পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৩২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্মৃতি যানি দক্ষিণ তস্তানি ব্যাখ্যাস্তামঃ ॥১৮ যথৈতদহপেতেন সহ ভোজনং ত্ৰিয়া সহ ভোজনং পযুষিতভোজনং মাতুলপিতৃঘস্থদুহিতৃগমনমিতি ॥১৯ অথেত্তিরত উর্ণাবিক্রয়ঃ সীধুপানযুভয়তোদদ্ভিব্যবহার আয়ুধীয়ঞ্চং সমুদ্রযানমিতি ॥“২• ইতরদিতরম্মিল কুৰ্ব্বনৃ হ্যাতি ॥২১ তত্ৰ তত্র দেশ প্রামাণ্যমেব স্তাৎ ॥২২ মিথ্যৈতদিতি গৌতমঃ ॥২৩ উভয়ং চৈব নাদ্রিয়েত শিষ্টস্মৃতিবিরোধদর্শনাৎ ॥২৪” অর্থাৎ দক্ষিণ ও উত্তরে পাঁচ প্রকার বি প্রতিপত্তি আছে । তন্মধ্যে যেগুলি দক্ষিণে, সেগুলি বলিব । যথা— ব্রাহ্মণের ) অনুপনীতের সহিত ভোজন, স্ত্রীর সহিত ভোজন, পর্য্যুষিতাম্নভোজন, মাতুলকন্ত ও পিতৃথসার কস্তাগমন । এইরূপ উত্তরে (ব্রাহ্মণের ) উর্ণবিক্রয়, মদ্যপান, উপরে ও নীচের মাড়ীতে দাত [ లిxd ] আছে এরূপ পশুবিক্রয়, অস্ত্রশস্ত্রের ব্যবসার ও সমুদ্রযাত্র । কিন্তু অপর যে স্থানে ঐ সকল কার্যে দেয দিয়া থাকে, সেই সেই স্থানে দেশাচারষ্ট গ্রামাণ্যবৎ । গেী ১ম বলেন, ইহা ঠিক নহে । উভয় স্থানের আচারই শিষ্টাচার ও স্মৃতিবিরুদ্ধ বলিয়া কথনই আদরণীয় নহে । এইরূপ আপদ্ধৰ্ম্মে বৌধায়ন (২।২৭০-৭১) ব্যবস্থা করিয়াছেন "অধ্যাপন, যাঞ্জন ও প্রতিগ্রহ দ্বারা যে ব্রাহ্মণ জীবিকা-নিৰ্ব্বাহে অসমর্থ হইবেন, তিনি ক্ষত্রিয়বৃত্তি অবলম্বন করিতে পরিবেন। কিন্তু গৌতম বলেন যে ব্রাহ্মণগণ কিছুতেই এই বৃত্তি অবলম্বন করিবেন না, কারণ ক্ষত্ৰধৰ্ম্ম ব্রাহ্মণের পক্ষে অতি উগ্র বা কঠোয় । “নেতি গৌতমোতু গ্রোহি ক্ষত্রধৰ্ম্মে ব্রাহ্মণস্ত ।” গৌতম ধৰ্ম্মস্থর পাঠ করিলে মনে হইবে যে, তিনি পরবর্তী কোন কোন স্মৃতিকারের মত দেশাচায়কে প্রামাণ্য বলিয়া স্বীকার করেন নাই। মন্থর মত তিনি ও প্রথমেই "বেদোহখিলধৰ্ম্মমুলং” স্বত্র প্রকাশ করিয়াছেন । যাহা সৰ্ব্বদেশে শিষ্ট সমাজে গ্রাহ, যাছ বেদমূলক, তাহাকেই তিনি সদাচার বলিয়া প্রকাশ এবং অপর সকল বর্ণ অপেক্ষ ব্রাহ্মণকেই তিনি এই সদাচার ব্যাপারে বিশেষ মনোযোগী গুইতে উপদেশ দিয়াছেন। ধৰ্ম্মশাস্ত্ৰ । r এখন সাধারণতঃ ৪৮ খান ধৰ্ম্মশাস্ত্রের উল্লেখ দেখিতে *it eब्रl यांध्र । हेशद्र भ८था चाखड६ ३१ ५iन! विछयांन ७व१ यांख्वप्काe हैंशं८मब्र• ॐरझथ कब्रिग्नाcश्न ( १ ॥ ७-८ ) यथा४ भन्नु, २याक्षबका,“० वज्जेि, 8 विपू, ८ शोउ, ७ खेतनन्, S DDDDSS DDS SS SBBBBDS SS DBBS BB BBBBS ১২ বৃহস্পতি, ১৪ পরাশর, ১৪ ব্যাস, ১৫ শঙ্খ, ১৬লিখিত, স্কৃতি ১৭ দক্ষ, ১৮ গৌতম বা গেীতম, ১৯ শাতাতপ ও ২• বশিষ্ঠ । নারদ, ভৃগু, বৌধায়ন প্রভৃতি গ্রণীত ধৰ্ম্মশাস্ত্রেরও উল্লেখ পাওয়া যায় । এই সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রের মধ্যে ময়ুর গ্রন্থষ্ট (মনুসংহিতা নামে পরিচিত ) প্রাচীনতম ও সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ। বেদ এবং স্বত্র গ্রন্থাদির পরে বোধ হয় মনুসংহিতাই সংস্কৃতের সর্বাপেক্ষা প্রাচীন ও পবিত্র গ্রন্থ। বেদের পরবৰ্ত্তিযুগে রচিত হইলেও বেদের উপনিষদের সঙ্গে দর্শনেয় যেমন সংযোগ রহিয়াছে, স্বত্রসমূহের সঙ্গেও মনুসংহিতার সেইরূপ সম্বন্ধ । বেদের পরবর্তী যুগের সাহিত্যের মধ্যে প্রাচীনতম বলিয়া গৃহীত না হইলেও, অতি প্রাচীন যুগের হিন্দুসমাজের ক্রিয়াকৰ্ম্ম, আচারধ্যবহার, রীতিনীতি, ও মানসিক উন্নতির ইতিহাস হিসাবে ইহার যে বিশেষ একটা মূখ্য আছে, সে বিষয়ে কোনই সন্দেহ নাই। ব্রাহ্মণগণ কেমন করিয়া নানা প্রকারের বিধিব্যবস্থা প্রণয়ন করিয়া আপনাদিগের প্রাধান্ত এবং আপনাদিগের অধীনস্থ জাতিবিভাগ অক্ষুণ্ণ রাখিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন, তাহারও বেশ একটি সুন্দর চিত্র, এই গ্রন্থ আলোচনা করিলে পরিস্ফুট হইবে । পগণস্তরে সমগ্ৰ পৃথিবীয় সাহিত্যে যত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ আছে, মনুসংহিতা তাহার মধ্যে একখানি শ্ৰেষ্ঠ গ্রন্থ এবং ইগর উপদেশের মধ্যে কতকগুলি উপদেশ বাস্তবিকই অমূল্য ও সুধীমাত্রের অবশু প্রতিপাল্য। বিভিন্ন ঋষি বা মহাপুরুষ কর্তৃক প্রণীত হইয়া যে সকল জ্ঞানগর্ভ প্রমাণ ও নিয়মাবলী পুরুষপরম্পরায় মুখে মুখে চলিয়া আসিতেছিল, বৰ্ত্তমান মনুসংহিতা ষোধ হয়, তাহায়ই একটা শৃঙ্খলারহিত সংগ্রহ মাত্র । টীকাকারগণ "বুদ্ধ” ও “বৃহৎ” બર জুই নামে একখানা মূল সংগ্রহের উল্লেখ করিয়াছেন। ইহাদের উক্তি অনুসায়ে তাহাতে ২৪টি বিভাগ, ১• • • অধ্যায় ও লক্ষ শ্লোক ছিল। বৰ্ত্তমান গ্রন্থে ২৬৮৫টি মাত্র শ্লোক আছে । সম্ভবতঃ পর পর যুগে পুৰ্ব্ব পুৰ্ব্ব সংগ্রহের সংক্ষিপ্ত সংস্করণ প্রস্তুত করিয়া তাহাতে নুতন নুতন বিষয় সন্নিবেশিত করা হইতেছিল। যাহাই হউক, একথা যেন কেহ মনে না কয়েন যে, এক সময়ে সমগ্রদেশে যে সকল বিধিবদ্ধ আইন কামুন প্রচলিত ছিল, মনুসংহিতা তাহাদেরই একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ সংগ্ৰহ । ইহা খুবই সম্ভবপর যে, সমগ্ৰ ভারতবর্ষ কখনও একেয় শাসনাধীন হয় নাই। যখন কোন বিশেষরূপে ক্ষমতাশালী, ও দোৰ্গও প্রতাপশালী রাজা বিস্তৃত প্রদেশের উপর আধিপত্যলাভে সমর্থ হইতেন, তখন তিনি চক্রবর্তী উপাধি লাভ করিতেন । এই সকল, রাজগণের শাসনাধীন প্রদেশে যে সকল জাতীয় অনুষ্ঠান এবং বিধিব্যৰন্থ প্রচলিত ছিল, যমুসতি। তাছার ইতিহাস নহে।