পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৩০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नूद्बुजांश्ांन्। जाजौवन बघ्न, ८कोशग, भून हेठानि रुब्रिटनम, लिबि गांचवर्द्धिनौ হইলেও আর একবার তাহার দিকে ফিরিয়া চাহিলেন না। মেহের-উল্লিসা ইহাতে তো চমৎকৃত হইবেনই, অন্যান্ত সকলেও বিস্মিত হইয়া পড়িল। সম্রাটু এমনটা কেন করিলেন, কেহ বুঝিতে পারিল না । মুসলমান ঐতিহাসিকেরাও ইছার কোন কারণ উল্লেখ করেন নাই। কেহ কেহ বলেন, প্রিয়পাত্র কুতুবউদ্দীনের মৃত্যুর জন্ত গভীর শোকাৰ্ত্ত হইয়। তিনি ঐক্কপ করিয়াছিলেম। জাষ্ঠাগীর স্বলিখিত বিবরণ মধ্যে কোন কারণের উল্লেখ না করিয়া কেবল লিখিয়া গিয়াছেন যে, প্রথম প্রথম আমি তাহাকে গ্রাহুই করিতাম না। সুতরাং ইহার কারণ চির-অজ্ঞাত রহিয়া গেল। সম্রাটের অবজ্ঞার পরিমাণটা আবার কিছু অতিরিক্ত হষ্টয় পড়িয়াছিল। মেহের-উল্লিসার দৈনিক আহারের নিমিত্ত মোটে ৮০ জানা মাত্র ব্যয় নিৰ্দ্ধারিত করিয়া দিয়াছিলেন (১)। মেহের-উল্লিস স্বামিশোক ও বাদশাহের অবজ্ঞাজনিত কষ্টে প্রথমতঃ অতিশয় মুহসীন হইয়া পড়িয়ছিলেন, শেষে আপনাআপনি হৃদয়কে বাধিয়া লইয়া যাহাতে সম্রাটের নয়নপখবৰ্ত্তিনী হইতে পারেন, তাহার চেষ্টা করিতে লাগিলেন। সুলতান কুকিয়া বেগমসাহেব তাছার ব্যবহারে অত্যন্ত স্ত্রীত হইলেন। মেহের-উল্লিসার অলোকসামান্তরূপ দেখিয় তিনিও মুগ্ধ হইয়াছিলেন। এরূপ ভুবনমোহিনী মুন্দরী এমনভাবে তুচ্ছাকৃত রছিবেন, ইহা তাহার ভাল লাগিল না। তিনি স্বতঃপ্রবৃত্ত হইয়া বাদশাহকে অনুরোধ করিলেন। বাদশাহ কিন্তু বিমাতার অযুরোধও কাণে তুলিলেন না (২) । মেহের-উন্নিসা শুনিলেন, কিন্তু আর নিরাশায় মুগ্ধ না হইয়৷ স্বয়ংই যাহাতে বাশাহের মনোযোগ আকর্ষণ করিতে পারেন, তাহার উপায় করিতে লাগিলেন। তিনি দৈনিক ব্যয়ের জন্ত যাহা পাইতেন, তাহাতে র্তাহার ও র্তাহার পরিচারিকাৰগের ব্যয় অতি কষ্টে নির্বাহ হইত। এই স্বত্র ধরিয়া তিনি সুচী এবং শিল্পকৰ্ম্মে মন দিলেন। নিজে ঐ সকল কাৰ্য্য ভালই জানিতেন, তাহার উপর অসাধারণ বুদ্ধির প্রভাবে নূতন কক, ফুল, পাড়, নক্স ইত্যাদি উদ্ভাবন করিয়া তাহাই প্রস্তুত করিতে লাগিলেন, রেশমীবস্ত্রে নানাবিধ রং ফলাইতে ও চিত্র করিতে লাগিলেন ; জহরতের গহনার নানাপ্রকার নূতন আদর্শ প্রস্তুত করিতে লাগিলেন, পুরাতন গহনায় ঈষৎ পরিবর্তন করিয়া তাহাদিগকে আরও সুদৃগু করিতে লাগিলেন। এই সকল কাৰ্য্য তিনি স্বহস্তে করিতেন এবং আপনার পরিচারিকাগিকে (3) Dow's Hindostan Vol. III, p. 88. (*) Dow's Hindostan Vol. III, p. 83, and