পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুবর্ণ মধ্যভারতবর্ষ—ডাঃ আরভিন বলেন যে এক সময়ে অজমেল্প-মৈল্লবাড়া জেলার লুনী ও চাড়ি নদীর তীরে সুবর্ণরেণু সংগ্রহ করা হইত। কিন্তু অধুনা এখানে এই ব্যবসায়ের একেবারেই অস্তিত্ব নাই । বোম্বাষ্ট প্রদেশ—দক্ষিণ মহারাষ্ট্রদেশের ধারবার, বেলগাও এবং কলাগি জেলার ও কাঠিবাড় অঞ্চলে অনেকগুলি পাহাড়ে সুবর্ণ পাওয়া বার। ধারবার জেলা—চিত্ৰমূগগল, মুর্তর, দম্বল, ধোনি প্রভৃতি স্থানে ও গুজুকের নিকটবৰ্ত্তী হস্তি নদীতে স্ববর্ণ পাওয়া গিয়াছে। এই জেলায় তিন রকম পাগড়ে স্বর্ণ পাওরা যায় । বেলগাঁও জেলা—এখানে বেলৌদি, ৰীল হোঙ্গিল ও মুর্গায় গ্রামে পূৰ্ব্বে সোণ পাওয়া যাইত শুনিতে পাওয়া যায়। কলাগি জেলা—এখানকার নদীসৈকতবত্তী বালুকীকণার সঙ্গে মুবর্ণরেণু বিজড়িত আছে বলিয়া প্রকাশ । কাঠিবাড়—সেরেবা ও আজি নদীর জলে অল্পপরিমাণ স্বর্ণকণা পাওর বার । পঞ্জাব—এখানকায় রাবি ও অস্তান্ত দুই একটি নদী ব্যতীত প্রায় সকল গুলি নদীর বালুক্তার সঙ্গেই সুবর্ণরেণু মিশ্রিত আছে। বালুক ধৌত করিয়া সুবর্ণ সংগ্রহের প্রথা এখানে বহু প্রাচীন কাল হইতেই প্রবর্ধিত আছে বলিরা বিশ্বাস। পূৰ্ব্বে শিখরাজত্বের সময়ে প্রাপ্ত সোণার } অংশ রাজস্ব স্বরূপ প্রদান করিতে হইত। তাহাতে রাজস্ব অনেক বুদ্ধি হইয়াছিল। কিন্তু অধুনা অতি অল্পমাত্রই রাজকর আদায় হইরা থাকে । ১৮৬০-৬১ খুঃ ৪৪৪১ টাকা ও ১৮৬১-৬২ খৃঃ অঙ্গে e৩-২ টাকা রাজকোষ ভূক্ত হইয়াছিল। আবুল ফজল বলেন যে সম্রাটু অকৃবরের সময়ে লাহোর মুবার বালুক ধৌত করিয়া সুবর্ণ সংগ্রহ করা হইত। এথন নিম্নলিখিত জেলা গুলিতে পাওয়া যায়— বাপ্প, জেলা—কলাবাগের সন্নিকটে সিন্ধু নদী হইতে বৎসরে প্রায় ২-২ টাকার স্ববর্ণরেণু সংগৃহীত হইয়া থাকে। পেশবার জেলা—আটকের উদ্ধাংশে সিন্ধু নদীতে ও কাবুল নদীতে প্রায় দেড় শত লোক স্বর্ণ ধৌত করিয়া জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করে। গড়ে প্রত্যেকে ২ হইতে ২। তোল পর্য্যস্ত স্নবর্ণ পাইয়৷ থাকে। ইহা ১৫ টাকায় তোলা দরে বাজারে বিক্রয় হয় । হাজার জেলা—এখানেও সিন্ধুনদী হইতে অল্প পরিমাণ সূৰ্ণ সংগৃহীত হইয় থাকে । রাবলপিণ্ডী জেলা—আটক এবং কলাবাগের মধ্যবর্তী সিন্ধুর বালুক ধৌত করিয়া স্বর্ণ সংগ্রহ করা হয়। ১৮৪৩ খৃঃ অক্সে এখানে বড় বড় কাঠ পায় ও পারদ লইয়া প্রতিবৎসর প্রায় ৩০০ শত জন লোক সুবর্ণসংগ্রহে নিযুক্ত হইত। এইরূপে [ ৬২ ] হবর্ণ ইছারা যাহা পাইত, তাহার একচতুর্থাংশ শিখরাজগরকারে প্রদান করিতে হুইত, ইহাতে তাহাদিগের প্রত্যেকের দৈনিক efo আনা । • আনার বেশী পড়িত না । ঝেলাম জেলা—শিখরাজত্বের সময় এখানকার নদীগর্ত হইতে যে স্বর্ণ উত্তোলিত হইত তাহাতে বৎসরে ৫oo শত छैोकांब्र७ अशिक ब्रांछकब्र अtनांव्र इहेछ । २vev धूः श्राक এখানে বৎসরে ১০১৩ ভোলা অর্থাৎ প্রায় ১৬০০ পাউও স্ববর্ণ পাওয়া যাইত। বনহুর নদী ও ইহার পশ্চিমে সিন্ধুনদী পৰ্য্যস্ত ষে সকল খাল আছে তাছাতেই সুবর্ণরেণু পাওয়া গির থাকে । কাঙড় জেলা—হরিপুরের নিকটে বিরাস নদীতে এবং স্পিতি, কুলু ও লাহুলে সুবর্ণ পাওরা আর । অম্বালা জেলা—মার্কও নদী হইতে যে সুবর্ণ সংগৃহীত হয়, লাহোর-প্রদর্শনীতে তাহার নমুনা প্রদর্শিত হইয়াছিল । পুৰ্ব্বে এখানকার গোমতী নদীতেও স্ববর্ণ সংগ্রহ করা হইত। বলফুর সাহেব লিখিয়াছেন যে অম্বালা এবং কালকার মধ্যৰৰ্ত্তিপ্রদেশে প্রচুর স্বর্ণ পাওয়া গিয়াছে । গুরগাও জেলা—সোণার নিকটবৰ্ত্তি খালগুলিতে সুবর্ণরেণু

