পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুবর্ণ মধ্য প্রদেশ-যেখানে প্রাচীনতর স্ফটিকময় পাহাড়গুলির উপর রৌদ্রবৃষ্টি পড়িতে পায়, সেখানেই বালুকার সঙ্গে স্বর্ণরেণু বিমিশ্রিত দেথা ধায় । নাগপুরেই সৰ্ব্বাপেক্ষা বেশি, তৎপরে জব্বলপুর এবং ছত্রিশগড়েও যথেষ্ট সুবর্ণ পাওয়া যায়। নাগপুর বিভাগ-ভাওরা জেলায় অমরগড় ও থিয়োরার নিকটবর্তী নদীসমূহে স্বর্ণয়েণুমিশ্র বালুক প্রচুর পরিমাণে পাওর যার । চান্দা জেলার পুৰ্ব্বাংশে সুবর্ণসংগ্রহের বিশেষ চেষ্টা হইতেছে । বালাঘাট জেলায় লঞ্জি এবং ধনস্বয়া পরগণার বালুক ধৌত করা হইয়া থাকে। এখানকার নদীগুলির মধ্যে শোণ এবং দেউই বিশেষরূপে সুবর্ণবাহী । জব্বলপুর বিভাগ-বদ্ধ, সাগর এবং ভামো জেলায় সুবর্ণ পাওয়া যায় বলিয়া এ পর্যন্ত কোন সংবাদ পাওয়া যার নাই ; কিন্তু এখানে প্রায় ৫২ জন স্বর্ণধৌতকারকের বসতি আছে । সেওনি জেলার পারকুধার নদীর বালুকার যথেষ্ট সুবর্ণরেণু, পাওয়া যায়। ছত্রিশগড়বিভাগ-সম্বলপুর জেলায় মহানদীর তীরবর্তী সম্বলপুর সহরে ও এবেনদীর তীরবর্তী তাছদগ্রামে বালুক। ধুইয়৷ স্বর্ণসংগ্রহের প্রথা রীতিমত প্রচলিত অাছে। বিলাসপুর জেলায় জঙ্ক নদীর তীববর্তী সোণপাতে সুবর্ণরেণু পাওয়া যায় বলিয়া জানা গিয়াছে। রায়পুর জেলায় কয়েক জন স্বর্ণধেীতকারকের বাস অাছে । এখানে মহানদীর তীরবত্তী রাজিম নামক স্থানে সুবর্ণকণ পাওয়া যায় । উপর-গোদাবরীজেলা—ভদ্ৰাচলম্ ও মারি গুদম্ এই দুষ্ট স্থানে সুবর্ণ প্রাপ্ত হওয়া যায়। মারিগুদমের সোণ ১৬ টাকার তোলা দরে বিক্রয় হয় । মণিমুর—এখানে উরিগা মৃ নামক গ্রামে বালুক ধৌত করিয়া ও মায়করপম নামক স্থানে ভূগর্ভ হইতে স্বর্ণ সংগ্রহ করা হয়। বুদিকোট হইতে রামসমুদ্র পর্য্যন্ত সুবিস্তৃত স্থানে মুক্তিকার সৰ্ব্বোপরিস্থ স্তরটাতেই সুবর্ণরেণু মিশ্রিত দেখিতে পাওয়া যায়। ১৮৯২ খৃঃ অৰে কাপ্তেন ওয়ারেণ এখানে ছুইটী সুবর্ণখনি দেখিতে পাইয়াছিলেন । ইহাদের একটা কেমব্লিতে অবস্থিত, ষ্টত ৩• ফিট গভীর ও ইহার স্তয় ৫o ফিট । স্বর্ণপল্লীর পশ্চিমে যে আর একটি খনি ছিল, তাত ৪৫ ফিট গভীর ও ৫৬ ফিট বিস্তৃত । নানা প্রকায় দুর্ঘটনা ঘটিত বলিয়া এথানে খনির কাজ এক প্রকার বন্ধ হইয়া আসিয়াছিল , কিন্তু উনবিংশ শতাস্বীর শেষভাগে লোকের দৃষ্টি আবার এই দিকে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হটয়াছে। ১৮৭২-৭৩ খৃঃ অন্ধে বেতমঙ্গল তালুকে ৫ পাউও ওজনের এবং পরবর্তী বৎসর কোলারেও ৬ পাউও ওজনের লোণ পাওয়া খায়। * তখন বিশ্বাস হইল ষে রীতিমত্ত