পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৬৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেত্বাভাস [ ७७8 থাকে, এই জন্ত ছায়া হয় । পুরুষ ক্রমে অগ্রসর হইতেছে বলিয়া আলোকের অসপ্লিধি ৰ অভাবও উত্তরোত্তর অগ্রিম স্থানে উপলব্ধি হয় । এষ্ট জন্য পুরুষের দ্যায় ছায়াও ক্রমে অগ্রসর হইতেছে এইরূপ ভ্রম হয় । অতএব ছায়ার গতি নাই। সুতরাং ছায়া দ্রব্য পদার্থ নহে, ছায় আলোকের অসল্লিধি মাত্র। এই সাধ সমের অপর নাম আসিদ্ধ । কালাঙাত হেতু—কালের অতিক্ৰমযুক্ত হেতুর নাম অতীত কাল বা কালাতীত। মীমাংসকগণ বলেন যে, উপলব্ধির পূৰ্ব্বে এবং পরেও রূপের অবস্তিতি থাকে, অথচ রূপের অধিকরণ দ্রব্যের সহিত আলোকের সংযোগ স্তষ্টলে রূপের অভিব্যক্তি বা উপলব্ধি হয়। সেইরূপ ভেরী ও দণ্ডসংযোগেও অভিব্যক্তি বা উপলব্ধি হয় য় থাকে। অতএব সংযোগব্যঙ্গ্য বলিয়। শব্দের শব্দ ও রূপের দ্যায় উপলব্ধির পুবের ও পরে অবস্থিতি থাকে। এস্থলে সংযোগব্যঙ্গ্যত্ব হেতু দ্বারা প্রকারাস্তরে শব্দের নিত্যত্ব সাপন কবা হইয়াছে । | এই হেতু কালাতীত। কারণ আলোক-সংযোগ সমকালেই রূপের অভিব্যক্তি হয় এবং আলোক-সংযোগের নিবৃত্তি হইয়া । গেলে রূপের অভিব্যgি ছয় না, সুতরাং রূপের অভিব্যক্তি কিন্তু সংযোগ-জন্ত হষ্টতে পাবে না, কারণ ভেরী দণ্ডসংধোগের সম | কালেই শব্দের অভিব্যক্তি হয় না, তৎপরে হইয়া থাকে । আর একটা উদাহরণ দিলে ইহা আরও স্পষ্ট রূপে বুঝিতে পার ৰাষ্টবে। দূরে কোন কাষ্ঠে কুঠারের আঘাত করিলে দুরন্থ ব্যক্তি ঐ আঘাতের শব্দ শুনিতে পায় । কাষ্ঠ ও কুঠারের সংযোগকালে দুরন্থ ব্যক্তির শশাঙ্কান হয় না, অনেক পরে তাহায় ঐ শব্দ জ্ঞান হইয়া থাকে। কারণ দূরস্থ শ্রোত দুরন্থ শব্দ শ্রবণ করে না, শ্রোতার শ্রবণ-প্রদেশে যে শব্দ উৎপন্ন হয়, তাছাই সে শ্রবণ করিয়া থাকে । সুতরাং শ্রোতার এই শব্দজ্ঞান কাষ্ঠ ও কুঠারের সংযোগকাল অতিক্রম করে, অতএব সংযোগৰাজ্যত্ব হেতু কালাতীত। এই কালতীিতের অপর নাম কালাত্যয়েlপদিষ্ট । এই সকল হেতু সদ্ধেতু নছে, এই জন্ত ইহাদিগের নাম হেত্বাভাস । এই সকল হেতু দ্বারা সাধ্য নিশ্চয় হয় না । ( छाब्रम° २ अ*) i কণাদ বৈশেষিকদর্শনে হেত্বাভাস তিন প্রকার বলিয় নির্দেশ করিয়াছেন। অপ্রসিদ্ধ, অসন ও সঙ্কিন্ধ। যে হেতুর প্রসিদ্ধি নাই, তাছার নাম অপ্রসিদ্ধি। প্রসিদ্ধি শব্দের অর্থ প্রকৃষ্ট রূপে ৰাপ্তি। ষে হেতুতে সাধোর ব্যাপ্তি নাই, অথবা ব্যাপ্তি থাকিলেও কোন কারণে তাছার জ্ঞান হয় না, সে হেতু অপ্রসিদ্ধ। জপ্রসিদ্ধের অপর নাম ব্যাপ্যত্বাসিদ্ধ । J হেমকমল