পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারায়ণ $. [ ૭૧ ] नोब्रम्न८] অপমান ভুল্য এবং ৰিনি আমাকে সৰ্ব্বভূক্ত শরীরস্থ বলিস্ক অবগত আছেন, পয়হিংসা-বিহীন, যিনি কাৰ্য্য লকল বিশেষরূপ বিবেচনা করিয়া অনুষ্ঠান করেন, গো ও ব্রাহ্মণহিতৈষী, শাস্ত্রনিয়মপরিপালয়িত, উপকার প্রত্যাশা না করিয়া দান এবং আমার উদ্দেশে বিত্তদান, এই সকল আমার প্রিয়। নারায়ণের অপ্রতিকর কার্ষ্য-হিংসা, ক্রোধ, অসত্য, অহঙ্কার, ক্ররত, পরনিন্দ, পরবর্তন, বিধ্বংসন, পিতা, মাত, ভ্রাত, পত্নী ও ভগিনীকে ত্যাগ, গুরুঞ্জনের প্রতি কটুৰাক্যপ্রয়োগ, গুরুলোকের প্রতি অবজ্ঞ, যে কোন উপায়েই হউক দম্পতীর মধ্যে মনোভঙ্গকরণ, পরদ্রব্যস্থরণ, আরামছেদন, জলাশয় নষ্টকরণ, গ্রামনাশ, পরস্ত্রীদর্শনে আকুলতা, পাপচর্য্যাশ্রবণ, অনাথ ব্যক্তির দ্বেষকরণ, বিশ্বাসঘাতকতা, গোবীর্যহনম, বৃধলীপতি, অশ্বখনাশ, ব্ৰহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশাদিতে ভেদবোধ, বেদনিন্দ, একাদশীতে আহার, পরদারাসক্তি, পাপমন্ত্রণাদান, মিত্রদ্রোহ, ধাতকীনাশ, দিবাভাগে স্ত্রীসঙ্গম, রঞ্জস্বলাসম্ভোগ, ব্রতস্থ সম্ভোগ, অমাবস্তার রাত্রিতে ভোজন, এক স্বর্ঘ্যে ছুইবার ভোজন, অমাবস্তায় আমিষভোজন, তৈলম্রক্ষণ ও স্ত্রীসম্ভোগ, বৈষ্ণবনিনা এই সকল কাৰ্য্য নারায়ণের অস্ত্রীতিকর । ( ক্রিয়াযোগসার ১৮ অ” ) কালিকাপুরাণে চতুভূজ মূৰ্ত্তির ধ্যান এইরূপ আছে— “শঙ্খচক্ৰগদাপদ্মধরং কমললোচনম্। শুদ্ধস্ফটিকসঙ্কাশং কচিত্নীলাম্বুজচ্ছবিম্ ॥ গরুড়োপরি শুক্লাঙ্গপদ্মাসনগতং হরিম্ । শ্ৰীবৎসবক্ষমং শাস্তং বনমালাধরং পরম্ ॥ কেয়ুরকুণ্ডলধরং কিরীটমুকুটোজ্জ্বলম্। নিরাকারং জ্ঞানগম্যং সাকরং দেহধারিণম্ ॥ নিত্যানন্দং নিরানন্দং সুর্য্যমণ্ডলমধ্যগম্। মন্ত্রেণানেন দেবেশং বিষ্ণুং ভজ শুভাননে ॥"(কালিকাপু ২২ অ') তৈত্তিরীয় আরণ্যকে নারায়ণের গায়ত্রী আছে-- “নারায়ণায় বিদ্মহে বাসুদেবায় ধীমহি । তন্নো বিষ্ণু প্রচোদয়াৎ ॥” ( ১০৷১৬ ) জ্ঞানপূর্বক বা অজ্ঞানপূর্বক নারায়ণ নামোচ্চারণ করিলে ভববন্ধন দূর হয়। ভাগবতে ইহা সমর্থিত হইয়াছে— ‘কান্তকুঞ্জদেশে অজামিল নামে এক ব্রাহ্মণ দাসীর পতি হইয়াছিলেন । সুতরাং সৰ্ব্বদা দাসীসংসর্গে দুষিত হন, এবং তাহার সকল সদাচার বিনষ্ট হয়। তাছার দশটী পুত্র হয়, সৰ্ব্বকনিষ্ঠ পুত্রের নাম নারায়ণ। এই পুত্রের প্রতি তাহার হৃদয় সৰ্ব্বদা আকৃষ্ট ছিল। অজামিলের যখন অন্তিমকাল উপস্থিত ছইল, তখন যমদূতগণ ভয়ঙ্করবেশে ইহার সমীপে উপস্থিত X > p হইল । অজামিল ইহাদিগকে দেখিয়া ভয়বিহ্বল হইয়া নারায়নামক পুত্রকে ডাকিতে লাগিল। বিষ্ণুদূতগণ মৃত্যুকালে নারায়ণ নামোচ্চারণ শুনিতে পাইরা যমদূতগণুকে পরাভূত করিয়া তাহাকে বিষ্ণুলোকে লইয়া গেল। এই অঞ্জামিল পাঞ্জকৰ্ম্ম হইলেও, পুত্রের নাম নারায়ণ রাখিয়াছিল, এবং সৰ্ব্বদ তাহার নাম করায় পাপ হইতে বিমুক্ত হইয়া ৰিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হইল ! ( ভাগবত ৬১ অ' ) { বিষ্ণু দেখ। ] ২ ফুৰ্য্যোধনের সৈন্তবিশেষ । ( ভারত ৫৭ অ’) ৩ ধৰ্ম্মপুত্ৰ ঋষিবিশেষ । "ধৰ্ম্মস্ত দক্ষস্থতিৰ্য্যজনিষ্ট মূর্ত্যাং নারায়ণে নর ইতি স্বতপঃপ্রভাবঃ ” (ভাগ” ২।৭।৬) ৪ কৃষ্ণ-যজুৰ্ব্বেদের অন্তর্গত উপনিষদ বিশেষ। মুক্তিকোপনিষদে এই উপনিষদের নামোল্লেখ দেখিতে পাওয়া যায় । শঙ্করাচাৰ্য্য এই উপনিষদের ভাষ্য এবং আনন্দগিরি সেই ভাষ্যের টীকা প্রণয়ন করেন । নারায়ণ ও শঙ্করানন্দ এই উপনিষদের দীপিকা প্রস্তুত করিয়াছেন। নারায়ণ, এই নামে বহুসংখ্যক সংস্কৃত গ্রন্থকারের নাম পাওয়া যায়। তন্মধ্যে এই কয়জনের নাম উল্লেখযোগ্য। ১ একজন বৈদিক পণ্ডিত, ইনি অগ্নিষ্ট্রোমপ্রয়োগ, আচারচতুৰ্দ্দশীপরিশিষ্ট, কৌতুকবন্ধনপ্রয়োগ, চয়নপদ্ধতি, জীবচ্ছুদ্ধিপ্রয়োগ, মহারুদ্রপদ্ধতি, রুদ্রপদ্ধতি, রুদ্র-জপবিধি, বৃদ্ধিশ্রাদ্ধপ্রয়োগ, স্থালীপাকপ্রয়োগ প্রভৃতি গ্রন্থ প্রণয়ন করেন । ২ একজন জ্যোতিৰ্ব্বি । ইনি অমৃতকুম্ভ, এহলাঘব, চমৎকারচিন্তামণি ও তাহার টীকা প্রভৃতি রচনা করেন। ৩ একজন বিখ্যাত দার্শনিক। রত্নাকরের পুত্র ও রামেন্দ্র সরস্বতীর শিষ্য, ইনি সমস্ত আথৰ্ব্বণ উপনিষদগুলির দীপিকা করিয়া গিয়াছেন, তন্মধ্যে অথৰ্ব্বশিখ, অথৰ্ব্বশিরা, অমুতনাদ, অমৃতবিন্দু, আত্মবোধ, আত্মবিদ্য, আনন্দবল্লী, আরণেয়, ঐতরেয়, কাঠক, কালাঞ্জিরুদ্র, কৃষ্ণ, কৃষ্ণতাপনীয়, কেনেষিত, কৈবল্য, কৌধীতক, স্কুরিক, গণপতিপূৰ্ব্বতাপনী, গর্ড, গারুড়, গোপালতাপনীয়, গোপীচন্দন, চুলিক, জাবাল, তেজোবিন্দু, তৈত্ত্বিীয়, দ্বিতীয়, ধানবিলু, নাদবিন্দু, নারসিংহ, নারায়ণ, নীলরুদ্র, নৃসিংহ, পরমহংস, পিণ্ড, প্রথম, প্রশ্ন, প্রাণাগ্নিহোত্র, ব্রহ্মবিন্দু, ব্রহ্মবিদ্যা, ব্রহ্মোপনিষদ, ভৃগুবল্লী, মহানারায়ণ, মহোপনিষৎ, মাগুক্য, মুগুক, মৈত্রেরী, যোগতত্ব, যোগশিখ, স্নামতাপনীয়, বারদপূৰ্ব্বতাপনী, শ্বেতাশ্বতর, বক্ত, ষটুচক্র, সন্ন্যাস, সৰ্ব্ব ও হংস প্রভৃতি উপনিষদের দীপিক পাওয়া যায়। এই সকল দীপিকায় নারায়ণের পাণ্ডিত্যের যথেষ্ট পরিচর মাছে ।