পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৬৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুসেন মাৰবী [ ક8૭ ] হুসেন বায়েজ একজন মুসলমান নরপতি। টনি স্বীয় পিতা বুৰ্বান নিজামশাহের মৃত্যুর পর ১৫৫৪ খৃষ্টাৰে ৩০ বৎসর বয়সে আহ্মদনগরে সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হন । ১৫৬৫ খৃষ্টাৰে ষ্টনি বিজাপুরের রাজা আলী আদিলশাহ, গোলকোণ্ডার ইব্রাপ্তিম কুতুবশাহ ও আহ্মদাবাদের ( বিদর ) আমীর বরীদের সহিত একযোগে মিলিত হক্টর বিজয়নগরাধিপ রামরাঞ্জের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্র করেন । এষ্ট যুদ্ধে রামরাজ পরাজিত ও নিষ্ঠত চন । রণক্ষেত্র হষ্টতে প্রত্যাগত হইয়া একাদশ দিনের পর হুসেন নিজামের প্রাণবায়ু বহির্গত হয় । [ নিজামশাহীৰংশ দেখ ] হুসেন নিজামশাহ, নিজামশালবংশের একজন রাজা। হুসেনপুর-বাহাদুরপুর, যুক্তপ্রদেশের মজঃফরপুর জেলার জনসাথ ততশীলের অন্তর্গত তুষ্টট ক্ষুদ্র গ্রাম । বর্তমানে দুষ্ট নামে একটি গওগ্রাম পৰ্য্যবসিত হইয়াছে, এষ্ট স্থান মজঃফরপুর হইতে ২২ মাষ্টল দূরে মীরাট বাষ্টবার পথে গঙ্গার প্রাচীন গর্তের নিকটে অবস্থিত। এখানকার অধিবাসীরা প্রধানতঃ চৌছানবংশীয় রাজপুত এবং তাছাদের অধীনস্থ প্রজাবুল চামারজাতীয় । এষ্ট গ্রামের নিকটবৰ্ত্তী ক্ষেত্রসমূহে বড় বড় ঘাস জন্মিয় খাকে । উছাতে চাষবাসেরও বড় অসুবিধা হয়। কারণ ক্ষেত্রকর্ষণ করিয়া শস্তবপন করিলে বীজ হইতে বৃক্ষ উৎপন্ন হইবার সঙ্গে সঙ্গে ঐ তৃণগুলি গজাষ্টয় উঠে এবং তাহা ক্ষেত্রোৎপন্ন ধান্ত গোধূমাদি তৃণের বড়ই বিয়কর। অনেক সমর ঐ তৃণয়াজিমধ্যে বহুবরাহ ও বান্ত্ৰি লুকায়িত থাকির গ্রামবাসীদিগকে নানারূপ বিপন্ন করিয়া তুলে । বিখ্যাত সিপাহীবিদ্রোহের সময় গুজরঞ্জাতীয় সেনাদল হুসেনপুর লুণ্ঠন করির গ্রামবাগীর সর্বস্ব অপহরণ করে, এমন কি, তাহারা গরু বাছুর প্রভৃতি অস্থাবর সম্পত্তিও লইয়। পলায়ন করে । এষ্ট দুর্দশার পর হইতে গ্রামবাসীর আর আপনাদের অবস্থা পরিবর্তন করিতে সমর্থ হয় নাই । হুসেনবেলী, বোম্বাই গ্রেসিডেন্সীর সিন্ধুপ্রদেশের শিকারপুর জেলার রোহ উী উপবিভাগের অন্তর্গত একটী বিখ্যাত ফেরীঘাট। গেম্রো নগরের নিকটবর্তী স্থান দিয়া সাধারণে সিন্ধুনদ পার হইয়। পরপারে গমন করে। ইহ। আজিজ পুর ও আমিলঘাট ফেরা নামেও পরিচিত। অক্ষা ২৭° ৪২' উঃ এবং দ্রান্ধি” ও৯' পূঃ। হুসেন মাৰ্ব্বী (খুজিা ), পারতের মার্ক প্রদেশবাসী একজন স্বকবি । ইনি সম্রাট আকবরের সমসাময়িক । উক্ত সম্রাটের দ্বিতীয় পুত্র স্থলভান শাহ মুয়াদের জন্ম উপলক্ষে ১৫৭০ খৃষ্টাৰে ইনি