পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৫৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫৬। ব্রাহ্মণের জ্যেষ্ঠ ভিন্ন তনয়গণ বেদাধ্যয়ন এবং সমাবর্তনক্রিয়ার পর মাৰ্য্যা (নায়র)-যোষিতকে গন্ধৰ্ব্বাবধানে বিবাহ করিবে। ৫৭। মুতব্যক্তির উদ্দেশে পকার পিণ্ড দিতে হইবে। ৫৮। অন্তর্জনগণের মস্তক মুগুন করিবে না, ব্রহ্মচারিণী অবস্থায় থাকিবে। ৫৯। সতীদাহনিষিদ্ধ। ৬•। সকলে পুরশ্চ হইবে। ৬১। যাহারা ইল্লোম’ ‘মন’ বা তারবদ’ সম্পত্তি ভাগ চাহিবে, তাহারা সমাজচ্যুত হইবে। ৬২ । কস্তার বিবাহ রজোদর্শনের পর হইবে। নাৰ্য্য (নায়র) ও ক্ষত্রিয় জাতির তালিবন্ধ ক্রিয় পুম্পোদগমের পূৰ্ব্বে হইবে। পরে যৌবন-সমাগমে গন্ধৰ্ব্ব-বিধানে ব্রাহ্মণকে বিবাহ করিবে। নাৰ্য্যরমণী অন্তর্জনাকে প্রসবাবস্থায় শুশ্রুষা এবং অন্নাদি পখ্য দিবে। ইহাদের অন্নগ্রহণ করিলেও পতিত হইবে না। ৬৪। নমুক্তিরী ব্রাহ্মণ মধ্যাহ আহারের পর ক্ষৌরকার্য্য করিতে পারে। এই ৬৪ প্রকার নিয়ম সকলেই পালন করিয়া থাকে। ইহার ব্রাহ্ম্য মুহূর্তে উঠিয়া যথাবিধি প্রতিশৌচাদি সমাপনপূর্বক স্বর্ষ্যোদয়ের অব্যবহিত পরে স্নান করিয়া খালি পায়ে দেবালয়ের প্রাঙ্গণে গমন করিবেন, এবং তথায় গন্ধচন্দনাদি সমাপন করিবেন, পরে বেলা ১১ ঘটিকা পৰ্য্যস্ত বেদ পাঠ করিবেন । তাহার পর ভোজন। অপরাহ্লে তৈল মাখিয়া স্বান করিয়া থাকেন এবং সন্ধ্যাবন্দনাদি কাৰ্য্য শেষ করিয়া রাত্রি ৯টার পর আহার করিয়া শয়ন করেন। বৈকাল বেলা সাংসারিক কাৰ্য্য পর্যবেক্ষণ করিয়া থাকেন। ইহারা সকলেই প্রায় সংস্কৃত শাস্ত্রে বিশেষ পারদর্শী। এই সকল ব্রাহ্মণ হিন্দু রাজসরকারে কৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া থাকেন, কিন্তু অদ্যাপিও কেহ ইংরাজের অধীনে চাকুরী স্বীকার করেন নাই। নযুক্তিরী বালকগণ উপনয়নের পর হইতেই ব্ৰহ্মচর্য্যাশ্রম গ্রহণ করেন। বেদাচাৰ্য্য শিষ্যের মস্তক হস্তে ধরিয়া ধীরে ধীরে তালে তালে দোলাইতে থাকে। শিষ্যও তালে তালে বেদ অভ্যাস করে । ইহাদের জ্যেষ্ঠপুত্রই কেবল দারপরিগ্রহ করিয়া থাকেন। এই নিমিত্ত ইহাদের মধ্যে অনেক কষ্ঠ অবিবহিতাবস্থায় থাকে এবং বহু বিবাহও প্রচলিত অাছে। রজোদর্শনের পর যাহাদের অবিবাহিতাবস্থায়, মৃত্যু হয়, তাহাদের গলদেশে কোন ব্রাহ্মণ তালি নামে মঙ্গলসূত্র বাধিয়া দেয়, তাহার পর স্থতার অস্ত্যেষ্টিক্রিয়া হইয়া থাকে। f es. I নম্বুরি কস্তার বিবাহে পিতাকে বিপুল