হজরা [ 8dఆ ] হটন এই প্রদেশ হজার নাম লাভ করিয়াছে। এই পরবর্তী অমুমান যদি সত্য হয়, তাহ হইলে ইহা নিশ্চিত,যে, এই প্রদেশস্থ হজারীগণ আফগানিস্থানের হজারাদিগেরই একটি শাখা। ভারতবর্ষে মোগল রাজত্ব কালে এখানকার দক্ষিণদিকৃস্থ সমতলভূমি আটক জেলার অন্তর্গত ছিল। পূৰ্ব্বদিক রাবলপিণ্ডির গাঙ্কর বংশের একটি শাখা দ্বারা শাসিত হইত। উত্তরাঞ্চল হজারীগণের অধীনে ছিল। কিন্তু অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে স্বাত, হইতে আফগানগণ আসিয়া সমগ্র উত্তরাংশটি অধিকার করিয়া লইল । এই সময়ে নানা পাৰ্ব্বত্যজাতি হজার জেলার দিকে ঝুঁকিয়া পড়িল এবং হজারাদেশীয় অনেকগুলি জাতি স্ব স্ব স্বাধীনতা ঘোষণা করিতে লাগিল। এই সময়ে কোনও একজন প্রধান রাজ্যশাসকের অভাববশতঃ নানা প্রকার অত্যাচার অনুষ্ঠিত হইতে লাগিল। তার পর অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে আহ্মদ শাহ দুরাণী ইহার শাসনভার গ্রহণ করিলেন । কিন্তু দুরাণী আধিপত্য সময়ের আবর্তে পড়িয়া লয় প্রাপ্ত হইল। তখন পুনরায় আন্তর্জাতিক বিপ্লব ও কলহ জাগিয়া উঠিল । অতঃপর যখন মহারাজ রণজিৎসিংহ পঞ্জাবে শিখরাজ্য প্রতিষ্ঠিত করিলেন, তখন তিনি এই জেলা স্বকীয় রাজ্যের অন্তভুক্ত করিয়া লইলেন। ১৮২৬ খৃঃ অঃ হইতে ১৮৪৬ খৃঃ অঃ পৰ্য্যন্ত লাগেরের শিখ গবমেণ্ট এই জেলার শাসনের ভার গ্রহণ করিরছিলেন । কিন্তু রণজিৎ সিংহের মৃত্যুর পর হইতে শিখ-পরাধীনতা হজারাদিগের নিকট ঃসহ বোধ হইতে লাগিল । ১৮৪৫ খৃঃ অঃ তাহারা পঞ্জাব গবমেন্টের বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হইল এবং সিতানার সৈয়দ আকবর নামক একটি হিন্দুস্থানী মুসলমানকে রাজপদে প্রতিষ্ঠিত করিল। কিন্তু ১৮৩৬ খৃঃ অব্দে ইংরাজদিগের সন্ধির সর্বানুসারে ছজায় জেলা কাশ্মীররাজ গোলাবসিংহের প্রাপ্য হইল ७ष९ डांइ हेश्ब्रांजरैनtश्चम नशब्रङांग्र भशांब्रांछ cशंtणां*निश्छ् অধিকার করিলেন । পরিশেষে কাশ্মীরের মহারাজ হজার জেলা ইংরেজদিগের হস্তে ছাড়ির দিলেন এবং তৎপরিবর্তে তিনি জম্মুর দক্ষিণ সীমান্তপ্রদেশ লাভ করিলেন। মিঃ আবট সাৰেৰ প্রথমে এই জেলায় রাজস্ব আদায়ের স্ববন্দোবস্ত ও শাসনের ব্যৰস্থ করেন। দ্বিতীয় শিখযুদ্ধের সময়ে ছজারীগণ ইংরাজদিগকে সাহায্য করিয়াছিল এবং যুদ্ধ অবসানে ছজার জেল ইংরাজশাসনান্তর্গত হয় । মিঃ অবিট সাহেব হরিপুর হইতে শাসনকেঞ্জ উঠাইয়া লইয়া তাহ অন্তৰ স্থাপিত করিবার কল্পনা করিয়াছিলেন। পরে তাছার