পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হুবর্ণবর্ণ ইহাদিগের যে বাণিজ্যকুঠী ছিল, তাহারই ধ্বংসাবশেষের উপরে বাঙ্গালার ইংরাজদিগের সর্বপ্রথম সামুদ্রিক বন্দর প্রতিষ্ঠিত হষ্টয়াছিল ( ১৬৩৪ খৃঃ অব্দে ) । এই জগুই স্ববর্ণরেখা বিশ্যে প্রসিদ্ধ। সুবর্ণরেখার মুখের নিকটে চড়া পড়াতে, পিপ্পলীবন্দর বিনষ্ট হইয়া যায়। অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমাৰ্দ্ধ পর্য্যন্তও ইহা একটি পরিত্যক্ত ও বিগতঐ গ্রামের স্তায় বিদ্যমান ছিল ; কিন্তু সুবর্ণ, রেখার ক্রমিক পরিবর্তনে এখন আর ইহার কোন চিহ্নই দেখিতে পাওয়া যায় না। কোথায় যে এই বন্দর ছিল, এখন স্থানীয় লোকেরাও তাহ নির্দেশ করিতে পারে না। ষ্টাটিষ্টিকাল রিপোর্টারের লেখক কোন কাজীপুত্রের মুখে যাহা শুনিয়াছিলেন, তাহা এই সুবর্ণরেখাতীরে বর্তমান বন্দরের প্রায় চারি মাইল উদ্ধদেশে এবং মানুয়াগড় নামক গ্রামের সন্নিকটে য়ুরোপীয় ও মোগলদিগের একটি প্রধান উপনিবেশ। তাহাদিগের বাণিজ্য-জাহাজ সমুদ্র হইতে এই বন্দর পর্য্যন্ত আগমন করিত। ১৮৭৫ খৃঃ অব্দের জানুয়ারী মাসে উড়িবার বন্দরসমূহের কনসারভেটার কাপ্তেন হারিস বিশেষ অনুসন্ধান করিয়া দেখিয়া বলিয়াছিলেন যে, প্রাচীন মানচিত্রসমূহে পুৰ্ব্বদিক্ হইতে সুবর্ণরেখায় প্রবেশ করিবার যে মুখ দেখিতে পাওয়া যাইত, তাহ একেবারে বন্ধ হইরা গিয়াছে এবং এখন ইহার সাগরসঙ্গমের সন্নিকটে যে চড়াগুলি পড়িয়াছে, তাহাদিগের দক্ষিণ-পূৰ্ব্বদিকে যে একটা অপ্রশস্থ প্রণালী আছে, তাহ ব্যতীত এই নদীতে প্রবেশ করিবার আর কোনই পথ নাই । উত্তরপুৰ্ব্বে মমুমূ বহিলে যে জাহাজে ৯ ফিটু জল কাটে, এমন একখানা জাগজ জোয়ারভাটার সঙ্গে বন্দর পর্য্যন্ত যাতায়াত করিতে পারে : দক্ষিণ-পশ্চিম মসুমের সময় বন্দরটি বিপদসঙ্কুল হষ্টয়া উঠে, তখন নদী-মুখ ছঠিয়া প্ৰকাণ্ড প্রকাও তরঙ্গ আসিয়া তীয়ের উপরিভাগে আছিাড়ির পড়িতে থাকে । এই সকল কারণে এখানকার বাণিজ্যের অবস্থা ক্রমাগতই খারাপ হইতেছে। এখানে আমদানী এক প্রকার নাই ; রপ্তানি যৎকিঞ্চিৎ আছে । স্থবৰ্ণরেতস (পুং ) শিব। ( ভারত) সুবর্ণরেতস (পুং ) গোয় প্রবর্তক ঋষিবিশ্যে। (প্রবরা” ) সুবর্ণরোমন (পুং ) ১ মেয। ২ মহারোমের পুত্র। (বিষ্ণুপু ) সুবৰ্ণলতা ( ) জ্যোভিয়ঙ্গ লতা। সুবৰ্ণবত্ত। ( স্ত্রী ) সুবর্ণীতে ভাবঃ তল-টাপ স্ববর্ণবানের ভাৰ বা ধৰ্ম্ম, সুবর্ণ। সুবর্ণবৎ (ত্রি ) সুবর্ণমতুপ, মস্ত ব । স্ববৰ্ণবিশিষ্ট, সুবর্ণযুক্ত । সুবৰ্ণলৰ্ণ ( পুং ) সুবর্ণবর্ণে বর্ণে যন্ত । বিষ্ণু । “স্বপর্ণবর্ণে চেমাঙ্গে বরাঙ্গশ্চন্দনাঙ্গদী।” ( ভারত বিষ্ণুর সহস্ৰ' ) ( ত্রি ) ২ স্বধর্ণের দ্যায় বর্ণবিশিষ্ট । XXII

