পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দ [ ৫২৬ গেলেন। চাণক্যের দুঃখের সংসার । কাজেই তিনি পীকে গহন দিতে পারেন নাই। তাহার গৃহিণী একখানি ময়লা ঘাঘর, হিন্থপত্রের অলঙ্কার ও সীসার কুণ্ডল পরিয়া গিয়াছিলেন। তাহার ভগিনীগণ নানা অলঙ্কারে ভূষিত ও দাসীগণে পরিবৃত৷ ছিলেন। তাহারা সকলেই চাণক্যপত্নীর বেশভূষা দেখিয়া রহস্ত করিতে লাগিল। সেখানে আর যাহারা ছিল, তাহারাও হাসিয়া ছিল। তাঁহাতে ব্রাহ্মণীর হৃদয়ে বড়ই কষ্ট হয় । তিনি চাণক্যের গৃহে আসিয়া আর ভাল করিয়া ব্রাহ্মণের সহিত কথা কছিলেন না। বিবাদিনী মানমুখে রছিলেন। পঞ্জীর মলিন বদন দেখিয়া সাধ্যসাধনার পর ব্রাহ্মণ কারণ অবগত হইল। বাস্তবিক ব্রাহ্মণীর কথা শুনিয়া ব্রাহ্মণের মনেও বড় আঘাত লাগিল। তিনি অর্থোপার্জনের জন্ত বাহির হইলেন । তিনি শুনিয়াছিলেন, নম্বরাজ প্রভূত পরিমাণে ব্রাহ্মণদিগকে দক্ষিণ দিয়া থাকেন। সেই আশায় তিনি পাটলীপুত্রে অসিয়া নন্দের সভার উপস্থিত হইলেন এবং তখায় উত্তম আসনে উপবেশন করিলেন । নন্দের ছায়া স্পর্শ করিয়া আসনে গিয়া বসায় নন্দপুত্ৰ চটিয়া গিয়াছিল। এক দাসী বিদ্রুপ করিয়া চাণক্যকে বলিল, “ঠাকুর : ও আসন ছাড়িয়া এখানে উঠিয়া আইস। ও তোমার আসন নহে।’ চাণক্য উঠিলেন না। দাসী তাহার কমণ্ডলু, দণ্ড, জপমালা, শেষে উপবীত ধরিয়া টানাটানি করিতে লাগিল । তাহাতেও যখন চাণক্য উঠিলেন না, তখন দাসী তাহাকে পাগল মনে করিয়া র্তাহার প। ধরিয়া টানিয়া উঠাইল । তখন চাণক্য অতিশয় ক্রুদ্ধ হইয়া বলিলেন, “আমি এই প্রতিজ্ঞা করিতেছি, আত্মীয় স্বজন সহায় সম্পত্তি ও সুহৃদ পুত্রাদির সহিত নন্দকে নিৰ্ম্মল করিব। এই বলিয়া তিনি দ্রুতবেগে নগর ছাড়িয়া চলিয়া গেলেন। তখন তিনি ময়ুরপোষক গ্রামে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। এই ময়ুরগ্রামের মহত্তরের ঘরে চন্দ্রগুপ্ত জন্মগ্রহণ করেন। যেরূপে চাণক্য চন্দ্রগুপ্তকে নন্দ বিনাশের জন্ম নিয়োজিত করেন, তাহ ইতিপূৰ্ব্বে চন্দ্রগুপ্ত শৰে লিখিত হইয়াছে, এখানে পুনরুল্লেথ নিম্প্রয়োজন। - চন্দ্রগুপ্ত ও পৰ্ব্বতের সাহায্যে, চাণক্য নন্দকে সমুলে উচ্ছেদ করিয়া আপন প্রতিজ্ঞা পালন করিলেন । উপরে হেমচন্দ্র যেরূপ বিবরণ লিখিয়াছেন, ধৰ্ম্মঘোষ গণির ঋষিমগুলপ্রকরণ, বিমলগশির ঋষিমগুলপ্রকরণবৃত্তি, এবং উত্তরাধ্যয়নবৃত্তিতেও ঠিক এইরূপ বিবরণ বর্ণিত আছে। লোমদেবের কথাসরিৎসাগরে নন্দ সম্বন্ধে এই রূপে উপাখ্যান ---hף