পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

J নাসাগতরোগ --- মাসাগতরোগ [ १० অনুসারে ক্রিয়া করিবে। এবং লিখুধুম ও শিরোবিরোচন প্রযোজ্য। বলাতৈল ও অন্তান্ত বাণুনাশক দ্রব্যও এ স্থলে বিধেয় । নাসাম্রাবরোগে তীক্ষ অবপীড়ণ নাসারদ্ধে, নল দ্বারা প্রয়োগ করিবে এবং দেবদারু ও চিত্রক সহযোগে মাংস ও স্বতের ধূম প্রয়োগ করিবে । নাসাশোষরোগে ক্ষীরবৃত এবং অমুতৈল নন্তে প্রয়োগ করাই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । বৃতপান, মাংসরস সহযোগে ভোজন, স্নেহস্বেদ এবং দৈহিক ধূমও প্রযোজ্য। ( প্রতিষ্ঠায় রোগের বিবরণ প্রতিষ্ঠায় শব্দে দেখ। ] (সুশ্ৰুত উত্তরত ২২-২৩ অধ্যায় ) ভালপ্রকাশেও নাগারোগের বিবরণ এইরূপ লিখিত আছে । সুশ্রীতে নাসাগন্তরোগ ৩১ প্রকার, বলিয়া উক্ত হইয়াছে, কিন্তু ভাবপ্রকাশের মতে এই রোগ ৩৪ প্রকার। যথা—পীনস, পুতিলন্ত, মাসাপাক, পূশোণিত, ক্ষবথু, ংশধু, দীপ্তি, প্রতীনাহ, পরিস্রাব, নাসাশোষ, পঞ্চপ্রকার প্রতিষ্ঠায়, সপ্তপ্রকার অর্ষদ, চারিপ্রকার অৰ্শ, চারিপ্রকার শোপ এবং চারিপ্রকার রক্তপিত্ত । যে রোগে নাসিক শুষ্ক, কফ কর্তৃক অবরুদ্ধ, শুষ্ক বা কফ কর্তৃক ক্লিয় ও সস্থাপযুক্ত হয় এবং গ্রাণে রসবোধ থাকে না, তাষ্ঠীকে পনস বা অপলম বলে। এই পীনসরোগ বাতশ্লৈয়িক প্রতিশ্যায়ের স্তীয় লক্ষণবিশিষ্ট কষ্টয়া থাকে । দূষিত পিত্ত, রক্ত ও কক্ষ কর্তৃক গল ও তালুমূলস্থ বায়ু পূতিভাবাপন্ন হইলে মুখ ও নাসিক হইতে দুৰ্গন্ধ বাছির হয়, । এষ্টরূপ হইলে তাহাকে পুতিনন্ত কহে । যে রোগে স্বাণ সংশ্রিতপিত্ত বলবান হুইয়া নাসিকাতে বহু হয় ত্রণ উৎপাদন করে এবং ঐ সকল ত্রণ পাকিয়া দুৰ্গন্ধযুক্ত ক্লেদ নিঃসারিত হয়, তাহাকে নাসাপাক কহে । রক্তপিত্ত্বের আধিক্য অথবা ললাটে অভিযাতাদি হেতু নাসিক হইতে রক্তমিশ্ৰিত পু্য নির্গত হইলে তাহাকে পু্য- } রক্ত কহে । প্রাণস্থিত শৃঙ্গাটকমৰ্ম্ম দূষিত হইলে, নাসিক হইতে কফের পর অতিশ দযুক্ত বায়ু নিৰ্গত হয়, এইরূপ রোগকে ক্ষবথু কহে । তীক্ষ বা কটুধলা অতিরিক্ত ভক্ষণ বা তাছার প্রাণ লইলে কিংবা সূর্য নিরীক্ষণ করিলে অথবা স্বত্ৰাদি দ্বারা নাসাবংশাস্থি ও শৃঙ্গাটকমৰ্ম্ম ধর্মত হইলে আগষ্কজ ক্ষবথু (ইচি ) উৎপন্ন হয় । । পূর্ণসঞ্চিত শিরোণত গাঢ় লবণরসাত্মক ও বিদগ্ধ-কক্ষ পিত্ত্বকর্তৃক তাপিত হইয়া নাসারন্ধ হইতে বিগলিত হইলে তাহাকে ভ্রংশখুরোগ বলা যায়। ধে রোগে নাসিক প্রজ্বলিতের স্থায় দাঁহযুক্ত হয় এবং ' প্ৰষ্ঠীনাহরোগে স্নেহপানই প্রধান

