পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৫৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিংলা ( съe ) হিংসা অদ্য কোন উপলক্ষে পশুহিংসা করিতে নাই ; মমুও ইহাই পরম্পর ৰিরোধ ন হইলে বাধ্যবাধক ভাৰ হয় না। এই স্বলে নির্দেশ করিয়াছেন। পূৰ্ব্বোক্ত কাৰ্যসকলের জন্ত, পশুহিংসা | করিয়া বেদতত্ত্বার্থজ্ঞ দ্বিজগণ আপনার ও পশুর উভয়েরই সদগতি সম্পাদন করিয়া থাকেন। বজ্ঞে পশুহিংসা করিয়া সেই পশুর মাংস ভোজন করা যাইতে পারে। মতু বলিয়াছেন যে, যজ্ঞার্থ মাংসভোজনকে দেববিধান, অন্তথা শরীর পুষ্ট্যাদির জন্ত মাংসভোজনকে রাক্ষসোচিত অনুষ্ঠান বলিতে ইইযে । “যজ্ঞায় জশ্বিমাংসস্তেত্যেষ দৈৰে বিধিঃ স্মৃত: । অতোহন্তথাপ্রবৃত্তিস্ত রাক্ষসে বিধিরুচ্যতে ॥” ( মন্ত্র ৫।৩১ ) ধৰ্ম্মশাস্ত্রেরও এই মত। রঘুনন্দন তিথিতত্বে পূজাদির বলিদানসম্বন্ধে বিচার করিয়া মীমাংসা করিয়াছেন বে, যজ্ঞে যে পশ্বাদির হিংস করা হয়, তাহতে পাপ হইবে না । বৈধ হিংসা পাপজনক নছে, অবৈধহিংসাই পাপঞ্জনক, অতএব কদাচ শরীরপুষ্টির জন্ত অবৈধ হিংসা করিবে না। অবৈধ হিংসাজাত । যে মাংস তাছাও ভোজন করিবে না। বঙ্গে যে পশুংিস । করা হয়, তাছাতে পাপ হইবে না বলিয়। কথিত হইয়াছে, ; যজ্ঞে পশুবধ করিলে তাহার নিকৃষ্ট পশুজন্ম নিবৃত্তি হইয়৷ উৎকৃষ্ট জন্ম লাভ হয়, দাতায়ও স্বৰ্গ হইল্প থাকে। এইরূপে পরস্পর পরস্পরের উপকারসাধন করিয়া থাকে। দর্শনশাস্ত্র কিন্তু । ইহা স্বীকার করে না । দশনশাস্ত্রকার বিচার করিয়া মীমাংসা করিয়াছেন যে, হিংসা করিলেই পাপ হইবে এবং ঐ পাপফলে নরক ও অবশুম্ভাবী। ইহাতে বৈধাবৈধ বিচার নাই । ৰৈধ হিংসায়ও পাপ এবং অবৈধ হিংসায়ও পাপ । তাহারা : বলেন যে, “ম হিংস্তাৎ সৰ্ব্বভূতানি” ( এতি ) কোন প্রাণীরই হিংসা করিবে না। এই শ্রুতির তাৎপৰ্য্য হিংসামাত্রই বর্জ- ; নীয়। হিংসা করিলেই পুরুষের প্রত্যবায় হইয়া থাকে । জাবার কোন কোন শ্রুতি বলে"অগ্নিযোনীয়ং পশুমালভেত” ( শ্রীতি ) অগ্নিযোম যজ্ঞে পশুহিংসা করিবে । এই শ্রুতি দ্বারা অভিহিত হইয়াছে যে, যজ্ঞ সম্পাদন করিতে হইলে পশুহিংস৷ করিতে হয়। পশু প্রভৃতির হিংসা ভিন্ন যজ্ঞ সম্পন্ন হইতে পারে ন । ইহাভে কেহ কেহ বলেন যে হিংসা করিও না, ইহা সামান্ত বিধি, যজ্ঞে পশুহিংসা করিবে পুনরায় বিশেষ করিয়া বলায় ইহা বিশেষ বিধি। অতএব সামান্ততঃ হিংসা নিষিদ্ধ হষ্টলেও বিশেষ বিধি অনুসারে যজ্ঞে হিংসা নিষিদ্ধ নহে । দর্শনশাস্ত্রকার বলেন যে, কোনও প্রাণীর হিংসা করিৰে ন', ইহ সামান্ত বিধি সত্য, আর অগ্নিযোম যজ্ঞে পণ্ড হিংসা করিৰে, ইহ বিশেষ বিধি । শাস্ত্রীয় নিয়মীমুলারে বিশেষ বিধি সামান্ত