וש8זן" ইগ্রদত্ত, ব্যাট্রি ও বররুচি অর্থ-লাভাশায় যে সময় মনোর 1 मणन সভার উপস্থিত। তাঁহারই অনতিপূর্কে নলের মৃত্যু হইয়াছে। সকলকে সস্তপ্ত ও হতাশ দেখিয়া ইন্দ্রদত্ত কহিলেন, “আমাদের হতাশ হুইবার প্রয়োজন কি ? আমি মায়াবলে নদের শরীরে প্রবেশ করিষ। তখন বররুচি, তুমি আমার নিকট অর্থ প্রার্থন করিবে। আমি অভীষ্ট অর্থ প্রদান করিয়া জাবার নিজ শরীর গ্রহণ করিব।” এই বলিয়া তিনি মায়াবলে নদের মৃত দেহে প্রবেশ করিলেন। তাহার প্রাণহীন দেহ ব্যাঢ়ি রক্ষা করিতে লাগিলেন। নন্দের পুনর্জীবন-লাভে রাজ্যময় মহোৎসব হইতে লাগিল । কিন্তু বিচক্ষণ মন্ত্রী শকটালের মনে সন্দেহ হইল । তখনও রাজপুত্র অতি শিশু। পাছে রাজপুত্রের কোন অনিষ্ট হয়, এই ভাবিয়া তিনি কোন পরিবর্তন না করিয়া নবরাজকে রাজপদে রাখিলেন। কিন্তু রাজ্যের যেখানে যত শবদেহ আছে অবিলম্বে তাহা ভস্মসাৎ করিতে আদেশ করিলেন। এইরূপে ইত্ৰদত্তের দেহ ভৰ্ম্মে পরিণত হইল। তখন ব্যাঢ়ি ও বররুচি নব নদের নিকটই রছিলেন । ইন্দ্রদত্ত রাজাসনে অধিষ্ঠিত হইয়াও বর্তমান অবস্থায় সন্তুষ্ট ছিলেন না। ব্রাহ্মণত্ব হারাইয়া এখন খুদ্রদেহে বাস জন্ত সৰ্ব্বদাই দুঃখ করিতেন। বাঢ়ি তাহার নিকট অর্থ লইয়া গুরু উপবর্ষের নিকট চলিয়া গেলেন। একা বররুচি তাহার মন্ত্রী হইয়া রহিলেন । নন্দদেহধারী ইন্দ্রদত্ত যোগনন্দ নামে খ্যাত হইলেন । শকটাল ব্ৰহ্মহত্যা করিয়াছে, এই অপরাধে, তাহাকে সপুত্রে অন্ধকূপ-কারায় নিক্ষেপ করিলেন ও অতি সামান্য অন্নপানীয় প্রদান করিতে আদেশ দিলেন। খাদ্যাভাবে শকটালের পুত্ৰগণ একে একে কালগ্রাসে পতিত হইল। কেবল শকটাল প্রতিশোধ লইবার জন্ত বঁচিয়া রছিলেন। ধনমদে মত্ত হইয়া ক্রমে যোগনন্দ অত্যাচারী হইয়া উঠিলেন। বররুচি রাজার ব্যবহারে মৰ্ম্মাহত হইলেন । রাজার দোষে মন্ত্রীরই নিন৷ হইবার সম্ভাবনা । তাই বররুচি সকল দোষ এড়াইবার জন্তু রাজাকে অনুরোধ করিয়া শকটালকে ছাড়িয়া দিলেন । শকটাল আবার মন্ত্রিপদ পাইলেম । অল্পদিন পরেই রাজা বররুচির উপর অসন্তুষ্ট হইয় তাহাকে বিনাশ করিতে ইচ্ছা করিলেন । এই সময় শকটাল আপনার গৃহে বররুচিকে লুকাইয়া রাখিয়া র্তাহার প্রাণ রক্ষা করেন। কিছুদিন পরেই রাজপুত্র হিরণ্যগুপ্ত সংজ্ঞাহীন হইলেন । যোগননা এই সময় বররুচির জন্য বিস্তর অক্ষেপ করিতে লাগিলেন। শকটাল রাজার কষ্টে মুগ্ধ হইয়া বল্লকুচিকে বাহির করিয়া দিলেন। বররুচির যত্নে রাজপুত্র সে ধাত্রারক্ষা পাইলেন। কিন্তু তাহার অার এই ফুটিল সংসার তাল