পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হাফিজ খাজা সমগ্র রজনী অতিবাহিত করিয়া তিনি প্রাতঃকালে সেই ত্রীড়াম্বিত৷ সুকোমল বালিকাকে সন্দর্শন করিতে তদীয় বাসভবনের সম্মুখে পদচারণা করিতেন। দ্বিপ্রহরে আহার ও বিশ্রাম এবং রজনী জাগরণে অতিবাচন তাহার নিত্য কার্য্যমধ্যে পরিগণিত হষ্টয়৷ পড়িল। চল্লিশ দিবসের গ্রাতে র্তাগর মনোভীষ্ট পূর্ণ হইল। এতদিন যে কামিনীর দর্শনলাভাশার তিনি নিরস্তুর ঘুরির বেড়াইতে ছিলেন, আজ তাহার সেই হৃদয়দেবী জানালার মধ্য দিল্পী তাহাকেই নিরীক্ষণ করিতেছেন,আনন্দে তিনি অধীর হইয়া উঠিলেন । রমণীও আহলাদে অধীর হইয় বলপূৰ্ব্বক তঁtহাকে স্বগৃহে লইয়া চলিলেন এবং বগিলেন, “সিরাজ-রাজ-পুত্র অপেগণ আমি আপনার হার গুণবান ব্যক্তিকেই হৃদয় দিতে প্রস্তুত আছি”। ঐ রমণী হাফিজকে র্তাহার গৃহে সে দিনের জন্ত অবস্থান করিতে বিস্তর অকুনয় বিনর করিলেন ; কিন্তু হাফিজ তাঙ্কার পূৰ্ব্বকৃত অঙ্গীকার স্মরণ করিয়া যুবতীর হস্ত ছাড়াইয়া পৰ্ব্বতশিখরে গমন করিলেন। রজনী প্রভাতে "পীর-ই-সবজ’ তাস্তানায় হরিদ্বর্ণ পরিচ্ছদধারী এক বৃদ্ধ মনুষ্য ( খিজির ) তাহার সম্মুখে উপস্থিত হইরা বলিলেন, ‘বৎস! তোমার প্রতিজ্ঞা পূর্ণ হইয়াছে, এষ্ট পায় অমৃত-বারিপূর্ণ, ইগ পান করিয়া জগতে অমরত্ব লাভ কর।” এই আখ্যায়িকার মূলে কোন সত্য নিহিত না থাকিলেও হাফিজ যে তৎকালে পারসিকসমাজে এক জন গণ্যমান্ত কবি হইয়া উঠিয়া ছিলেন তদ্বিষয়ে কিছু মাত্র সন্দেহ নষ্ট । একদিন হাফিজ তাছার খুল্লতাত সাদীর * পাশ্বে বসিয়া কৰিয়াছেন, এমন সময়ে তিনি তাহাকে সুফীমতপোষক একটী স্তোত্র রচনা করিতে দেখিলেন । সাদী তখন সবে মাত্র প্রথম চরণ রচনা করিয়াছেন, তিনি তাহ দেখিতে পাইয় অবশিষ্টাংশ পূরণ করিয়া দিতে চাহিলে সাদী তাহাতে কোনরূপ আপত্তি না করিয়া ভ্রাতু-পুত্রকেই সমস্ত লিথিয়া সম্পন্ন করিতে বলিয়া সে স্থান পরিত্যাগ করিলেন। হাফিজ ঐ কবিতা সমাপ্ত কৰিলে সাদী আসিয়া উহা দেখিয়া চমৎকৃত হইলেন এবং ভ্রাতুষ্প একে উক্ত বিবয়ে একথানি গ্রন্থ রচনা করিতে আদেশ করেন । হাফিজ প্রথম গজলটী যেরূপ সৰ্ব্বাঙ্গ স্বনীর করিয়া রচনা করিয়াছিলেন, সমগ্র গ্রন্থখানি সেইরূপ মাধুৰ্য্যময়ী কবিতায় পূর্ণ করিয়াছেন দেখিয় তাহার পিতৃব্য সাদী বিশেষ ঈর্ষৰিত এবং ভ্রাতু-পুত্রকে আপনার অপেক্ষা অধিকতর কাব্যকলাকুশল দেখিয়া চমৎকৃত হইলেন । পরস্পরেই পরস্পরের প্রতিদ্বন্ত্ৰী, छ्डब्रां* ७थडिएशांशिलांब्र cखशां८चरौौ श्रांनिब्रl ऊँ°हिङ झझेद । • हनि लष गानी-श्-निब्राजी ( अत्र ****, वृङ्का *२०९ ५: णः) হইতে ভিন্ন । [ aఆe } হাফিজ খাজা খুল্লতাভ ভ্রাতুষ্প ত্রের অদ্ভূত কবিত্বশক্তি দেখিয় বিমুগ্ধ হইলেন বটে, কিন্তু তিনি ভ্রাতুষ্প কে এই বলিয় অভিসম্পাত করিলেন যে, যদিও তোমার কবিতা অপূৰ্ব্ব রসপরিপূর্ণ, অভিব্যক্তিপূর্ণ ও পরিস্ফট.