পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/১৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

६चऊदां# I see ) ठैबउबान তাহাতে দৃষ্টিপাত কৰিলে জীব ও ঈশ্বরের পরস্পর যে ভেদ আছে, তদ্বিষয়ে আর কোন সংশয়ই থাকে না। ঐ জ্ঞান্যে লিখিত হইয়াছে, “স আত্ম তত্ত্বমসি শ্বেতকেতে৷” এই শ্রীতির জীৰ ও ঈশ্বরের পরম্পয় ভেদ নাই এরূপ তাৎপৰ্য্য নহে। কিন্তু তন্ত ত্বং অর্থাৎ তাহার তুমি, এই ষষ্ঠী সমাস দ্বারা উহাতে জীব ঈশ্বরের সেবক এই অর্থই বুঝাইবে। আর এরূপ অর্থও করা যায় যে, জীব ব্ৰহ্ম হইতে ভিন্ন। এই মতে দুই তত্ব স্বতন্ত্র ও অস্বতন্ত্র ; তন্মধ্যে ভগবান্‌ সৰ্ব্বদোষবিবর্জিত অশেষ সদৃগুণের আশ্রয় স্বরূপ, বিষ্ণুই স্বতন্ত্রতত্ব এবং জীবগণ অস্বতন্ত্রতত্ত্ব অর্থাৎ ঈশ্বরায়ত্ত। এইরূপে সেব্য সেবকভাবাবলম্বী ঈশ্বর জীবের পরস্পর ভেদও যুক্তিসিদ্ধ হইতেছে, যেমন রাজা ও ভূত্যের পরস্পর ভেদ দৃষ্ট হইয় থাকে। অতএব যাহার জীব ও ঈশ্বরের অভেদচিস্তাকে উপাসনা কহিয়া থাকেন এবং সেই উপাসনার অনুষ্ঠান কয়েন, তাহাদিগেয় পরলোকে কিছুমাত্র সুখলাত হয় না । বাস্তবিক তাহার ঘোরতর নয়কে পতিত হয়। দেখ, যদি ভূত্যপদস্থ কোন ব্যক্তি রাজপদের অভিলাষ করে, অথবা আমি রাজা এইরূপ ব্যক্ত করে, তাহা হইলে ভূপতি তাছার বিলক্ষণ দও বিধান করেন। আর যে ব্যক্তি স্বীয় অপকর্ষদ্যোতনপুৰ্ব্বক নৃপতির গুণানুকীৰ্ত্তন করে, রাজা পরিতুষ্ট হইয়। তাহাকে সমুচিত পারিতোষিক প্রদান করিয়া থাকেম। অতএব ঈশ্বরের গুণোৎকর্ষাদির কীৰ্ত্তনরূপ সেবা ব্যতিয়েকে কোনক্রমে অভিলষিত ফল প্রাপ্তির সম্ভাবনা নাই । এই মতে ঈশ্বরের সেবা ভিন প্রকার—অঙ্কন, নামকরণ ও ভজন । ইহার মধ্যে অঙ্কনের পদ্ধতি সাকল্যসংহিতার পরিশিষ্টে বিশেষরূপে লিখিত হইয়াছে এবং উহার অবগুকৰ্ত্তব্যতা তৈত্তিরীয়ক উপনিষদে প্রতিপাদিত হইয়াছে। নারায়ণের চক্রাদি অস্ত্রের চিহ্ন যাহাতে অঙ্গে চিরকাল বিরাজিত থাকে, তপ্ত লৌহাদি যন্ত্র দ্বারা তাহা করিবে, দক্ষিণ হস্তে সুদর্শন চক্রের এযং বাম হস্তে শঙ্খের চিহ্ন ধারণ করিবে । যেহেতু ঐ চিহ্ন দর্শনে অনুক্ষণ তগবানের নাম স্মরণ হইয়া থাকে এবং তদ্বারা বাঞ্চিত ফলের ও সিদ্ধি হইবে । দ্বিতীয় সেবা নামকরণ, নিজ পুত্রাদির কেশবাদি নাম রাথিবে, তাহ হইলে প্রতি কথায় ঈশ্বরের নামকীৰ্ত্তন হইবে। ভজন ত্ৰিবিধ ; তন্মধ্যে কায়িক তজন তিন প্রকার দান, পরিত্রাণ ও পরিরক্ষণু । বাচিক চারি প্রকার—সত্য, হিত,প্রিয় ও স্বাধ্যায় অর্থাৎ শাস্ত্রপাঠ। মানসিক তিন প্রকার—দয়া, স্পৃহা ও শুদ্ধা। যেমন— "সম্পূজ্য ব্রাহ্মণং ভক্ত্য শূদ্রোহপি ব্রাহ্মণে ভবেৎ ” এই বাক্য দ্বারা পূদ্রও ভক্তিসহকারে