পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মন্দকুমার নন্দকুমারের প্রভূত খৰ্ব্ব করিবার জন্য হেষ্টিংসের এতটা চেষ্টা করার একটা গুঢ় কারণ ছিল । বৰ্দ্ধমান ও নদীয়ার রাজস্বের টার্ক মুরশিদাবাদ হইয়া কলিকাতায় আসিবার সময় হেষ্টিংসের হাত দিয়া আসিত। অতটা টাকা হাতের উপর দিয়া যাতায়াত করিলে যে হেষ্টিংসের স্তায় ব্যবসাদারের পক্ষে কত সুবিধা হইত, তাহ। আর বিশেষ ব্যাখ্যা করিয়া বলিতে হয় না। ইহাই বন্ধ হইয়া যাওয়ায় হেষ্টিংস চটিয়াছিলেন। প্রকৃতিপক্ষে নন্দকুমারের উপর য়াগ হইবার কারণই ছিল না, কিন্তু তাহাকে উপলক্ষ ভাবিয়া হেষ্টিংস ত্বাহারই উপর চটিয়া গেলেন। এই ক্রোধের বীজ হইতেই শেষে নন্দকুমারের জীবননাশী বৃক্ষের উদগম হইয়াছিল। ক্লাইবের পর বান্সিটার্ট সাহেব কলিকাতার গবর্ণর হইয়া আসেন। তিনি প্রথমতঃ নন্দকুমারের দক্ষতায় সন্তুষ্ট इन, কিন্তু হেষ্টিংস্ তাহার বিশেষ বন্ধু ছিলেন, তাহার কুট পরামর্শে ; বান্সিটার্ট শেষে নন্দকুমারের বিদ্বেষী হইয়া উঠেন। ; বান্সিটার্টই মীরজাফরকে সরাইয়। মীরকাসিমকে নবাবী সিংহসনে বসান। মীরজাফর পদচ্যুত হইয়া কলিকাতায় আসিয়া চিৎপুরে বাস করেন - এবং নন্দকুমারের প্রতি বৃথা বিদ্বেষ পরিত্যাগ করিয়া তাহারই শরণাপন্ন হন। ভূতপূৰ্ব্ব ཨཉྩ༔ ། প্রতি অত্যাচারের কথা শুনিয়া এবং ইংরাজ সহবারেনি দিন তাহদের উদ্বেগু অবগত হইয়া নন্দকুমারের চৈতন্ত হয়। তিনি বুঝিলেন যে দিন দিন ইংরাজই দেশের সর্বময় কর্তা হইয়া উঠিতেছেন, বখন যাহাকে ইচ্ছা তাহাকেই নবাবী দিতেছেন, এই সময়ে তাহার মনে ইংরাজ-ক্ষমতা হ্রাস করিবার বাসন জাগিল। মীরজাফরকে পুনরায় সিংহাসন দিবার চেষ্টা করিতে তিনি প্রতিশ্রত হইলেন। মীরজাফর ভীত হইলেন, কিন্তু নন্দকুমার সাহস দিলেন। ক্রমে নন্দকুমার ফয়াসী ও বিহারপ্রবাসী সম্রাট শাহ আলমের সহিত পত্রাদি লিখিতে আরম্ভ করিলেন। দৈব দুৰ্ব্বিপাকে একখানি পত্র ইংরাজদিগের হস্তগত হয়। বান্সিটার্ট একদল প্রহরী বেষ্টিত করিয় তাহার বাড়ী হইতে আরও কয়েকখানি পত্র প্রাপ্ত হন। হেষ্টিংস সেই সকল পত্রাদি লইয়া মহাগণ্ডগোল বাধাইয়া তুলেন ; किड cनदङीब्र कृ*ाग्र बक्लयरङ्गद्र नांप्य मन्तनूमान अवाशियि - . চিৎপুরের একাংশ এখনও নবাবপটা নামে খ্যাত। নবাবপটী - at নামে একটী রাস্ত এখনও সেকালের নবাব প্রাসাদের স্থান নির্দেশ করিয়া থাকে। চিৎপুরের রেলওয়ের জন্য যে ময়দান ব্যবহৃত হয়, তাহারই উপর মবাব সিরাজউদৌলার সেনা কলিকাতা লুঠিতে আসিয়া [ હર ] অবস্থান করে। টালার নিকট মার্থটা