পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৪৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নক্ষত্রেীখি কাশীখণ্ডে লিখিত আছে— দক্ষ নক্ষা মহাবের প্রত কঠোর তপশ্চর্য্যা করেন। মহাদেব ইহাদের তপস্তায় প্রীত হইয়া এইরূপ বর দিয়াছিলেন, তোমরা সকল জ্যোতিশচক্রের মধ্যে প্রধান হইয়া অবস্থান কর এবং মেষাদি রাশিগণের উৎপত্তিস্থান হইয়৷ চন্দ্রলোকের উপরিভাগে থাক। এই লোকে তোমরা সকল তারকারাজির মান্ত হইয়া থাকিবে। যাহারা তোমাদের পূজা ও ব্ৰতাদি করিবে, তাহার তোমাদের এই লোকে অবস্থান করিবে । (কাশীখ” ১৫ অ” ) [ ৪৯১ ] নক্ষত্রব্রত --- উত্তরমার্গ, পূর্বফল্গুনী হইতে মধ্যম মার্গ এবং পূৰ্ব্বাষাঢ় হইতে দক্ষিণ মার্গ এইরূপ গণনা করেন । 姿》 শুক্র যে সময় উত্তরবীখিতে অবস্থিত হইয়া উদিত বা श्रखभेिड श्न, उश्वन cमरणं पूरछिक्र ७ भन्नल झट्टैग्न शांटरु । মধাবীথিতে হইলে মধ্যফল, এবং দক্ষিণ বীথিতে হইলে भमझल इहेग्न थांरक । अांfीं नमग्न झहै८ऊ श्रांब्रख्ठ कब्रिग्न মৃগশিরা পর্যন্ত যে নয়ট বীথি হইবে, তাহাতে শুকের উদয় বা অস্ত হইলে যথাক্রমে অত্যুত্তম, উত্তমতর ও উত্তম, সম, মধ্য ও নুন, অথবা মন্দ, মন্দতর ও মদতম ফল উৎপন্ন হয়। লক্ষত্রবয়ন (রা)-নক্ষত্রাণাং বন্ধ। নক্ষত্রমার্গ, নক্ষত্রদিগের বিচরণপথ । [ খগোল দেখ। ] নক্ষত্রবিদ্যা (স্ত্রী) নক্ষত্রাণাং তত্র স্থিতগ্রহাদীনাং চারজ্ঞানায় ( বৃহৎসংহিতা ৯ অ• ) { অন্যান্ত ফল শুক্রচার দেখ। ] নক্ষত্রবৃষ্টি (পুং) তারাপতন, তার খসী। নক্ষত্রব্যুহ (পুং) নক্ষত্রাণাং বৃহঃ সমুহ । পুরুষ ও দ্রব্য বিশে বিস্তা। জ্যোতিষবিদ্যা । যে বিদ্যা দ্বারা নক্ষত্র প্রভৃতির বিষয় জানা যায়, তাহাকে নক্ষত্রবিদ্যা কহে । “ব্রহ্মবিদ্যাং ভূতবিদ্যাং ক্ষত্রবিদ্যাং নক্ষত্রবিদ্যাং" (וואן צור "ו*5) חיוזףחg) নক্ষত্ৰবীথি ( স্ত্রী ) নক্ষত্রৈস্তন্তেদৈঃ কৃতী বীথি । আকাশতলে নক্ষত্র কর্তৃক কৃতী বীথি, নক্ষত্রের গতি অনুসারে পথবিশেষের নাম বীথি। বৃহৎসংহিতায় এইরূপ লিখিত আছে— অশ্বিনী প্রভৃতি তিন তিন নক্ষত্রে এক একটা বীথি হয়। এই বীথি নয় ভাগে বিভক্ত। তাহাদের নাম নাগ, গজ, ঐরাবত, বৃষভ, গে, জরদগব, মৃগ, অজ এবং দহন। স্বাতি, ভরণী ও কৃত্তিক নক্ষত্রে নাগবীথি হয়, কিন্তু ইহা সৰ্ব্ববাদিসন্মত নহে। গজ, ঐরাবত ও বৃষভ নামে যে তিনটী বীথি, এই তিনটী বীথি রোহিণী হইতে উত্তরফল্কনী পৰ্য্যস্ত তিন তিন নক্ষত্রে হইয়া থাকে। অশ্বিনী, রেবতী, পুৰ্ব্বভাদ্রপদ ও উত্তরভাদ্রপদ নক্ষত্রে গোবীথি ; শ্রবণ, ধনিষ্ঠ ও শতভিষা নক্ষত্রে জারাগবী বীথি ; অনুরাধ, জ্যেষ্ঠ ও মূলনক্ষত্রে মৃগবীথি হস্ত, বিশাখ ও চিত্রনিক্ষত্রে