পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাবিক “নালীক্ষাপ্রস্থমেতদন্ত্ৰ বচনং বাণাশ্ৰয়ং কি বচ৷ ” ' ( বক্রোক্তিপঞ্চাশিক ৪২ ) ৬ নারিকেলকমগুলি । নালাকিনী ( ) নালীকমস্তান্ত ইতি নালীক-ইনি, ওঁীপৃ। পদ্মসমূহ । ( শঙ্কর” ) নালীঘটী ( স্ত্রী ) নাড়া দণ্ডকালন্ত বোধনাখা ঘটা ডস্ত ল। দগুদিজ্ঞাপক ঘটভেদ । ( শব্দার্থচিন্তা” ) নালীপ (পুং ) কদম্বক । (নৈঘণ্ট প্র” ) নালীব্ৰণ (পুং ) নালীগতে ব্ৰণঃ। নাড়ীত্রণ। চলিত নালীখা। নালুক (ত্রি) যাহার মুখে নাল পড়ে। ২ গন্ধভেদ। ৩ কৃশ, দুর্বল । নালুয়ার্চাদ (দেশজ ) এক প্রকার ক্ষুদ্র মৎস্তবিশেষ। নাল্য (ত্রি ) নলস্তাদূরদেশাদি, সঞ্চাশাদিত্বাৎ শ্য। নান অদুর দেশ প্রভৃতি। নাবা (স্ত্রী) ১ বাক্য। “ইন্দু নাবা অনুষত" ( ঋক্ ৯৪৫৫ ) ‘নাবা বাচোহপানুষত অস্কবল্ (সারণ) সাবমিক (ত্রি ) নবম-ঠঞ, । নবম সংথ্যাযুক্ত । নাব্যক্তিক (পুং) নব্যঞ্জন্ত তৎপ্রতিপাদকগ্ৰন্থত ব্যাখ্যানে গ্রন্থঃ ঠএ । ১ নবযজ্ঞপ্রতিপাদক গ্রন্থব্যাখ্যান গ্রন্থবিশেষ। নব্যজ্ঞে বর্ততেহশ্বিম্ কালে ঠঞ, ২ নব্যজ্ঞবিধানযোগ্য কাল । নাবালক ( দেশজ ) অপ্রাপ্ত বয়স্ক । নাবিক (পুং ) নাবা তরতীতি নৌ-ঠন। নেখচষ্ঠন্‌। কর্ণধার, নৌকাচালক, মাঝি, যে নৌকার হাল ধরে । “মহাবাতসমুদ্ভুতামপরিক্ষিতনাবিকাম । অন্তনেীপ্রতিবদ্ধাং বানোপেয়ান্নাবমাতুরাম্ ॥" (কামন্দকী ৭।৩৩) যাহার দাড়, পাইল ইত্যাদি যন্ত্রের সাহায্যে নৌকাযোগে জল পর্থে যাতায়াত করিতে সক্ষম, তাহদের সাধারণ নাম নাবিক । । ইংগিকে বিশ্বাস করিতে নাই। নদী, খাল প্রভৃতি জলস্রোত দিয়া গমন করিতে হইলে দার্শনিক বিশেষ কোন যন্ত্রের আবখ্যক [ ఆt ] হয় না। সুতরাং ঐ গমনাগমনের বিশেষ কোন নিয়ম লিপিবদ্ধ | করা অনাবশুক । কেবলমাত্র নাবিক বা মাঝির একটু দূরদর্শন ও বহুদৰ্শিতা থাকিলেই তাহারা সহজে এবং নিৰ্ব্বিয়ে ঐ সমস্ত জল- | স্রোতে যাতায়াত করিতে পারে। কিন্তু সামুদ্রিক নাবিকগণের যথেষ্ট শিক্ষা, দক্ষতা ও বুদ্ধিশক্তির আবশুক। এজষ্ঠ সমুদ্রে গতি- | বিধির নিয়ম ও প্রণালী প্রভৃতি এথানে সংক্ষেপে বিবৃত হুইল । • অতি প্রাচীনকালে ভারতবাসী ও ইজিপ্টবালিদের প্রথম সমুদ্রে যাতায়াতের প্রমাণ পাওয়া যায়। মিসরবাসী অর্ণবপোতসাহায্যে ভারতে বাণিজ্য করিতে আসিত । পুরাকালীন সমুদ্রনাবিকদিগের মধ্যে ফিনিৰীয়গণই বিশেষ প্রসিদ্ধ ; তাহারা ; X እማ নাবিক তাহাদের পরিচিত সকল জাতির মধ্যে সমুদ্রধানযোগে ব্যবসা কল্পিত। তন্ত্ৰত