lobal. nama-Jabangiri (Elliot Wol. VI. p. 404.) [ రిఆ ] मृह्यांशंत्र - भिक्षाहेब ठक्ॉब्रां6 कङ्गांझेङम । जरय अवाॉनि ॐउठ ছইলে, পরিচায়িকাজারা তাহ বেগম-মহলের নানা স্বানে বেচিবার জন্ত পাঠাইল্প দিতেন। বেগমগণ ও বেগমকস্তাগণ মহা আগ্রহে ও অাদরে ঐ সকল নুতন নূতন সখের এবং বিলাসের সামগ্ৰী ক্রয় কৃরিতেন । অল্পদিনে এইরূপে মেহেরউল্লিসার কারুকার্য্যের প্রশংসা বেগমমহলে ব্যাপ্ত হইয়া উঠিল । কোন বিলাসিনীই তাহার প্রস্তুত দুই চারিট দ্রব্য নিজ গৃহে রাখিতে না পারিলে স্বীর ঘর সুসজ্জিত বলিয়া বোধ করিতে পারিতেন না। সুতরাং এই সুত্রে মেহের-উল্লিসার প্রচুর অর্থাগম হইতে লাগিল। তখন তিনি দ্রব্যাদি প্রস্তুত করাইয়। দিল্লীর সমস্ত আমীরভম্রার অন্তঃপুরে পাঠাইতে লাগিলেন । সেই সকল স্থানেও সমান মাদর ও সমান আগ্রহ জন্মিল। ক্রমে দিল্লী ছাড়াইয়া আগরায় তাহার দ্রব্যাদির রপ্তানী হইতে লাগিল। তখন তিনি যথেষ্ট ধনে ধনবতী হইলেন। উপযুক্ত অর্থ পাইয়া মেহের-উল্লিস নিজ পরিচারিকাবর্গের বেশভূষার এত পারিপাট্য করিয়া দিলেন,যে তাহারাই বাদশাহজাদী বলিয়৷ বোধ হইতে লাগিল। পরে নিজের বাসগৃহাদিও অতি সুন্দর রূপে সাজাইয়া ফেলিলেন, কিন্তু নিজের অঙ্গে সৰ্ব্বদা শ্বেতবর্ণের সামান্ত মোটা কাপড়ের পরিচ্ছদ ভিন্ন আর কিছুই ব্যবহার করিতেন না। এই অবস্থায় তাহার চারিবৎসর কাটিয়া গেল। সম্রাটের নিজাঃন্তপুরের প্রত্যেক গৃহ হইতে, দরবারের প্রত্যেক আমীর ওমূরার মুখ হইতে এমন কি দিল্লী ও আগরায় সকল সন্ত্রান্ত ব্যক্তির নিকট হইতে মেহের-উল্লিসার শিল্পপ্রশংসা এত প্রচারিত হইয়া পড়িল যে, সম্রাটু জাহাগীর পর্যন্তও শুনিতে পাইলেন ; তাহার কৌতুহল আরও উদ্দীপিত হইয়া উঠিল, এমন কি তিনি নিজেই একদিন মেহের-উল্লিসার কারখানায় গিয়া ঐ সকল দেখিবেন বলিয়াও সঙ্কল্প করিলেন । মেহের-উন্নিসাকে হঠাৎ চমকিত করিবার জন্তু বাদশাহ র্তাহার এ উদ্দেশু কাহাকেও প্রকাশ করিলেন না (১) । ১৯২• হিজিরায় ( জার্হাগীরের রাজত্বের ষষ্ঠবৎসরের ) প্রথমদিনে (২) সম্রাটু হঠাৎ মেহের-উন্নিসার কক্ষে উপস্থিত হইলেন। কক্ষশোভা ও গৃহসজ্জাদির চমৎকারিত্ব দর্শনে বাদশাহ বাস্তবিকই বিঘ্নিত হইলেন। মেহের-উয়িস তখন একখানি খট্রায় অৰ্দ্ধশয়ন থাকিয়া স্বীয় পরিচারিকাবর্গের শিল্পকার্ষোর তত্ত্বাবধান করিতেছিলেন, তাহার পরিধানে শ্বেত মসলিনের সামান্ত পরিচ্ছদ, কিন্তু বহুমূল্য শোভাময় পরিচ্ছদপরিধারিণী অনেকগুলি পরিচারিক গৃহশোভা বাড়াইয়। (3) Dow's Hindostan Vol. III p, 34. (*) ikbal-nama-i-Jahangiri (Elliot Wol, WI. p. 404.)