পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নোয়াখালি { 8«w j মোয়াখালি -ണ്ട് বাস্থায়ি, সরুল্য, অমরবাড়িয়া ও সমৃদ্বীপ নামে চারিট থাক আছে। সদ্বীপবাসিগণ অধিকাংশই দম্বাবৃত্তি করিয়া জীবিকাঞ্জন করিত। এখন প্রায়ই চাষবাস করিয়া শাস্তভাবে দিনযাপন করিতেছে। নিম্নে কএকটী শাখার নাম লিখিত इट्रेण ; দেশী খৃষ্টান ( চাষ বা চাকুর ), বৌদ্ধ এবং মগ ( ছালট ), মুসলমান-সম্প্রদায়ের মধ্যে শেখ, সৈয়দ ও পাঠান (চাষ চাকুরী, খয়রাত ), জোলা (বস্ত্রবয়ন ও চাষ ), বেদিয়া ( সাপখেলা ও ভোজবাজী ), দাই ( গোরু, ছাগল খাসিকরা ও নাড়ীকাট1), আচাৰ্য্য ও গণক ( প্রতিমানিৰ্ম্মাণ, গণনা, ছুতারের পৌরোহিত্য) ব্রাহ্মণ, ভাট, বৰ্ণব্রাহ্মণ ও জুীব্রাহ্মণ ( যাজকতা ), বেনে, বৈদ্ধ ও বৈরাগী, বরোজ বা বারুই ( পাশরোপণ ), বেহার, কাহার, ভূইমালী ও গড়ি ( নীচ শ্রেণীর কার্য ) ; চামাল্ল ও মুচী, ছুতার, ছত্রি ধোবা, ডোম ( মৎস্তবিক্রয় ), গন্ধবণিক ও গন্ধপাল, গোয়াল, জুগী, জেলিয়, কামার, কুমার, কালারি, কায়স্থ ( উচ্চ ও নিম্ন শ্রেণীর ), ক্ষত্রিয়, কুড়ি ( চিড় মুড়িপ্রস্তুতকারী), কাপালী (ছাল। প্রস্তুত ও গীতবাদ্য ), মালাকার, নাপিত, নমঃশূদ্র, নট, পাটনী ( মাছধরা ও বিক্রয় ), পাটিয়াল ( শীতলপাট প্রস্তুতকারী ), পোদ, শাখারি, সন্ন্যাসী ( বানর নাচান, চিকিৎসা ও ভিক্ষা ), শাহ, সোণার, সদৃগোপ, সুবর্ণবণিক, তাতি, তেলী, তিপূর ও তুড়ি প্রভৃতি । মুসলমানগণের মধ্যে সকলেই কোরাণ-মতানুসারী ( ফরাজী ) । ইহার নেমাজও করে এবং অনেক হিন্দু পূজাদিতেও যোগদান করে। ইহার অন্যান্ত মুসলমান পীরকে বিশেষ ভক্তি প্রদর্শন করে না। প্রত্যেক গ্রামে এক একজন "হাজি’ থাকে । হিন্দুদিগের মধ্যে ব্রাহ্মণেরাই শৈব ও নিম্নশ্রেণীর হিন্দুমাত্রেই বৈষ্ণব। এখন শীতলাদেবী ও নাগপূজাই প্রবল । মগেশ্বরীদেবীর বাহন বলিয়৷ ইহারা গৃঞ্জেরও উপাসনা করে । এই পূজা মগজাতির নিকট হইতে গৃহীত। এখানকার হিন্দুদিগের বিবাহপদ্ধতি স্বতন্ত্র । কস্তার বাটতে বর না গিয়া, বিবাহের পূৰ্ব্বে বরের গৃহেই কন্যা লইয়া যাওয়া বিধি। যথা লয়ে বরকে গৃহের বহিস্থ প্রাঙ্গণে আনিয়া গ্রামস্থ ব্যক্তিগণের সম্মুখে পুরোহিত্যাদি পাঠ করিয়া থাকেন। অতঃপর কঙ্কাকে অন্দর হইতে বাহিরে আনিয়া বঙ্গের চতুৰ্দ্ধিকে সাত পাক ঘোরান হয়। সম্প্রদান কাৰ্য্য সকলই এ দেশের মত। পর দিন বেলা ৮৯ টার সময় বর ও কgা উভয়কেই বাটীর বাহিরে জানির উত্তমরূপে তৈল