টায়র নামক বন্দরটা পৃথিবীর মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান বাণিজ্য-বদর অাখ্যা ধারণ করিয়াছিল । তাছার লিবেন হইতে গুড়িকাষ্ঠসমূহ সংগ্রহপূর্বক - কতকগুলি জাহাজ প্রস্তুত করে। এই জাহাজের সাহায্যে তাহারা বিদেশে উপনিবেশ স্থাপন করিতে সক্ষম হয়, এবং ঐ সমস্ত নবাধিকৃত স্থানও অচিরে নৌ-চালনা বিষয়ে প্রাধান্তলাভ করিয়াছিল। ফিনিকীয়-উপনিবেশ মধ্যে কার্থেজ অতীব প্রসিদ্ধ। কার্থেজের অধিবাসির যুরোপ ও আফ্রিকার পশ্চিম উপকূলস্থ যাবতীয় স্থানে এই সমস্ত জাহাজের সাহায্যে বাণিজ্য করিত। ইহাদের পরে গ্রীকের নৌ-চালন-কার্য্যে অগ্রসর হয় । তাহীদের আর্গে নামক জাহাঙ্গে আরোহণপুৰ্ব্বক কলচিস্ হইতে উৎকৃষ্ট শুভ্ৰ মেষের লোম আনার কথা অনেকেই অবগত অাছেন । গ্ৰীকদিগেয় পরে, রোমের অধিবাসিরা জাহাজনিৰ্ম্মাণ ও জাহাজচালনবিদ্যা শিক্ষা করিয়া নিজ শৌর্য্যে কার্থেজের ধ্বংসসাধনপূর্বক আলেকসান্দ্রিয়া নামক বন্দর সংস্থাপন করেন। ইহা একদা ধনগৰ্ব্বে ও বাণিজ্যবিষয়ক উন্নতিতে পৃথিবীর প্রায় সৰ্ব্বোচ্চশিখরে আরোহণ করিয়াছিল। রোমের ধ্বংসের পর কিছুদিন য়ুরোপে নৌ-চালন-বিদ্যাশিক্ষা ও পরিচালন প্রভৃতির অধঃপতন হয়। তৎপরে জেনোয়াবাসিয়া, কাহারও মতে ফরাসীরা পুনরায় ঐ বিষয়ে মনোযোগী হয়। তদনন্তর ভিনিসের অধিবাসির সমুদ্র-যানের উন্নতি চেষ্টায় মনোনিবেশ করে। এই সময়ে ‘হেন্‌জেন্‌টিক্‌’ লিগ নামক একদল বণিক বাণিজ্য জন্ত ভারতবর্ষ ও আমেরিকার নানা স্থানে বাণিজ্য করিতে প্রবৃত্ত হয়, এবং নাবিকদিগের নৌ-চালনের নানা নিয়ম লিপিবদ্ধ করে। উহা অস্থাপি ‘হেন্‌জেটিক্‌ লিগ নামে অভিহিত। ঐ সময় হইতে বর্তমান সময় পৰ্য্যন্ত নাবিকবিষ্ঠা সম্বন্ধে যে উন্নতি সাধিত হইয়াছে, পৰ্যায়ক্রমে তাহার বিবরণ লিপিবদ্ধ করা নিতাস্ত সহজ নহে। জাহাজ গঠনপ্রণালীর উন্নতি ও জাহাজ চালিত হইবার জন্ত অভিনবপন্থা প্রণয়ন এবং নূতন নূতন যন্ত্র আবিষ্কার হওয়াতেই যে সমূদ্র যাতায়াতের জন্ত নাবিকদিগের বিশেষ সুবিধা হইয়াছে, তাহাতে আর বিন্দুমাত্রও সংশয় নাই। পুরাকালে দাড়ির জাহাজের পাটাতনের উপর বসিয়া দাড় চালনা করিত। কোন কোন জাহাজে ২৩টা করিয়াও পাটাতন থাকিত । সুতরাং জাহাজের গতি মনুষ্যের সামর্থ্যের উপর নির্ভর করিত । এখন তৎপরিবর্তে পাইলের কৃষ্টি হওয়ায়, দড়াদড়ির সাহায্যে পাইলযোগে যে দিক্ দিয়া বায়ু প্রবাহিত হয়, নাবিকগণ সে দিকেও সহজে গমনাগমন করিতে সমর্থ হইতেছে ।