তথাপি পাঠক মাত্রই উহাকে উন্মত্তের প্রলাপ বলির জ্ঞান করিবে । বাস্তবিকই পরযৰ্ত্তী সময়ে হাফিজের কবিত। মুসলমানসমাজে তাদৃশ সমাদর লাভ করে নাই । কনস্তাত্তিনোপলবাসী শিরা সম্প্রদায় উক্ত কবিতা গুলিকে বিধৰ্ম্মীর উক্তি বলিয়া জ্ঞান করিত্তেন। হাফিজ শেষে রাজামুগ্রহকে উপেক্ষা করিয়া নির্জন স্থানে বাস করিতেন এবং আপনার হৃদয়-নির্তিত মুফীমতের মৌলিক তত্ত্বসমূহ মনে মনে চিন্তা করিতে ভাল বাসিতেন । প্রথম জীবনে যখন বহি জগৎ কষ্টতে নির্লিপ্ত থাকিবার বাসন। তাছার অস্তরে সমুদিত হয় নাই, যখন কাব্যজগতে গৌরবলাভ-বাসন তাহার অস্তরে বলবতী ছিল,—যখন জগতে মুকবি বলিয়। প্রতিষ্ঠিত হুইবার যশোলিসা তাতার অস্তরে মন্দ স্রোতে প্রবাহিত হুইতেছিল, তখন তিনি বিশেষ ভাবে অমুরুদ্ধ হষ্টয়া য়াজদের রাজসভায় গমন করেন । রাজা হাফিজের কবিত্বে যেরূপ আকৃষ্ট হইয়। ছিলেন, তাহাকে সাক্ষাতে পাইরা তিনি সেরূপ আনন্দ অনুভব করিতে পারেন নাই । তিনি হাফিজের দ্ব্যর্থ ঘটিত কবিতার গুঢ় রসাস্বাদন করিতে সমর্থ না হইয় তাহাকে বিদায় দিবার সঙ্কল্প করিলেন এবং স্বীয় উদ্দেশ্য-সিদ্ধির জন্ত তাহার প্রতি নানা প্রকার অসদ্ব্যবহার ও করিয়াছিলেন । সিরাজ-সিংহাসনাধিকারী শাহ সুজার (১৩৬৩ খৃঃ মৃত্যু ) উজীর খাজা কিবামুদ্দীন হাফিজকে অধ্যক্ষ করিয়া সিরাজ নগরে একটী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেন । তিনি ঐ বিদ্যালয়ে ধৰ্ম্মশাস্ত্র ও ব্যবস্থাশাস্ত্র অধ্যাপন করাইতেন । এখানে রাজা ও সম্রাস্ত ব্যক্তিমাত্রেই তাহার সাহtযার্থ যে অর্থ দান করিয়াছিলেন, তাহ নানা কার্য্যে ব্যয় করিয়া তিনি দরিদ্র ভাবেই জীবন অতিবাহিত করিয়াছেন। এখানে তিনি রাজা গ্রহে যে বিশেষ উপকৃত হক্টরা ছিলেন, তাঙ্ক তিনি মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়৷ গিয়াছেন । বোগদাদের শাসনকর্তা মুলতান উবৈশ জলায়র ( ১৩৭৪ খৃঃ মৃত্যু ) তাহাকে বিশেষ সমাদর করিয়া লইয়া যান, কিন্তু কিছু দিন পরে তঁহাকে হতাদর কয়েন, কারণ কবি তাহাকে তীব্র উক্তিতে তিরস্কার করিয়াছেন। অতঃপর বোগদাদের শাসনকৰ্ত্ত স্থলতান আহ্মদ-ই-ইল-খানি ( ১৪১• খৃঃ মৃত্যু ) হাফিজের নিকট স্বখ্যাতি পাইবায় প্রত্যাশার তাহাকে বহু ধন রত্ন দান করিতে স্বীকৃত হন, কিন্তু তিনি এই প্রজাপীড়ক রাজার গান গ্রন্থণ করিতে সন্মত হন নাই । আহ্মনই-ইল-খানি সকল প্রকার শিল্পের পোষ্ট্র ছিলেন। চিত্রবিদ্যা,