  • i Gय़। शृश्नःि ॥

কাশ্মীর—আইন-ই-আকবরীতে আবুল ফজল লিখিয়াছেন, অকবরের সময়ে কাশ্মীর সুবার পদমাটি, পুকোলি ও গুলকুটে ( গিলগিটে ? ) সুবর্ণ পাওয়া যাইত, এখানে এক নূতন ধরণে সুবর্ণরেণু সংগ্রহ করা হইত। যে সকল নদীর জলের সঙ্গে এই সকল ভাসির আসিত, ভtহাদেয় গর্ভে সলোমপশুচৰ্ম্ম পুতিয়া রাখা হইত। ইহাদের লোমে স্বৰ্গরেণু জমির খাকিত । সেই চৰ্ম্ম শুকাইয়। মাড়িয় ফেললেই সুবর্ণ পাওয়া বাইত। বর্তমান সমরে কাশ্মীরের মহারাজের রাজ্যমধ্যে একমাত্র লাদকেই স্বর্ণ ংগ্রহের প্রথা প্রচলিত আছে । উত্তরপশ্চিম প্রদেশ–কুমাওন এবং গাড়োয়ালের করেকটি নদীতে বাপুকার সঙ্গে স্বর্ণরেণু বিজড়িত দেখা যায়। পূৰ্ব্বে মোরাদাবাদ জেলার কয়েকটি নদীতে বালুক ধৌত করিয়া সুবৰ্ণ সংগ্রহের প্রথা প্রচলিত ছিল । গাড়োরাল জেলা—অলকননা, বেনগঙ্গা ও সোণা নদীতে স্ববর্ণরেণু পাওয়া যায়। অলকনস্যার উৎপত্তিস্থানের নিকটবৰ্ত্তী কেদারনাথে নাকি একখান গ্রেনাইট পাথরেও একটু সুবণু রেখা দেখিতে পাওর। গিয়াছিল। এখানকার গঙ্গায়ও সুবর্ণ

  • ोंsध्न दfम्न !

মোরাদাবাদ জেলা—ইছার উত্তর সীমাস্তবৰ্ত্তী রামগঙ্গার শাখা সমূহে, বিশেষতঃ কে এবং চেলাতে স্বর্ণ পাওয়া যায়। নেপাল,সিকিম ও দ্বারঞ্জিলিং—হিমালয়ের উত্তরপশ্চিমাংশের