পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৩৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারায়ণগড় নারায়ণ, কাবায়নবংশীয় ৩য় রাজা। ইনি গুপ্তরাজ ঘটােৎ কচকে আক্রমণ করিয়াছিলেন । নারায়ণ, একজন প্রসিদ্ধ হিন্দী কৰি। ইনি সুললিত কবিতায় শিবরাজপুরের চন্দেল-রাজগণের ইতিহাস লিখিয়া গিয়াছেন । নারায়ণ আচাৰ্য্য, ১ একজন সংস্কৃত কবি। কাৰ্ত্তীর্যাঞ্জুনসঁপর্যা ও তাছার টীকাকার। ২ তীর্থপ্রবন্ধকাব্য ও রুক্মিণীবিজয়কাব্যের ভাবপ্রকাশ নামে টীকাকার। ৩ ফ ট্রদর্পণ নামে জ্যোতিষগ্রন্থরচয়িতা। নারায়ণকণ্ঠ, প্রসিদ্ধ শৈবদার্শনিক, রামকণ্ঠের পৌত্র ও বিদ্যাকণ্ঠের পুত্র। ইনি মৃগেন্দ্র ও মৃগেশ্রোত্তর নামক শৈবতন্ত্রের টীকা রচনা করেন । নারায়ণ কর্ণদেব, বিজ্ঞানতন্ত্র নামক বৈদাস্তিক গ্রন্থকার। নারায়ণ কবি, চন্দ্রকলা নামক সংস্কৃত নাটককার। নারায়ণক্ষেত্র ( কী ) নারায়ণস্ত ক্ষেত্ৰং । গঙ্গাপ্রবাহ হইতে চতুর্হস্তপরিমিত দূর পর্যন্ত স্থান। “প্রবাহমবধিঃ কৃত্বা যাবদ্ধস্তচতুষ্টয়ম্। 戀 তত্ৰ নারায়ণঃ স্বামী নান্তস্বামী কথঙ্কনঃ " (ব্রহ্মপু ) প্রবাহ অবধি করিয়া ৪ হাত পর্যন্ত স্থান নারায়ণক্ষেত্র । এই স্থানের স্বামী নারায়ণ, এই স্থানে কিছু দান বা প্রতিগ্রহ করিতে নাই । “অত্র কিঞ্চিদম্বাচ্চ সাক্ষাৎ পাত্রায় পুণ্যবান । অত্র প্রতিগ্রহে রাজন বিক্রীতা জাহ্নবী ভবেৎ ॥ বিক্রীতায়াঞ্চ জাহব্যাং বিক্ৰীতোহভূজ্জনাৰ্দ্দনঃ। জনাৰ্দ্দনে চ বিক্রীতে বিক্রীতং ভুবনত্রয়ম্। কোহপি ন ত্রাণকর্তাস্ত নিঃসম্বন্ধপ্রসঙ্গতঃ ॥” ( বৃহদ্ধৰ্ম্মপু ৪৫ অ• ) নারায়ণক্ষেত্রে দীক্ষা, দেবপূজা, শ্ৰাদ্ধ, তৰ্পণ, জপ, পরোপকার, স্তবপাঠ ও মৌনব্রত বিধেয়, এবং এই স্থলে নীচালাপ পরিবর্জনীয় । ( বৃহদ্ধৰ্ম্মপু ৪৫ অ” ) নারায়ণগঞ্জ, বাঙ্গালার ঢাকা জেলার অন্তর্গত একটা মহকুম ও একটা নগর । অক্ষা ২৩° ৩৭ ১৫ উঃ ও দ্রাঘি” ৯০° ৩২ ৫% পুঃ লঙ্গিয়া নদীর পশ্চিমতীরে অবস্থিত। লোকসংখ্যা হিন্দু ৯৭১৭, মুসলমান ৩৯০৮, খৃষ্টান ৮৯ ৷ এই নগর ঢাকার ৯ মাইল দূরবর্তী। মীরজুয়ার নিৰ্ম্মিত কতকগুলি দুর্গ ইহার নিকটবৰ্ত্তী স্থানে অস্থাপি বিদ্যমান আছে। এই স্থানের ঠিক সম্মুখে কদম রমুল নামক মুসলমানদিগের তীর্থস্থান রহিয়াছে। এই স্থান পাটের জন্ত বিখ্যাত। ' নারায়ণগড়, মেদিনীপুরের অন্তর্গত একট প্রাচীন স্থান। এখানে প্রাচীন হিন্দুকীৰ্ত্তি পড়িয়া আছে। 