঠী। ২ নীল পুনর্ণব । ৩ নীলীবৃক্ষ, নীলগাছ । “কুঞ্জকে ভদ্রতরণি বৃহৎপুষ্পোহতিকেসয় । মহাসহ কণ্টকাঢ়া নীলালিকুলসন্ধুলা।” (তাবপ্র” পুৰ্ব্বখ” ) ৪ নীলবর্ণ দুগ্ধপুষ্পপ্রতানবহুল লতাবিশেষ । "বেণ ইরাবতী নীলা উত্তরাং পুৰ্ব্ববাহিনী।” ( হারাত প্রথমস্থান ৭ অঃ ) ৫ নদীবিশেষ । ( ভারত ৬৯৷৩১ ) ৬ মল্লারয়াগের স্ত্রী । ( বৃহদ্ধৰ্ম্মপু ৪৪ অঃ ) ৭ ( দেশজ ) ইন্ধনীল, ইংরাজীতে ইহাকে Sapphire বলে । সিংহলদ্বীপের মধ্যগত রাবণগঙ্গার সন্নিহিত পদ্মাকর প্রদেশে ইক্রনীল উৎপন্ন হয়। প্রাচীনকালে পারস্ত ও আরবদেশে পাওয়া যাইত। বর্তমান সময়ে ব্রহ্মদেশের অন্তর্গত মোগাস্ত ও কিয়াংপো এবং শুামদেশ হইতে অতি উৎকৃষ্ট নীলকান্ত মণি আমদানী হইয়া থাকে। উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, অষ্ট্রেলিয়। প্রভৃতি স্থানেও নীল পাওয়া গিয়াছে শুনা যায়। নীল হীরকজাতীয় রত্নবিশেষ । ইহা অতি মূল্যবান্‌ জিনিষ ৰলিয়া জনসমাজে বিদিত, কিন্তু যে সমস্ত দ্রব্যে হীরকাদি প্রস্তুত হয় অর্থাৎ ইয়ক প্রভৃতিকে মৌলিক পদার্থে বিচ্ছিন্ন করিলে যে দ্রব্য পাওয়া যায়, তাহ অতি সামান্ত মূল্যের জিনিষ। নীল অক্সাইডু আৰু এলুমিন (Oxide of alumina ) এবং অক্লাইড, অৰু কোবান্ট (Oxide of cobalt) এই ছুইটী পদার্থে প্রস্তুত। প্রকৃতপক্ষে দেখিতে গেলে, অম্লজানবায়ু (Oxygen) এবং এলুমিনিয়াম্ কোবান্ট (Alumium Cobalt) নামক অতি সামান্ত দ্রব্যই ইহাতে দেখা যায়। তবে রত্নাদির মূল্য বেশী হইবার কারণ এই, কোন বিজ্ঞানবি গণ্ডিত কৃত্রিম উপায়ে হীরকাদি প্রস্তুত করিতে পারেন নাই। কিন্তু বিজ্ঞানের দিন দিন যেরূপ উন্নতি দেখা যাইতেছে এবং উল্লিখিত বিষয় লইয়


ধেরূপ চর্চা চলিতেছে, তাহাতে বোধ হয় যে, অর দিন মধ্যেই এ অভাব পূরণ হইবে। সমস্ত নীলার রং এক রূপ নহে। ইহার মধ্যে কতকগুলি নীলপদ্মের স্তায়, কতকগুলি নীলবসনের অনুরূপ, কতক বা মুমার্জিত তরবারির রং, কতক ভ্রমরের রং, কতকগুলি কৃষ্ণবর্ণ, আবার কতকগুলি শিবনীলকণ্ঠের স্থায়, কতক বা ময়ুরপুচ্ছের তারার ন্যায় এবং কতকগুলি কৃঞ্চাপরাজিতপুষ্পের সদৃশ। সমুদ্রের নিৰ্ম্মল জলরাশিরূপ নীলরঙের