পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নারদেরীত্রে) নাৰেলাল দীনায়কলে । স্তুৰ খাদ্যদ্রব্য বিশেষ। প্রস্তুতপ্রণালী-নারিকেল পাতলা করিয়া কাটিয় তাহাঁকে খণ্ড খণ্ড করিবে, পরে গোল্গুপ্ত, চিনি ও গবাস্কৃতসহ একত্র মিলিত করিয়া মৃন্থ অগ্নির উত্তাপে পাক করিবে । এইরূপ প্রক্রিয়াম্বারা যে সামগ্রী প্রস্তুত হয়, তাছাকে নারিকেলক্ষীরী কহে । ইহার গুণ-জিৎ, শীতল, অতিশয় পুষ্টিকারক, গুরু, মধুররস, শুক্রবর্ধক এবং রক্তপিত্তবায়ুনাশক । ( ভাবপ্র” ) নারিকেলখণ্ড ( পুং ) ঔষধবিশেষ। প্রস্তুতপ্রণালী-সুপক নারিকেল-শস্ত শিলায় পেষণ ও বস্ত্র স্বারা নিপীড়ন করিয়া তাহার ৪ পল লইয়া অৰ্দ্ধ পোয় স্কৃতে ভাজিয়া লইতে হইবে । তৎপরে ৪ সেয় নারিকেল-জলে ॥৪ সের চিনি গুলিয়া স্থাকিয়া লইবে । এই জলে নারিকেল শাস দিয়া পাক করিবে। পাক সিদ্ধ হইলে নামাইয়া ধনিয়া, পিপুল, মুতী, বংশলোচন, জীর, কৃষ্ণজীর প্রত্যেক অৰ্ধতোলা, গুড়ত্বক, তেজপত্র, এলাইচ, নাগেশ্বর প্রতেকে ১ মাষ চূর্ণ করিয়া প্রক্ষেপ দিয়া আলোড়ন করিয়া লইৰে । এই ঔষধ সেবন করিলে অম্লপিত্ত, অরুচি, ক্ষয়রোগ, রক্তপিত্ত, শূল ও বমি নিবারণ হয়। ইহাতে পুরুষত্ব বৃদ্ধি হইয় থাকে। বৃহন্নারিকেলখণ্ড। প্রস্তুতপ্রণালী—৮ পল নারিকেলশস্ত শিলাতলে উত্তমরূপে নিষ্পেষণ করিয়া ৫ পল ঘুতে ভাজিতে হইবে। তাহার পর ১৬ সের নারিকেল-জলে, ২ সের চিনি গুলিয়া ছাকিয়া লইতে হইবে, পরে তাহার সহিত ঘৃত-ভর্জিত নারিকেলশন্ত ৮ পল শুঠচুর্ণ ৪ পল ও দুগ্ধ দুই সের দিয়া মুহ অগ্নিতে পাক করিবে। পাক সিদ্ধ হইলে বংশলোচন, ত্রিকটু, মুত, গুড়ত্বক, তেজপত্র, এলাইচ, নাগেশ্বর, ধনিয়া, পিপুল, গজপিপুল ও জীরা প্রত্যেক চূর্ণ ৪ তোলা এই সকল নিক্ষেপ করিয়া উত্তমরূপে আলোড়ন করিয়া নাযাইতে হইবে। মাত্রা অৰ্দ্ধতোলা । ইহা সেবন করিলে শূল ও অন্নপিত্ত, হৃদ্রোগ প্রভৃতি বিনষ্ট হয়। এই ঔষধ বলপুষ্টিকর, হৃদ্য ও উত্তম বাজীকরণ । ( ভৈষজ্যরত্না” শূলাধিকার ) । ভাব প্রকাশে নারিকেলখণ্ডের প্রস্তুতপ্রণালী এইরূপ লিখিত আছে— - নারিকেল ৪ পল, ১ পল গৰাঞ্চুতে ভাজিয়া নায়িকেল জল সহ, তদভাবে গবাঞ্ছা সহ পাক করিবে । তদপ্তর পাক সমাপ্ত হইল নামাইয়া শীতল হইলে পশ্চাৎ এই সকল চুৰ্ণপ্রক্ষেপ করিতে হইবে । চূর্ণ যথা-ধনিয়া, পিপুল, মুতী, দারুচিনি, এলাইচ, তেজপত্র ও নাগকেশর, এই সকল বস্ত প্রত্যেকে অৰ্ধতোলা করিয়া এক্ষেপ করিবে। এই নারিকেলখগু অগ্নির বলাবল অনুসারে Χ o s to