অৰ্থ বায় করিতে হয়। প্রথমে পরস্পরের কোষ্ঠী মিল হওয়া চাই, তাহার পর যৌতুকের মূল্য কমিবেশী প্রায় ২••• হাজার টাঁকা স্থির হয়। এই বিবাহ কম্ভার ইন্নোমে ধুমধামের সহিত হইয় থাকে। বরকর্তা পুত্রের জন্ত কস্তাকর্তার নিকট প্রার্থ হন, তিনি তাহ স্বীকার করিলে বাকৃদান হইল। তখন বিবাহের দিন স্থির হয়। সেই শুভদিনে বর হস্তে মঙ্গলস্বত্র ধারণ এবং বংশদওঁ গ্রহণ ও নাৰ্য্যজাতি যোধিৎদিগকে সঙ্গে লইয়া কস্তার ইয়োমে আসিয়া উপস্থিত হন। এদিকেও নাৰ্য্যজাতীয় যোষিৎগণ নমুত্তির ব্রাহ্মণের বেশভূষায় ভূষিত হইয়া বরকে সম্ভাষণপূর্বক লইয়া আইসে, দীপদ্বারা আরতি ও অষ্টমাঙ্গলাম নামে এক প্রকার তুক করে। পরে বর ও কন্যা পৃথক্ কক্ষে নীত হয়, সেইস্থানে উভয়ে প্রচুর পরিমাণে আহার করে। এই প্রকার ভোজনের নাম 'অয়ে নিউন । তাহার পর বর বংশদগুগ্রহণ করে এবং কম্ভ দর্পণ ও তীর হস্তে লইয়া বিবাহসভায় আগমন করে, কম্ভার পিতা বরের পাদপ্রক্ষালন করিয়া দেন । কোন নাৰ্য্যযুবতী কস্তার মাতার সদৃশী হইয়া বরের সন্মুখে দীপালোক দোলাইতে থাকে। এই সময় অপরদিকে যবনিকান্তরাল হইতে ধনীনাৰ্য্যযোষিৎগণ সমস্বরে বৈকুরপক্ষীর স্তায় রব করিতে থাকে। এদিকে কন্যা বরের সম্মুখে আসিয়া বরের পদে পুষ্পাঞ্জলি দিয়া গলদেশে মাল্য প্রদান করে। এই সময় পরম্পরের শুভদৃষ্টি সম্পন্ন হইয়া থাকে। তৎকালে বেদমন্ত্র পাঠ হয়। পরে কন্যার পিতা যথাবিধানে বেদমন্ত্র পাঠ করিয়া যৌতুকের সহিত কন্যা সম্প্রদান করেন। তখন সপ্তপদীগমন প্রভৃতি সকল কাৰ্য্য সম্পন্ন হয় । পিতা কন্যাকে ভৰ্ত্তার সহধৰ্ম্মিণী হইয়া গৃহাশ্রমের সহায়তা করিতে নানাবিধ উপদেশ দেন। তাহার পর বর কন্যাকে লইয়া নিজের ইল্লোমে আসে। কল্প অন্তর্জন কর্তৃক গৃহীত হইয়া গৃহকার্য্যে দীক্ষিত হয় ও একটা জুই ফুলের গাছ রোপণ করে। তাহাতে কন্যাকে প্রতিদিন জলসেচন করিতে হর। তিনদিন হোম ও চতুর্থ দিবসে গর্ভাধানক্রিয় সমাধা হয়। নব দম্পতি শয্যায় উপবেশন করিলে দরজা বন্ধ করিয়া দিয়া পুরোহিত তৎকালোচিত মন্ত্ৰ পড়িতে থাকেন। পঞ্চমদিনে বর মঙ্গলস্বত্র ও হস্তস্থিত ংশদণ্ড পরিত্যাগ করে। গৰ্ত্তাবস্থায় গৰ্ত্তের তৃতীয়, পঞ্চম ও নবমমাসে বিশেষ বিশেষ সংস্কার কার্য্য হইয়া থাকে। প্রসবের পর অন্তর্জনাগণ নাৰ্য্যায় ভক্ষণ করিতে পারে, তাহীতে কোন দোষ হয় না। পুত্রাদি হইলে পিতা একাদশ দিবসে নামকরণ, ষষ্ঠ মাসে অল্লাশন, স্তৃতীয়বর্ষে চুড়াকরণ এবং পঞ্চমবর্ষে বিজয়াদশমীর