পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৬১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিমালয় তুষারদ্রৰ সমুৎপন্ন অনেক নদনদী ভারতের সমতল ভূমিকে ধৌত করিতেছে । কিন্তু কুএন্‌লুএনের কোন সমুদ্রসান্নিধ্য মাই বলিরা তাই। হইতে বিশেষ কোন নদীর উৎপত্তি হয় নাই । ভারতের বড়লাট ওয়ারেন হেষ্টিংস, জাণ্ডিজের সহিত সৰ্ব্বপ্রথমে ছিমালয়ের সাদৃশ্য আবিষ্কার করেন। জাণ্ডিজ এবং হিমালয় এই উতয়পৰ্ব্বতেরই তিনটী করিয়া সমরেখ প্রশাখার সমাবেশ । অন্তান্ত সীমান্ত সংস্থানেও জাণ্ডিজের সহিত হিমালয়ের সাদৃশু দেখিতে পাওয়া যায়। তিমালয়ের উৎপত্তি সম্বন্ধে নানাবৈজ্ঞানিকের নানা মভ। একদল ভৌগোলিক বলেন যে, ঐতিহাসিক যুগের বহুপূৰ্ব্বে হিমালয় একটি সমুদ্রের তীর, ভারতবর্ষের সমতলক্ষেত্র এবং সমুদ্রের গর্ভস্থল ছিল ; কিন্তু এই মতকে এখন প্রামাণ্য বলির গ্রহণ করিবার যথেষ্ট কারণ বিদ্যমান নাষ্ট । যে তিনটি সমরেখিক উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ পৰ্ব্বতমালায় হিমালয় বিভক্ত এক একটি কয়িয়া নিম্নে তাহার বিবরণ প্রদত্ত হইল । উত্তরমালা—এই উত্তরমালাটিকে আবার পূর্ব ও পশ্চিম ভাগ করিতে পারা যায়। পশ্চিমাংশ করকোরম্ বা মুস্তাঘ, নামে পরিচিত। কারকে রিমের পাৰ্ব্বত্যপথ হইতে একটা স্রোত স্বিনী দুইটী বিভিন্ন পথ অবলম্বন কয়িয়া দ্বিধা-বিভক্ত হইয়া । গিয়াছে ও একটী দক্ষিণমুথে সিন্ধুনদে, অপরটা করকোণমেৱ | উত্তয় দিয়া তরিমু অববাহিকায় প্রবেশ করিয়াছে। হিমালয়ের এই অংশের শৃঙ্গসমূহেল্প সাধারণ উচ্চভ ফিট । ইহাঙ্গের মধ্যে যেটা সৰ্ব্বোচ্চ, তাকার উচ্চতার পরিমাণ ২৮২৬৫ ফিট, এই উত্তঙ্গ পৰ্ব্বতশৃঙ্গটা পৃথিবীর মধ্যে কেবল হিমালয়ের অপয়শৃঙ্গ গৌরীশঙ্কর অপেক্ষা নিম্ন। ইহা ক২ ( K2 ) রূপে চিহ্নিত । করকোরমের দুষ্টট পাৰ্ব্বত্যপথ করকোরমৃ এবং চঙ্গ চেনমো । তাহ ছাড়া আরও তিনটা উল্লেখযোগ্য গিরিপথ আছে। করকোরমের দক্ষিণ চালুভূমি বৃহৎ ও চির-তুষারথওে আবৃত । এই সকল তুষার গলির সিন্ধু এবং অপরাপর নদ-নদী সৰ্ব্বদাই পুষ্ট হইতেছে। সিন্ধু, বশ, ব্ৰল , শিগার ও শয়োক উপভাঞ্চামধ্যস্থ জেলাগুলি একত্র “বল তিস্থান’ নামে পরিচিত। ইহার অধিবাসিগণ মুসলমানভাবাপন্ন তিব্বতীয়, ইছার তুরাণজাতিসদ্ভূত । হিমালয়ের এই বিভাগের দক্ষিণাংশ সম্বন্ধে বিশেষ কিছু জানা যায় নাই । কৈলাসপৰ্ব্বভ এবং চজ চেনমো পাৰ্ব্বত্যপথমধ্যৰৰ্ত্তী স্থানের অবস্থ। সম্বন্ধে কোন বৈদেশিক ভৌগোলিক কোন সংবাদ রাখিয়া যান নাই। এই স্থানের দক্ষিণ চালুভূমি छहेtड श्रृं७ऽक ५gष९ निकूनम डॅथिएठ इढ़ेब्रा श्मिणिtञ्चन्न भशामाणां 3 8 в в о [ ৬১২ ] হিমালয় ও দক্ষিণমালা ভেদ করিয়া ভারতের সমতল ক্ষেত্ৰাভিমুখে প্রবাহিত হইয়াছে। মানসসরোবরের পূৰ্ব্বে একটি খণ্ডাচল উত্তরমাল ও মধ্যমালায় সহিত সংযোগ রাখিয়াছে । ইহার পূৰ্ব্বদিকে ব্ৰহ্মপুত্র ও সানপোনদী উৎপত্তি লাভ করিয়াছে। কোন কোন তৌগোলিকগণ বলেন যে, হিমালয়ের এই পূৰ্ব্বাংশটি বাস্তবিক হিমালয়ের অংশ নহে, চীনের দক্ষিণে ফে পৰ্ব্বতয়াজি আছে, এই পৰ্ব্বত বস্তুতঃ তাছারই একটি অংশ। ङेश्ाद्मं नाम एठIत्र ऋण। । উত্তরমাল ও মধ্যমাগার মধ্যে কৈলাসপৰ্ব্বত হইতে আরম্ভ করিয়া সিন্ধুনদ ও শয়োকনদীর সংস্থান পৰ্য্যন্ত প্রসারিত একটি পৰ্ব্বতশৃঙ্গ আছে। কনিংহাম্ সাহেব ইহাকে কৈলাস কিংবা গঙ্গরি শৈলমাল নামে অভিহিত করিয়াছেন । ইহার মধ্যে যে সকল শৃঙ্গ আছে, তাহাদের সাধারণ উচ্চতা ১৬• • • হষ্টতে ২ • • • • ফিট । এই স্থানে ইহা অনেকগুলি গিরিসঙ্কটের মধ্যদির সিন্ধুনদের উপত্যক ছষ্টতে শয়োকনদীর উপত্যকার পৌছান যায়। - মধ্যমালা—এই স্বরহৎ শৈলমাল মঙ্গপৰ্ব্বত হইতে আরম্ভ হইয়াছে । লঙ্গের উচ্চ শৃঙ্গট ২৬,৬২৯ ফিট, উচ্চ । সিন্ধুনদীর উপত্যকা হইতে এই পৰ্ব্বত মস্তক উত্তোলন করিয়া আছে। ইহ। কাশ্মীরের সীমান্তসমীপবৰ্ত্তী । ইহার নিকট দিয়া সিন্ধুনদ একটা স্বাধীন রাজ্যের ভিতর দিয়া আসিয়া দন্নবন্দের নিকটে বৃটশগবমেণ্ট-শাসিত রাজ্যে আসিয়া পড়িয়াছে। এইস্থান হইতে ৫-৬০ মাইল পূৰ্ব্ব পর্য্যস্ত এই শৈলমাল নাতি উচ্চ । কৃষ্ণগঙ্গা এবং আস্তর এই দুই নদীর মধ্যে যে লোকচলাচলের জন্ত রাস্ত আছে, ত্তাহ ১৩••• ফিট, উচ্চ। ঐ পাৰ্ব্বত্যপথ দ্রস উপত্যকায় গিয়াছে। দ্রসগিরিপথ দিয়া কাশ্মীর হইতে লাদক মালভূমিতে প্রবেশ করা যায় ; ইহার নিকট হইতে এই পৰ্ব্বতমালার একটি শাখা দক্ষিণে সিন্ধুনদ ও ঝিলামূ নদীর উপত্যকা হইতে উত্তরে কৃষ্ণগঙ্গার উপত্যক পৃথক করিয়াছে। দ্রস পাৰ্ব্বত্যপথের নিকট হইতে অপর একটী শাখা কাশ্মীর উপত্যকার পূর্বদিক্ বেষ্টন করিয়া আছে। এই শাখা হইতে আরও অসংখ্য প্রশাখা বাহির হইয়। চারিদিকে কাশ্মীরকে পৰ্ব্বতের দ্বারা ঘিরিয়া রাখিয়াছে। দ্রস গিরিসঙ্কটের নিকট মধ্যমালার শৃঙ্গগুলি জব্রভেদী এবং চিয়-তুযায়াৰুভ। মুন এবং কুন শৃঙ্গ দুইটী ২৩••• ফিট, উচ্চ। ইছার উত্তরপূর্ব ঢালুভূমি হইতে জল গিয়া সিদ্ধনদে সঞ্চিত ছয় । মধ্যমালায় প্রধান ছুইটী নদীর নাম মুরু ও জলন্ধর r জনৃদ্ধর নদীটি একটী অভেদ্ধ প্রদেশের মধ্য দিয়া প্রবাহিত হইয়াছে। কিছুদূর দক্ষিণপূৰ্ব্বে শক্তক্ৰনদী একটা ভীষণ অত্যু