পাতা:বিশ্বকোষ দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অীক্ষাদশাহ বলি বাহ্মণী দিল্লী অবধি অগ্রসর হইলেন। পথে মধুর লুট করিয়া কান্দাহায়ে ফিরিয়া আসিলেন। এই সময় মার্হাট্টাদিগের অত্যাচারে সমস্ত হিন্দুস্থান উৎপীড়িত হইয়া উঠিয়াছিল। রোহিলাধিপ নাজিব উদ্দৌলা, অযোধ্যার নবাব মুজা উদ্দৌলা এবং অপরাপর অনেক মুসলমান মার্হাট্টাদিগের অত্যাচার হইতে অব্যাহতি পাইবার আশায় আবদালীকে আহবান করিলেন, এমন কি সকলে প্তাহাকে দিল্লির সিংহাসন পৰ্য্যন্ত ছাড়িয়া দিতে চাহিল। আবদালী সসৈন্তে পুনরায় ভারতবর্ষে প্রবেশ করিলেন, মার্হাট্টাদিগের সহিত র্তাহার অনেক বার যুদ্ধ হইল। তন্মধ্যে পাণিপথের যুদ্ধই প্রধান ; ১৭৬১ খৃষ্টাব্দে, এই যুদ্ধ হয়, এই যুদ্ধে মাৰ্হাট্টাগণ সম্যকৃরূপে পরাজয় স্বীকার করিয়াছিল । আবদালী স্বদেশে ফিরিয়া আসিবার সময় শাহ আলমকে হিন্দুস্থানের সম্রাটু বলিয়া স্বীকার করিলেন এবং মুজা-উদদৌল প্রভৃতি নবাবদিগকে দিল্লীর সম্রাটের অধীনত। স্বীকার করিবার অাদেশ দিলেন । ২৬ বর্ষ রাজত্বেয় পর, ১৭৭৩ খৃঃ অব্দে আহ্মদৃশাহ আবদালী প্রাণত্যাগ করেন । কান্দাহারের রাজভবনের নিকটে তাহাকে গোর দেওয়া হয়। তাস্কর গোরস্থানকে লোকে সিদ্ধাশ্রম ভাবিয়া থাকে। র্তাহার মৃত্যুর পর তৎপুত্র তিমুরশাহ রাজ্যাধিকার প্রাপ্ত হন। আহ্মদশাহ আবদালীকে সচরাচর লোকে শাহ দুরাণী বলিয়া সম্বোধন করিয়া থাকে । আহ্মদশাহ বলি বাহ্মণী । দক্ষিণাপথের একজন স্বলতান । বাহ্মণী বংশীয় সুলতান দাউদ শাহের পুত্র। প্রথমে ইহার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ফিয়োজশাহ রাজত্ব প্রাপ্ত হন, কিন্তু তিনি স্বইচ্ছায় কনিষ্ঠ ভ্রাতা আহ্মদ শাহকে রাজ্য ছাড়িয় দেন। ১৪২২ খৃষ্টাৰো, আহ্মদ শাহ সিংহাসনে আরোহণ করেন। একদিন আহ্মদ শাহ মৃগয়া করিতে থাহির হন । মৃগয়া করিতে করিতে একটী মনোরম স্থানে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। স্বচ্ছসলিল নদী এই স্থানে প্রবাহিত হইতেছে, ফলশালী তরুগণ কাননের শোভা বিস্তার করিয়াছে, নানা জাতীয় পক্ষীর কলরবে বনভূমি যেন সদাই প্রফুল্লিত রহিস্থাছে। এই দৃশ্বে সুলতানের মন বিমোহিত হইল, তিনি এখানে আহ্মদাবাদ বিদর নামক মুন্দর নগর ও দুর্গ স্থাপন করিলেন । এইখানে দময়ন্তীর পিতার রাজত্ব ছিল । জাহ্মদশাহ ১২ বৎসর রাজত্বের পর ১৪৩৬ খৃষ্টাবো