পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বষ্টিতত্ত্ব [ প্রত্যয়পরে বিকল্পে ইড়াগম হয়। লট, সৰ্ভতি । লোট, সর্ততু । লিট সপর্ড। লুঙ, অসভৎ। স্মর (পুং ) সরতি তচ্ছীল স্ব-গর্তে (স্ববন্ত দঃ কৱচ। প৷ ৩২।১৬• ) ইতি করচ, । ১ পশুবিশেষ । (অমর ) ২ বালমৃগ । “বরাহমৃগসিংহাশ্চ মহিষী: স্বমরাস্তথা। ব্যাঘ্ৰগোকর্ণগবয় বিক্রেস্থঃ পুষতৈঃ সহ ॥” ( ક્ષtમtાન ગ૪ - ગ8ર ) ৩ মৎস্তাকার মহাশূকর। ( বৈস্তকনি ) ও শরৎকালে শৃঙ্গত্যাগী মৃগবিশেব। স্বশ্ৰতমতে ইহার মাংসগুণ কম্বায়রস, বাতপিত্তয়, গুরু ও শুক্রবর্দ্ধক । ( সুশ্রত স্বত্রস্থা° ৪৬ অ” ) স্বমল (পুং) অস্বরবিশেষ। তুষ্ট (ত্রি) স্বজ-ক্ত। ১ নিৰ্ম্মিত । ২ যুক্ত। ৩ নিশ্চিত। ৪ বছল । ( মেদিনী ) ৫ ভূষিত । ( অজয় ) ও ত্যক্ত। “মহাব্ৰহ্মধিস্থষ্ট বা জলস্তা ভীমদৰ্শনঃ ” (রামায়ণ ২,৩৫।১৫) ( স্ত্রী ) স্বজ-ক্তিন। ১ নিৰ্ম্মিত, নিৰ্ম্মাণ । ২ স্বভাৰ । ৩ নিগুণ । স্বষ্টিকৃৎ (ত্রি ) পৃষ্টিং করোতি কু-কিপ-তুক্‌চ। স্বষ্টিকৰ্ত্ত, ব্রহ্ম, ধিনি জগৎ সৃষ্টি করিয়াছেন। ২ পর্প টকক্ষুপ, চলিত ক্ষেতপাপড়া । সৃষ্টিতত্ত্ব (কী ) স্বষ্টির বিষয়। যখন হইতে মানুষ চিন্তা করিতে আরম্ভ করিয়াছে, তখন হইতেই তাহার ধীশক্তি, কল্পনা ও বুদ্ধি তাহার নিজের এবং বিশ্বসাম্রাজ্যের স্বষ্টিকর রহস্তোদঘাটনের চেষ্টা করিয়৷ আসিতেছে । “আমি কে ? কোথা হইতে আসিয়াছি ? কোথায় আসিয়াছি ? কোথায় আমার ও আমার এই লীলাক্ষেত্রের পরিণতি ? স্বভাবতঃঠ চিস্তাশীল মামুযের মনে এই সকল প্রশ্ন উদিভ হইয়। থাকে এবং ইহার উত্তরের উপর তাহার সমগ্র জীবনের সুখদুঃখ আশা-ভয়স নির্ভর করিয়া থাকে । সভ্য অসভ্য সকল যুগের সকল জাতিই এই কৌতুহলের বশবৰ্ত্তী হইয়া জগতের উৎপত্তি ও পরিণতি সম্বন্ধে এক প্রকার মীমাংসায় উপস্থিত হইয়াছেম । এখানে সংক্ষেপে তাঁহায় ইতিহাস দেওয়৷ যাইতেছে । ভারতের আর্য্য ঋবিগণ বোধ হয় স্বষ্টিকে ভগবানের প্রাকৃতিক অস্তিত্বেয় অঙ্গীভূত বলিয়া ধরিয়া লইয়াছেন। স্মৃষ্টির আদিও নাই, অন্তও নাই অর্থাৎ স্বয়ন্ত, তগবান অনবরত হুষ্টিকাৰ্য্যে ব্যাপৃত রহিয়াছেন। কাজেই স্থই হইয়াও পদার্থ অনাদি ও অনন্ত। “একোংহুং বহু গুণম্” কথাটিই জগতের মূলীভূত কারণ, কিন্তু এই ইচ্ছা যে ভগবানের মনে কথন হুইয়াছিল, তাহ কেহ নিৰ্দ্ধারণ করিতে পারেন নাই এবং একত্ব ও বহুত্বের og 8 } ধারণাই