হিউএন্সিয়াং জেঘীতি, জেম্বেতি। নিচ, হায়রতি। লুঙ, অঙ্গীছয়ৎ। সন্থ জিম্বাপরিষতি । প্র+হি = প্রেরণ। প্রক্ষেপণ । ছি (অব) হেতু। কারণ । sেভূর্থে এই শব্যের প্রয়োগ হইয়া থাকে। "অসংশয়ং ক্ষত্রপরিগ্রন্থক্ষমা স্বদাধ্যমস্তামভিলাবি মে মনঃ । সত্যং হি সম্মেহপদেষু বস্তষু প্রমাণমস্তঃকরণ প্রবৃত্তরঃ ॥” ( শকুন্তলা ১ অ” ) ২ অবধারণ, নিশ্চয় । ( অমর ) ৩ পাদপুরণ । শ্লোকের পাদপূরণস্থলে চ, বা, তু, হি এষ্ট চারিট শব্যের প্ররোগ হয়। ৪ ছেত্বপদেশ । ৫ সন্ত্রম । ৬ অস্থয়া । ( মেদিনী ) ৭ শোক । হিউএন্সিয়াং, ( যুজন চুমঙ্গ), স্বপ্রসিদ্ধ চান-পরিব্রাজক ও বৌদ্ধ ধতি । কিংবদন্তী ও চীনগ্রন্থে র্তাহার যে বংশের আখ্যায়িকা বিবৃত ইষ্টয়াছে, তাহা হইতে জানা যায় যে, চীনরাজ্যের মু প্রাচীন সাম্রাজকুলে তাঙ্গর জন্ম। ইতিহাসপ্রমাণে আমরা জানিতে পারি যে, তিনি চ’এন্ নামক একটা রাজকুলে জন্মগ্রহণ করেন । এই বংশে তাহার উদ্ধতন পুরুষগণ সকলেই গণ্যমান্য ও প্রতিষ্ঠাবান ছিলেন । র্তাহার প্রায় দ্বিশতাব্দকাল পু-চেী নগরে থাকিয় শাসনকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করেন । হিউএন্ লিয়াং এর প্রপিতামহ চ-ইন আফতের রাজবংশের অধীনে সানসিপ্রদেশের ষঙ্গ-ত’অঙ্গ নগরের শাসনকৰ্ত্ত ( Prefect ) ছিলেন । তাহার পিতামহ ক’অঙ্গ সুপণ্ডিত বলিয়া পরিচিত, তিনি চক্ট রাজষংশের অধীনে সেই রাজধানীর জাতীয় বিদ্যালয়ের আচাৰ্য্যপদে নিযুক্ত হন। পরিব্রাঙ্গকের পিতা চ’এন হুই স্থবিজ্ঞ ও বুদ্ধিমান ছিলেন । তাছার উচ্চ অন্তঃ করণ ও সৎস্বভাব তাহাকে জনসমাজে বিশেষ সন্মানভাজন ; করিয়াছিল। তিনি কন্ফুচীর প্রাচীন মতাবলম্বী ছিলেন । ধৰ্ম্ম প্রবণ স্থই রাজ্যমধ্যে অরাজকতা-স্রোত প্রবাহিত দেখিয়৷ ( със ) পূৰ্ব্বতন নিবাসভূমি কেী-সহ নগর পরিত্যাগ করিয়া তন্নিকটবৰ্ত্তী । চ’এন-পত্ত-কু গ্রামে যাইয়া নির্জনে ধৰ্ম্মচর্চায় কালাক্তিপাত করিতে থাকেন । এই স্থানে খৃষ্টীয় ৬০০ অবে পরিব্রাঞ্জক যুজন চুজঙ্গেয় জন্ম হয়, এই কারণে তাছাকে তন্ধেশবাণীর •কে1-সির লোক” সংজ্ঞায়ও অভিহিভ করিভ । চ’এন হুইর চারিপুত্রের মধ্যে যু-অনূ-চু-অঙ্গ সৰ্ব্বকনিষ্ঠ ছিলেন । ভ্রাতৃ-চতুষ্টয় উপযুক্ত পিতা ও অঙ্গ গুরুর নিকট বহুশাস্ত্রে বিচক্ষণতা লাভ করেন। অধিকন্তু বালক যুজন চুজঙ্গ কিছু অতিরিক্ত চতুর ও জ্ঞানী ছিলেন। তিনি অপর ভ্রাতৃবর্গের ন্যায় ক্রীড়া বা বেশবিন্যাস ভাল ৰাসিতেন না, মির্জনে থাকিয় জ্ঞানার্জন করিতেষ্ট ভাগ বাসিভেন । প্রথম জীবনে তিনি পিতার অঙ্গুষ্ঠিত ধৰ্ম্মের পক্ষপাতী ছিলেন XXII > go হিউএন্সিয়াং এবং তদনুযায়ী তিনি কন্ফুচীমন্তপোষক বাবতীয় শাস্ত্র ও