o YXII > * دهه ]؛ সুবর্ণ চেষ্টা করিলে এই অঞ্চলে প্রভূত পরিমাণে স্বর্ণ সংগৃহীত হইতে পারে এবং সরকার হইতে মিঃ লাভেল নামক একজন ইংরাজকে তিন বৎসর পর্যন্ত স্বর্ণ ও অষ্টাচ্চ ধাতু উত্তোলনের অধিকার দান করা হইল। ইছার পয়ে কোলারের স্বর্ণক্ষেত্রের निटक अनzकब्रहे छुष्टि आङ्गडे झहेन ।। २४४० १: अभ हहेcऊ বহু কোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হইয়া স্বর্ণ সংগ্ৰহ করিয়া ৰিদেশ প্রেরণ করতেছে । হায়দরাবাদ-গোদাবরীর এবং ইহার শাখানদীসমূহের থাতে ও তীরে সুবর্ণরেণু পাওয়া যার । ডাক্তার ওয়াকার সাহেব বলেন যে ১৭৯o খৃঃ আন্ধের সমকালে মুঙ্গাপেটের সমীপ বস্ত্রী গোদালোর নামক গ্রামে একটা সুবর্ণখনি আবিষ্কৃত হইয়াছিল । মাম্রাজ–সুদূর অতীতে যাম্রাজ স্বর্ণখনির জন্ত বিশেব প্রসিদ্ধিলাভ করিয়াছিল। বি স্তু বহু বৎসর পয্যন্ত এখানে স্বর্ণসংগ্রহের একেবারেই চেষ্টা হয় নাই। এখন আবার নুতন চেষ্টা চলিতেছে। ত্রিবাঙ্কুর, মহুরী, ধলবার, বৈনাদ, সালেম্ ও বেল্লারী এই সকল স্থানে স্ববর্ণের অস্তিত্ব প্রমাণিত হষ্টয়াছে । কাহারও কাহারও বিশ্বাস যে বিশাখপত্তনেও স্বণরেণু পাওয়া যাইতে পারে । ত্রিবায়ুরে স্ফটিকক্ষেত্রের উদ্ধ তমস্তরে সুবর্ণরেণু দেখিতে পাওরা যার । মতুয়া জেলার দুষ্ট স্থানে পাল,কন!থে ও বেগাই নদীর বালুকারাশিতে সুবর্ণরেণু সংগৃহীত হইয়া থাকে। সালেম্ জেলায় এক সময়ে কাঞ্জামালিয়া নামক পাঙ্গড়ের সাসুদেশে এই বহুমূল্য ধাতু পাওয়া যাইত । - মলবার ও বৈনাদ জেলা—পূর্বেই বলিয়াছি প্লিনির সময়ে যে এগানে সুবর্ণ পাওয়া যাইত, তাঙ্গার প্রমাণ আছে, তবে ১৭৯২-৯৩ খৃঃ অব্দের পূর্ববর্তী বিবরণ না থাকাতে এই অঞ্চলের সুবর্ণের কথা একেবারেই অমালোচিত রহিয়াছে । এই বৎসর যে সরকারী কমিশনের রিপোর্ট প্রকাশিত হয়, তাহা হইতে জানা যায় যে সেট সময়ে নীলাম্বরের রাজা ঠাখার রাজ্য যে স্বর্ণ পাওয়া যাইত, তাহার উপর একটা রাজকর স্থাপন করেন । বুকানন লিখিরা গিয়াছেন যে ১৮০১ খৃঃ অঙ্কে মলবারে ছিল, সামান্তমাত্র রাজকর দির একজন নাঙ্কর এই সকল খনি হইতে মুবর্ণ উত্তোলন করিতেছিল। ১৮৩০ খৃঃ জন্মে মিঃ বেবার নামক একজন ইংয়াজ লিখিয়ছিলেন যে, কোয়স্বাতোরে এবং নীলগিরি ও কুগুগিরিমালার দক্ষিণ ও পশ্চিম প্রদেশে ংoooহাজার বর্গমাইল পরিমিত জমিতে সুবর্ণরেণু পাওয়া যার । ১৮৭৯-৮০ অবে মিঃ ব্রাডস্মিথ বৈনাদ অঞ্চলের সুবর্ণক্ষেত্রগুলি বিশেষ করিয়া দেখিয়া এইরূপ মত প্রকাশ করেম বে, এখানে স্মৃত্তিকার সঙ্গে স্বৰ্গরেণু অমেৰু অধিক মাত্রায় বিজড়িৎ জছে ।