[ ь-с 1 স্থপূর্ণ সুবর্ণবর্ণা (স্ত্রী ) সুবর্ণবৎ বর্ণে যন্তাঃ । হরিদ্র। ( শব্দচ" ) সুবর্ণশিরস (ত্রি) হুবর্ণমণ্ডিত শিরোযুক্ত । সুবৰ্ণশিলেশ্বরর্তীর্থ ( ক্লী ) তীর্থবিশেয । সুবৰ্ণ স্ত্র), আসামপ্রদেশের উত্তরপূৰ্ব্বাংশের একটি প্রধান নদী। ইহা ব্ৰহ্মপুত্রের প্রধান শাখা বলিয়া পরিগণিত ; ব্ৰহ্মপুত্রের মত ইহারও উৎপত্তি এবং প্রবাঙ্গ-পথের উত্তরাংশ একেবারেই অপরিজ্ঞাত। কিন্তু এইরূপ অনুমান করা হইয় থাকে যে ইহা তিব্বভের পাৰ্ব্বত্যপ্রদেশের অভ্যস্তর ভাগে উদ্ভূত হইয়া পুৰ্ব্বাভিমুখে অনেক দূর পর্যন্ত প্রবাচিত হইয়াছে । শেযে দক্ষিণাভিমুণী হইয় আসামের উত্তরসীমান্তবর্তী পৰ্ব্বতশ্লেথ ভেদ করিয়া গিরিপাগড় হইতে লক্ষ্মীপুর জেলায় আসিয়া অবতরণ করিয়াছে। ইহার পরে উত্তর লক্ষ্মীপুর মহকুমাটিকে প্রায় সমদ্বিখণ্ডিত করিয়া আরও দক্ষিণদিকে নামিয়া আসিয়া শিবসাগর জেলায় ব্ৰহ্মপুত্রের সঙ্গে মিলিত হইয়াছে। এই মিলনের পূৰ্ব্বে লোহিত প্ৰণালীর সহযোগে ইহা মাজুলিচর নামক একটি বৃহৎ দ্বীপ স্থাষ্ট করিয়াছে। পাৰ্ব্বত্য প্রদেশে শিলাখণ্ডের দ্বারা অনেক স্থলেই ইহার গতি প্রতিহত কষ্টয়াছে, কিন্তু সমতল প্রদেশে উত্তর লক্ষ্মীপুর সহরের ১৬ মাইল দূৰবী পাটালিপন নামক স্থান পর্যন্ত ষ্টিমার যাতায়াত করিতে পারে। ইহার নীচে কোথাও এই নদী হাটিয়া পার হওয়া যায় নf । ইংরাজরাজত্বের বহির্দেশে ঈহার যে সকল শfপ আছে, তাহার মধ্যে কমলাপাণি, সিপলু, গাইয়ু এবং নাওভোগা এই করটিই প্রধান । লক্ষ্মীপুর জেলায় ফুলুং, দিরূপাই, সোলধোয়া, সুন্দরী, রাঙ্গানদী এবং দিকৃরং এই কয়টি নদী আসিয়া ইহার সঙ্গে মিলিত হইয়াছে। সুদূর অতীত কাল হইতে সুবর্ণ-হীর গৰ্ত্তে বালুকাকণ পাওয়া যাইতেছে । পুৰ্ব্বে ইহার তীরে অনেক রবারের গাছ ছিল । সুবর্ণ-শ্ৰীতে সময় সময় অকস্মাৎ বাণ ডাকিয়া পাশ্ববর্তী প্রদেশের সমূহ ক্ষতি করিয়া থাকে। সুবর্ণষ্ঠীবিন্‌ ( পুং ) স্বল্পয়ের পুত্রভেদ । (ভারত ) সুবৰ্ণসংজ্ঞ (ক্লী) স্বৰণকৰ্য। ( লীলাবতী ) হুবর্ণসানুর (ক্লী) কাশ্মীরের একটা গ্রাম (রাজতর' ) সুবর্ণসিদ্ধ (পুং ) ঐন্দ্রজালিকভেদ, যিনি ইজঙ্গাল দ্বার স্বর্ণ প্রস্তুত করিতে পারেন । স্ববর্ণসূত্র (র) হুবর্ণনিধিত হব, সোনার স্থত। সুবর্ণসিন্দুর ক্লেী) স্বর্ণসিদূর, ঔষধবিশেষ। [ স্বর্ণসিন্দুর শখা দেখ'] হবণ (খ্ৰী) স্ব বর্ণে বতা। ১ কৃষ্ণান্তক। ২ বাটালক। ৩ স্বর্ণক্ষী। ৪ হরিদ্রা । ( রাজনি• ) ৫ ইন্দ্র বারুণী, চলিত র:খালশশী । ৬ হাস্তিনপুর কর্তা, হস্তীর মাত । ( তাল্পত ১৯৫res )