পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৩৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নেপাল লেন। আপনার মনগর্বে উত্তেজিত রণজিৎ বুধিলেন না, তাহার এই গৃহবৈস্থিতার বৈগুণে ভবিষ্যতে কি বিষময় ফল ফলিবে । রাঙ্গ পৃথ্বীনারায়ণ এই আমন্ত্রণে মনে মনে উৎফুল হইলেন, তাহার হৃদয়ে পুনরায় নেপালজয়ের আশা জাগিয়া উঠিল। যে নেপাল তাহার পূর্বপুরুষগণ আক্রমণ করিয়াও বাৰ্থমনোরথ হইয়াছিলেন এবং নিজেও যেস্থান হইতে যুদ্ধ করিয়৷ প্ৰাণ লইয়া পলাইয়া আসিয়াছেন ; সেই রাজ্যলিঙ্কা আজিও তাছার হৃদয় হইতে অপস্থত হয় নাই। র্তাহার ভ্রাত দলমৰ্দ্দনকে প্রথমে পাটনের শাসনভার প্রদান পরে প্রবঞ্চনা করিয়া তাহাকে রাজ্য হইতে বহিষ্করণ-ব্যাপার, তখনও তাহার হৃদয়ে বিশেষরূপ জাগিতেছিল। কাজেই তিনি রণমল্লের আহবান উপেক্ষা করিলেন না। বিচক্ষণ রণজিৎ অল্পদিনেই বুঝিভে পারিলেন যে, তাহার সাহায্যকারী বন্ধু তাহদেরই শক্ৰতীসাধনে উদ্যত। তখন রাজা রণজিৎ আপনাকে হীনবল বিবেচনায় পরস্পরে সন্ধির প্রস্তাব করলেন এবং পরস্পরে সেই সন্ধিবলে দৃঢ়বদ্ধ হইয়া শত্রু ও শত্রুসৈন্তকে তাড়াইতে কৃতসংকল্প হইলেন ; কিন্তু কাৰ্য্যতঃ তাহাতে কোন সুফল ফলে নাই। রাজা পৃথ্বীনারায়ণ পূৰ্ব্বোক্ত রাজগণকে একত্র দেখিয়া আর তাহীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিলেন না। তিনি নিজেয় বল বৃদ্ধি করিবার জন্য, পাৰ্ব্বতীয় সদারদিগকে ছলে বা বলে স্বদলে আনিতে চেষ্টা করিতে লাগিলেন। প্রথমে ভাতগাওর পূৰ্ব্ববৰ্ত্তী ধূলথেল ও চেকোটবাসিগণের সহিত প্রায় ছয়বার যুদ্ধ করিয়া তাহাদিগকে আপনার বশে আনেন। পরে চৌকোটে একটা গড়নিৰ্ম্মাণ করিয়া তিনি আপনার সৈন্তসংখ্যা বৃদ্ধি করিতে লাগিলেন। এই সময়ে মহেন্দ্ৰসিংহ রায় নামক জনৈক রাজপুরুষ গোর্থাদিগের সহিত ১৫ দিন অনবরত যুদ্ধ করে। ঐ যুদ্ধে প্রথম গোখার পরাজিভ হইয়া পলাইয়া যায়, কিন্তু পরবর্তী যুদ্ধে মহেশ্রসিংহ রায় ভূমিশায়ী হইলে, চৌকোটিয়াগণ রণক্ষেত্র পরিত্যাগপূৰ্ব্বক পলায়ন করে। পরদিন প্রভাতে পৃথ্বীনারায়ণ রণভূমি পরিদর্শনে আসিল, মহেশ্রসিংহের বরষা-বিদ্ধ মৃত-দেহ দেখিয়া তাহার বীরত্বের বিস্তর প্রশংসা করিলেন এবং তাহার পরিবারবর্গকে কএকদিন রাজপ্রাসাদে রাখিয়া বিশেষ সমাদরে ভোজন করাইলেন। অবশেষে ভরণপোষণের জন্ত তাহাদিগকে পনাবতী, ব’নেপা, নালা, খদপু, সঙ্গ প্রভৃতি পাচখানি গ্রাম দান করিয়া তাহার পূর্ব অধিকৃত লবকোট রাজ্যে প্রত্যাগমন করিলেন। কান্ত্রিপুরের প্রথম যুদ্ধ ১৭৬৫ খৃষ্টাকে সম্পন্ন হয়। ইহার কএক মাস পরে, রাজা পৃথ্বীনারায়ণ পুনরায় হুইবার এই নগর [ లిసి ) নেপাল अकभ१ कहब्रन । कृउँौद्रषांtग्नन्न अॉजन्म १ ७ अरल्लङ्ग •न्न ८ष डौषन অত্যাচার হইয়াছিল, তাহা ফাদার গায়সেপির সেপাল-মিসনের প্রকাশিত তালিকা পাঠে বিশেষরূপে জানিতে পারা যায়। [ লালকাটাপুর দেখ। ] কীৰ্বিপুরে এই পাশবিক অত্যাচার দেখাইয়া পৃথ্বীনারায়ণ পাটন জয়াভিলাষে অগ্রসর হইলেন। পাটনরাজ তেজনরসিংহ । আত্মসমর্পণ করিবার অব্যবহিত পূৰ্ব্বে পৃথ্বীনারায়ণ শুনিলেন যে, কাপ্তেন কীস্লকের অধীনে ইংরাজসৈন্ত নেপাল-তরাইর দক্ষিণপ্রান্তে আসিয়া পৌঁছিয়াছে। তখন তিনি কালবিলম্ব না করিয়া অন্তপথে চলিয়া গেলেন এবং পাটনরাজ তেজণরসিংহ প্রায় একবৎসরকাল মিশ্চিস্ত থাকিলেন । কীৰ্ত্তিপুরের এই অত্যাচার কাহিনী নেবাররাজ ইংরাজরাজকে জানাইলে, ১৭৬৭ খৃষ্টাব্দের প্রারম্ভে কীৰূলক লাহেব নেপাল পৰ্ব্বতের সাজুদেশে আলিয়া উপস্থিত হন। তখন বর্ষাকাল, ইংরাজসৈন্তগণ এখানে মদ্য জলবায়ুনিবন্ধন ও খাদ্যদ্রব্যের অভাবে পীড়িভ হইয়া বড় কষ্টভোগ করিতে লাগিল, কাজেই তাহার। হরিদুর্গেয় সম্মুখ হইতে প্রত্যাবৃত্ত হইতে বাধ্য হইল। কীমূলক্‌ সসৈন্তে ফিরিলেও প্রায় একবৎসরকাল গোর্থীগণ নেপালে প্রবেশ করে নাই। পুনরায় ১৭৬৮ খৃষ্টাব্দে ইন্দ্রযাত্রা-উৎসবে পৃথ্বীনারায়ণ কাঠমাণ্ডু আক্রমণ করেন। কাঠমাণ্ডুরাজ ও রাজা তেজনরসিংহ বহুবার প্রতিবন্ধকতাচরণ করিয়াও নিষ্ফল হইলেন, যখন র্তাহারা দেখিলেন যে নেপালের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি ও তাঁহাদের আত্মীয়গণ সকলেই পৃথ্বীনারায়ণের পক্ষ, তখন আর কোন বিরোধ না করিয়া তাহারা ভাতগাওএ আশ্রয় লইলেন। রাজা রণজিতের একমাত্র পুত্র ধীর-নরসিংহকে বঞ্চিত করিবার জন্য র্তাহার অন্য স্ত্রীগর্ডঞ্জীত ‘সাতবাহালিয়া’ ( সপ্তপুত্র)-গণ যড়যন্ত্র করিয়া গোর্থাপতিকে কেবলমাত্র রাজ্যেশ্বর নামও আপনাদের মধ্যে সম্পত্তি ও সিংহাসন ভাগ করিয়া লইবার বন্দোবস্ত করিলেন, পরে আপনাদের এই উদ্দেশু ও প্রস্তাব রাজা পৃথ্বীনারায়ণকে জ্ঞাত করেন । তদনুসারে গোখাপতি হৃষ্টমনে ভাতগাও এর ভবিষ্যৎ রাজত্ব গ্রাস করিবীয় আকাঙ্কায় অগ্রসর হইলেন । গোর্খারাজ তাহাঙ্গের পূৰ্ব্বোক্ত পরামর্শমত ভাতগাও আক্রমণ ফরিলেন । সাতবাহালিয়াগণ কএক ঘণ্টা র্যাক আওয়াজে যুদ্ধ করিলেন, সেই সঙ্গে সঙ্গে লুকাইয় আপনাদের গুলি ও বারুদ শত্রুীিগকে পাঠাইয়া দিলেন এবং আপনাদের স্বরক্ষিত দুৰ্গদ্বার শত্রুগপকে ছাড়িয়া দিয়া পশ্চাৎপদ হইলেন। গোর্থীগণ মগরে প্রবেশ করিয়াই, তাহা অধিকার করিয়া লইলেন। দয়বারের সন্মুখভাগে একবার ভীষণ যুদ্ধ হয়, তাহাতে রাজা জয়