পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৪৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নকিব খ বিনা অপরাধে পায়স্তরাজ কর্তৃক ইস্পাহানে तर्नी ७ কারাগারেই কাল-কবলিত হন। মীর আবদুললতিফ পিতার বন্ধনাদেশের সংবাদ পাইয়া গিলান নামক স্থানে পলায়ন করেন, পরে দিল্লীর সম্রাট হুমায়ুনের আহবানানুসারে হিন্দুস্থানে আসেন। অকবরের সিংহাসনারোহণের অব্যবহিত পরেই ইনি সপরিবারে আসিয়া উপস্থিত হন। রাজ্যারোহণের দ্বিতীয়বর্ষে আকবর মীর আবদুল লতিফকে নিজ শিক্ষকের পদে নিযুক্ত করেন। এই সময় আকবর লিখিতে পড়িতে জানিতেন না। নকিবের শিক্ষকতায় অতি অল্পদিনের মধ্যে বাদশা হাফেজ পড়িতে ও আবৃত্তি করিতে শিথিলেন। মীরসাহেব নিজে ধৰ্ম্ম বিষয়ে বড় সরল সুবিবেচক ছিলেন। ইনিই অকবরকে ‘গুল-হ-কুল অর্থাৎ ‘সকলের সহিত শান্ত ব্যবহার’ শিক্ষা দেন। যখন বৈরাম খাঁ রাজামুগ্রহে বঞ্চিত হইয়া আগরা ত্যাগ করিয়া আবলআরাভিমুখে বিদ্রোহানল জালাইবার জন্ত যাইতেছিলেন, সেই সময় আকবর এই মীরসাহেবকে পাঠাইয় দেন। ইনিই রাজবিরুদ্ধে দণ্ডায়মান হওয়া উচিত নহে ইহা বুঝাইয়। বৈরামকে শাস্ত করেন। ৯৮১ হিজিরায় সিক্রীতে ইহার মৃত্যু হয়। ইহার ৩ পুত্র, ১ম নকিব খ্য, ২য় কামার খাঁ ও ৩য় মীর মহম্মদ শরীফ। ফতেপুরে সম্রাট আকবরের সহিত একদিন অশ্বক্রীড়া করিতে করিতে পড়িয়া গিয়া মীর শরীফ মারা যান। মীর কামার খ৷ পঞ্চশতী মনসবদার হইয়া মুনিমখার অধীনে বাঙ্গাল, শিহারের অধীনে গুজরাট ও টোডরমল্লের অধীনে বিহারে সেনাপতি ছিলেন । সুলতান বিলহারীর যুদ্ধে ইহার भृङ्ग इङ्ग । নকিব খ এদেশে আসিবার পর হইতেই সম্রাট আকবরের বিশেষ বন্ধু হইয়া পড়িয়াছিলেন। মুনিমূখী খা জমানের নামে অমুযোগ করিলে আকবর খাজমানের উপর চটিয়া যান, কিন্তু নকিব খ তাহাকে অনুরোধ করায় খ জমানকে | তিনি ক্ষমা করেন। যখন সম্রাট পাটন আহম্মদাবাদ ও পাটনায় গমন করেন । ( রাজ্যারোহণের ১৮শ । ১৯শ বর্ষে ) তখন নকিব খী সঙ্গে ছিলেন । আকবরের রাজত্বের এক বংশবর্ষে ইনি ইদরের যুদ্ধে থ্যাতি লাভ করিলে পরবৎসর গুজরাটে সেনাপতিপদে নিযুক্ত হইয়া গমন করেন। বাঙ্গালায় বিদ্রোহ ঘটলে টোডরমল্লের অধীনে ইনি ও ইহার ভ্রাত কামার খ যুদ্ধ করেন। বিহারে মাসুমী কাবুলীর সহিত যুদ্ধে ইছায় বিশেষ বীরত্ব প্রদর্শন করেন। অকবরের রাজত্বের ২৩শ বর্ষে ইনি নকিব খা আখ্যা প্রাপ্ত হন । তস্থাকিরাত-উল-উমর নামক ইতিহাসপ্রণেতা কেবল [ 8१७ ] নকুল রামের মতে গয়ার যুদ্ধে মালুমীকাবুলী ষে দিন রাত্রিতে টোডরমল্লের সৈন্ত গুপ্তভাবে আক্রমণ করে, সেদিন নকিব খ। যে বীরোচিত সাহস ও কৌশল সহকারে তাহীক বিধ্বস্ত করেন, তাহার জন্তই তাহাকে এই উপাধি দেওয়া হয়। আবুল-ফজল এই নৈশ যুদ্ধের উল্লেখ করিয়াছেন। কিন্তু নকিব খার কোন উল্লেখ করেন নাই। অকবরের রাজত্বকালে যদিও নকিব খী হাজারী পদ পান নাই, তবুও দরবারে তাহার . .বিশেষ প্রভুত্ব ছিল। তিনিই আকবরের পাঠক ছিলেন। আকবর যখন মহাভারত পারস্ত ভাষায় অনুবাদ করান, তখন এই নকিব খার প্রতি তাহার অধ্যক্ষতার ভার ছিল। ইহার সহিত বদাউনী, মৌলানা আবদুল কাঁদের ও থানেশ্বরী সেথ সুলতানও নিযুক্ত হইয়াছিলেন। মহাভারতের পর ইহারাই রামায়ণামুবাদের ভার প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। তারিথি । আলকি নামক ইতিহাসের অধিকাংশ নকিব খার লিখিত । নকিবের এক পিতৃব্য ছিলেন ; তাহার নাম কাজীইস। ইনিও ইরাণ হইতে আসিয়াছিলেন। তাহার এক পুত্র ছিল, নাম শাহগাজী খাঁ । আকবরের বৈপিত্রেয় ভ্রাত মির্জামহম্মদ হাকীমের সহোদর সাকিনা বামুবেগমের সহিত আকবর এই গাজী খাঁর বিবাহ দেন। অকবরের ৩৮শ রাজ্যস্থ বর্ষে নকিব খ৷ তাছাকে বলেন, যে গাজী খার আসন্নকাল উপস্থিত, কিন্তু তিনি স্বীয় কন্যাকে আকবরের সহিত বিবাহ দিতে ইচ্ছা করেন। ভাগিনেয়ী সম্পর্ক হইলেও আকবর আসন্নমৃত্যু গাজী থার অনুরোধ রক্ষা করিয়া এই প্রস্তাবিত বিবাহ সমাধা করেন । জাহাঙ্গীরের সময়ে নকিব খ ১৫ শতী মনসবদার হন। জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালে ( ১৬২৩ খৃষ্টাব্দে ) আজমীরে নকিবের মৃত্যু হয়। ইনি মুনশী উল মালিক মীর মামুদের কন্যাকে বিবাহ করেন। ইহার পূৰ্ব্বেই ইহার স্ত্রীর মৃত্যু হয় এবং আজমীরে মুইনি চিস্তীর দরগায় ইহাদের কবর হয় । নকিবের আফকুল লতিফ নামে এক পুত্র ছিল। বিদ্যাবত্তার জষ্ঠ তাহার খ্যাতিও ছিল, যুসফ খার এক কন্যার সহিত র্তাহার বিবাহ হয়। শেষে তিনি উন্মাদ হইয়া যান । নকীম্‌ (অব) ন কিম পৃষোদরা সাধু। নিবারণ, বর্জন। নকীব (আরবী) রাজার উপাধি ও যশোঘোষক অনুচর বিশেষ। নকুচ ( পুং ) ন কুচতি কুচ সঙ্কোচে ন শনে সমাসঃ। ১ মাদার। ২ ডহুবৃক্ষ । , নকটু (#) ন কুতি কুট-কনশনে মন্ত্রসমাস। নাসিক। নকুল (গ) নাস্তি কুলং সে সমাসে নঞানলোপ। ( नडांश्; ন পাদিতি । পা ৬৩।৭৫ )