পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সূৰ্য্য পরম্পর বিচ্ছিন্ন ও আভ্যন্তর সংগতিবিচ্যুত হইয়। হুঙ্কাস্তিস্বল্প অংশে পরিণত হইয় পড়ে। কাজেই নিম্নপ্রবাহী বাস্পস্রোতগুলি ক্রমেই অধিকতর অবিমিশ্র এবং উদ্ধ প্রবাহীগুলি ক্রমশঃ অধিকতর বিমিশ্র হইয়া থাকে। এই জন্তই এই সৌর বায়ুমওলের যে প্রদেশ অধিকতর শীতল সেই প্রদেশে আমাদিগের •iifja §•itqfta* ( Terrestrinl Elemerts ) •Igi* <I° দেখিতে পাওয়া যায় এবং আভামণ্ডলের সীমান্ত দেশে এই বাষ্পগুলি একেবারে কঠিন অবস্থায় পরিণত হয়। ইছা সহজেই বুঝিতে পারা যায় যে, এই দুষ্ট মতানুসারে স্বৰ্য্যের মা-মিক ঘনত্ব ( Mean density ) কখনই এক হইতে পারে না । সেীর বায়ুমণ্ডল যদি প্রকৃতপক্ষেই আলোকমণ্ডল দ্বারা সীমাবদ্ধ হইয়া থাকে, তবে তাহার ঘনত্ব ১-৪৪৪ বলিয়া পরিতে হয় । কিন্তু মাভামণ্ডলকেও যদি আমরা এট বায়ুমণ্ডলের শু গুভু ও করিয়া লই, এবং আ:ণকমণ্ডল হইতে ইহার উচ্চঙ্গ যদি অন্ধকোটি মাইল ধরিয়া লষ্ট, ভtহা হইলে হুর্য্যের আয়তন পূৰ্ব্বো ও মতানুরূপ আয়তনের দশগুণ বেশী হইয় পড়ে ; কাজেই এই অবস্থায় হুর্যের ঘনত্ব ", এ মাত্র হইবে । সৌরমণ্ডলে কি কি পদার্থ আছে, তৎসম্বন্ধে পর্যবেক্ষণ দ্বারা প্রধানতঃ দুই রকম মতের সৃষ্টি হইয়াছে। প্রথম মতে চহাতে লেীছ, তাম্র, দস্তা, নিকেল, বারিয়ামূ, সোডিয়াম, কালসিয়ম্ ও মাগনেসিয়াম এবং দ্বিতীয় মতে, জলযান, মাঙ্গোনিজ, টাঙ্গটোনিয়ামূ,কোবান্ট, ক্রোমিয়াম,নিকেল, মাগনেসিয়াম্, কালসিয়াম্ লৌহ ও সোডিয়াম্ আছে। সম্প্রতি যে সকল পৰ্য্যবেক্ষণ করা হইয়াছে, তাহার ফলে আরও অনেক নুতন নুতন পদার্থ আবিষ্কৃত হইয়াছে । অম্লজান'ও আছে কি না, সে বিষয়ে এখন ও কোন স্থির মীমাংসা হয় নাই । স্থৰ্যমগুলের অভ্যস্তর প্রদেশ একেবারেই আবৃত, সাধারণতঃ BBDS DBB BKBBBS BB DDBB BBBBBB বলা হয়, তাহ দেখিয়া থাকি। বর্ণমণ্ডল এবং আভামণ্ডল নামে যে ফুষ্টটি আবরণীর কথা বলিয়াছি, তাঙ্ক সাধারণতঃ আমাদিগের দৃষ্টিগ্রাঙ্ক নহে। প্রথমটিকে কেবল Spectroscope নামক যন্ত্রের সাহাধ্যে এবং দ্বিতীয়টিকে কেবল পূৰ্ণ গ্রহণের সময় দেখিতে পাওয়া যায় । বর্ণমণ্ডলটি রক্তাভ ; হছা কতকগুলি স্বতঃজ্যোতিষ্মান বাষ্প দ্বারা গঠিত । আর শাভ,মওলটি কতকগুলি স্বপ্নাতিস্বল্প পদার্থের শৃঙ্খলারহিত সমষ্টিমাত্র । - আলোকমণ্ডলটি যে নিরবচ্ছিন্ন কোন কঠিন পদার্থ কিম্ব গলিত ধাতুর স্থায় কোন সাধারণ তরল পদার্থ নখে, তাছ ७९ *काम नि=िछङक्रt*३ जाना शिग्रांप्छ् । काब्र१ oहे झई [ ১২৭ ] সূৰ্য্য রকমের কোন পদার্থ হইলে, যে প্রচওভাবে ইহা তাপ বিকীরণ করিয়া থাকে, তাহার ফলে দেখিতে না দেখিতেই ইষ্ট। একেবারে শীতল হইয়া পড়িত। ইহা জলের মত কোন স্বচ্ছও তরল পদার্থে গঠিত হইলেও, ইহা হইতে যে তাপ বিকীর্ণ হইয়া থাকে, তাহা ইছার পৃষ্ঠদেশের কয়েক গজ উপর হইতে মাত্র উদ্ভূত হইত এবং কয়েকটি মাত্র মিনিট বা ঘন্টার মধ্যেই এই পৃষ্ঠদেশ একেবারে ঠাগু হইয়া পড়িত। বাস্তবিক আমরা ৰে ভাবেই আলোকম গুগটিকে গঠিত বলিয়া মনে করি ন! কেন, ইহা যদি বরাবর একই অবস্থায় থাকিত, তবে প্রত্যহট ইছ কয়েক হাজার ডিগ্রি করিয়া উত্তাপ হীরাইয়া ক্রমশঃ শীতলতা প্রাপ্ত হইত। কাজেই যে পদার্থ হইতে তাপ বিকীরণ হয়, সেই পদার্থের পরিপূরণের জন্ত প্রতিনিয়তই যে ềetts arī cats Convection cnrrent প্রবাহিত হইতেছে, ইহা নিশ্চয়রূপে বুঝিতে পারা যায় । সূৰ্য্যান্তর্গত প্রদেশগুলি অক্ষরেখার চতুর্দিকে প্রতিনিয়ন্ত ঘুরিয়া বেড়াইতেছে ; কিন্তু সকল গুলি প্রদেশ ঠিক একই বেগে ঘুরিয়া বেড়ায় না। একবার অক্ষরেখাটিকে বেষ্টন করিয়া আসিতে মেরুসমীপবৰ্ত্তী প্রদেশগুলিরষত সময়েয় আবগুক হয়, বিষুবরেখার সমীপবৰ্ত্তী প্রদেশগুলির তাঙ্গ অপেক্ষ অনেক কম সময় লাগে। ইহার কারণ সম্বন্ধে ১৯০১ খুঃ কাজে এম্‌ডেন বলিয়াছেন যে আলোকমণ্ডলের মেরু সমীপবৰ্ত্তী প্রদেশগুলি বিষুবরেখা-সংলগ্ন প্রদেশ ইষ্টতে অধিকতর উত্তপ্ত বলিয়াই এইরূপ গতি-বিভিন্নতা পক্ষিত হুইয়া থাকে । আরও অনেকে অনেক প্রকারের কারণ দর্শাইবার চেষ্টা করিয়াছেন, কিন্তু এখনও কোন মতই একেবারে ঠিক বলিয়া গৃহীত হয় নাই । আলোকম গুগে কতক গুলি দাগ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহুদিগের উৎপত্তি সম্বন্ধে নানা প্রকার মত প্রচলিত আছে । অনেক দিন পৰ্য্যস্ত এষ্টরূপ বিশ্বাগই বলবৎ ছিল যে, ষ্টহার আলোকমণ্ডলের গাত্রে শীতল পদার্থের পতন দ্বারা উৎপন্ন দাগ বা গহবরবিশেয । সৌরবায়ুমণ্ডলের নিয় প্রদেশ হইতে যে উত্তপ্ত বাষ্প উৰ্দ্ধদিকে উত্থিত হইয়া থাকে, তাঙ্গ ইহার উপরস্থ শী গুল প্রদেশে আসিয়া জমিয়া শক্ত হইয়া বায় এবং ইহাদিগের পতন দ্বারা অবশেষে দাগগুলির সৃষ্টি হইয় থাকে । আলোকম গুলের প্রায় সৰ্ব্বত্রই এইরূপে দাগ জন্মিয় থাকে, কিন্তু সকল স্থানের দাগ আয়তনে সমান নহে। প্রথম অবস্থায় বড় বড় দাগগুলিকে ছোট ছোট ফোটার মত দেখা বায় । কখন কখন এইরূপ অনেক গুলি ফোট৷ এক সঙ্গে দেখতে পাওয়া যায়। এই গুলিই পরে" পরস্পরের সঙ্গে জড়িত হইয়া বৃহৎ একটা দাগে পরিণত হয়। যে সকল