ডিচের ধারে যুদ্ধ হয়। IX ১৩৩ নন্দকুমার প্রাপ্ত হন। কেহ কেহ বলেন, নহ্মকুমার এ সময়ে মরাঠানায়কদিগের নিকটও সাহায্যার্থ পত্র লেখালেখি করিয়াছিলেন। এই সময় ইংরাজ কৰ্ম্মচারীদিগের গুপ্ত ব্যবসায়ের জন্ত ইষ্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানীর যথেষ্ট ক্ষতি ও দেশে অনেক অত্যাচার হইতেছিল। এতদ সংক্রান্ত চিঠিপত্র নলকুমারের হাতে পড়ে। কতকট প্রতিহিংসাপরবশ হইয়া নন্দকুমার জাফরখার মোহরসম্বলিত একখানি পত্র ক্লাইবের নিকট পাঠাইয়া দেন ও তদ্বিষয়ে আর একখানি কোম্পানীর কার্য্যালয়ে উপস্থিত করেন। এই পত্র পাইয়। ইংরাজ কৰ্ম্মচারীর নন্দকুমারের উপর মহা অসন্তুষ্ট হইয় উঠেন। এই সময় হইতেই তাহাদের মধ্যে দুই দল হয়। একদলে বান্সিটার্ট ও হেষ্টিংস মুখপাত্র এবং অপর দলে আমিয়ট ও এলিস মুখপাত্র হন। এই সময়েই নবাব মীরকাসিমের সহিত ইংরাজের বিবাদের সূত্রপাত হয়। এই সময়েই কর্ণেল কুট কলিকাতায় আসেন। বিহারের গোলমাল মিটাইবার জন্ত কুটকেই পাটনায় পাঠান স্থির হইল। এলিস ও আমিরটের পরামর্শানুসারে সুচতুর নন্দকুমারকে তাহার সহিত প্রধান কৰ্ম্মচারীরূপে লইবার ব্যবস্থা হইল। কূট নন্দকুমারকে জানিতেন, তিনি আনন্দের সহিত স্বীকৃত হইলেন, কিন্তু বান্সিটার্ট বাধা দিলেন, শেষে কুটের আগ্রহাতিশয়ে নন্দকুমারের যাওয়াই স্থির হইল, তবে গবর্ণরের আদেশে তিনি কুটের সহিত একত্র রওনা না হইয়া কিছুদিন পরে রওনা হইবার জন্য আদিষ্ট হইলেন। নন্দকুমার মীরকাসিমের ইংরাজ বিদ্বেষ বুঝিতে পারিয়া তাহার অধীনে কোন কাৰ্য গ্রহণের জন্য উৎসুক ছিলেন। তাহার ইচ্ছা ছিল, মীরকাসিমকে উপযুক্ত পরামর্শ দিয়া ইংরাজদমনে সাহায্য করিবেন। এই উদ্দেশ্যে কুটসাহেবকে দিয়া নবাবের নিকট আবার হুগলীর ফৌজদারী । পাইবার প্রার্থনা করিলেন, কিন্তু নবাব তাহাকে একান্তু ইংরাজানুরক্ত জানিয়া ও সিরাজের সময়ের হুগলীর ফৌজদার থাকার সময়ের ব্যবহার স্মরণ করিয়া তাহার প্রার্থনায় বা কুটের অনুরোধে কৰ্ণপাত করিলেন না। এই সময় রামচরণ রায়-স্বাক্ষরিত একথানি পত্র ইংরাজদিগের হস্তগত হয়, তাহাতে বাদশাহের সেনাপতি কামগায় খার উদ্দেশে ইংরাজের বিরুন্ধে অনেক কথা ছিল এবং আরও একখানি পত্র ধরা পড়ে, তাহ ফরাসী ল সাহেবের উদ্দেশে এই অভিপ্রায়ে লিখিত। ফরাসী ল সাহেবের ও বাদশাছের দল তখন একযোগে ইংরাজ-দমনের আয়োজন করিতেছিলেন। ইংরাজের এই দুই পত্র নন্দকুমারের লিখিত স্থির করিয়া আবার তাহার প্রতি প্রহরী নিযুক্ত করিলেন । এই অবস্থায় এক বৎসর কাটিয়া গেল। নন্দকুমার শেষে