পাতা:বিশ্বকোষ দশম খণ্ড.djvu/৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নিজামউদ্দীন আউলিয়া, সেখ নিয়াম-উদ্দীন ধ, ৰুহুরের শাসনকর্তা। মহারাজ রণজিৎ * সিংহ লিঙ্গাম-উদ্দীনের বিরুদ্ধে সর্দার ফতেসিংহকে প্রেরণ ቐ፪፻፹ ! প্রপর্মে ষ্টনি মহারাঙ্গের অধীনতা স্বীকার করিতে চাহেন নষ্ট । অবশেষে স্বীয় ঔদ্ধত্যের নিমিত্ত অকুতাপ করিয়া স্বীয় ভ্ৰাত, কুস্তব উদ্দীনকে মহারাজের নিকট প্রেরণ করেন। কুন্ত-উদ্দীন মহারাজের নিকট ভ্রাতার প্রতিনিধিস্বরূপ ক্ষম প্রার্থনা করিলেন। নিয়াম-উদ্দীন আরও স্বীকার করেন যে, কুন্ত-উদ্দীন একদল সৈন্ত সমভিব্যাহারে লইয়া লাহোররাজের অনুগমন করিবেন। বিশ্বাসার্থ তিনি দুইজন পাঠানসর্দার চাঙ্গি খ এবং বাসল থাকে লাহোরে আবদ্ধ রাখেন । অনন্তর মহারাজ একটা হস্তী ও অশ্ব পারিতোধিক দিয়া কুতবৃকে বিদায় দেন । এই প্রকারে নিজাম-উদ্দীন রণজিৎসিংহের অধীনে নিৰ্ব্বিঘ্নে করে ভোগ স্থল করিতেছিলেন । ইতিমধ্যে তদীয় গুলিক বাসল খা, হাজী খ ও নাজিব খার জায়গীরের উপর তাছার দৃষ্টি পতিত হইল। তিনি তাহাদের জায়গীর দখল করিলেন । র্তাহারা প্রতিশোধ লইতে উদং সীমত দেখায় নাই। উহার তিনজনে একত্র হইয়া গোপনে ঠান্থার প্রাণসংহার করেন। ১৮০২ খৃষ্টাব্দে নিয়াম-উদ্দীনের মৃত্যুর পর তীয় ভ্রাত কুতব-উদ্দীন তাছার স্থান অধিকার করেন। নিজাম-উদ্দীন আহ্মদ, খুজি, তবকৎ-ই-আকবরি নামক পারস্তগ্রন্থ রচয়িত। চিরাটবাসী খাজা মহম্মদ মুৰ্কীমের পুত্র। ইহার পিতা বাবর শাহের বিশেষ মমুগত ছিলেন । বাবরের যুস্থার পর হুমায়ুনের গুজরাত-অধিকার কালে ইনি তাঙ্গার ! সহচররূপে মাসিয়াছিলেন। অবশেষে দিল্লীশ্বর আকবর শাহের অধীনে কাৰ্য্য পান । পুত্র নিজাম উদীন আকবর শাহের অধীনে গুজরাতের বঞ্চি বা সৈন্তাধ্যক্ষের পদে নিযুক্ত হন । এই কার্যো থাকিয়াই [ str | | | তিনি ১৫৯৩ খৃষ্টাব্দে তারিখ-ই-নিজামি বা তবকৎ-ই-আকবরি নামক ইতিহাস প্রণয়ন করেন । এই পুস্তকে ১৩৩৮ হইতে । ১৫৯৪ খৃষ্টাঙ্গ পর্যাপ্ত বাঙ্গালার স্বাধীনরাজগণের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস বর্ণিত মাছে । ইনি ঐতিহাসিক বধ ৪নির বন্ধু ও আশ্রয়দাতা ছিলেন । ১৫৯৪ খুটাক্ষে ইরাবতীনদীতীয়ে ইনি দেহত্যাগ করেন। লাহোয় নগরে ইহার উদ্যান মধ্যে হার গোর হয় । নিজাম-উদ্দীম্‌ আউলিয়, সেখ, একজন মুসলমান ফকির ইঙ্গি লক্ষয়গঞ্জেয় সেখ ফকির-উজীনের শিষ্য এবং সৈয়দ জাহ্মদের পুত্র। বাওন জেলায় ১২৩৬ খৃষ্টাঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন। ইনি মুসলমান সম্প্রদায়ের মধ্যে বিশেষ শ্রদ্ধাভাজন নিজাম-উল-মুলক, বেহরী