विशिग्न बांक्षरु हहेtण७ uहे श८व्ण डांश् इहें८ब नl, कांद्रण बिप्ञा५श्प्णरे “एक्ल्याख्क्र” बाक्षादाक्षरु ७१ हहेख्न থাকে, | পূৰ্ব্বোক্ত শ্রতিদ্বয়ে কোনরূপ বিরোধ নাই, সুতরাং বিশেষ ৰিধি স্বারা সামান্ত বিধি নিষিদ্ধ হইতে পারে না । এই শ্রুতিদ্বয়ের অর্থ পর্য্যালোচনা করিলে জানিতে পারা যায় যে, একটী শ্ৰুতি বলিতেছে যে, কোনও প্রাণীকে হিংসা করিবে না, আর একট শ্রীতিতে বুঝাইয়া দিতেছে যে, অগ্নিযোম যজ্ঞে পশু হিংসা করিবে । এক্ট শ্রতিদ্বয়ের কোনরূপ বিরোধ নাই । উভয়ের ভিন্ন বিষয়, একটা বলিতেছে, হিংসা করি s না, অপর বলিতেছে, অগ্নিযেম যজ্ঞে পশু হিংসা করিবে, পশু হিংসা ব্যতীত অগ্নিযোম যজ্ঞ স্তষ্টবে না, ইফাই ইছার তাৎপৰ্য্য। যজ্ঞে হিংসা করিলে যে পাপ কষ্টবে না, এরূপ : ইহার তাৎপৰ্য্য নহে। পশুহিংসী যজ্ঞের উপকারুক এবং হিংসামাত্রই পাপজনক, সুতরাং এই দুষ্টট বিধি পরম্পর বাধ্যবাধক নহে। শাস্ত্রে যদি এইরূপ উপদেশ থাকিত যে, অগ্নিযোগীয় পশুfহংসায় পুরুষের পাপোৎপাদন করে না, তাহ। হইলে বিরোধ এবং বাধ্যবাধক ভার্ধ হটতে পারিত। যে কেতু পাপের উৎপাদক নহে, এবং পরস্পর বিরুদ্ধ। ঐ বিরুদ্ধ ধৰ্ম্মম্বয় এক পদার্থে থাকিতে পারে না । সাংখ্যাচাৰ্য্যগণ এইরূপ প্রতিপাদন করিয়াছেন যে, বৈধ হিংসাতেও পাপ হইবে । তবে তাহারা বলেন যে, বৈদিক যজ্ঞের অনুষ্ঠানে যেমন প্রভূত পুণ্যসঞ্চয় হয়, সেইরূপ ঐ যজ্ঞাঙ্গুষ্ঠান হিংসাসাধ্য বলিয়া প্রভূত পুণ্যের সঙ্গে সঙ্গে যৎকিঞ্চিৎ পাপেরও সঞ্চয় হইয়া থাকে । অতএব যজ্ঞাসুষ্ঠানকর্তা যখন স্বোপাজ্জিত পুণ্যরাশির ফলস্বরূপ স্বর্গমুথের উপভোগ করিবেন। তখন হিংসাজন্য পাপের ফলস্বরূপ যৎকিঞ্চিৎ দুঃখও তাছাকে উপভোগ করিতেই হইবে । কিন্তু স্বৰ্গবাসী পুরুষগণ মুখের মোহিনী শক্তিপ্রভাবে এমন মুগ্ধ হন যে, ঐ দুঃখকণীকে দুঃখ বলিয়াই বিবেচনা করেন না, অনারাসেই তাহ সহ কল্পিয়া থাকেন। যজ্ঞে প্রভূত পুণ্যসঞ্চয় ও হিংসাজন্ত অল্প পাপসঞ্চয় হইয়া থাকে। প্রভূত পুণ্যের ফলে বহুকাল স্বৰ্গবাস হয়, হিংসাজস্য সামান্ত পাপে অল্প দিন নরক হয়, এই সামান্ত নরকভোগকে তাহারা দুঃখ বলিয়াই বিবেচনা করেন না, এই মাত্র। ( সাংখাদ” ) শ্ৰাদ্ধবিবেকটকায় বৃহন্মস্থবচনে লিখিত আছে যে, ব্রাহ্মণ বৈধ ছিংসাও করিযেন না, কারণ তিনি সাত্ত্বিক অর্থাৎ সত্ত্বগুণপ্রধান, ইহা দ্বারা প্রতিপন্ন হইল যে সাত্ত্বিক ব্যক্তি বৈধহিংসা করিবেন না, রাজসিক ও তামসিকগণ বৈধহিংসা করিতে পারেন। “হিংস চৈৰ ন কৰ্ত্তব্য বৈধহিংস তু রাজসী। ব্রাহ্মণৈঃ সা ন কর্তব্য যতস্তে সাত্বিক মতাঃ ॥* (শ্ৰাদ্ধবিবেক-টকা ধূত বৃহন্মস্থ") (বৈধ হিংস ও বলিদান সৃষ্টৰ]