পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সোমনাথ [ s॥১৫• ) ইতি মনি। ১ যজ্ঞদ্রব্য। ২ চন্দ্র। সোমা চঞ্জে যজ্ঞত্বব্যঞ্চ' (উজ্জল ) লোমনদীশ্বর (পুং ) শিবলিঙ্গবিশেষ । লোমনাথ (দেওপত্তন,প্ৰভাসপত্তন ও বেরবলপৱন নামেও খ্যাত) বোম্বাই প্রেসিডেন্সির অধীন কাঠিয়াবাড়ের অন্তর্গত জুনাগড়ब्रांrछाब्र अखङ्कखि ७कप्लेि यांौन नभम । हेश कांटैिब्रांवाफ़ উপদ্বীপের দক্ষিণ উপসাগরোপকূলে অক্ষা” ২২°৪' উত্তরে ও দ্রাখি" ৭১* ২৪ পূৰ্ব্বে অবস্থিত। এই উপসাগরের উপকূলরেখার পশ্চিমতম গ্রান্তে বেরাবল বন্দর। এই বন্দরের নামানুসারে এই স্থানটি সাধারণতঃ বেরাবলপন্তন বলিয়াই পরিচিত। সাগরকুলে, এই দুই সহর হইতে প্রায় সমদূরে যে একটি বিশাল ও উচ্চ মন্দির দেখিতে পাওরা যায়, তাহাই ইতিহাসবিশ্রত সোমনাথের মন্দির । এই মন্দিরে ভগবান শিবের ( সোমনাথের ) লিঙ্গমূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত আছে । ইহার কয়েক গজ পশ্চাতে ভtটকুও নামক একটি জলাশয় আছে। প্রবাদ এইরূপ যে, শ্ৰীকৃষ্ণ ইগরই জলে তমুত্যাগ করিয়াছিলেন । আরও পশ্চাতে গিরি নামক পাৰ্ব্বত্য জেলা অবস্থিম্ভ । গিরনার নামধেয় পবিত্র শৈলটি মন্দির হইতে কিঞ্চিৎ দূরবর্তী। সোমনাথের প্রতিধূলিকণায় সঙ্গে ইহার চতুষ্পার্শ্ববর্তী সকল স্থানের সঙ্গেট শ্রীকৃষ্ণের স্থতি বিজড়িত রচিয়াছে, তবে ইহাদের মধ্যে লোমনাথ সহরের পূর্ববৰ্ত্তী একটি স্থানকেই লোকে সমধিক শ্রদ্ধা ও তক্তির চক্ষুতে দেথিয় থাকে। তিনটি সুন্দর জলধারায় সঙ্গমস্থলের সমীপবৰ্ত্তী এই স্থানকে লক্ষ্য করিয়া লোকে বলিয়া থাকে যে, কৃষ্ণের দেহ এই স্থানে ভস্মীভূত হইয়াছিল। সোমনাথে আসিলে মন বড়ই নিরাননা ও অপ্রফুল্প হইয়া পড়ে । ইহা যেন কেবলই সমাধিক্ষেত্র ও ধ্বংসাবশেষে পৰ্য্যৰলিত। পশ্চিমের সমতল ক্ষেত্রটি মুসলমানকবরে সমাকীর্ণ; আর সছরের পূর্ব ভাগটি হিন্দুর মন্দির ও স্মৃতিচিহ্নে পরিপূর্ণ। সমৃদ্ধির দিনে স্বরক্ষিত করিবার জন্ত ইহার দক্ষিণ প্রান্তে একটি দুর্গ নিৰ্ম্মাণ অপর প্রাস্তত্রয়ে পৰ্ব্বতগাত্র কাটিয়া একটি থান খনন করা হইয়াছিল। দুর্গটি প্রায় সমুদ্রের উপরেই প্রতিষ্ঠিত, জোররের সময় ইছার পাদদেশ সাগরেম জলে বিধৌত হইত। ইহা সমচতুভূজ, প্রত্যেক প্রান্তের মধ্যস্থলে একটি করিয়া ফটক আছে। সোমনাথ শিবের মন্দিরের জন্যই এই স্থান সমধিক গ্রসিদ্ধ। ছিন্দুগণের নিকট ইছা একটি পরম পবিত্র তীর্থস্থান। [মন্দির সম্বন্ধে বিস্তারিত বিবরণ মাঙ্কদ শম্বে দেখ ]। এই মন্দির কোন সময়ে ষে কে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন,তাহ অস্থাপি নিশ্চিতরূপে জান৷ [ سياستاذ সোমপ স্বাক্ষ নাই। নগরপ্রতিষ্ঠাতার নাম এবং প্রতিষ্ঠার সময়ও সম্পূর্ণ অপরিজ্ঞাত । খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীর পূৰ্ব্বে এই অঞ্চলের ৰে কি অবস্থা ছিল, তাহ এখনও নির্ণীত হয় নাই। অষ্টম হইতে একাদশ শতাব্দীতে মাজুদের আক্রমণের পূর্ব পর্যন্তও હારે প্রদেশের ইতিহাস একেবারেই নীরব । মাত্র ইহাই শুনিতে পাওয়া বায় যে, অষ্টম শতাব্দীতে কাঠিয়াবাড়ের এই অঞ্চলে চাবড় নামক এক রাজপুত রাজবংশ রাজত্ব করিতেন, ইহারা চালুক্য বা সোৱকি রাজপুতগণের অধীন ছিলেন। টঙ্গর পরে মাহ্মদ সোমনাথ জর ও বিধ্বস্ত করিয়া প্রভূত ধনরত্ন লাভ করেন । [ মান্ধ, শৰা দেখ ]। মুর্কিট বহুমূল্য প্রস্তরে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। বিধ্বস্ত করিবার পরে অধিকাংশ প্রস্তরখণ্ডই গজনীর জমি-মঙ্গজিদের কাজে লাগান হইরাছিল । গজনীতে প্রত্যাবর্তন করিবার সময় তিনি এতদেশে দেবশৰ্ম্ম নামক একজন ব্রাহ্মণকে শাসন কর্তা নিয়োগ করিয়া যান। চেলুক্যপতি দুর্লভরাজ তাহাকে তাড়াষ্টয়া সোমনাথ উদ্ধার করেন । ইহার পরে রাঠোরবংশোদ্ভব ভজনবংশীয়গণ সোমনাথ অধিকার করেন। ইছাদের আমলে সোমনাথের নষ্ট গৌর্য অনেক পরিমাণে উদ্ধার করা হইয়াছিল। কিন্তু ১৩o• খৃষ্টাব্দে আবায় জানগখ। শির্ক সোমনাথ অধিকার করিয়া মুসলমানরাজ্যের প্রতিষ্ঠা করেন। এই সময় ইষ্টতে এখানে মুসলমানপ্রভুত্ব বলবৎ হষ্টয়া উঠে। মোগলসাম্রাজ্য ধবংস হইবার পরে, বিভিন্ন সময়ে মাংগ্রোলের সেখগণ এবং পোরবন্দরের রাণাগণ সোমনাথে রাজত্ব করেন। অবশেষে জুনাগড়ের নবাব ইহা অধিকার করেন এবং তদবধি ইহা এই নযাববংশীয়দিগেরই শাসনাধীনে রহিয়াছে। সোমনাথরস (পুং ) প্রমেহরোগাধিকারের রসৌষধবিশেষ । প্রস্তুত্তপ্রণালী—পালিধার রসে শোধিত পারদ ২ তোলা, ও ইন্দুরকাণি পানীর রসে শোধিভ গন্ধক ২ তোলা, এই উভয়ে কজ্জলী করিয়া তাহার সহিত লৌছ৮ তোলা মিশ্রিত করিয়া ঘৃতকুমারীর রসে মাড়িবে, পরে উহার সহিত অভ্র, বঙ্গ, রূপা, খর্পর, স্বর্ণমাক্ষিক ও স্বর্ণ প্রত্যেকে ১ তোলা মিশাইরা ঘৃতকুমারী ও খুলকুড়ীর রসে ভাবনা দিয়া ২ রতি প্রমাণ বটিক প্রস্তুত করিবে। অম্বুপান মধু, এই ঔষধ সেবনে সকল প্রকার সোমরোগ এবং স্থলারুণ বিংশতি প্রকায় প্রমেছ ও মুত্রাক্ষত আগু প্রশমিত হয়। প্রমেহ ও সোমাধিকারে এই ঔষধ সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট এবং প্রত্যক্ষ ফলপ্রদ। ( ভৈষজ্যরঞ্জা” প্রমেছয়োগাধি” ) সোমনেত্র (মি) ১ চন্ত্রের ন্যায় নেজযুক্ত । সোমপ ( পুং) সোমং পিবতীতি পা-ৰ । ৰাগে পীতসোমলতা রস, যিনি ৰজ্ঞ করির সোমরস পান করিয়াছেন, পৰ্য্যায়—সোমগীতি, সোমপা । ( অমরটীকা )