পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নন্দিন [ &8& J , नलिनी পাহাড়ে নন্দির একটা মুখ খোদিত আছে। ঐ মুখ হইতে ক্ষীরানন্দি নিঃসৃত হইতেছে। উক্ত পঞ্চতীর্থের মাহাত্ম্য ‘নন্দিগিরিমাছাত্ম্যে বিস্তারিত ভাবে বর্ণিত আছে । মনিরক্ত, কানাড়াভাষায় লিখিত অনুভব শিক্ষামণি নামক একখানি গ্রন্থে নন্দিধ্বজ সম্বন্ধে নিম্নলিখিত উপাখ্যানটী পাওয়া যায়। লোকমায় নামক একট দুরন্ত রাক্ষস জন্মগ্রহণ করিয়া ছিল। সে অতিশয় গৰ্ব্বিত এবং পরাক্রান্ত হইয়া দেবতাদিগকে বড়ই নিপীড়িত করিতে লাগিল। দেবগণ সমবেত হইয়৷ দেবরাজ ইন্দ্রের সমীপে গমন করিলেন এবং তাহাকে যথাবিধি অভিবাদনপূর্বক কহিলেন, হে দেবেন্দ্ৰ ! আমাদের দুঃখের কথায় কর্ণপাত করুন। দুরন্ত লোকমায়ী রাক্ষস আমাদিগকে নিদারুণ কষ্ট দিতেছে। তাহার দৌরাত্ম্যে আমাদিগকে স্ব স্ব বাসস্থান ত্যাগ করিয়া পলাইতে হইয়াছে। এই কথা শ্রবণ করিয়া ইন্দ্র ঐরাবত সজ্জিত করিয়া আনিতে আদেশ করিলেন এবং কহিলেন, অস্তই আমি তাহার বলবীৰ্য্য পরীক্ষা করিব। অনন্তর দেবরাজ ক্রোধে অধীর হইয়া গজপুষ্ঠে আরোহণ করিলেন এবং অমরসৈন্ত সমভিবাহারে তুরায় রাক্ষস সন্নিধানে উপনীত হইলেন। রাক্ষস তাহাকে অযথোচিত কটুবাক্যে তিরস্কায় করিতে লাগিল। অনন্তর যখন দেবেন্দ্র সেই ভীষণকায় রাক্ষসকে অগ্রসর হইতে দেখিলেন, তখন তিনি ভয়ে বিহবল হইয় গজপৃষ্ঠ হইতে নিপতিত হইলেন। অতঃপর গাত্ৰোখান করিয়া ব্ৰহ্মার নিকট পলায়ন করিলেন । ব্ৰহ্মা তাহাকে সঙ্গে লইয়া ক্ষীরোদসমুদ্রতীরে ভগবান বিষ্ণুর নিকট উপস্থিত হইয়া করযোড়ে সমুদয় নিবেদন করিলেন। তৎসমুদয় শ্রবণ করিয়া ভগবান বিষ্ণু গরুড়ে আরোহণপূর্বক লোকমায়ার নিকট গমন করিয়া বিস্তর যুদ্ধ করিলেন এবং পরিশেষে ক্লান্ত হইয়া কহিলেন, ইহাকে বধ করা অামার সাধ্য নহে, বিশালাক্ষ ( শিব ) এ কার্য্য করিতে সমর্থ। এই কথা বলিয়া তিনি নীলকণ্ঠের নিকট গমন করিলেন। তাহার বাক্য শ্রবণ করিয়া আদিমূৰ্ত্তি তৎক্ষণাৎ আদিবৃষভে আরোহণপূর্বক আগমন করিলেন এবং রাক্ষসের মস্তক ছেদন করিয়া ফেলিলেন । রক্ষসের ছিন্ন মস্তক তাহার স্তব করিতে লাগিল। মহাদেব তুষ্ট হইয় তাহাকে বর লইতে বলিলেন। তখন রাক্ষস কহিল, হে শিব ! আমার দেহে পৃথিবীকে পবিত্র করুন। তখন মহাদেব কৃপাবিষ্ট হইয় তাহার পৃষ্ঠবংশে দগু, মস্তকে কলস এবং চৰ্ম্মে পতাকা প্রস্তুত করিয়া তাহার নলিখবজ নাম দিলেন । নন্দি ঐ ধ্বজ তাহার অগ্ৰে অগ্ৰে লইয়া যাইতে লাগিল । নদিন (ত্রি) নক্ষনি। হর্ভূক্ত। ২ শালা, শিবের দ্বারপাল। ৩ মুনিভেদ । [ ননিকেশ্বর দেখ। ] ৪ শিবগণ বিশেষ, এই গণ ত্রিবিধ—কনকনী, গিরিনর্মী ও শিবলী। “ज्ञांनाः कनकनर्मगै छ शिब्रिकारथा द्विडीौग्नरुः । সোমনী তৃতীয়ত্ব বিজ্ঞেয় নন্দিনায় ৷" ( বহ্নিপু ) ৪ গৰ্দ্দভাণ্ড বৃক্ষ। ৫ ধববক্ষ। ৬ বিষ্ণু। ৭ একজন প্রাচীন সংস্কৃত বৈয়াকরণ। ক্ষীরস্বামী, সায়ণ, রায়মুকুট প্রভৃতি উদ্ধত করিয়াছেন। ৮ অভিনয়দর্পণ নামে নাট্টশাস্ত্রকার। ৯ জৈনদিগের একজন শ্রাতপারগ। ननिर्मी (जैौ) नल-निनि-डीथ् ।। २ अत्र । २ ननन्, ननन । ৩ রেণুকাগন্ধ দ্রব্য। ৪ কন্যা। ৫ জটামাংসী। নন্দিন্ত মায়াং গঙ্গায়াং ননান্দধেমুভেদয়ে । ( মেদিনী) ৬ বশিষ্ঠের ধেনু, এই নন্দিনী কামধেনু, সুরভির কন্যা। রঘুবংশপাঠে অবগত হওয়া যায়, দিলীপ ইহাকে আরাধনা করিয়া রঘুনামে পুত্র লাভ করিয়াছিলেন। ( রঘুবংশ ) মহাভারতে লিখিত আছে, দ্যো নাম বসু পত্নীর বাক্যামুসারে ইহাকে হরণ করিয়া লইয়া যায়। ইহাতে বশিষ্ঠ তাহাকে শাপ দেন, এই শাপে ইনি পৃথিবীতে ভীষ্মরূপে অবতীর্ণ হন । [ ভারত ১৯৯ অধ্যায়ে বিশেষ বিবরণ দ্রষ্টব্য। ] বিশ্বামিত্র ও বশিষ্ঠের বিবাদের মূল এই নলিনী। রামায়ণে । এইরূপ লিখিত আছে—একদিন বিশ্বামিত্র বহুতর সৈন্ত সামস্তের সহিত বশিষ্ঠের অতিথি হন। বশিষ্ঠ এই কামধেনু নন্দিনীর প্রভাবে তাহাদের ইচ্ছানুসারে সকল লোককে পরিতৃপ্ত করিয়া ভোজন করান। বিশ্বামিত্র এই অত্যাশ্চৰ্য্য ব্যাপার অবলোকন করিয়া বশিষ্ঠের নিকট এই ধেমু প্রার্থনা করেন। বশিষ্ঠ বলিয়াছিলেন, নন্দিনী কামধেনু, ইহাকে দিতে পারিব না। বিশ্বামিত্র এই কথায় কর্ণপাত না করিয়া এই ধেনু হরণ করেন। তখন নন্দিনী হাম্বারব করিতে লাগিল, তাহাতে কাম্বোজ, পালান হইতে পহ্লব, যোনিদেশ হইতে ঘবন প্রভৃতি সৈন্ত সকল উৎপন্ন হইল। এই সকল সৈন্তের পরাক্রমে বিশ্বামিত্র পরাজিত হইলেন। ( রামায়ণ আদিকাণ্ড এবং ভারত ১১৭৭ অধ্যায়ে বিস্তৃত বিবরণ দ্রষ্টব্য। ) ৭ পত্নী । “এবং গুণসমাযুক্তাং বসবে বহূনন্দিনী । দর্শয়ামাস রাজেন্দ্র পুরা পৌরবননান ॥” (ভারত ১৯৮১৬ ) “বহুননির্মী বসুপ্রিয়া’ (নীলকণ্ঠ ) ৮ তীর্থবিশেষ। (ভারত ৩৮৪৷১৪৫ ) ৯ স্কন্দালুচর মাতৃগণবিশেষ। (ভারত ৯৪৬৫১ ) ১০ বাড়িমুনির মাতা । ( হেমচ” ৩৫১৬ ) , ১১ ত্রয়োদশাক্ষরা বৃত্তি বিশেষ। এই ছন্দের প্রতিপাদে ১৩টা করিয়া অক্ষর থাকিবে।