পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৬৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পতিব্ৰতা _ পতিত্ব (ক্ল) পতুৰ্ভাব্য, ত্ব। ১ স্বামিত্ব, প্রভুত্ব। ২ পতির ধৰ্ম্ম পতির ভাব। পতিত্বন (ক্লী) যৌবন। (খক ১•।৪•া৯ ) পতিদেবতা ( স্ত্রী ) পতিয়েব দেবত যন্তাঃ। পতিব্ৰত, যে স্ত্রীর পতিষ্ট একমাত্র দেবতা। পতিদেব (স্ত্রী ) পতিয়েব দেবো যন্তাঃ । পতিব্ৰত স্ত্রী । "ীণাঞ্চ পতিদেবানাং তছুশ্ৰুষানুকুলত৷" ( ভাগ” ৭।১১২৫) পতিদ্বিম্ (স্ত্রী) পতে ৰেষ্টি দ্বি-পূি। পতিৰােধী স্ত্রী, যে স্ত্রী পতিয় প্রতি দ্বেষ করে। পতিধৰ্ম্ম (পুং ) পতুৰ্ধৰ্ম্মঃ । স্বামীর ধৰ্ম্ম । পতিযান (ত্রি) স্বামি-পথাম্বুবর্তী । পতিরিপূ ( স্ত্রী ) পতিদ্বেষিণী স্ত্রী । *পতিরিপো ন জনয়ে দুর্যোঃ” ( ঋক্ ৪৷৫le ) পতিরিপে ন জনয়ঃ পতিদ্বেষিণঃ हिग्न हेद' ( नांग्रण) পতিমতী (স্ত্রী) পতিঃ বিস্তুতেইস্তাঃ মডুপ্ত, ততঃ স্ক্রিয়াং উীপ্ত। স্বামিযুক্ত ভূম্যাদি। সধবা স্ত্রী-অর্থে পতিবত্নী এইরূপ পদ হইবে। পতিলোক (পুং ) পতিভোগ্যে লোকঃ স্বৰ্গাদি, মধ্যপদলোপী কৰ্ম্মধা” । পতির সহিত ধৰ্ম্মাচরণ স্বারা প্রাপ্য স্বৰ্গাদি লোক । মসুতে লিখিত আছে, যে স্ত্রী কায়মনোবাক্যে সংযত থাকিয়া পতিকে অতিক্রম না করেন এবং নারীধৰ্ম্মে জীবন অতিবাহিত করেন, তাছার ইহলোকে পরমকাত্তি ও পরলোকে পতিলোকে গতি হইয়া থাকে । ( মন্ত্র । ১৬৫-১৬৬ ) ২ পতির সমীপ । “অঙ্কুমঙ্গলী পতিলোকমাবিশ” ( ঋক ১০৮৫৪৩ ) পতিলোকং পতিসমীপমাবিশ প্রাপ্ল হি’ (সারণ) পতিবত্নী ( স্ত্রী) পতির্বিস্তুতে যন্তাঃ, পতি-যত্নপৃ, নিপাতনাৎ বত্বং, মুগাগমণ্ট, ততো উীপ্ৰ ( অস্তবৎপতিবাতামুক । প৷” هسوارا f | ৪।১৩২)সভভূক্ষা, সধবা স্ত্রী । অন্যার্থে পতিমতী এইরূপ হইবে। । সংবা ঐ অর্থে ঋগ্‌বেদ পতিবী স্থলে পতিবতী এইরূপ দেখিতে | পাওয়া যায়। "উর্দীশ্বর্ণতঃ পতিবর্তীহেষা” ( ঋক্ ১৯৮৪।২১ ) ! পতিবেদন (পুং ) পতিং বেদয়তি বিদ-লা-ভে শিচ-লু। পতিপ্রাপক, মহাদেব। পতির উদ্দেশে মহাদেবের আরাধনা করিতে হয়। "ত্র্যম্বকং যজামহে হুগন্ধিং পতিবেদনং"(যজু ৩৬০) পতিব্ৰতা ( স্ত্রী ) পতিব্ৰতমিৰ ধৰ্ম্মার্শ্বকামেষু কায়বাঙ্মনোভিঃ সঙ্গোপাস্তেীহস্তাঃ। সাধী স্ত্রী, স্বামীর প্রতি একান্ত অনুরক্ত, পর্যায়-সুচরিত্র, সতী, সাধবী, একপত্নী । ( শব্দর” ) পতিব্ৰতা স্ত্রীয় লক্ষণ*জাৰ্বৰ্ত্তে মুদিত ছষ্টে প্রোঘিতে মলিন রুশ । মুড়ে জিয়েত যা পতৌ সা স্ত্রী স্লেয়া পতিব্ৰতা ৷" ( শুদ্ধিতৰ ) { পতিব্ৰতা যে স্ত্রী স্বামীর দুঃখে দুঃখ, ও স্বামীর মুখে