পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৫৭ বিষ্ণুপুরাণের হ্রয়োদশ অধ্যায়ে পৃথুচরিতের ষে একটি আখ্যান আছে,তাহা হইতে জানা যায় যে, প্রথম হইতেই পৃথিবী গ্ৰামশতশালিনী ছিল না। রাজা পৃথু প্রজাবর্গের হিতার্থ গোমুক্তি দেবী বস্থঙ্করাকে সন্মত করিয়া এবং স্বাস্থস্থৰ মনুকে তাহার বৎস কল্পনা করিয়া বন্ধন্ধর হইতে শগুণি দোহন করিয়ছিলেন । এই ভাবে স্থষ্টি-প্রক্রিয়া সম্বন্ধে নানারূপ মত দৃষ্ট হইলেও, সকল হিন্দুশাস্ত্রেরই মূলভিত্তি হইতেছে এই একটি কথা, “একোইহং বহুস্তামূ” । অর্থাৎ স্বয়ং ভগবানের এই যে ইচ্ছ, ইহাই হইল স্বষ্টির মূলভূত কারণ। এই ইচ্ছা হইতেই প্রকৃতির উদ্ভব হইয়াছে। প্রকৃতিতে যে শক্তি, তাহাও ঐশী শক্তিরই ফুরণ মাত্র । বর্তমান নেপালী বৌদ্ধধৰ্ম্মে ও ভগবানের এই ইচ্ছার উপরই জগৎকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে। স্বয়ং পরমপুরুষ মহাশূন্ত অনাদি ও অনস্ত। র্তাহার জ্ঞান ও শক্তি উভয়ই পুর্ণ। পূর্ণজ্ঞানরূপে তাহার নাম আদিবুদ্ধ এবং পূর্ণশক্তিরূপে তাহার নাম আদি ধৰ্ম্ম ৰ আদি প্রজ্ঞ । এই উভয়ই অনাদি ও অনন্ত ; এবং পরম্পরের মধ্যে সাহায্য থাকিলেও উভয়ই সম্পূর্ণ বিভিন্ন । মহাশূন্তের ইচ্ছামাত্রে আদিবুদ্ধ ও মাদ প্রজ্ঞার সাহায্যে ঐশী-শক্তিসম্পন্ন বুদ্ধ ( ও দেবগণ ) উৎপন্ন হন । আদিবুদ্ধ চিরকালই নিৰ্বাওতে স্বযুপ্ত । জগৎস্থষ্টির নিমি ও পঞ্চ বুদ্ধকে আস্থ হইতে বিদূরিত কjরয়াই তিনি ক্ষাগু হইলেন । প্রকৃতপক্ষে তিনিই বিশ্বের মুলাভূত প্রথম ও প্রধান কারণ হইলেও, স্থল দৃষ্টিতে এই পঞ্চ বুদ্ধই স্থষ্টির কর্তা বলিরা গৃহীত হইয়া থাকেন। ইহার পরস্পরে ভ্রাতৃভাবে সম্পর্কিত । কিন্তু চতুর্থভ্রাতা অমিতাভ ছইতেই বর্তমান বিশ্বের কত্তা বোধিসত্ত্ব পদ্মপাণির উদ্ভব হইয়াছে বলিয়া তাহাকেই বিশেষরূপে পূজা করা হইয়া থাকে। আদিবুদ্ধ প্রত্যেক বুদ্ধকেই পুত্ররূপে এক একটি বোধিসত্ত্ব স্থষ্টি করিবtয় ক্ষমতা প্রদান করেন । তদন্থসায়ে পঞ্চবুদ্ধ পঞ্চ বোধিসত্ত্ব হুষ্টি ও র্তাহাদিগকে আপনাদের ঐশী শক্তি ও বিভূতি দান কল্পিয়া আদিবুদ্ধে বিলীন হইয় যান। তদবধি তাহার সেই অবস্থায়ষ্ট বিরাজ করিতেছেন। ব্ৰহ্মাণ্ডের সঙ্গে তাহাদিগের আর কোন সংশ্রৰ নাই। বোধিসত্ত্বগণই জগতের হুষ্টি, রগণ ও পালন করিয়া আলিতেছেন । ময়ূরভঞ্জে ষে মহিমাধর্ষিগণ বাস করিতেছেন, তাহারাও প্রকৃতপক্ষে বৌদ্ধ । পৃষ্টিতত্ত্ব সম্বন্ধে তাছাদিগের এইরূপ ধায়শা— একমাত্র স্বয়স্থ মহাশূন্তই জগতের আদিভূত কারণ। পৃষ্টিয় পূৰ্ব্বে উtহাতে কোন বিভূতি ছিল না । যখন স্থষ্টি কৱিবার ইচ্ছ হইল, তখন তিনি বিভূতি প্রকাশ করিবার জন্য মূৰ্ত্তি পরিগ্রহ 