ব্রাহ্মণের পূজা করিলে सङ्ग्_-" ব্রাহ্মণের পবিত্রতাদি গুণবিশিষ্ট হয়, এই অর্থই বুঝায় ; সেইরূপ “ব্রহ্মবিদ ব্রহ্মৈব ভবতি’ এই শ্রতিবাক দ্বার। ব্ৰহ্মজ্ঞ ও ত্রন্ধের অভেদ না বুঝাইয়া এইরূপ অর্থ বুঝাইবে যে, ব্ৰহ্মজ্ঞানী ব্যক্তি ব্রহ্মেয় স্তায় সৰ্ব্বক্তত্বাণি গুণসম্পন্ন হন । শ্রীতিতে মায়া, অবিস্তা, নিয়তি, মোহিনী প্রকৃতি ও বাসনা এই যে ছয়ট শব্দের প্রয়োগ আছে, তাহার অর্থ ভগবানের ইচ্ছা মাত্র । অদ্বৈতবাদীদিগের কল্পিত অবিদ্যা নহে । আর যে প্রপঞ্চ শব্দ উক্ত হইয়াছে, তাহার অর্থ প্রকৃষ্ট পঞ্চভেদ । সেই পঞ্চ ভেদ এই, যথা জীবেখর ভেদ, জড়েশ্বর ভেদ, জড়ীৰ ভেদ এবং জীবগণের ও জড় পদার্থের পরস্পর ভেদ। ঐ প্রপঞ্চ সত্য এবং অনাদি সিদ্ধ। বিষ্ণুর সৰ্ব্বোৎকর্ষ প্রতিপাদন করা সকল আগমেরই প্রধান উদ্বেগু ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ এই চারিট পুরুযার্থ। তন্মধ্যে মোক্ষই নিত্য, অপর তিন পুরুষাৰ্থ অস্থায়ী । অতএব বুদ্ধিমান ব্যক্তির প্রধান পুরুষাৰ্থ মোক্ষলাভে যত্ন করা সৰ্ব্বতোভাবে বিধেয় । কিন্তু ঈশ্বরের প্রসন্নতা ব্যতিরেকে ঐ মোক্ষপ্রাপ্তি হয় না এবং জ্ঞান ব্যতিরেকেও ঐ প্রসন্নতাও সম্পন্ন হয় না । ঐ জ্ঞান শবে বিষ্ণুর সৰ্ব্বোৎকর্ষ জ্ঞানকে বুঝায়। কেবল মনাবুদ্ধিরাই জীব-প্রেরক বিষ্ণুকে জীব হইতে পৃথক্ বলিয়া বিবেচনা করিতে পারে না । কিন্তু মুবুদ্ধি ব্যক্তিদিগের অন্ত:করণে বিষ্ণু ও জীবের পরস্পর ভেদ আছে, ইহা মুম্পষ্টরূপে প্রস্তাত হইয়া থাকে। ব্ৰহ্মা, শিব, ইন্দ্র প্রভৃতি সমুদয় দেবগণই অনিত্য ও ক্ষরশব্দবাচ্য এবং লক্ষ্মী অক্ষর শব্বাচ্য। ঐ ক্ষরাক্ষর হইতে বিষ্ণু প্রধান ও স্বাতন্ত্রশক্তি বিজ্ঞানমুখাদি গুণসমূহের আধারস্বরূপ, অপর সকলই বিষ্ণুর অধীন। এই সমস্ত সম্যক্ জানিতে পারিলে বিষ্ণুর সহিত সহবাস হয়, সমুদয় দুঃখ দুরে যায়, এবং নিত্য মুখের উপভোগ হয় । শ্ৰুতিতে লিখিত আছে, এক বস্তুর অর্থাৎ ব্রহ্মের তত্ত্বজ্ঞান হইলে সকল বস্তুকেই জানিতে পায় যায়, ইহার তাৎপৰ্য্য এই, যেমন গ্রামস্থ প্রধান ব্যক্তিদিগকে জানিতে পারিলে গ্রাম জানা হয় এবং পিতাকে জানা হইলে পুত্রকে জ্ঞান হয়, অর্থাৎ পুত্রকে জানিতে আর অপেক্ষ থাকে না, এইমাত্র। নতুবা এ শ্রুতি দ্বারা বাস্তবিক অভেদ বুঝায় না । অদ্বৈতমতবাদীরা যে ব্যাসকৃত বেদান্তস্থত্রের কুটার্থ কল্পিয় থাকেন, সে কিছু নহে। ঐ স্বত্র সকলের মধ্যে কএকটী স্থত্রের যথাশ্রত ব্যাখ্যা লিখিত হইল। যথা—“আথাতে ব্ৰহ্ম জিজ্ঞাসা” এই সূত্রস্থ অথ’ শঙ্গের আনন্তৰ্য্য, অধিকার ও মঙ্গল এই তিন অর্থ, আর অত: এই শাকুর হেতু অর্থ, ইহু। গরুড়পুরাণে ব্ৰহ্মলারঙ্গসংবাদে লিখিত আছে। যখন