পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দকুমার বিরুদ্ধে কাৰ্য্য করিতে লাগিলেন, অথচ যখন ইংরাজের বেশী ক্রুদ্ধ হইতেন, তখন প্রকাতে নবকৃষ্ণ মধ্যস্থ হইয় তাহাদের ক্রোধশাস্তির চেষ্টা পাইতেন। শেষে নবকৃষ্ণের অভীষ্ট সিদ্ধ হইল, তিনি ইংরাজের নিকট বিশেষ প্রতিপত্তি লাভ করিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তাহার অত্যাচারও বাড়িল। র্তাহার অত্যাচারে গীড়িত লোকগুলি আসিয়া প্রতিকারার্থ বিপরের বন্ধু মহানুভব মহারাজ নন্দকুমারের আশ্রয় গ্রহণ করিল। নন্দকুমার সাধ্যমত তাহাদিগের সৎপরামর্শ দিতেন এবং সাহায্য করিতেন। ইহাতেও উহার কুৎসার অবধি ছিল না। তিনি মিথ্য অভিযোগে লোককে উৎসাহিত করেন বলিয়া অনেকেই তাহার নামে মিথ্যা রটাইত, কারণ ক্ষমতাশালীর বিরুদ্ধে তখনকার গোর কোর্টে অভিযোগ করিলে, উৎপীড়িতের সুবিচার পাইত না ।* ১৭৬৯ খৃষ্টাব্দে কাটিয়ার কলিকাতার গবর্ণর হন। ইহার সময়েই ছিয়াত্তরে (১১৭৬ সালে ) মন্বন্তর ঘটে। নায়েব দেওয়ান মহম্মদ রেজা খার অত্যাচারে এই সময়ে মন্বন্তর আরও উীষণ হইয়া উঠিয়াছিল। কাটিয়ারের নিকট অনেকেই রেজ খার বিরুদ্ধে অভিযোগ উপস্থিত করিল। যতপ্রকার অত্যচারের অভিযোগ হইল, তাহার মধ্যে ছুইটী বড়ই ভীষণ। ১ম, মহম্মদ রেজা খাঁ দুর্ভিক্ষের সময় বাজারের সমস্ত চাউল কিনিয়া লইয়৷ অতি উচ্চদরে বেচিয়া ছিলেন ; আর ২য়, সাধারণ তহবিলের অনেক অর্থ তিনি আত্মসাৎ করিয়াছিলেন। কাটয়ারের নিকট অভিযোগ হইল বটে, কিন্তু ১৭৭২ খৃষ্টাব্দে তাহাকে পদত্যাগ করিয়া বিলাতে যাইতে হইল । ওয়ারেণ হেষ্টিংস গবর্ণর হইলেন। বিলাত হইতে কোম্পানীর ডিরেক্টরগণ র্তাহাকে সৰ্ব্বপ্রথমে রেজা খার বিচার করিতে আদেশ দেন। হেষ্টিংস মুরশিদাবাদের তদানীন্তন রেসিডেন্ট মিডলটনকে মহম্মদরেজ থাকে বন্দী করিয়া পাঠাই দিতে আদেশ দিনে । মিড্‌ল্‌টন নেসাতবাগ হইতে রেজা খাকে বন্দী করিয়া কলিকাতায়ু পাঠাইলেন। ७४छांद्र काठे दिए*श कांउब्र रुहेछ भशंठूडद मनाकूगांद्रहे রেজাখার কীৰ্ত্তি বিলাতের ডিরেক্টরদিগের কর্ণগোচর করিবার জন্য নিজ বায়ে একটী এজেণ্ট পাঠাইয়া দেন। ডিরেক্টরের এই এজেণ্টের প্রদত্ত প্রভূত প্রমাণে বিশ্বাস করিয়া হেষ্টিংসকে সৰ্ব্বাগ্রে রেজাখার বিচারে নিযুক্ত করেন। এই সময়ে বাঙ্গালায় দ্বৈধশাসন (Double Government) চলিতে ছিল অর্থাৎ রাজস্ব-বিভাগ ইংরাজের হস্তে, এবং নিজ