源 XXII So } স্বষ্টিতত্ত্ব করিলেন এবং তৎপরে ধৰ্ম্মনামে আত্ম-প্রকাশ করিলেন । এই অবস্থায় তঁহার ললাটদেশের ঘৰ্ম্ম হইতে বিশ্বের আদিশক্তিস্বরূপ একটি রমণী জন্মগ্রহণ করেন এবং সেই রমণী হইতে ব্ৰহ্ম, বিষ্ণু ও মহেশ্বর উষ্ণু ও হইলেন । তখন জগতের স্বাক্ট ও পালনের ভায় তাহাদিগের উপর অপি ত হইল । তদনুসারে ই হার জগৎ স্বষ্টি করেন এবং অদ্যাবধি তাহ রক্ষা করিয়া জালিতেছেন। গ্রীসের প্রাচীন যুগের দার্শনিকগণ হুই-তত্বের আলোচনা করতে বসিয়া ইরূপ সিদ্ধান্তে উপনীত হইয়াছিলেন। প্রথম মতে জগতের রূপ ও স্থিতি কাল উভয়ই অনাদি ও অনস্ত। অর্থাৎ যে অবস্থায় আমরা জগৎকে দেখিতেছি, ইছা বরাবর সেই অৰস্থায় আছে ও থাকিবে । আরিষ্টটুলই এই মঙ্গের প্রথম ও বত্বক। তিনি বলেন, যাহার কারণ অনাদি ও অনস্ত, তাহ নিজেও অনাদি অনন্ত। প্রকৃত পক্ষে ইহাকে তিনি স্বয়ষ্ণু হইতে ফুরিত বলিয়া মনে কল্পিয়া থাকেন । প্লেটোয় মতে অনস্ত কাল হইeে যে অপরিবর্তনীয় idea পরিবর্তনশীল পদার্থের সঙ্গে সন্মিলিত হইয়া রছিয়ছে জগৎ তাহারই অনাদি ও অনস্ত বহিঃ প্রকাশমাত্র । আলেকসান্দ্রিয়ায় ষষ্ঠ শতাব্দীতে যে নিও-প্লেটেনিষ্ট দাশনিক সম্প্রদায়ের উদ্ভব হইয়ছিল, তাহাদিগের মতে ঈশ্বর ও জগৎ উভয়ঙ্গ তুল্যৰূপে অনাদি অনন্ত । আবার জেনোফেনিস প্রভৃতির মতে ভগবান ও ব্রহ্মী ও এক ও অeিন্ন । অধুন। জন্মণীতেও এষ্ট মতেরই প্রচলন দপিতে পাওয়া যায়। দ্বিতীয় মস্তানুসারে ভগবানের সঙ্গে সঙ্গে পদার্থ টাকে ও অনাদি অনন্ত ধরিয়া লওয়া হয় । কিন্তু প্রথম মতেয় দ্যায় পদার্থের বর্তমান রূপটকেও সেইরূপ মনে না করিয়া ইঙ্গকে সমরাধীন অর্থাৎ দৃষ্ট বলিয়া গ্রহণ করা হয় । এই মতের সমর্থকগণ বলেন যে বিশ্বব্রহ্মা ও প্রথমতঃ একটা শৃঙ্খল ৪ নিয়ময়ছিত জড়পিওবং ( Chaos ) ছিল। হেসি মডের মতে এই জড়পিও হইতে প্রথমে এরিবাস ও বায়ষ্ট এবং পরে বায়ু ও দিব এই দ্বন্দ্বদ্বল্প জন্ম গ্রহণ করে । আমাদিগের শ্রুতি, স্মৃতি ও জৈনমতে যে আণবিক শক্তির উল্লেথ দেখিতে পাওয়া যায়, দার্শনিক এপিকিউরাসেল্প অনুবত্তী পাশ্চাত্য দার্শনিকগণ সেই অন্ধ শক্তিকেই বিশ্ব ব্ৰহ্মাণ্ডের পৃষ্টিকর্তা বলিয়া গ্রহণ করিয়াছিলেন। ষ্টোইক্সম্প্রদায় ভগধান ও পদার্থ এই দুইটিকেই কৃষ্টির মুলীভূত বtয়ণ ঘলিয়া মনে করেন। ই হাদিগের মধ্যে প্রথমটি ক্রিয়াশীল ও ৰিষ্টীয়টি ক্রিয়াস্থল, এবং দ্বিতীয়টার উপরে প্রথমটি যে ক্রিয়া कब्रिटङ८झ, छहtब्रहे गरण छशं९ उंडूङ इहेब्रfcह । किनिगैौब्र বাবিলোনীয় এবং ইজিপসীয়গণও হেসিঅডের মন্ত জড়পিও হইতে জগতের উৎপত্তি হইয়াছে বলিয়া ৰিশ্বাস করিতেন । তৃতীয় মতানুসারে জাদিতে এক ভগবানই ছিলেন, তাঙ্গর