নির্দিষ্ট স্থানেই ছজাৱা জেলার শাসনকেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং তাছার ‘সন্মানার্থ এই नूडन नश्य्द्रब चांदध्वान नाभकब्रन कब्र श्ब्र। হজার মুসলমানপ্রধান জেলা । লোকসংখ্যায় শতকরা ৯৪•৭ মুসলমান ধৰ্ম্মাবলম্বী এবং অবশিষ্ট সকলেই ছিন্দু না হয় খৃষ্টান কিংবা শিখ। মুসলমানগণ নানা দলে বিভক্ত, নিয়ে সেই সকলের নাম প্রদত্ত হইল-১ গুজর, ২ তানেলি, ৩ ধুন্দ, ৪ কাশ্মীরী, ৫ সৈয়দ, ৬ রাজপুত, ৭ সেখ, ৮ লম্বোর, ৯ মোগল, ১• তুর্ক, ১১ জুলাহ, ১২ গাৰূকর ও ১৩ মেচি। হিন্দুদিগের মধ্যে অধিকাংশই ক্ষেত্রি এবং অবশিষ্ট সকলেই ব্ৰাহ্মণ । আকৃতিতে হজারাজাতি তাহাদিগের প্রতিবেশী রাবলপিণ্ডী ও পেশোয়ারীদিগের অপেক্ষ নিকৃষ্ট । পাৰ্ব্বত্য জাতিদিগের বলিষ্ঠত ও কষ্টসহিষ্ণুত ইহাদিগের মধ্যে দেখিতে পাওয়া যায় না। ধুন্দ, খরিলে এবং স্বাতিগণ খৰ্ব্বকায় । ইহার যদিও সাধারণতঃ শাস্তশিষ্ট, তথাপি ইহাদিগের উপরে অত্যাচার হইলে ইঙ্গর দুৰ্দ্দাস্ত হইয় উঠে । ইহার প্রকাগু ভাবে শক্ৰতা অবলম্বন করে না । প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রের দ্বার ইহার উদ্দেশু সিদ্ধি করির থাকে। কৃষিকৰ্ম্মে নিপুণতা অপেক্ষ হজারীগণ শ্রমশীলতা ও ধৈৰ্য্যের পক্ষপাতী। ইহুদিগের মধ্যে অধিকাংশই বাণিজ্য ও কৃষিকৰ্ম্মের দ্বারা জীবিকানিৰ্ব্বাহ করে । ১৮৬৯-৭০ খৃঃ অব্দের প্রথম আদমসুমারীতে শতকর। ২২.২১ জমি কৃষিক্ষেত্র ছিল। কিন্তু এখন সেথানে চাষবাসের ষথেষ্ট উন্নতি হইয়াছে। অধিকাংশ জমিই কৃষিক্ষেত্রে পরিণত। ধব, গোধুম, সরিষা, সেখানকার রবিশষ্য, ভুট্ট, ধান্ত, তুল৷ ইত্যাদি শরতে উৎপন্ন হয়। হরিপুরে হলুদ ও ইক্ষুর চাষ আছে । হঞ্জ ( অব্য ) নাট্যোক্তিতে চেটসম্বোধন। হঞ্জি (পুং ) ক্ষুৎ, চলিত হাটী। ( জটাধর ) হঞ্জিকা ( স্ত্রী) তাগী, চলিত বামনহাট। (ভাবপ্র” ) হঞ্জে ( অব্য ) নাট্যোক্তিতে চেটীসম্বোধন। নাটকে চেটকে হঞ্জে বলিয়া ডাকিতে হয়। ‘হওে হঞ্জে হলাহবানং নীচাং চেটং সর্থীং প্রতি।” (অমর ). ‘ছঞ্জে চেটীসম্বোধনং হুপ্রেতি চেটিকাছানং সখ্যাহবানং হলেভি চ | হন্তেতি কুৎসিতাছানমার্য্যো মারিষ উচ্যতে।" ( ভয়ত) হট, দীপ্তি। ভূমি, পরহ্মৈ", অক, সেট, লট, টক্তি। লোট, হটতু। লিট, জহাট, জহটভূঃ । লুট, হাটত । পুঙ, অহটাৎ অৰiটৎ। শিচ, হাটরতি। লুঙ, অজীহটৎ। সৰু জিৰটিষতি। ষণ্ড, জাহক্টতে। যঙ লুক্ জাহটাতি । হটা (দেশজ ) পশ্চাদগমন। হটন ( দেশজ ) ১ পশ্চাদগমন । ২ পরাস্ত হওন।