থওকাব্য রচনা করিয়াছিলেন । তাহার রচিত একখানি দিবান ও পায়ন্তভাষায় রচিত “সিংহাসনবত্তিশী" নামৰ গল্প গ্রন্থ পাওয়া যায় । হুসেন মীর্জা (স্বলতান ), আমীর তৈমুরের বংশধর ও মীর্জা মনসুরের পুত্র । কিন্তু সৰ্ব্বত্রই ইনি আবুল গাজী বাহাদুর নামে পরিচিত । সুলতান আবু সৈয়দ মীর্জার মৃত্যুর পর খোরাসান রাজ্য চন্তগত করিবার মানসে ষ্টনি স্বীয় অস্ট্রিীয়বর্গের সহিত নান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন । ১৪৬৯ খৃষ্টাব্দে হিরাট নগরে রাজসিংহাসনে অধিষ্ঠিত হইয়া ইনি সিংহাসনের প্রতিযোগীদিগের বিরুদ্ধে অস্ত্ৰধারণ করেন। এই সকল যুদ্ধে ও বিপ্লৰে পুনঃপুনঃ জয় এবং উজবেকজাতিকে সম্যক্ শাসনাধীন করায় ক্টনি গাজী উপাধি প্রাপ্ত হন । ই হার সভা স্থবিজ্ঞ সুধীমণ্ডলী দ্বারা পরিপূর্ণ ছিল । স্বপ্রসিদ্ধ ঐতিহাসিক থওমীর তাহার প্রজা এবং আমীর আলি শের তাহার প্রধান মন্ত্রী হইয়াছিলেন । খোরাসানে ৩৮ চান্দ্র বৎসর ৪ মাস রাজত্বের পর ১৫০৬ খৃষ্টাব্দে তাহার মৃত্যু ঘটে। মুলতান হুসেন মীর্জ একজন স্থপণ্ডিত ছিলেন। তুর্কভাবায় তাহার রচিত দিবান ও মজালি-উল-ইসাফ, নামীয় একখানি প্রেমরসাত্মক উপহাস পাওয়া বায়। উক্ত কাব্যের ভণিতার ইনি হুসেনী নামে পরিচিত । হুসেন মৈবাজী, সাঙ্গন্‌জল-উল-অর্ব নামে কাব্যসংগ্রহ-সঙ্কলয়িত। উক্ত গ্রন্থে তিনি পারলী ও তুকী কবিগণের রচনা উদ্ভূত করিয়াছেন। হুসেন লঙ্গা, ১ম, মুলতানের ৩য় নরপতি । ১৪৭৯ খৃষ্টাব্দে পিত কুত বউদ্দীন মাঙ্গদ লঙ্গার মৃত্যুর পর ইনি সিংহাসনে আরোহণ করেন। ইনি দিল্লীশ্বর সেকেন্দরলোদীর সহিত সন্ধিস্থত্রে আবদ্ধ হইয়া স্বীয় রাজ্যভিত্তি স্বধৃঢ় করিয়াছিলেন। ১৪৯৮ খৃষ্টাব্দে (মতান্তরে ১৫১২ খৃঃ) তাছার মৃত্যু হয় এবং তাহার পৌত্র মাস্ক,দ খাঁ লঙ্গ রাজ্যাধিকার প্রাপ্ত হন। হুসেন লঙ্গা, ২র, মূলতানের ৫ম ও শেষ নরপতি মাহ্মদ খা লঙ্গার পুত্র। ১৫২৪ খৃষ্টাব্দে পিতার মৃত্যুর পর তিনি পিতৃসিংহাসনে আরোহণ হন। ঐ সময়ে হলেন নাবালক, র্তাহার ভগিনীপতি স্বল্প-উল-মুলফ, হালকের অতিভাবক হইয় রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করিতে থাকেন। এই সময় সম্রাট বাবরশাহের আদেশে ঠট্রের নরপতি শাহ হলেন অধুন মুলতান আক্রমণ ও অধিকার করেন। অতঃপর উহা দিল্লীসম্রাটের অধিকার फूछ श्ब्र । হুসেন বায়েজ ( মৌলানা), একজন মুসলমান গ্রন্থকার। ইনি খোরাসানপতি স্বলতান হুসেন মীর্জার অধীনে হিরাটে কৰ্ম্মচারী নিযুক্ত ছিলেন । ১৪•৭ খৃষ্টাব্দে ঐ রাজপদে নিযুক্ত থাকিয়াই তাছার জীবলীলা শেষ হয় । গ্রন্থকার-রচিত ‘মবাহিৰ, উলিয়াৎ কোয়াগশাস্ত্রের একখানি