নীতি গ্ৰন্থ অধ্যয়ন করেন । তাহার দ্বিতীর ভ্রাত বৌদ্ধধৰ্ম্মে দীক্ষা গ্রহণ করিলে, তিনিও এই নবীন ধৰ্ম্মের প্রতি বিশেষ আকৃষ্ট হন এবং তিনিও ভ্রাতার পদাঙ্ক অমুসরণ করিয়া বৌদ্ধদ্বিগের নানা সভ্যারামে পরিভ্রমণ করিয়া সঙ্ঘারামে কালাতিপাত করিতে মনস্থ করেন । অতঃপর বৌদ্ধ বতি হইবার বাসনা তাহার হৃদয়ে প্রবল হইয় উঠে, তদনুসারে তিনি নবীন শ্রামণেরের ন্যায় বিশেষ আগ্রহে বৌদ্ধধৰ্ম্মগ্রন্থসমূহ আলোচনায় প্রবৃত্ত হন । এষ্টরূপে কিছুকাল শ্রামণের থাকিয়া বিংশবর্ষ বয়ঃক্রম কালে তিনি শ্রমণধৰ্ম্মে দীক্ষিত হন । এই সময়ে তিনি সঙ্ঘারামস্থ বৌদ্ধ পণ্ডিতবর্গের সহবাসে থাকির বৌদ্ধধৰ্ম্ম-সংক্রান্ত প্রধান প্রধান ও গ্রসিদ্ধ ধৰ্ম্মশাস্ত্রগুলি আলোচনা করিবার অবসর পান । অচিরে এই যুবক শ্রমণের জ্ঞান-জ্যোতি চীনজগতে বিকীর্ণ হইয়। পড়ে। কিন্তু তিনি অধিকদিন নিশ্চেষ্টভাবে চীন রাজ্যে বসিয়া জীবনপাত করিতে চাহিলেন না । ষে বুদ্ধের বা ক্যাবলী তাহার হৃদয়ে অতিনব ধৰ্ম্মভাব জাগাষ্টর দিয়াছিল, সেই বুদ্ধধৰ্ম্মলীলার পবিত্ৰক্ষেত্র ভারতের বৌদ্ধতীর্থসমূহ এবং বুদ্ধোপদেশবলীর প্রত্যক্ষ নিদর্শনসমূহ নিজনয়নে নিরীক্ষণ করিতে তাহার হৃদয়ে বলবতী বাসন জন্মিল । কারণ বৌদ্ধগ্রন্থনিচরের চীন ভাষার অনুবাদ পাঠ করিয়া ধৰ্ম্মতত্ত্ববিষয়ে তিনি প্রকৃত রসাস্বাদন করিতে পারিতেছেন না এবং তাহ উপলব্ধি করিয়৷ তৃপ্ত হইতেছেন না, এইরূপ একটা দুর্ভাবনা তাহাকে পীড়িত করিতে লাগিল । তখন তিনি মূলগ্রন্থসংগ্রহে কৃতনিশ্চয় হইলেন। বৌদ্ধমতে দৃঢ়বিশ্বাসী ভারতীর পণ্ডিতবর্গ ধৰ্ম্মতত্বের ষে নিগুঢ় মৰ্ম্মোদঘাটন করিয়া থাকেন, তাহাই অবগত হওয়া র্তাহার মনোগত অভিপ্রার । ভারতাগমন উদ্দেশ্যে নানা সন্ধান ও স্বযোগ দেখিয়া এবং ভারতযাত্রার ৰথাযোগ্য আয়োজন করিয়া ৬২৯ খৃষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে পরিব্রাজকশ্রেষ্ঠ গোপনে চ’ অঙ্গ-অন ( বর্তমান হসি-অন-ফু) রাজধানী পরিত্যাগপূর্বক ভারতষত্রিীর বহির্গত হন। তিনি ৬৩০ খৃষ্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসের শেষভাগে অথবা অক্টোবরের প্রারস্তে ভারতে পদার্পণ করেন । অতঃপর উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের যাবতীয় প্রসিদ্ধ ছিন্দু ও ৰৌদ্ধতীর্থ সন্দর্শন করিয়া ভিনি ৬৪৪ খৃষ্টাৰে জুলাই মাসে স্বদেশষাত্রার উদ্যোগী হইলেন, কিন্তু স্বদেশে উপনীত হইতে ভাহার ৬৪৫ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাস পর্য্যস্ত গত হইয়াছিল। ভারতে আসিয়া তিনি যে সকল তীর্থ ও তৎকালের রাজনবর্গের "সহিত সাক্ষাৎলাভ করিয়াছিলেল, তাছা ভাছার জীবনী ( ত ত”
