পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৬৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হীরক অগ্নিতে পুনঃ পুনঃ উত্তপ্ত করিলেই হীরকদ্বন্ধ প্রস্তরৰৎ চূর্ণাকারে পরিণত হইয় থাকে । ইরকভন্ম-সংযোগে যে সকল ঔষধ প্রস্তুত হইয়া থাকে, তাছা অমৃতসদৃশ। ঐ ঔষধসেবনে দেহ রোগ-নির্মুক্ত হইরা বন্দ্রসদৃশ সৰল ছয় । হীরকভন্মচুর্ণ C প্রাচ্য ও প্রতীচ্য জগতের প্রাচীনের এক বাক্যে স্বীকার করিয়া থাকেন যে, ভারতই হীরকের আদি আকর। এই ভারতভূমি হইতেই প্রাচীনকালে হীরকাদি স্বদুর যুরোপের পশ্চিম প্রান্তে নীত হইত। তৎকালে ভারতের কোন কোন স্থানে হীরক পাওয়া যাইত, পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণের উক্তি হইতে তাহার কোন নিশ্চিত বিবরণ পাওয়া যায় না । প্লিনি লিখিয়াছেন— আলিক্কী ( চেনাৰ ) ও গঙ্গা নদীতেই এই অমূল্য রত্ন পাওয়া যায়। মাউন্ট পরোপনিসাস ও আরিয়ানার পূৰ্ব্বাংশষ্ট প্রাচীন মতে হীরকের আকর। দ্রোনিসিয়াস্পেরি এগেটিসের বর্ণনা হইতে আমরা জানিতে পারি যে, ভায়তবাসীরা নদীবক্ষ হইতে হীরকমণি উদ্ধার করিত। মহম্মদ বিন্‌-মনস্থর লিখিয়াছেন, ভারতের পুৰ্ব্বাংশে ছীয়কের খনি বিদ্যমান, কিন্তু তিনি খনিতে হীরকোৎপত্তি-প্রসঙ্গে যে অত্যদ্ভুত গল্পের অবতারণা করিয়াছেন, তাত পাঠ করিলে মনে হয় যে, তিনি হীরকখনির অস্তিত্ব সম্বন্ধে কিছু মাত্র অবগত ছিলেন না । তবে ভারত হইতে যে হীরক উৎপন্ন হইয়া যুরোপ ও পারস্তে বিক্রয়ার্থ নীত হচত,তাহ তিনি বিলক্ষণ জানিতেন । এতদ্ব্যতীত যুরোপবাসীর নিকট ভারতে হীর কোৎপত্তিসম্বন্ধে অনেক কিম্বদন্তী প্রচলিত ছিল। প্রবাদ এষ্ট— মাকিদনবীর আলেকসান্দর লোকমুখে জুলমির শৈলশিখরোপরিস্থ হীরকমণ্ডিত উপত্যকার বিষয় অবগত হক্টর তদেশে আগমন করেন। তিনি শৈলশৃঙ্গে আরোহণ করিয়া দেখিলেন ঐ স্থানে মঙ্গুষ্যের গমন সাধ্যাতীত । কাজে কাজেই তাঁহাকে প্রত্যাবৃত্ত इझे८ङ हझेण । করিলেন যে, তোমরা যে উপায়ে পার, কতকগুলি পশুহত্য করিয়া অবিলম্বে এই পৰ্ব্বতোপরি ফেলির দাও । তাছার অাদেশ তদণ্ডেই প্রতিপালিভ হয়, শকুনির ঐ মাংসভক্ষণকালে তৎসংলগ্ন কীরকখণ্ডও উদরসাৎ করে । তাছারা তৎপরে আকাশমার্গে উডউীন হইরা যে যে ভূভাগে মল ত্যাগ করে, তত্তদ স্থানেই হীরক পাওয়া যায়। খৃষ্টীয় ১৩শ শতাঁদের ভারত-ভ্রমণকারী মার্কো-পোলে ঐরুপ একটা কিংবদন্তীতে হীরকোৎপত্তির বিবরণ প্রকাশ করিয়াছেন। খৃষ্টীর ১৭শ শতাব্দে ভারত-ভ্রমণকারী পাশ্চাত্য বণিক্‌ জিন বাপ্তিম্ভে টাবার্শিয়ার স্বরং ভারতের হীরকখনি পরিদর্শন করিয়া যান। তাছার বিবরণীতে প্রকাশ, গোলকোও হইতে ৪ দিন ও বিশাপুর হইতে ৮৯ দ্বিনের [ ૭ર. ] তখন তিনি স্বীয় অমুচরবর্গের প্রতি আদেশ XXII > Ebr হীরক পথ ব্যবধানে রাওলকোও নামক স্থানে এবং কোলুর ও সম্বলপুরে হীরকের খনি আছে। ছঃখের বিষয় তিনি ভারতের চির-প্রসিদ্ধ গোলকেfওlর কীরকখনি দেখিয়া যান नहेि ।। ०४२२ धूटेरिच cभtथtब्ङ नांभक जटेनक সৰ্ব্বপ্রথমে গোলকওরে হীরকখনি পরিদর্শন করিয়াছিলেন । কাল রিটার ভারতের হীরকোৎপাদক প্রদেশের স্তরাৰলি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া উহাদিগকে পাচট বিভিন্ন শ্রেণীতে নিবন্ধ করির গিয়াছেন । তাহার মতে— ১ম-কড়াপ শ্রেণী । ইছা পেস্নার নদীতটে অবস্থিত । এই বিতাগের কড়াপ, কোওপেট্ট, ওবমপল্লী, ললুর, পিঞ্চেদগপুড় এবং পেল্লার উপত্যক অতিক্রম করিয়া গণ্ডিকোট ও গুটজুগ পর্য্যস্ত স্থানে হীরক পাওয়া যায় । ওবমপল্লীর হীরকগুলি গোলাকৃতি ও কিছু বড় হয়। এই হীরকই উৎকৃষ্ট। २ग्न ब्रनिम्नांठ c●ग-इंश c*ाग्नtब्र ७ क्लयsiनभैौम्र मथJबखेौ বঙ্গ পল্লীর নিকটে অবস্থিত । এখানকার হীরকক্ষেত্রের স্তর ১ ফুট মাত্র এবং তথায় হীরক যথেচ্ছ ভাবে বিন্যস্ত আছে । এই হীরকগুলি সাধারণতঃ দ্বিমুখাগ্র, অর্থাৎ দুই মুখই পিরামিডের হার কোণাকার ও দ্বাদশাধার (dodecahedra) । ৩র—ইলোর শ্রেণী-ইহাই নিম্নকৃষ্ণ বা গোলকুণ্ড ক্ষেত্র নামে পরিচিত। বাস্তবিক গোলকোওfর কোন খনি নাই, কৃষ্ণ ও পেন্নার নদীদ্বরের সন্নিকটে নীলমূল নামক শৈলশিখরের পাদমূলে হীরক পাওয়া যায়। ইহাই পূৰ্ব্বে অপরিষ্কৃত অবস্থায় গোগকেওtয় আনিয়া পরিষ্কৃত ও কর্তিত হইত। এই কারণে তৎকালে গোলকোও রাজধানীতে হীরকের কারবার বসিয়া যায়। নবাবদিগের শাসনাধিকারে গোলকোগুl-ফুর্গেই ইয়করক্ষার ব্যবস্থা হইয়াছিল । এই হীরকখনির আবিষ্কার সম্বন্ধে কিংবদন্তী আছে যে, এক গোপালক গোধন চরাইতে চরাইতে একখণ্ড হীরক দেখিতে পার। সে তাহার ঔজ্জ্বল্য দেখিয়া প্রস্তরজ্ঞানে উঠাইয়া আনে এবং কোন পল্লিবাসীকে ধান্তের বিনিময়ে তাহার হস্ত হইতে ঐ প্রস্তর ক্রমে জহুরীর হস্তে গিয়া পড়ে । সে উহাকে হীরক বলিয়া চিনিতে পারিয়া অমুসন্ধান করে । তাম্বারই ফলে এই থলির আবিষ্কার হয় । ভ্রমণকারী টাবাণিরার যে রাওলকোও খনি সৰ্ম্মশন করিয়াছিলেন, তাহা কৃষ্ণানদীর মধ্য প্রশাখার নিকটে অবস্থিত ছিল । ইছ হইতে আরও পূর্বাভিমুখে নিম্নকৃষ্ণাগ্রবাহিত প্রদেশে কোলুর নামক খনি, দেশীর লোকে উহাকে “গণি” বলিয়া থাকে । ইহা মছলীপটম বন্দর হইতে ১৫ মাইল উত্তরপশ্চিমে অবস্থিত। টাবার্ণিয়ার ঐ খনি দেখিয়াছিলেন। তাছার বিবরণীতে লিখিত আছে যে, ঐ খনিতে “গ্রেট মোগল" নামক প্রসিভ উহ! প্রদান করে।