পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৪৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হরিদাস ঠাকুর যেন গঙ্গা যমুনা সরস্বতীয় সন্মিলন হইল, নদীয়ার প্রেমের তুফান বহিল। হরিদাস ও নিত্যানস্থ প্রেমানন্দে মগ্ন হইয়া নৃত্য করিতে করিতে কৃষ্ণনাম প্রচার করিতে আরম্ভ করিলেন। তাহার ফলে জগাই মাধাই উদ্ধার পাইল । মুরারিগুপ্ত শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্যচরিতামৃতে লিথিরছেন— “যত্র নৃত্যুতি মূলে হরিদাসে দাসবৎসলতয়া জগদীশঃ। থেচরে মুরগণৈঃ সমহেশৈলাস্তমাগু পরিপগুতি হৃষ্টঃ ” চৈতষ্ঠভাগবতের মধ্যখণ্ডের ১০ম অধ্যায়ে বর্ণিত আছে, শ্ৰীমন্মহাপ্রভু হরিদাসের নিকট যে আত্মপরিচয় প্রদান করিয়াছিলেন, ফরিদাস র্তাহাকে যেরূপ স্তুতি করিয়াছিলেন এবং মহাপ্রভু ভাগকে যে বর দিয়াছিলেন, তাহা ভক্তজনের পক্ষে অমৃতস্বরূপ নিরস্তর আস্বাস্ত । গেীবাঙ্গমঙ্গ প্ৰভু সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়া যখন পুরাধামে অবস্থান করিতেন, তৎকালে তাঙ্গর আশ্রমের অদূরে হরিদাসের বাসস্থান নির্দিষ্ট হইয়াছিল । এই স্থানে চৈতন্তমহাপ্রভু ভক্তগণসহ সততই পদার্পণ করিতেন, রূপসনাতন ও পুরীধামে আসিলে এখানেই অবস্থান করিতেন । হরিদাস একনিষ্ঠভাবে প্রত্যহ তিন লক্ষ নাম জপ করিতেন, সময়ে সময়ে কীৰ্ত্তনানন্দে যোগদান করিতেন । সুদীর্ঘ জীবন ব্যাপিয়া ভগবস্তুক্ত জীবহিতৈষী, নিৰ্ভীক কোমল অন্তঃকরণ অথচ কঠোর বৈরাগ্যব্ৰতাবলম্বী হরিদাস হরিনাম করিতে করিতে জীবনের শেযসীমায় পদার্পণ করিলেন । শেষের দিন অতি নিকটবৰ্ত্তী জানির তাহার হৃদয়ের আরাধ্য শ্ৰীগৌরাঙ্গচরণে তাহা নিবেদন করিলেন, এবং তাহার শ্ৰীচরণতলে মাথা রাথিয় তাহার চরণযুগল দেখিতে দেখিতে এবং শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত নাম জপ করিতে করিভে হরিদাস চিরতরে বখন চক্ষু নিমীলিত করিলেন, তখন শ্ৰীকৃষ্ণচৈতন্ত তাহার মৃতদেহ স্বন্ধে লইয়া ভক্তগণসহ হরিনামকীৰ্ত্তনে বিভোর হইয়া নৃত্য করিতে করিতে সাগরতীরে উপনীত হইলেন,—বালুকাগৰ্ত্তে হরিদাসের দেচ সমাহিত করির নিজহস্তে তিনি গর্ত পূরণ করির উছার উপরে বালুর বেদিক বাধিয়া দিলেন, সাগরতরঙ্গের কল্লোল-কোলাঙ্গল নিরস্ত করির আবার হরিনামকীৰ্ত্তনের তরঙ্গ উঠিল, সপার্ষদ শ্ৰীগৌরাঙ্গ এইরূপে র্তাহার প্রিয়তম বৃদ্ধ ভক্তকে সাগরের বালুকায় চিরশায়িত করিয়া করিদাস-বিজরেtৎসব পরিসমাপ্ত করিলেন। এখনও পুরীক্ষেত্রতলবাহী নীলাম্বুধির তট প্রান্তে নামরূপ-যজ্ঞের মূৰ্ত্তিমান अरुडांब्र हब्रिनांग *ांकूरब्रब्र नमांशि बर्डमान ब्रश्ब्रिांtछ्, ७थन७ লক্ষ লক্ষ ভর সেই মহাভক্তের সমাধিস্থলে গমন করিয়া তক্তিতরে সেই ধূলার গড়াগড়ি দিয়া কৃতাৰ্থ হইতেছেন। হরিদাস-নিৰ্য্যাণের পর চৈতন্তমহা প্ৰভু বলিয়াছিলেন— [ 82 S ] হরিদাস সাধু “কৃপা করি কৃষ্ণ মোরে দিয়াছিল সঙ্গ । दउह क्लष्क्ष्द्र हेझ aहण मग्न छछ ॥ হরিদাস আছিল পৃথিবীর শিরোমণি । তাহা বিন রত্নশুম্ভ হইল মেদিনী ॥” এই চাল্লিছত্র হইতেই ভক্তিজগতে হরিদাস কোন স্থান অধিকার করিয়াছিলেন, তাতার চরিত্রগেীয়ব কিরূপ ছিল, তাহার আভাস পাওয়া যাইতে পারে । হরিদাস তর্কাচাৰ্য্য, একজন স্মার্তগ্রন্থকার। স্মর্ত রঘুনন্দন ও রঘুনাথ ইহঁর মত উদ্ধৃত করিয়াছেন। f হরিদাসন্তায়বাচস্পতি তর্কালঙ্কার ভট্টাচাৰ্য্য, এক জন বিখ্যাত লৈয়(য়িক, বাসুদেবসৰ্ব্বেতেীমের শিয্য । ইনি তত্ত্বচিত্তমণির অনুমানখণ্ডের টাকা, পক্ষধরমিশ্রের তত্ত্বচিন্তামণ্যালোকটীকা এবং হায়কুসুমাঞ্জলিকারিকাব্যাখ্যা রচনা করেন । হরিদাস ভট্ট, হরিকারিকানামে স্থায়গ্রন্থকার । হরিদাস সাধু, প্রসিদ্ধ সন্ন্যাসী। মহারাষ্ট্রের ক্ষুদ্রপল্লীতে জন্মগ্রহণ করেন । যখন র্তাঙ্কার বয়ঃক্রম পনর কি ষোল সেই সময়ে তৈলঙ্গদেশ হষ্টতে একজন সন্ন্যাসী তাহাদের বাটীর নিকটস্থ একট বৃক্ষতলে উপবেশন করেন ; তিনি কুবেরপন্থী বৈষ্ণব ছিলেন । হরিদাস সেই সন্ন্যাসীকে অত্যস্ত ভক্তি করিত্তেন এবং সৰ্ব্বদা তাঙ্কার সঙ্গে সঙ্গে থাকিতেন । হঠাৎ একদিন তৈলঙ্গস্বামীকে দেখা গেল না, সেইসঙ্গে হরিদাসও গ্রাম কইতে অন্তহৃত হইলেন । হরিদাস তৈলঙ্গস্বামীর অনুগামী কষ্টরছিলেন, তিনি পুষ্করে গিয়া সন্ন্যাসধৰ্ম্মে দীক্ষিত ইষ্টলেন । দুই এক মাস পুষ্করে অবস্থান করিয়া হরিদাস সন্ন্যাসী শুরুর সঙ্গে কুরুক্ষেত্রে গেলেন । এখানে তিনি কঠোর যোগশিক্ষা আরম্ভ করিলেন । তক্ষ্যের নিয়ম, আসনবন্ধন, বাকৃসংযম এবং প্রাণারাম হরিদাসের যোগসাধনের প্রথম অঙ্গ । নানা প্রকার কঠোর অভ্যাস অবলম্বনের দ্বারা তিনি সমস্ত যোগ প্রকরণগুলি অভ্যাস করিয়া ফেলিলেন । তিনি নিশ্বাস প্রশ্বাসক্রিয় নিয়মিত কয়িলেন। খেচরীমুদ্র দ্বারা জিহবা উলটাইয়া বায়ুধারণ করিয়া সমাধি-আসন গ্রহণ করিতে শিক্ষা করিলেন, পরিশেষে তিনি যোগাভ্যাসহেতু নানা প্রকার অলৌকিক শক্তি লাভ করিয়া বহুসহস্ৰলোককে আশ্চৰ্য্য ও চমৎকৃত করিয়াছিলেন, আমরা নিয়ে একে একে তাঙ্কার অদ্ভুত ক্রিয়াসমূহের বিবরণ প্রদান করিতেছি। অদ্ভূত ক্ষমতায় डिनि ब्राछा, ब्रांजनडानन्, ब्राजभजी, शौषनर्वांबलचैौ बूनणमान ও হিন্দুৰেী খৃষ্টান সকলকেই বিস্থিম্ভ করিয়াছিলেন । ,৮৯৪ খুটাৰ হইতে হরিদাস সাধুর অলৌকিক ক্ষমতার কথা জনসমাজে প্রকাশিত হইয়া পড়িল । রণজিৎদিছে।