J X8 মারিকেলতৈল এক পল কিংবা অৰ্ধপল পরিমাণে প্রত্যহ ভক্ষণ করিবে। এই ঔষধ সেবন করিলে পুরুষত্ব, নিত্রী ও বল বৰ্দ্ধিত হয় এবং•অন্নপিত্ত, রক্তপিত্ত, পরিণামশুল ও ক্ষয়রোগ নষ্ট হইয়াখাকে । , বৃহন্নারিকেলখও । প্রস্তুতপ্রণালী—উত্তমরূপে পেষিত নারিকেল এক প্রস্থ, বীজরস্থিত কুষ্মাগু অৰ্দ্ধ আদক, এক কুড়ব গব্যস্তৃত দ্বারা নারিকেল ও কুষ্মাগু ভাজিতে হইবে। তৎপরে গবায়ুথ এক জাঢ়ক এবং চিনি দুই প্রস্থ পরিমাণ উছাতে নিঃক্ষেপ করিয়া সমস্ত একত্র মৃন্থ অগ্নির উত্তাপে পাক করিবে, উত্তমরূপে পাক সমাপ্ত হইলে নামাইতে হইবে, তৎপরে ইহা শীতল হইলে এই সকল চুৰ্ণ প্রক্ষেপ দিতে হইবে। যথা—ছোট এলাচ, ধনে, আমলকী, ক্ষেতপাপক্ষ, মুত, বাল, বেণারমূল, রক্তচন্দন, কিসমিস, পাণিক্ষল, কেশুর, দারুচিনি, তেজপত্র এবং কপুর এই সকল দ্রব্য প্রত্যেক চরিতোলা । এই সকল চূর্ণ মিশ্ৰিত করিয়া উত্তমরূপে আলোড়নপূর্বক নূতন মৃৎপাত্রে স্থাপন করিবে। এই ঔষধ এক পল পরিমাণে সেবনীয়, অথবা রোগীর অগ্নি-বল বিৱেচনা করিয়া যথাযাত্র প্রাতঃকালে । সেবন করাইবে । এই ঔষধ সেবন করিলে অম্লপির, জয়, পিত্ত, রক্তপিত্ত, অরুচি, বাতরক্ত, পিপাস, দাহ, পাণ্ডুরোগ, কামল, ক্ষয় এবং পরিণামশুল আরোগ হয় । পুরাকালে ভগবান অশ্বিনীকুমার ইহার প্রণয়ন করিয়াছেন। ইহা বর্ণপ্রসাদক, শরীরের উপচয়কারক, শুক্রবন্ধক, এবং পুংস্তু, নিদ্রা ও বলপ্রদায়ক । নারিকেলতৈল (স্ত্রী) নারিকেলফলসম্ভব তৈল। বৈষ্ঠক মতে ইহার গুণ–এই তৈল বাজীকর, গুরু, ক্ষীণধাতুর পোষক, বাত ও পিত্তনাশক, মূত্রাঘাত, প্রমেহ, শ্বাস, কাস, যক্ষ্ম, বুদ্ধিলোপে হিতকর ও ক্ষতনাশক । - “নারিকেলফলোদ্ভুতং তৈলং বাজীকরং গুরু। পোষণং ক্ষীণধাতুনাং বাতপিত্তপ্রশাশনম্। মূত্রাঘাতে প্রমেহে চ শ্বাসে কাসে চ যক্ষ্মনি । মেধালোপে চ হিতদং ক্ষতান্তঃকরণং তথা ॥" (আত্ৰেয়সংহিতা) প্রস্তত প্রণালী—ঝুনা নারিকেল সংগ্ৰহ করিয়া উহার বাছিরের ছোবড়া-অংশ ফেলিয়া দিলে, মধ্যে কঠিন ত্বকাৰ্বত যে দ্রবট পাওয়া যায়, উহা কাটারি দ্বারা কাটিলে তন্মধ্যে একপ্রকার শুভ্র বর্ণের কঠিন দ্রব্য দেখা যায়। উহার নাম নারিকেলের শাস। ঐ শাস বা সারাংশ হইতেই তৈল প্রস্তুত হইয় থাকে। ভারতবর্ষে নিম্নলিখিত উপায়ে মারিকেল হইতে জলের স্থায় স্বচ্ছ ও বর্ণহীন তৈল প্রস্তুত হয়। প্রথমে নারিকেলের শাস, কিছু ক্ষণ দলে সিদ্ধ করিয়া তৎপরে উহা একটা যন্ত্রে ফেলিয়া হেঁচিয় বা বাটিয়া লইতে হয়। তদনন্তর ঐ বাটা শাল জলের সহিত ।