কালগ্রাসে পতিত হন। [ ২৩৯ ] অীক্ষাদাবাদ আহ্মদাবাদ । গুজরাট প্রদেশের একটী জেলা, বোম্বাই বিভাগেয় অন্তর্গত। এই জেলার উত্তর সীমা বরোদা, উত্তরপূৰ্ব্বে মাহীকান্ত, পূৰ্ব্বে বালাসিনোর এবং কৈরা জেলা, দক্ষিণপূৰ্ব্বে কাম্বে, দক্ষিণে এবং পশ্চিমে কাথিবীড় । আহ্মদাবাদের ভূতত্ব পর্য্যালোচনা করিলে অনায়াসেই স্বীকার করা যায়, পূৰ্ব্বে এই স্থান সমুদ্র মধ্যে ছিল, অধিক দিন হইবে না বর্তমান ভূমির আকারে পরিণত হইয়াছে। পূৰ্ব্বে আহ্মদাবাদ আনহিলবাড়ী রাজাদিগের অধিকারে झ्णि । १8७ धुंटेरिका, ऊँांशांब्रt qहे हांन कृविकटाईग्न छनT বিলি করিয়া দেন। ১২৯৭ খৃষ্টা পৰ্য্যন্ত র্তাহীদের হাতে ছিল। তৎপয়ে ভালজাতি এই স্থান অধিকার করে। ১৫৭২ খৃষ্টাব্দে সম্রাট আকবর ভীলদের নিকট হইতে এই স্থান কাড়িয়া লয়েন। ১৭৫৩ খৃঃ অব্দে পেশোব। এই স্থান দখল করেন । ১৮১৭ খৃষ্টাব্দে, গাইকোয়াড় নিজের এবং পেশোবার অংশ বৃটিশ গবর্ণমেণ্টকে দান করেন । আহ্মদাবাদ বেশ উৰ্ব্বর। বোম্বাই প্রদেশের মধ্যে এটা প্রধান বাণিজ্য স্থান। এখানকার অধিকাংশ লোকই চাষবাসের দ্বারা জীবিক নিৰ্ব্বtহ করে। তাহীদের মধ্যে কুনবি, রাজপুত ও কোলিরাই প্রধান। কুনধির । সচরাচর তিন শ্রেণীতে বিভক্ত-অঞ্জনা, কদাবা ও লেবা । এখন বাঙ্গালায় যেমন সামান্য গৃহস্থের কস্তা হইলে, সে অtপনাকে বিপদগ্ৰস্ত মনে করে ; কুনধিদের মধ্যেও সেইরূপ । এই বিপদ হইতে এড়াইবার জন্ত ইহারা কম্ভাসস্তান জন্মিবামাত্র মারিয়া ফেলিত । আহ ! মা হইয়াও সস্তানের প্রতি এরূপ আচার করিতে হইত। কম্ভ হইলে বিস্তর খরচ না করিলে তাহার বিবাহ হয় না। কেহ বা অনেক কষ্টে মামুব করিয়া তুলিল, কন্যা বয়স্থ হইল, অথচ মনোমত পতি মিলিতেছে না, এরূপ স্থলে প্রায়ই তাহদের প্রথমে একতোড়া ফুলের সঙ্গে বিবাহ হইত। পরে ফুলের তোড়া একটী কুপে ফেলিয়। দিত ; তাহাতে সেই কন্ত। বিধবা হইল। এরূপ স্থলে সেই কন্যা ‘পাত্ৰা’ অর্থাৎ পুনৰ্ব্বিবাহ করিতে পারে, তাহাতে কিন্তু অধিক খরচ লাগে না । কোন কোন স্থলে বিবাহিত পুরুবের সঙ্গে কস্তার দিবtহ দেয় ; তাহীর সঙ্গে এই চুক্তি হয় ষে, বর বিবাহ কয়িয়াই কস্তাকে পরিত্যাগ কfরবে। পরে বর কন্যাকে ত্যাগ করিলে, যাহার ইচ্ছ। হয় সে সেই কথাকে ‘পাত্রা করে। কুনধিদের শিশুহত্য। নিবারণের জন্ত ১৮৭৬ সালে একটী আইন জারি হয় । এখানকার রাজপুতের মধ্যে দুই শ্রেণী। এক শ্রেণীর