{ 4

উহা হইতে ধূমবং বায়ু নির্গত হয়, তাছাতে দীপ্তিরোগ কহে । | বায়ুর সহিত কফ মিলিত হইয়া নাসারন্ধ, রুদ্ধ করিলে তাহাকে প্রতীনহিরোগ কহে । নাসিকা হইতে পীত বা শ্বেতবর্ণ গাঢ় অথবা পাতলা দোষের প্রাব হইলে তাঁহাকে নাসাম্রাব কহে । নাসাশ্ৰিত শ্লেষ্মা বায়ু কর্তৃক শোষিত এবং পিত্ত কর্তৃক অত্যন্ত প্রতপ্ত হইলে অতিকষ্ট্রে নিঃশ্বাসপ্রশ্বাস বহিতে থাকে, এইরূপ হইলে নাসাশোষ কহে । [ প্রতিশ্ৰায়ের বিবরণ প্রতিণ্ডায় শবো দেখ। ] পূৰ্ব্বে পীনসাদি লক্ষণ লিখিত হইয়াছে। এক্ষণে ইহাদের চিকিৎসার বিষয় বলা যাইতেছে। মস্তকের গুরুত, অরুচি, নাসিক হইতে অবনম্রাব, স্বরভঙ্গ এবং বারংবার নিষ্ঠীবন হইলে তাহাকে অপৰূপীনস কহে । এই অপৰূপীনসের লক্ষণান্বিত শ্লেষ্মা গাঢ় হইয়া নাসারন্ধে, সংলগ্ন হইলে এবং স্বর প্রসন্ন ও শ্লেষ্মায় বর্ণ বিশুদ্ধ হইলে পীনসপঙ্ক বলিয়া জানিতে হইবে। সকলপ্রকার পীনসরোগ হইবামাত্র দধি ও গুড়ের সহিত মরিচচূর্ণ সকল সময়ে ভোজন করিলে উপকার হয়। কটুফল, পুষ্করমূল, কাকড়াশৃঙ্গী, ত্রিকটু, দুরালভা এবং কৃষ্ণজীর এই সকল প্রবা চূর্ণ অথবা কথ’আদার রসসহ সেবন করিলে পীনস ও স্বরভেদ প্রভৃতি রোগ উপশমিত হয়। ত্রিকটু, চিত, তালাশপত্র, তিন্তিড়ী, অঙ্কুবেতস, চই ও কৃষ্ণজীর এই সকল সমভাগ, এলাচি ও দারুচিনি চতুর্থাংশ এই সকল চূণে, দ্বিগুণ পুরাতন গুড় মিলিত করিয়া যথামাত্রায় সেবন করলে, পীনস প্রভৃতি রোগ নষ্ট হয়। এই ঔষধের নাম বোমাদিবটী । কণ্টকারী, দন্তী, বচ, সজিন, তুলসী, ত্রিকটু ও সৈন্ধব এই সকল কস্ক স্বারা তৈল পাক করিয়া নস্ত গ্রহণ করিলে পুতিনাসা রোগ নষ্ট হয় । - সজিনাবীজ, বুছতী বীজ, দন্তীবীজ, ত্রিকটু ও সৈন্ধব এই সকলের কত্ত্ব, এবং বেলপাতার রস এই সকল দ্বারা তৈল পাক করিয়া দিলেও পুতিনাসা নিবারিত হয়। সুত, গুগগুলু এবং মোম মিলিত করিয়া ধূম প্রয়োগ করিলে ক্ষবথু ও ভ্রংশযু নষ্ট হয়। শুঠ, কুড়, পিপ্পলী, বিহুমুল ও দ্রাক্ষ এই সকল দ্রব্যের কাথ ও কন্ধদ্বারা তৈল যা য়ুত পাক করিয়া এই তৈলের নন্ত গ্রহণ করিলে ক্ষবথু রোগ ভাল হয় । দীপ্তিরোগে নিখ ও রসাঞ্জন দ্বারা মস্ত গ্রহণ এবং অল্প স্বেদ দিয়া দুগ্ধ ও জল পরিযেচনপূর্বক মুদগযুষের সহিত সেবন করিবে । নাসাম্রাবরোগে—নাসারন্থদ্বয় মধ্যে চূর্ণ নস্ত এবং নাত্নীদ্বারা প্রদেয় অবপীড় এবং দেবদারু ও চিতাম্বারা তীক্ষ ধূম ও ছাগমাংস হিতকারক । ( ভাবপ্র" নাসারোগাধি” )