পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৪৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বস্তিবাচন “পুণ্যাহবাচনং দৈবে ব্রাহ্মণস্ত বিধীয়তে । এতদেব নিরোঙ্কারং কুৰ্য্যাৎ ক্ষত্ৰিয়বৈগুয়োঃ । সোঙ্কারং ব্রাহ্মণে ক্ৰয়াৎ নিরোক্কায়ং মহীপতে । উপাংশু চ তথা বৈশ্বে শূদ্রে স্বস্তি গ্রযোজয়েৎ ” (উদ্ধাহতত্ব) প্রথম গন্ধপুষ্পাদি দ্বারা পুজা করিয়া ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম, মাঙ্গল্যজনক কন্ম, সংগ্রাম, অদ্ভুতদৰ্শন প্রভৃতি কৰ্ম্মে ব্রাহ্মণ স্বস্তিবাচন | করবে। অর্থাৎ পুরোহিত এবং যে সকল ব্রাহ্মণ তথায় উপস্থিত থাকেন, তাহারা সকলেষ্ট “অমুককার্য্যে স্বস্তি অর্থাৎ মঙ্গল হউক, : এষ্ট বাক্য প্রয়োগ করিবেন । ব্রাহ্মণ ওঙ্কার প্রথমে উচ্চারণ করিয়া স্বস্তিবাচন করিবেন । ইহাতে স্বস্তিবাচনোক্ত মন্ত্র গাঠ । করিয়া তণ্ডুল ছড়াইতে হয়। সাম, ঋক্ ও যজুঃ এই তিন বেদীয় | দিগের স্বস্তিবাচনের পৃথক পৃথক মন্ত্র আছে। পূজাদিকার্য্যে ! প্রথমে স্বস্তিবাচন করির সঙ্কল্প করিতে হয় । স্বস্তিবাচনমন্ত্র যথা— *ওঁ কৰ্ত্তব্যেখন্মিন অমুক কৰ্ম্মণি পুণ্যাহং ভবস্তে ক্রবস্তু” এই মন্ত্র পাঠ করিয়া যজমান ব্রাহ্মণ স্বারা ‘ওঁ পুণ্যাহং’ এই মন্ত্র তিনবার পাঠ করাষ্টর তণ্ডুল ছড়াইবে । পুনয়ায় আতপ ভঙুল গইয়া “ওঁ কৰ্ত্তৰোহস্মিন অমুক কৰ্ম্মণি ঋদ্ধিং ভবস্তে ব্রুবস্তু” বলিয়া ‘ওঁ ঋধ্যতাং এই মন্ত্র তিনবার পাঠ করাইল্প *ও কৰ্ত্তব্যেহস্মিন অমুককৰ্ম্মণি স্বস্তি ভবন্তো ক্রবস্তু” বলিয়৷ ‘ওঁ স্বস্তি’ এই মন্ত্র তিনবার পাঠ করাষ্টতে হয়। এইরূপে তণ্ডুল বিকিরণ করিয়া বেদোক্ত স্বস্তিবাচনমন্ত্র পাঠ করা বিধেয় । সামবেদী ও ঋগ বেদিগণ । প্ৰথমে ‘পুণ্যাহ তৎপরে ‘স্বস্তি’ এবং তৎপরে ‘ঋদ্ধি' এই ক্রমে পাঠ করিবেন। যজুৰ্ব্বেদীয়গণ পূৰ্ব্বোক্ত প্রণালী অনুসারেই ; করিবেন । বৈদিক মন্ত্ৰ— - |

  • ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রে। বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূয বিশ্ববেদাঃ । স্বস্তি নস্তাক্ষোইরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নে বৃহস্পতির্গধাতু ॥ ওঁ স্বস্তি, ওঁ স্বস্তি, ওঁ স্বস্তি” ইহা তিনবার পাঠ করিলে । সামবেদীরগণ এই মন্ত্র পাঠের পূৰ্ব্বে উক্ত মন্ত্র পাঠ করিবেন
  • ওঁ সোমং রাঞ্জানং বরুণমগ্নিমস্কারভামহে । আদিত্যং বিষ্ণুং স্বৰ্য্যং ব্ৰহ্মাণঞ্চ বৃহস্পতিং ” ঋগ বেঙ্গীয়গণ নিম্নোক্ত মন্ত্র পাঠ করিবেন—