  • Bolts' Indian Affairs, p. 98. S Burwell's Letter

cहथिएलई ईश छानां पांग्र ॥


[ ૭ ] মন্দকুমার -- মতবিভাগ নৰাবের হন্তে ছিল। নিজামতের ভার না থাকায় ইংরাজ কোম্পানী ঠিক শাসন পরিচালন করিতে পারিতেন না বলিয়া হেষ্টিংস প্রভৃতি এই দ্বৈধশাসনের উপর মহা চটিয়া ছিলেন। ডিরেক্টরের আদেশ পাইয়া হেষ্টিংস এই স্বত্রে দ্বৈধশাসনের মূলে কুঠারাঘাত করিতে উদ্যত হইলেন। ডিরেক্টরের কেবল রেজাখাকে পদচ্যুত করিয়া তাহার কৃতকৰ্ম্মের বিচার করিতে আদেশ দেন, কিন্তু হেষ্টিংস কেবল রেজাখাকে না ঘরিয়া পাটনার শাসনকৰ্ত্তা রাজা সেতাবরায়কেও ধরিয়া আনাইলেন। সেতাবরায়ের বিরুদ্ধেও তহবিল ভাঙ্গার নালিশ হইয়াছিল। হেষ্টিংস ইহাদিগকে ধরিয়া আনিলেন বটে, কিন্তু ইহাদের দোষ প্রমাণ করিবেন কিরূপে তাহা ভাবিয়া পাইলেন না। রাজ্যের সর্বত্রই রেজাখায় কৰ্ম্মচারী বর্তমান। সুতরাং হেষ্টিংসকে ভাবিত হইতে হইল। ডিরেক্টরগণ বিচারের আদেশ দিবার সঙ্গে সঙ্গে বলিয়া দিয়াছিলেন যে যদি আবশ্যক হয়, তবে তিনি মহারাজ নন্দকুমারের সাহায্য লইতে পারেন। হেষ্টিংস নন্দকুমারের প্রতি যেরূপ চিরবিম্বিষ্ট তাহাতে প্রথমতঃ র্তাহার নিকট সাহাষ্য লইতে মহা ইতস্ততঃ করিতেছিলেন । কিন্তু দেওয়ানীর কার্যের ও দেশের অবস্থায় সম্পূর্ণ অভিজ্ঞতা আছে, মহারাজ নন্দকুমার ব্যতীত এরূপ আর দ্বিতীয় লোক দেখিতে পাইলেন না, কাজেই তিনি বাধা হইয়া মহারাজ নন্দকুমারকে ডাকাইয়া এ বিষয়ে তাহাকে যথাযথ সাহায্য করিতে বলিলেন এবং আরও বলিলেন যে, আমি কলিকাতা কাউন্সিলের সহায়তায় আপনাকে সমস্ত বঙ্গদেশের আমীনীপদে নিযুক্ত করিব এবং রাজা সেতাবরার ও মহম্মদ রেজার্থ আপনার নিকট সমস্ত হিসাবাদি দিবেন। এই কাৰ্য্য সম্পাদনের জন্য আমি আপনাকে আমার পদোচিত সমস্ত ক্ষমতা দ্বার সাহায্য করিব। গবর্ণরের এই কথায় ও প্রতিশ্রুতিতে বিশ্বাস করিয়া মহারাজ নন্দকুমার উভয়ের তহবিল ভাঙ্গার একটী তালিকা করিয়া দিলেন। মহম্মদ রেজাখ নবাব সরকারের বহুবিধ উচ্চমূল্যের রত্নালঙ্কার, হস্তী, অশ্ব এবং ১১৭২ সাল হইতে ১১৭৮ সাল পর্য্যস্ত ছয় বৎসরে বাঙ্গালা ও ঢাকার রাজস্ব হইতে ২০ কোটী টাকা আত্মসাৎ করেন । মহাদুর্ভিক্ষের সময় চাউল এক চেটিয়া করিয়া অতি উচ্চদরে ধিক্রয় করেন। এতদ্ভিন্ন মহম্মদ রেজাখ। কয়েকট সরকারী সম্পত্তি নিজে ভোগ দখল করিতেছেন, হুগলীর ফৌজদার রোজ উদ্দীন মহম্মদ খা শ্ৰীহট্টের ফৌজদার মহম্মদ আলী খাঁ কোম্পানীর নিকট প্রায় লক্ষ টাকার দায়ী ছিলেন। তাছাদেয় মৃত্যুর পর তাহদের বিষয় সম্পত্তি কোম্পানীর দেনার