পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- नन्नकूबांद्र , == তাবে জাহাতে আপনার কার্য্য করিতে পারেন, ইহাই অামার উদ্দেশু জানিবেন। মন্দকুমারের ২য় পত্র পাঠ শেষ হইলে কর্ণেল মন্সন নদকুমারকে তাহার অভিযোগের প্রমাণাদি সহ বোর্ডের সম্মুখে উপস্থিত হইবার জন্য প্রস্তাব করেন। গবর্ণর ইহার বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ করেন, তাহার মর্শ এইরূপ, নন্দকুমারকে বোর্ডের সম্মুখে ডাকিয়া আনিবার প্রস্তাব সমর্থিত হইবার পূৰ্ব্বেই আমি বলিয়া রাখিতেছি যে, নন্দকুমার আমার অতিযোক্তারূপে বোর্ডের সম্মুখে আসিয়া দাড়াইবে, ইহা প্রাণান্তেও আমি সহ করিব না। এই বোর্ডের সম্মুখে সামান্য অপরাধীর ন্যায় বিচারপ্রার্থ হইয়া আমি কখনই দাড়াইব না। অথবা বোর্ডের মেম্বরগণকে আমার চরিত্রের ও কৃতকার্থ্যের বিচারক বলিয়া কখনই স্বীকার করিতে পারিব না। কাৰ্য্য গতিকে এ কথাও আমার বলিতে হইতেছে যে প্রকৃতপক্ষে মহারাজ নন্দকুমার আমার অভিযোক্ত নহেন, জেনারল ক্লেভারিং, কর্ণেল মনস্ ও ফিলিপ ফ্রানসিসকেই প্রকৃত কার্যাকারক বলিয়া বিবেচনা করি। আইনানুসারে একথা প্রমাণ করিতে না পারিলেও আমার মনের দৃঢ় বিশ্বাস অমুসারে ইহাদিগকেই প্রকৃত অভিযোক্ত বলিয়া বিশ্বাস করি। তাহাদের এই গভীর উদ্দেশু সাধনের অকুকুলে কএকজন সাহায্যকারীও জুটিয়াছে। তন্মধ্যে মহারাজ নন্দকুমার, বৰ্দ্ধমানের মহারাণী, বৰ্দ্ধমানের দেওয়ান রূপনারায়ণ চৌধুরী ও ফাউক সাহেব । *** ফ্রানসিস্ এই প্রকার পত্র বোর্ডের সম্মুখে স্বয়ং উপস্থিত করিয়া একটী মানহানিকর কার্য্যে হস্তক্ষেপ করিতেছেন, ইহাও উপহার পদোচিত কর্তব্য নহে। *** আরও শুনিয়াছি, নন্দকুমার এই সমস্ত কাগজপত্র লইয়া মনসমৃ সাহেবের বাড়ীতে গিয় তাহার সহিত বহুক্ষণ পরামর্শ করিয়া এই সমস্ত প্রস্তুত করিয়াছেন। কোনও বিশেষ সুত্রে আমি ইতিপূৰ্ব্বে নন্দকুমারের অভিযোগ-পত্রের ছুইখানি নকল পাই, এক্ষণে দেখিতেছি মূলাংশে তাহ হইতে কতক পরিবর্তন হইয়াছে। আমি পুনরায় বলিতেছি, আমি বোর্ডে কখনই অপরাধীরূপে tাড়াইব না, বা বোর্ডকেও নন্দকুমারের সাক্ষ্য লইতে দিব না। বোর্ডেরও এইরূপ বিচার করিবার বা সাক্ষ্য লইবার কোন ক্ষমতা নাই । ইহার পর বোর্ডের সদস্তগণের মধ্যে মহা বাকৃবিতও হয়। কর্ণেল মনসন গৰ্ব্বরকে সংবাদদাতার নাম জিজ্ঞাসা করেন। কর্ণেল হইতে সেই লোকের বিপদ ঘটিতে পারে বলিয়া তিনি তাহার নাম প্রকাশ করিলেন না। বারওয়েল সাহেব গবর্ণরের কথায় পোষকতা করেন। মন্‌সন এই কথা ΗΧ \రి(t [ ৫৩৭ ] নন্দকুমার সম্পূর্ণ অলীক বলিয়া প্রকাশ করেন। বারওয়েলও নন্দকুমারের উপস্থিতির বিরুদ্ধে মহা আপত্তি করিয়া বলেন, নন্দকুমারের কোন অভিযোগ থাকে তিনি সাক্ষী ও প্রমাণাদি লইয়। সুপ্রীমকোর্টে যাইতে পারেন। শেষে অনেক তর্কের পর যখন নন্দকুমারকে বোর্ডের সম্মুখে উপস্থিত করাই পরামর্শসিদ্ধ হইল, তখনই সেক্রেটরী নন্দকুমারকে ডাকিবার জন্ত আদিষ্ট হইলেন। গবর্ণর তখন উপায়াস্তুর না দেখিয়া হঠাৎ বলিলেন, আমি এই মন্ত্রিসভা অন্ধকার মত ভঙ্গ করিলাম। আমার অবর্তমানে এই অসম্পূর্ণ সভায় যদি কোন কাৰ্য্য হয়, তাহ আইনতঃ স্কায়সঙ্গত বলিয়া গণ্য হইবে মা। বারওয়েলও বলিলেন, যখন সভা প্রেসিডেণ্ট কর্তৃক ভঙ্গ হইল, তখন আমিও চলিলাম। আমি পুনরায় প্রথামত গবর্ণরের আদেশ না পাইলে সভার কোন কার্য্যে যোগ দিব না । উভয়ে চলিয় গেলে অপর মন্ত্রিত্ৰয় হেষ্টিংসের এরূপ উদ্ধত কাৰ্য্যকে স্থায়সঙ্গত বলিয়। গ্রাহ না করিয়া আপনারাই অবশিষ্ট কাৰ্য্য চালাইতে লাগিলেন। নন্দকুমারকে ডাকাইয়। র্তাহার সাক্ষ্য লওয়া হইল। আবণ্ডকমত নন্দকুমার প্রমাণস্বরূপ মূল দলীলাদি দাখিল করিলেন। কোনও দলিলের বিষয় প্রমাণার্থ কৃষ্ণকান্ত নদীর উপস্থিতি ও সাক্ষ্য প্রয়োজন হইলে, মন্ত্রিসভা তাহাকে ডাকিতে পাঠান, তিনি কিন্তু লিখিয়া জানাইলেন, আমি এক্ষণে গবর্ণরের নিকট আছি, তিনি নিষেধ করায়, যাইতে পারিলাম না। মন্ত্রীরা মহ বিস্মিত ও ক্রুদ্ধ হইয়া কাস্তবাবু ও গবর্ণরের বিরুদ্ধে এইরূপ কাৰ্য্যের আপনাদিগের মতামত লিখিয়া সভাভঙ্গ করিলেন । এদিকে হেষ্টিংস কাউন্সিলে অবমানিত হইয়া নমাকুমারের সৰ্ব্বনাশের জন্ত বদ্ধপরিকর হইলেন। গ্রেহীম, তাহার মুন্সী সদরউদ্দীন, গঙ্গাগোবিন্দ, কাস্তবাবু, নবকৃষ্ণ প্রভৃতি তাহার সহায়তায় প্রবৃত্ত হইলেন। কমাল উদ্দীন খাঁ নামে এক ব্যক্তি সেই সময়ে হিজলীর লবণ-গোলার ইজারাদার ছিল । দেওয়ান কাস্তবাবুই এই ব্যক্তির বেনামীতে ঐ ইজার ভোগ করিতেন। এই ব্যক্তির ও ইহার পিতার সহিত নন্দকুমারের বন্ধুত ছিল, যখন দেনার টাকার জন্ত হুগলীর সেখ হাবাৎউল্লা নন্দকুমারকে পিয়াদী মণীল দিয়া ৫ দিন আটক রাখে, সেই সময়ে সেই কমালউদ্দীনের পিতা সেখ রস্তম মন্দকুমারের জামীন হইয়। র্তাহাকে মুক্ত করেন। বলিয়া নন্দকুমারের সহিত বন্ধুতা অধিক দিন ছিল না। অবশেষে সে কাস্তবাবুর বেনামীদার হইয় হিজলীর লবণগোলার ইজারাদার হইলে কাস্তবাবু, বারওয়েল, হেষ্টিংস প্রভৃতি র্তাহার নিকট হইতে বিস্তর যুদ্ধ লইতে আরম্ভ করেন। কমাল অসৎ প্রকৃতির লোক ছিল -