অসন-যে হেতু পক্ষে বা সাধ্যের অধিকরণে থাকে না, তাহার নাম অসন। হার অপর নাম বিরুদ্ধ। সাধোর সহিত ৰে হেতুর ব্যাপ্তি নাই, সাধ্যাভাবের সহিত ব্যাপ্তি আছে, সেই হেতুই বিরুদ্ধ। সুতরাং অপ্রসিদ্ধের অন্তর্গত । ৰে হেতু পক্ষে ৰিস্কমান থাকে না, তাছা অসন। হ্রদো দ্রব্যং ধূমাৎ এখানে ধুম রূপ হেতু হ্রদরূপ পক্ষে বিদ্যমান আছে, সুতরাং উহ! অসন । যে হেতুতে সাধ্য ব্যাপ্তির সন্দেহু হর বা যেহেতু গাধের নিশ্চায়ক হষ্টতে পারে না, পক্ষে সাধোর সন্দেহ মাত্র উংপাদন করে, তাহার নাম সন্দিগ্ধ। এষ্ট সন্দিগ্ধের অপর নাম অনৈকান্তিক । যে হেতু কেবল সাধের সহিত বা কেবল সাধ্যা ভাবের সহিত সম্বন্ধ, সে খেতু ঐকান্তিক, যে হেতু ঐকান্তিক নহে, সাধা ও সাধ্যাভাব এত উভরের সহিত সম্বন্ধ তাক অনৈকাস্তিক । বিষাশিত্ব হেতু করিয়া গোত্বসাধণ কfর৩ে গেলে বিযাণিত্ব হেতু সন্দিগ্ধ বা অনৈকাস্তিক। কারণ গোত্বসাধা, বিধাণিত্ব হেতু । গোপশুর যেমন বিবাণ আছে, মহিযাদির ও সেইরূপ শুঙ্গ আছে, সুতরাং বিষাণিত্ব হেতু গোত্বরূপ সাধ্যের অধিকরণ গো পশুতে আছে বলিয়া যেমন সাধ্যের সহিত সম্বন্ধ, সাধ্য গোত্বের অভাবের অধিকরণ মহিষাদিতে আছে বলিয়া সাধ্যাভাবের সহিতও সম্বন্ধ, সুতরাং বিযাশিত হেতু অনৈকাস্তিক । বিধাণিত্ব এই হেতু দ্বারা গোত্বের নিশ্চয় হইতে পারে না, গোত্বে সন্দেছ মাত্র হইতে পারে, এই জন্ত ঐ হেতু সন্দিগ্ধ। এই সকল হেত্বাভাস বৈশেষিক মত সিদ্ধ। এই সকল হেতু দ্বার সাধ্যের নিশ্চয় হয় না,এই জন্ত এই সকল হেতু দৃষ্ট হেতু । (বৈশেষিকদ") চরক বিমানস্থানে ৮ অধ্যায়ে ও হেত্বাভাসের বিশেষ বিবরণ লিখিত আছে,বাহুল্যভয়ে তাহ আর এই স্থলে লিখিত হইল না। হেথা ( দেশজ ) এতৎস্থান, এই স্থান । হেদো (দেশজ। যে পুকুরে নলখাগড়া প্রভৃতি থাকে, পানাপুকুর। হেন ( দেশজ ) তৎসদৃশ ব্যক্তি, তৎসদৃশ । হেনজাদ, ব্রহ্মদেশে ইরাবতী বিভাগের অন্তর্গত একটা জেলা অক্ষা- ১৭”১৮% হইতে ১৮° ৬৪ উঃ এবং দ্রাঘি” ৯৪° ৫৩% হইতে ৯৫° ৪৫ পূঃ মধ্যে অবস্থিত। ইহায় উত্তরে গ্রোমজেলা, পূৰ্ব্বে ইরাবতী নদী, দক্ষিণে থরাবদী ও বেসিন জেলা এবং পশ্চিমে আরাকান-যোমা শৈলমাল । এই জেলাটী পশ্চিমে ইরাবতী হইতে আরম্ভ করিয়া একটা বিস্তৃত সমভূমি, মধ্য এবং দক্ষিণ পূৰ্ব্বাংশ ছাড়া সমগ্র জেলা বৃহৎ বাধ দিয়া ঘেয় । আয়াকানপৰ্ব্বতমালাই এই জেলার প্রধান শৈল । মায়ানঙ্গের নিকট এই শৈলমালার উচ্চত্ত। সমুদ্রপৃষ্ঠ হইতে ৪• •৩ ফিট। ইহার ঢালুগুলি গভীর এবং গহন বনে সমাচ্ছাদিত । ইয়াৰতী নদী উত্তর হইতে দলি ৭মুখে এই জেলার মধ্য দিয়া প্রবাঞ্ছিত হইয়া গিয়াছে।