সুখ অনুভব করে এবং স্বামীর প্রবাসে মলিন ও কুশা এবং মরণে জম্মুত হয়, তাহাকে পতিব্ৰত বলিয়া জানিতে হুইবে । মমৃতে লিখিত আছে, বিবাহকালে যে সম্প্রদান করা হয়, তাহাতেই স্ত্রীর উপর স্বামীর সম্পূর্ণ স্বামিত্ব জন্মে। তদবধি স্ত্রীলোকের স্বামিপরতন্ত্রতাই একমাত্র বিধেয় । স্বামী যদি শীলরহিত, পরদাররত, বিদ্যাদি গুণবর্জিত হয়, তাহা হইলেও পতিব্ৰতা স্ত্রী তাহাকে সৰ্ব্বদা দেবতার স্কার পূজা করিবেন, স্ত্রীদিগের স্বামী বিনা পৃথকৃ যজ্ঞ নাই, স্বামীর অনুমতি ব্যতীত ব্রত এবং উপযাগ নাই। কেবল পতিসেবা দ্বারাই তাহার স্বর্গলাভ করিয়া থাকে। স্বামী জীবিত থাকুন বা মৃতই হউন, পতিব্ৰত স্ত্রী পতিলোককামী হইয়া কথন তাহার অপ্রিয়াচরণ করিবেন না। পতিব্ৰতা স্ত্রী পতির মরণে পুষ্পমূল ও ফল দ্বারা জীবন ক্ষয় করিবেন, কিন্তু পতি বিনা পর-পুরুষের নামোচ্চারণও করিবেন না। যতদিন না মৃত্যু হয়, ততদিন মধু, মাংস ও মৈথুনাদি বর্জনরূপ ব্রহ্মচৰ্য্য অবলম্বন করিবেন। যে সকল স্ত্রী পাতিব্ৰত্যধৰ্ম্ম উল্লঙ্ঘন করিয়া পর-পুরুষাঙ্গি গ্রহণ করে, তাহারা ইহলোকে নিন্দিত হয়, পরকালে শৃগালযোনিতে জন্মগ্রহণ করে ও অশেষবিধ পাপরোগে আক্রাস্তু হইয়া পীড়া ভোগ করে। (মনু ৬ অ” ) যাজ্ঞবন্ধসংহিতায় লিখিত আছে, পতিব্ৰতা সকল কার্য্যেই স্বামীর বশবৰ্ত্তিনী থাকিমৃে স্বামী বিদেশে যাক্টলে স্ত্রী ক্রীড়া, শরীরসংস্কার, সভাদর্শন, উৎসৰদৰ্শন, হাস্ত্যপরিহাস এবং পরগৃহে গমন পরিত্যাগ করিবেন । ( যাজ্ঞবল্ক্য’ ১ অ” ) ব্রহ্মবৈবৰ্ত্তপুরাণে শ্ৰীকৃষ্ণজন্মথণ্ডে পতিত্ৰত স্ত্রীধৰ্ম্মের বিষয় এইরূপ লিথিত আছে । সতী স্ত্রী প্রতিদিন ভক্তিভাবে পতিপাদোদক সেবন করিবে। ব্রত, তপস্তা, দেবপূজা প্রভৃতি পরিত্যাগ করিয়া স্বামীর পদসেবা, স্তব এবং যাহাতে পতি তুষ্ট হন, সেইরূপ কার্যা করিবেন, পতির আজ্ঞান লইয়। কোন কাৰ্য্যই করিবে না, পতিকে নারায়ণ অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ বিবেচনা করিয়া পূজা করিবেন । পতিব্ৰতা স্ত্রী স্বামীর বাক্যে সমান প্রত্যুত্তর করিবে না ও ক্রোধাবেশে পতি তাড়না করিলে ত্তাহাতে কুপিত হইবে না। স্বামী ক্ষুধিত হইলে তাহাকে ভোজন করাইবে কদাচ স্বামীর নিদ্রাভঙ্গ করিবে না । পুত্র অপেক্ষা স্বামীর গুতি শতগুণ স্নেহ করিবে। সৰ্ব্বদা পত্নী সহাস্তবদনে পতির সমীপে উপস্থিত হইবে । পতি পতিব্ৰতা স্ত্রীর সকল প্রকার পাপ মোচন করিয়া থাকেন। পৃথিবীতে যে সকল তীর্থ আছে, সেই সকল তীর্থ এবং সকল দেবতার তেজঃ সতীপাদতলে অবস্থিত। স্বয়ং নারায়ণ, দেবগণ, মুনিগণ প্রভৃতি সকলেই