বা তাহার কোথা হইতে আসিল, ইহাও মানববুদ্ধির অতীত। ময়ু প্রভৃতি সংহিতাকারদিগের মতে সৃষ্টিকার্ধ্য আনবরত চলিতেছে সত্য, কিন্তু সময়ে সময়ে পরিদৃগুমান বিশ্বসংসারটি একেবারে বিলুপ্ত হইয়া আবার আপনার স্রষ্টার ধারণtয় যাইয়া বিলীন হইয়া যায়। তখন একটা ঘন ও গাঢ় তমঃ ব্যতীত আর কিছুরই অস্তিত্ব থাকে না । “আসীদিদং তমোভূতমগ্রজ্ঞাতমলক্ষণং। অপ্রতর্কমবিজ্ঞেয়ং প্রস্বগুমিব সৰ্ব্বতঃ ॥ ততঃ স্বয়ম্ভুৰ্ভগবানবাক্তে ব্যঞ্জয়মিদং । মহাভূতাত্ত্বিত্তৌজা: প্রন্থিয়াসীত্তমোমুদঃ ॥” ( মছু ১৫.৯ ) এই পরিদৃপ্তমান বিশ্বসংসার এক কালে গাঢ় তমসাচ্ছন্ন ছিল, সেই সময়ের অবস্থা প্রত্যক্ষের অগোচর, কোন লক্ষণ দ্বারা তাহ অনুমান করা যায় না, তখন ইহা তর্ক ও জ্ঞানের অতীত হইয়া সৰ্ব্বতোভাবে যেন গ্রগাঢ় নিদ্রায় নিদ্রিত ছিল । পরে স্বয়ভূ অব্যক্ত ভগবান মহাভূতাদি চতুৰ্বিংশতি তত্বে এই বিশ্বসংসারকে ক্রমে ক্রমে একটিত করিয়া সেই তমোভূত অবস্থার বিধ্বংসক হইয় প্রকাশিত হন । এই ভাবে মানষমাত্রগ্রাহ স্বগ্নতম অব্যক্ত সেই সৰ্ব্বভূতময় অচিন্ত্যপুরুষ শরীরী হইয়া পরিদৃপ্তমান ব্ৰহ্মাণ্ডের প্রত্যক্ষ কারণ স্বরূপ প্রকটভ হইলেন। তৎপরে প্রকাশুভাবে কৃষ্টিকাৰ্য্য আরম্ভ হইল। প্রজাস্যষ্টিমানসে নিজদেহ হইতে স্বরং শরীরী ভগবান ধ্যানযোগে সৰ্ব্বপ্রথমে জল স্থষ্টি করিয়া তাহাতে বীজ নিক্ষেপ করেন । তখন সেই বীজ হইতে স্নবর্ণেপম স্বৰ্য্যসদৃশ তেজোময় এক অও উদ্ভূত হইল এবং সেই অওমধ্যে ভগবান নিজে সৰ্ব্বলোক পিতামহ ব্ৰহ্মার রূপে জন্ম গ্রহণ করিলেন ৷e এই ব্ৰহ্মাণ্ডে ব্রাহ্ম মানের সংবৎসরকাল বাস করির ভগবান ব্ৰহ্ম আত্মগভ ধ্যানবলে উহাকে দ্বিখণ্ডিত করিয়া ফেলেন, উদ্ধখণ্ডে স্বৰ্গ দিলোক ও অধোখওে পৃথিব্যাদি এবং মধ্যদেশে আকাশ, অষ্টদিক্‌ ও শাশ্বত সমুদ্রসকল স্থষ্টি করেন। ইহার পরে তিনি মহত্তত্বের বিকাশ ও আত্মামুভব মনের উদ্ধার সাধন করেন। তৎপরে বিষয়গ্রহণক্ষম ইঞ্জিয়াদি,অনন্তকার্যক্ষম অহঙ্কার ও দেবমমুষ্যাদি জীবের উৎপত্তি হয় । [বিস্তারিত বিবরণ পৃথিবী শব্দে দেখ ] এইরূপে সংখ্যাতীত মন্বস্তুয় এবং বিশ্বের স্থষ্টি ও লয় হইয়াছে।

  • "সেইভিধ্যায় শরীরাৎ স্বtৎ সিস্বফুৰিবিধা: প্রজাঃ।

অপ এব সসর্জাম্বে তার বীজমবাহুজৎ । তদওমভবজৈমং সহস্ৰাংগুসমগ্ৰণ্ডং । তন্মিল জজ্ঞে স্বয়ং রক্ষা সৰ্ব্বলোৰূপিতামহঃ ।" (মজু ১৮-৯ )