এবং বিখ্যাত সাধু বলিয়৷ সাধারণের নিকট পরিচিত। ১৩২৫ খৃষ্টাৰে এপ্রেল মাসে দিল্লী রাজধানীতে তাহার মৃত্যু হয়। গয়াসপুরে তাহার কবরের উপর যে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপিত আছে, তাহ মুসলমান-সমাজে তীর্থ মধ্যে পরিগণিত। সময় সময় মুসলমানগণ ফকির হইবার মানসে এই সমাধিমন্দিরে আসিয়া বাস করে। মস্তাপি মুসলমানগণ মানসিক দিবার জন্য পৰ্ব্বদিনে এই সমাধি-মন্দিরে আসিয়া নমাজাদি করিয়া থাকেন। নিজাম-উদ্দীন, সেখ, দিল্লীবাসী একজন বিখ্যাত মুসলমান ফকির। নিজামাবাদে ইহার সমূধিমন্দিরে পারস্তভাষায় ১৫৬১ খৃষ্টাব্দে বা ৯১৯ হিজিয়ায় উৎকীর্ণ একখানি শিলালিপি আছে। নিজাম-উদ্দীনপুর, বিহুতের অন্তর্গত একটা পরগণা। এই পরগণায় ৯টা জমিদারী আছে। সীতামাড়ীতে ইহার সদর আদালত। ইহার উত্তর ও উত্তরপূৰ্ব্বে কনহেলি এবং কমড়া ; দক্ষিণ এবং পশ্চিমে মহিলা লখাদিয়া নদী এবং ইহার শাখা ব্যতীত জন্য কোন নদী এই পরগণা দিয়া প্রবাহিত হয় না। সীতামাড়ী হইতে নেপাল পর্যন্ত যে রাস্ত আছে, তাহ। এই পরগণার মধ্য দিয়া গিয়াছে। নিজাম-উদ্দৌলা, নবাব, বাঙ্গালার শাসনকৰ্ত্ত মীর জাফরআলী থার জ্যেষ্ঠ পুত্র। ১৭৬৫ খৃষ্টাব্দে ইনি বাঙ্গালীর শাসনভার প্রাপ্ত হন । ইহার আসল নাম মন্ত্র ফুলবার। ইহার মাতার নাম মণিবেগম। ১৭৬৬ খৃষ্টাব্দে ইহার মৃত্যু হইলে তদীয় ভ্রাতা সৈফউদ্দৌলা বাঙ্গালার রাজ্যভার গ্রহণ করেন । নিজাম-উলমূল ক্ল, বেহরী,ইনিবিজয়নগরের অন্তর্গত গোদা বরী নদীর উত্তরস্থ পাগরি নামক গ্রামের কুলকরণি কোন ব্রাহ্মণের সন্তান। দক্ষিণাত্যের বাহ্মণবংশীয় মুলতান আহ্মদশাহের সৈন্য কর্তৃক ইনি অতি বাল্যকালে বন্দী হন। পরে মুলতানের আদেশে ইস্লাম ধৰ্ম্মে দীক্ষিত হইয়া ইনি রাজপরিবারবর্গস্থ ক্রীতদাসদিগের সস্থিত থাকিয়া, সুলতানের জ্যেষ্ঠ পুত্রের শিক্ষক দ্বারা আরবী ও পারস্ত ভাষায় বিশেষ বুৎপত্তি লাভ করেন। ১৪৮৩ খৃষ্টাব্দে স্থলতান মহম্মদশাহ ২য়, দক্ষিশাতোর সিংহাসনে মারোহণ করিলে ইনি একহাজারী পদ প্রাপ্ত হন। রাজার বাজপক্ষীর প্রতিপালক ছিলেন বলিয়া ইনি বেহরী নামে সাধারণে পরিচিত ক্রমে ইনি তৈলঙ্গের শাসনকর্তার পদে উন্নীত হয়েন । ১৫৮২ খৃষ্টাব্দে মহম্মদের মৃত্যুকালে ইনি তাহার পুত্র মাহ্মদের রাজ্যভারপরিচালনার জন্য মন্ত্রিপদ প্রাপ্ত হন। তাহার কার্থে পরিতুষ্ট হইয়া স্বলষ্ঠান •દાન খৃষ্টাঙ্গে বীড়, জাহ্মদনগর প্রভৃতি স্থান তাহাকে জায়গীরস্বরূপ দান করেন। তিনি এই জায়গীরের কার্য্যতার তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র মালিক আহ্মদকে প্রদান কন্ধিয় নিজ ক্ষমতা