অজবীথি এবং পুৰ্ব্বাষাঢ়া ও উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্রে দহনবীথি হয়। এই প্রকারে ২৭ট নক্ষত্রে নয়ট বীথি হইলে প্রত্যেক বীথিই তিনবার হয়। অতএব উক্ত বীথি সকলের মধ্যে তিন তিনটী বীথি রবিমার্গের উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ মার্গে অবস্থিত। তাহাদিগের আবার এক একটা যথাক্রমে উত্তর, মধ্য ও দক্ষিণ পথে বিদ্যমান। তিনটী নাগবীথি —তাহার মধ্যে উত্তরমাৰ্গস্থ প্রথম, দ্বিতীয়ট মধ্যপথস্থিত এবং তৃতীয়ট দক্ষিণ পথে অবস্থিত। কোন কোন জ্যোতিৰ্ব্বিদ বলেন, যে নক্ষত্রসমূহের নক্ষত্রমার্গবর্তী যোগতারাগণ উত্তর মধ্য ও দক্ষিণ ভাগে যেরূপে অবস্থিত, ৰীথিমার্গ সকলও সেই ভাবে অবস্থিত। এই মার্গ নির্ধারণে কোন কোন পণ্ডিত ভরণী হইতে ষের শুভাশুভম্বচক নক্ষত্রসমূহ। বৃহৎসংহিতায় লিখিত আছে— সিতকুসুম, অগ্নিহোত্রী, মন্ত্রজ্ঞ, স্বত্রভাষ্যজ্ঞ, আকরিক, ক্ষেীরকার, ব্রাহ্মণ, কুন্তকার, পুরোহিত এবং দৈবজ্ঞ ইহারা সকলে কৃত্তিক নক্ষত্রের অধীন অর্থাৎ এই সকল দ্রব্যের শুভাশুভ কৃত্তিকানক্ষত্র হইতে জানিতে হইবে। সুব্রত, পণক্রীতবস্তু, রাজ, ধনবান, যোগী, শাকটিক, গে, বৃষ, জলচর, কৃষক, পৰ্ব্বত এবং ঐশ্বৰ্য্য-সম্পন্নগণ রোহিণীর অধীন। সুরভি, বস্ত্র, পদ্ম, কুসুম, ফল, রত্ন, বনচর, বিহঙ্গ, মৃগ, যজ্ঞিক, গন্ধৰ্ব্ব, কামুক এবং পত্রবাহকগণ মৃগশিরানঙ্গক্ষত্রের আয়ত্ত। উত্তম ধান্ত, সত্য, ঔদার্য্য, শৌচ, কুল, রূপ, বুদ্ধি, যশ, সেবা ও বণিকসমূহ পুনৰ্ব্বস্থ নক্ষত্রের অধীন। যব, গোধূম, সকল প্রকার শালী, ইক্ষুবৰ্গ, মন্ত্রজ্ঞগণ, নৃপতিসকল, জলজীবী ও যাজ্ঞিকগণ পু্যানক্ষত্রের অধীন। কৃত্রিম, কন্যমূল, ফল, কীট, পল্লগ, বিষ, তুষ, ধান্ত, পরস্বাপহারী ও ভিযকৃ অশ্লেষানক্ষত্রের আয়ত্ত। শস্তাগার ও গৃহ সকল, অর্থশালী বণিক, পূরগণ, ক্ৰবাদ ও স্ত্রীদ্বেষী ব্যক্তিগণ মঘা নক্ষত্রের বশীভূত। নট, যুবতী, সুভগ, গায়ক, শিল্পী, পুণ্য সকল, কার্পাস, লবণ, মধু, তৈল এবং কুমারগণ পূৰ্ব্বফল্গুনী নক্ষত্রের অধীন। ( ইহার বিস্তৃত বিবরণ বৃহৎসংহিতায় ১৫ অধ্যায়ে দ্রষ্টব্য। ) নক্ষত্রব্রত (স্ত্রী) নক্ষত্রনিমিত্তং ব্ৰতং । নক্ষত্রনিমিত্তক ব্ৰত ভেদ। এক একটা নক্ষত্র উদ্দেশ করিয়া যে ব্রত করা হয়, তাহাকে নক্ষত্রত্ৰত কহে । তিথিতত্বে সামান্তরূপে নক্ষত্রত্ৰতের কাল নির্ণীত হইয়াছে। যথা—যে নক্ষত্রে স্বৰ্য্য অস্তমিত হইবে, তাহাকে নক্ষত্ররাত্র এযং যে নক্ষত্রে সুর্য্য উদিত হইবে তাহাকে নক্ষত্রদিন কহা যায়। এই নক্ষত্ৰ-দিবারাত্রের মধ্যে যে নক্ষত্রে স্বৰ্য্য অস্তমিত হইবেন, সেই দিন উপবাস করিতে হইবে, অর্থাৎ সেই দিনই ব্ৰতাচরণ বিধেয়।