বুদবুদ এবং কোকিলকণ্ঠ বর্ণের নীলাই সচরাচর দেখা যায়। সচরাচর ইহাকে বর্ণভেদে চারি শ্রেণীতে তাগ করা যায়, যথা— খেতের আভাযুক্ত নীল, রক্তের আভাযুক্ত নীল, পীতের আভাযুক্ত নীল এবং কৃষ্ণের আভাযুক্ত নীল। এই চারি শ্রেণীর ইশ্রনীল বথাক্রমে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্ৰিয় বৈগু{ও শূদ্র বলিয়৷ অভিহিত হয়। পদ্মরাগ যেমন উত্তম, মধ্যম, ও অধম ভেদে ত্রিবিধ। [ পদ্মরাগ দেখ। ] ইন্দ্ৰনীলও সেইরূপ ত্রিবিধ। যথা,—( ১ ) সাধারণ ইন্দ্রনীল, (২) মহানীল, ইহা শতগুণ দুগ্ধে নিক্ষিপ্ত হইলেও নিজ নীলবর্ণে সমুদায় দুগ্ধকে নীলবর্ণ করিয়া তুলে। (৩) ইহার মধ্য হইতে ইস্ত্রধমুর স্তায় আভা নিঃস্থত হয়। শেষোক্ত প্রকারের ইশ্রনীল অতি দুল্লভ, দৈবাৎ যদি কোথাও পাওয়া যায়, তবে অত্যন্ত অধিক মূল্যে বিক্রীত হইতে পারে। গুরুত্ব, স্নিগ্ধত্ব, বর্ণাঢ্যত্ব, পার্শ্ববর্তিত্ব ও রঞ্জকত্ব এই পঞ্চবিধ গুণবিভূষিত ইন্দ্ৰনীলই শ্রেষ্ঠ। যে ইশ্রনীলের আপেক্ষিক গুরুত্ব অতি অধিক অথাৎ প্রমাণে অতি অল্প হইয়াও ওজনে অধিক ভারী হয়, তাহাকে গুরু কহে। গুরু ইন্দ্রমীল বংশবৃদ্ধিকর । যাহা হইতে সৰ্ব্বদা স্নেহ নিৰ্গত হয়, তাহার নাম স্নিগ্ধ ইন্দ্ৰনীল, ইহা ধনবৃদ্ধিকারক। প্রাতঃকালের স্বৰ্য্যাভিমুখে ধারণ করিলে যে ইন্দ্ৰনীল হইতে নীলবর্ণ শিখা নির্গত হয়, তাহাকে বর্ণাঢ্য বলা যায়, বর্ণাঢ্য ইন্দ্রনীলস্বায়। ধনধাগুদি বৃদ্ধি প্রাপ্ত হয়। যে ইন্দ্রনীলের একদেশে স্ফটিক, রজত, স্বর্ণ বা অল্প কোন তৈজস পদার্থ লক্ষিত হয়, তাহার নাম পাশ্ববর্তী, পাশ্ববৰ্ত্ত ইশ্রনীল হইতে যশোলাভ হয়। যে ইন্দ্ৰনীল কোন পাত্রে স্থাপন করিলে সমুদায় পাত্ৰটী কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে, তাহার নাম রঞ্জক, রঞ্জক ইন্দ্রনীল লক্ষ্মী, যশ ও বংশ বৃদ্ধি করে। অভ্রক, ত্রাস, চিত্রক, মুদগৰ্ড, অশ্বগৰ্ভ ও রেীক্ষা, এই ছয় প্রকার দোষ ইজনীলে লক্ষিত হইয়া থাকে। যে ইজনীলের উপরিভাগে স্বত্রের ছায় ছায়া দৃষ্ট হয়, তাহাকে অন্ত্রক কহে, এই প্রকার ইজনীলধার৭ে | আয়ু ও সম্পত্তি বিনষ্ট হয়। যে চিহ্নধারা ইন্দ্ৰনীলকে সহসা শুa