পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नूङ्ग्रोशम् rঅপেক্ষ একমাত্র তাহার সঙ্গ অতীব ঐতিকর। গায়সের কেহ শক ছিল না, সকলেই তাহাকে ভালবাসিত। তাহার এক মাত্র দোষ ছিল, তিনি ঘুম লইতেন এবং ঘুম চাহিতে বিশেষ লুকাচুরি করিতেন না । (১) নূরজাহান দিন দিন সম্রাটের উপর এতই প্রভুত্ব বিস্তার করিলেন, যে তাতার, পারস্ত হইতে দিন দিন তাহার যত আত্মীয় দিল্লীতে আসিতে লাগিল। তাহারা সকলেই প্রধান প্রধান রাজকৰ্ম্মচারীর পদে নিযুক্ত হইতে লাগিল। তাহার পিত ভ্রাতা বাদশাহ আকবরের সময় হইতেই প্রতিপত্তি লাভ করিয়াছিলেন, ভগিনী ভারতাধিশ্বরী হওয়ায় তাহদের পদোন্নতি হইয়াছিল বটে, কিন্তু তাছার অতি দূর সম্পৰ্কীয় আত্মীয়গণের প্রধান পদলাভের মূলে যে তাছার নিজের এবং তাছার পিতা প্রধান মন্ত্রীর প্রভাব কার্যকর হয় নাই, এমন কথাই নহে । এমন কি, এই সময় হাঙ্গী-কোক নামে এক ব্যক্তি ( সদস্-সঙ্কুর ) রাজান্ত:পুরের পরিচারিকা-নিয়োগের অধ্যক্ষ ছিল ; নূরজাহানের ধাত্রী দিলারাণী নুরজাহানের কৃপায় এই ব্যক্তির উপরেও কর্তৃত্বলাভ করিয়া “সদরি-অনাস” পদবী-লাভ করিয়াছিল। সদরি-অনাস্ দিলারাণীর সহি-মোহরযুক্ত ছাড় না পাইলে সক্রস-সন্ধুর হাজী কোক কোন পরিচারিকার নিয়োগমধুর বা বেতন প্রদান করিতে পারিতেন না। এই রমণী “সযুর ঘাল’ রূপে ( ধৰ্ম্মার্থে) যে সকল ভূমি নিজ মোহরাঙ্কিত করিয়া দান করিয়াছিল, তাহ বিনা আপত্তিতে সম্রাটু কর্তৃক অনুমোनिऊ हहेग्नांश्लि । (२) নূরজাহানের জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার বিষর ইতিপূর্বেই বিবৃত হইয়াছে। দ্বিতীয় ভ্রাতা মীর্জা আবুল হসন্তু আসফ খা (৪র্থ) উপাধি লাভ করিয়া পাঁচহাজারী মনসবৃদার হইয়াছিলেন। তৃতীয় ভ্রাতা ইব্রাহিম খাঁ ফতে-জঙ্গ উপাধি লাভ করিয়া ১৬১৮ খৃষ্টাব হইতে ১৬২৩ খৃষ্টাব পর্যান্ত বাঙ্গালার স্বধাদার হইয়া ছিলেন। তাছার কনিষ্ঠাভগিনীপতি হাকিম-ৰেগ দরবারে একজন বিশিষ্ট ওমরা ছিলেন। নূরজাহানের পূর্ণ স্বামীর ঔরসে লড়িলী বেগম নামে যে কন্তু জন্ম গ্রহণ করিয়াছিল, সেই কন্যার সহিত ১·৩১ হিজিরায় জাহাগীরের পঞ্চম পুত্র শাহরিয়ারের বিবাহ দেন। নুরজাহান ক্রমশঃ রাজ্যের সমস্ত ব্যাপারেই কর্তৃত্ব করিতে লাগিলেন । এমন কি উপাধিবিতরণের ব্যাপারেও তাহার تمیستم ج-سی-حمایی { లిey ] (3) Ain-i-Akbari (Blochmann p. 409-10, ) and Autobiographical memoirs of Jahangir, p. 25, Wakiat-i-Jahangiri (Ellint vol. WI. p. 882) शिषिड जारह, श्शब्र भूट्रा २००• शिबिद्र ११हे थमांशम उळग्निtशं झग्न । (*) Wakiat-i-Jahangiri (Elliot Vol. VI. p. 398, and Ain-i-Akbari (Bloehmann p. 510.) - সন্মতির অবিস্তক হইত। শাসন, যুদ্ধ, সন্ধি, রাজকোষ প্রভৃতি णकल विष८ग्रहे छैशंद्र अांtननं छिद्र ¢कांन कार्याई श्रेंङ मां । কেবল তাহার নামে “খুত্ব" পাঠ ব্যতীত আর সকল বিষয়েই তিনি সম্রাটের অধিকার নিজস্ব করিয়া লইয়াছিলেন। রাজ্যের সমস্ত কাগজপত্রে দলীল দস্তাবেজে ছাড়-ফরমাণে সম্রাটের নামের পরই তাহার নামও লিখিত হইত। স্ত্রীলোকদিগকে যে সকল ভূমি দান করা হইত, তাহাতে নূরজাহানের মোহর অঙ্কিত থাকিত। রাজ্যের মুদ্রায়ও তাহার নাম ও এইরূপ কবিতা মুদ্রিত হইত,—“সমাটের আদেশে স্বর্ণমুদ্র রাস্ত্রী - নূরজাহানের নাম বক্ষে ধারণ করার স্বর্ণের জ্যোতি শত গুণ বৰ্দ্ধিত হইয়াছে।” নূরজাহান এতটা ক্ষমতা পাইয়াছিলেন বটে, কিন্তু কখন তাহার অপব্যবহার করেন নাই। র্তাহার পিতৃ-বন্ধু বা অায়ীয় স্বজনকে প্রধান কৰ্ম্মে নিযুক্ত করায়, তাহার প্রতি ঐতিহাসিকগণ কেহই পক্ষপাতদেয আরোপিত করেন নাই । তাহার কারণ, তিনি তাহাদিগকে শাসনে রাখিতে পারিয়াছিলেন । তাহারাও কথন রাজ্যের অনিষ্ট করিতে উদ্যত হন নাই। র্তাহারা সকলের সহিত সদ্ব্যবহার, শিষ্টপালন ও দুষ্টদমন করিতেন, সুতরাং তাছাদের কেহ হিংসা করিত না । এই সকল লোক নিজ নিজ কৰ্ত্তব্যপালনে নিপুণ ছিলেন বলিয়া কেহ তাহাদিগকে রাষ্ট্রীর আত্মীয় বলিয়৷ বিদ্বেষদৃষ্টিতে দেথিত না । তাহদের পদোন্নতি আত্মীয়তাহেতু ঘটিত না, বরং কৃতকারিতার জন্তই ঘটিত, এজন্য ঐতিহাসিকের নূরজাহাম্কে দোষ দিতে পারে নাই এবং তিনিও অনুগতপালনের দোষ হইতে মুক্ত হইয়া গিয়াছেন। নূরজাহান পরমদয়াবতী ছিলেন। অনাথ বালিকার সন্ধান পাইলেই তিনি তাহাদের প্রতিপালনের ব্যবস্থা ও বিবাহদি দিয়া ংসারী করিয়া দিতেন । এইরূপে র্তাহাদ্বারা পাচশতাধিক বালিকার সংস্থান হইরাছিল। এইরূপে ক্ষমতা লাভ করিয়া, ক্ষমতার সদ্ব্যবহার করিয়া নূরজাহান্‌ জাহাঙ্গরের মদ্যপানাসক্তি কমাইতে চেষ্টা করেন । ১৯৩১ হিজিরায় শরৎকালে জাহাগীরের শ্বাসরোধ পীড়া জন্মে। তিনি তখন কাশ্মীরে ছিলেন, কেবল দুগ্ধমাত্র পান করিতে পারিতেন। কোন চিকিৎসায় কোন ফল হইল না। মদ্যপানে ঈষৎ উপশম ৰোধ করিতেন বলিয়া শেষে তাহারই মাত্রা বাড়াইয়া দিলেন, দিবসেও মদ্যপান করিতে লাগিলেন। মূৰ্ব জাহান हेशांद्र कूकण दूदिब्रां ¢कोणzण फेशंद्र भांब रुगाहेब्रt দেন এবং সেবাগুণে স্বামীকে আরোগ্য করিয়া তুলেন। এই হইতে জাৰ্হাগীরের মদ্যপানের পরিমাণ কমিয়া যায় (১) । , (3) Wakiat-i-Jahangiri (Elliot Vol.W. p. 381.)