ও -. ------onহরিদ্র মাথান হয় । অতঃপর বাটীর মধ্যস্থ উঠানে লইয়া গিয়া ‘বাসি-বিবাহ’ কাৰ্য্য শেষ হয়। এখানে বিবাহোৎসব উপলক্ষে গ্রামের ১২ হইতে ৬০ ৰৎসর বয়স্ক স্ত্রীগণ একত্র হইয়। নানারূপ গীত গায়। পুনর্বিবাহেও ঐক্ষপ গীত হইয়া থাকে, কিন্তু এরূপ গীত সাধারণতঃ অশ্লীল । চণ্ডাল, নাপিত, জেলে ও মুচী প্রভৃতি নিকৃষ্ট জাতির মধ্যে বিধবাবিবাহ প্রচলিত আছে । বিধবাবিবাহে কোন শাস্ত্রীর নিয়ম প্রতিপালন করিতে হয় না, কেবল পরস্পরের মতসাপেক্ষ। এরূপ বিবাহে তাহাদের জাতিচু্যতি ঘটে না। কি হিন্দু কি মুসলমান উভয় জাতির মধ্যে পুত্র ১৫ হইতে ২• এবং কন্তু ১৭ বৎসরের হইলেই বিৰাহিত হয়। এখানকার মুসলমানগণের বিবাহ-প্রথা হিন্দু হইতে কতকাংশে পৃথকৃ। বিবাহদিনে বর আত্মীয় স্বজন ও গ্রামস্থ নিমন্ত্রিত বরযাত্রী সঙ্গে লইয়। কন্যার বাটতে উপনীত হয়। অভ্যাগতের নির্দিষ্ট স্থানে উপবেশন করিলে, এক ব্যক্তিকে উকীল ও অপর দুইজনকে সাক্ষীরূপে নিযুক্ত করা হয়। অতঃপর বর এই উকীলের হস্তে দিয়া কতকগুলি দ্রব্য কষ্টাকে উপহার দেয়। কন্তু ঐ সকল অভিমত দ্রব্য লইয়৷ বিবাহের সম্মতি জ্ঞাপন করিলে, উকীল বরের নিকট আসিয়া সকল কথা ব্যক্ত করে এবং উক্ত সাক্ষীদ্বয় তাহার কথার সমর্থন করিয়া থাকে। ইহার পর আমন্ত্রিত ব্যক্তিগণের ভোজন ও তদন্তে বিবাহ হয় । বিবাহের পর কন্যাকে বরের আলয়ে द्रश्नं। शृtअग्न' श्न । এই জেলায় নানাজাতীয় ধাম্ভের চাষ হয়। বৎসরে চৈত্র বৈশাখে যে আউস ধান্ত বোন হয়, শ্রাবণ ভাত্রে তাহ। কাটা হর এবং যে আউল জ্যৈষ্ঠ আষাঢ়ে উপ্ত হয়, তাহা কাৰ্ত্তিক অগ্রহারণে কাটা হইয়া থাকে। আমন ধান্তও প্রায় ঐক্কপ একই সময়ে বৎসরে দুইবার রোপিত ও কর্তিত হয়। কলাই, সরিষা, নারিকেল, লঙ্ক, মুপারি, হলুদ, ইক্ষু, পাট ও পাণের বিস্তৃত চাষ আছে। এই সকল উৎপন্নজাত দ্রব্য নিকটবৰ্ত্তী ঢাকা, চট্টগ্রাম প্রভৃতি বিভিন্ন জেলায় রপ্তানী হইয়া থাকে এবং ঐ সকল স্থান হইতে এখানে নানা দ্রব্যের সামদানী হয়। সমর সময় ঝড়, বন বা শল্যাদিতে কীট লাগিয়া শস্যাদির বিশেষ ক্ষতি করে। ১৮৭৬ খৃষ্টাব্দে অক্টোবর মাসে এখানে ভয়ানক ঝড় হয় এবং সেই জন্য মেঘনার বক্ষ স্ফীত হইয়া জেলার অধিকাংশ স্থান ধৌত করে। ঐ সময়ে স্থধারাম, বামনী, আমীরগাও, ও মীর্ক-সরাই নগরে এবং হাতিয়া ও সন্দ্বীপে সৰ্ব্বসমেতপ্রায় চুইলক্ষের অধিক লোক জলমগ্ন হইয়া ভাসিয়া গিয়াছিল। ১৮৯৮ খৃষ্টাব্দের প্রবল ঝড়ে নোয়াখালি ও চট্টগ্রামের