ওঁ স্বস্তি নো মিমীতা মশ্বিন ভগঃ স্বস্তি দেবাদিতি রণব্বশ: ; স্বস্তি পূব অক্সরে দধাতু নঃ স্বাস্ত স্তাব পৃথিবী স্বচেতন।। | ওঁ শ্বস্তয়ে মুপক্ৰবামহৈ সোমং স্বস্তি ভুবনন্ত যম্পতিঃ । বৃহস্পতিঃ সৰ্ব্বগণং স্বস্তয়ে স্বস্তর আদিভ্যাসে ভবম্ভনঃ। ওঁ ৰিখদেব নে আস্ত স্বস্তয়ে বৈশ্বানরে বস্থরগ্নিঃ স্বস্তরে। দেবী অভবন্তু ঋভবঃ স্বস্তয়ে স্বস্তি নো রুদ্রঃ পাত্বংহলঃ । ওঁ স্বস্তি মিত্ৰtধরুণে স্বস্তিপথ্যে য়েবতি । ওঁ স্বতি ন ইন্দ্রশাগ্নিশ্চ স্বস্তি নে আদি ওয়ে কৃধি। { 8२8 ] স্বস্ত্যয়ন ওঁ স্বস্থি পঞ্চ। মৃত্যুচরেম স্বর্য্যাচন্দ্রমসাবিব । পুনর্গদত মত জানত। গঙ্গমেমহি । ওঁ স্বস্ত্যয়নং ভক্ষ্যমরিষ্টনেমিং মহন্ধুতং বায়সং দেবানাং অস্বরধ্বমিক্সপথং সমৎস্থ বৃহদ্যশে নবমিবারুহেম। অংহোমুচ মাঙ্গিরসংগয়ঞ্চ স্বস্ত্যা বরং মনসা চ তাক্ষ্যং । প্ৰযতপাণিঃ শরণং প্রপদ্যে স্বস্তি সম্বাধেস্বভয়ং লেtহস্ত । ওঁ স্বস্তি, ওঁ স্বস্তি, ওঁ স্বস্তি” ইe। তিনবার পাঠ করিতে হয় । তিনবেদের পূৰ্ব্বোক্ত তিনটী স্বস্তিবাচন মন্ত্র নিদ্ধারিত হইয়াছে। এই মন্ত্র পাঠ করিয়া সকল বেদীয়েরাই নিম্নোক্ত মগ্ন পাঠ করিলেন । “ওঁ স্বৰ্য্যঃ গোমো যমঃ কাল: সন্ধ্যে ভূতান্তহঃ ক্ষপাঃ । পবনে দিকপতিভূমিরাকাশং থচরামরাঃ। ব্রাহ্মং শাসনমাস্থার কল্পধ্বমিহ সন্নিধিং ॥” এই মন্ত্র পাঠের পর ‘ওঁ অয়মারম্ভঃ শুভায় শুবঙু’ ইহা বলবেন । কৰ্ম্মের প্রারম্ভে এইরূণে স্বস্তিবাচন করির তৎপরে সঙ্কল্প করিবে । স্বস্তিবাচন না করির সঙ্কল্প করিতে নাই । স্বস্তিবাহন ( nি ) মুখবাহক । ( অথ’ ১৪।২৮) স্বস্ত্যয়ন ( ক্লী) স্বস্থি অয়নং যন্ত । মঙ্গলজনক দৈবকৰ্ম্ম, যে কার্যের অনুষ্ঠানে অশুভ বিনষ্ট হইয়া শুভ হয়, তাহাকে স্বস্ত্যয়ন কঙ্গে । বেদাদিবিহিত মঙ্গল কৰ্ম্মের অনুষ্ঠান। শাস্ত্রে স্বস্তায়নের বিশেষ বিধান লিখিত আছে । পীড়া বা গ্ৰহদোবাদি উপস্থিত তইলে তাহার শাস্তির জন্য স্বস্ত্যয়ন করিলে গ্রহদোব প্রভৃতির শান্তি হয় । “গোচরে বা বিলগ্নে বা যে গ্রহগরিষ্টসূচকাঃ । পূজয়েত্তান প্রযত্নেন পূজিতা: স্থাঃ শুভাবহাঃ ॥" (জ্যোতিঃসারস”। গোচর বা বিলয়াদি স্থানে যে সকল গ্রহ অবস্থিত হইয়৷ fরষ্টস্বচক হয়, যথাবিধানে তাহাদের পূজা করিবে, র্তাহারা পুজিত হইলে শুভ ফলদায়ক হইয়া থাকেন । গ্রহদিগের উদ্দেশে দান, হোম ও পূজা করিয়া স্বস্ত্যয়ন করা আবশুক । অবস্থানুসারে অর্থাং শঠত না করিষ্ঠ স্বাকুরূপ পঞ্চাঙ্গ বা একাঙ্গ স্বস্ত্যয়ন করিবে। পঞ্চাঙ্গস্বস্ত্যয়নস্থলে মার্কণ্ডেয়পুরাণান্তর্গত দেবীমাহাত্ম্য চণ্ডীপাঠ, পাখিব শিবলিঙ্গপূজা, নারায়ণের তুলসী, দুর্গানামজপ এবং মধুসূদন মন্ত্র জপ করা হইরা থাকে। পূৰ্ব্বোক্ত পাঁচ প্রকার কৰ্ম্ম অনুষ্ঠিত হয় বলিয়া ইহাকে পঞ্চাঙ্গস্বস্ত্যয়ন কহে । এই পঞ্চাঙ্গ স্বস্ত্যয়ন করিতে অসমর্থ হইলে একাঙ্গ অর্থাৎ উক্ত পাচটার মধ্যে যে কোন একটা জকুষ্ঠান করা যাইতে পারে । স্বস্তারনের মধ্যে শতাবৃত্তি বা সহস্রাবৃত্তি চণ্ডীপাঠ বিশেষ প্রশস্ত ও আশু ফলপ্রদ। শঠ বা ভক্তিপূত হইয়া এ সকল কধ্যে করিলে তাৰ ফলপ্রদ হয় না। যেমন স্বর্ধ্যোদয়ে তমোরাশি করিতে হয়, স্বস্তায়ন