1 כס ] নারায়ণস্কৃত নারায়ণ গার্গ, নৃসিংহগার্গের পুত্র। ইনি আখলায়নশ্রোতৃ ও গৃহহুত্রের ভাষা, অশ্বিলায়ন-গৃহকারিকার ভাষা, আশ্বলায়নস্বত্রপদ্ধতি ও শ্ৰেীতস্বত্রবিধি রচনা করেন। • • নারায়ণ গোসাই নৃপতি, প্রশ্নবৈষ্ণব নামক জ্যোক্তি গ্রন্থকার । নারায়ণ গোঁড়, মিশ্র রাগবিশেষ। বেলাবলী, নট ও গৌড় যোগে উৎপন্ন। ( সঙ্গীতরত্না" ) নারায়ণচন্দ্র চূড়ামণি, কেশীয় বর্ষপদ্ধতির একজন টীকাকার । নারায়ণ চক্রবর্তী, ১ ভাগবতপুরাণের একজন বিখ্যাত টীকাকার। ২ শাস্তিকতস্বামৃত নামে স্মাৰ্ত্ত গ্রন্থকার। ৩ একজন সংস্কৃত অভিধানরচয়িত । ৪ পদার্থকৌমুদী প্রণেতা । নারায়ণচূর্ণ (কী) চূণেীধধভেদ। প্রস্তুত প্রণালী—যবানী, হবুষা, ধনে, ত্রিফল, কৃষ্ণজীর, ঈষৎকৃষ্ণ ক্ষুদ্রজীর, পিপ্পলীমূল, অজগন্ধ, শঠ, বচ, গুলফ, বৃহৎজীর, ত্রিকটু, স্বর্ণক্ষীরা, চিত, যবক্ষার, সাচিক্ষার, পুষ্করমূল, কুড়, পঞ্চলবণ ও বিড়ঙ্গ এই সকল দ্রব্য সমভাগ, দস্তী ৩ ভাগ, অর্থাৎ উক্ত একভাগের তিনগুণ, তেউড়ী ২ ভাগ, ইঞ্জবারুণী ২ ভাগ, শাতলা (চলিত সেহগু ) ৪ ভাগ, এই সকল চূর্ণ একত্র করিয়া অনুপান বিশেষে সেবন করিলে নিম্নলিখিত রোগসমূহ বিনষ্ট হয়। এই চূর্ণ উদররোগে তক্রদ্বার, গুল্মরোগে বদরীর কাথসহ, আনদ্ধ বাতে সুরাসহ, বতিরোগে প্রসন্নাসহ, বিটুভেদে দধিমণ্ডের সহিত, অৰ্শরোগে দাড়িমের কাথ, পরিকর্তিকা রোগে থৈকলসহ ও অজীর্ণরোগে উষ্ণজলসহ পান করিলে ঐ সকল রোগ নষ্ট হয়। ভগন্দর, পাণ্ডু, কাশ, শ্বাস, গলরোগ, হৃদ্রোগ, গ্ৰহণী, কুঞ্জ, অগ্নিমন্দ্যি, জর, দংশনজষ্ঠ বিষ, মূলবিষ, গরদোষ ও কৃত্রিম বিষে যথাযোগ্য অনুপানের সহিত এই চূর্ণ পান করিলে বিরেচন হুইয়া বিশেষ উপকার হয় । ( ভাবপ্র” উদররোগাধি” ) অদ্যবিধ প্রস্তুত প্রণালী-গুলঞ্চ, বিদ্ধড়ক বীজ, ইন্দ্রধব, বেলশুঠ, আতইচ, ভূঙ্গরাজ, শুঠ, সিদ্ধিপত্র, প্রত্যেক চূর্ণ সমান, কুড়চিছালচুর্ণ সৰ্ব্ব সমান, এই সকল চূর্ণ একত্র করিলে নারায়ণচূর্ণ হইবে। অমুপান গুড় ও মধু। এই চূর্ণ সেবন করিলে রক্তাতীসার, শোথ, জর, তৃষ্ণ, কাস, পাণ্ডুরোগ, হলীমক প্রভৃতি রোগ নষ্ট হয়। (ভৈষজ্যরত্না" অতীসারাধি”। নারায়ণস্কৃত (স্ত্রী) স্থতৌষধভেদ। প্রস্তুত প্রণালী—স্কৃত ৫ সের। কাথের জন্তু পিপুল ২ সের, জল ২০ সের, শেষ ৫ সের। গুলঞ্চরস ৪ সের, আমলকীরস ৭॥০ সের । কস্কার্থ দ্রাক্ষ, আমলকী, পটোলপত্র, শুঠ, কটুকী, বচ প্রত্যেক